তথাকথিত ‘জামাতে ইসলাম’ আর ‘ইসলামী ব্যাংক’ দুটোরই ‘ইসলাম’ ব্যবহার বড়ই অনৈসলামী। তথাকথিত ইসলামী ব্যাংকের অনৈসলামী বাণিজ্য চলছে ইহুদী-খ্রিস্টানদের টাকায়।

সংখ্যা: ২৩০তম সংখ্যা | বিভাগ:

ধর্মপ্রাণ মুসলমান মাত্রই জামায়াতের সাথে নামায পড়ার জন্য উদগ্রীব থাকেন। জামায়াতের সাথে নামায পড়া সুন্নতে মুয়াক্কাদা সেকথা তারা মানেন। জামায়াতের সাথে নামায পড়ার ফযীলত অনেক বেশি তথা সাতাশগুণ তা তারা জানেন।

জামায়াত বা জমায়েতের অর্থ- এক সাথে হওয়া। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার এই এক সাথে হওয়ার অবকাশ অনিবার্য।

মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, “তোমরা পরস্পর বিচ্ছিন্ন হইয়ো না। বরং এক সাথে বা জামায়াতবদ্ধভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার রজ্জুকে আঁকড়িয়ে ধর।”

‘জামায়াত’ শব্দটি তাই অতীব গুরুত্বপূর্ণ ও অর্থবহ। ‘জামায়াত ইসলাম’ বলতে বোঝায় ইসলামের জামায়াত। প্রাসঙ্গিকভাবে এর অর্থ জামায়াতে ইসলামের বাইরে যারা রয়েছেন তারা ইসলামভুক্ত নন। মুসলমান তারা নন বরং কাফির, মুশরিক, ইহুদী, খ্রিস্টান ইত্যাদি।

সেক্ষেত্রে আজকে জামাতে ইসলামী বাংলাদেশ বলে যে প্রচারণা রয়েছে সে দলটি মূলত পরোক্ষভাবে এই প্রপাগান্ডাই করে যে, তাদের দল ছাড়া আর কেউ পবিত্র দ্বীন ইসলামভুক্ত বা মুসলমান নয়। এবং এ কোন ঠুনকো কথা নয়। আর কার্যত তারা মনে-প্রাণে তাই বিশ্বাস করে। এর প্রমাণও বহু।

১৯৭১-এ তারা এ বিশ্বাসের বলেই তাদের দলভুক্ত লোক ছাড়া বাকিদের শহীদ করেছে নির্বিচারে। তাদের দলভুক্ত লোক ছাড়া অন্য মুসলমানকে সাব্যস্ত করেছে কাফিররূপে। তাই তো মুসলমানের মাল-সম্পদ লুটতরাজ করেছে তারা উল্লসিত হয়ে। মুসলমান মহিলাদের মান-ইজ্জত তারা হরণ করেছে পৈশাচিকভাবে। কেবলমাত্র রাজাকার নামধারী এই জামাতটি অন্যসব মুসলমানকে মনে করেছে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বাইরে।

১৯৭১-এর তাদের ওই বোধের অবসান আজও হয়নি। কোনদিন হবে সেকথা ভাবারও অবকাশ নেই। সাম্প্রতিককালের দেশব্যাপী সন্ত্রাসীদের নির্বিচারে বোমা মেরে মানুষ হত্যা করা তার সাক্ষাৎ প্রমাণ।

আর সন্ত্রাসীদের সাথে জামাত কানেকশন এখন সবাই অবগত, তা সূর্যের আলোর মতো পরিষ্কার বা একশ ভাগ উদঘাটিত এসব বললেও মূলত বাকি থেকে যায়। কথাটি সঠিকভাবে পেশ করতে হলে বলতে হয়, “জামাতীরাই সন্ত্রাসী সেজে ’৭১-এর পুনরাবৃত্তি ঘটাচ্ছে।”

সন্ত্রাসী নেতা আব্দুশ শয়তান কুখ্যাত রাজাকার পিতারই সন্তান। বাংলা সন্ত্রাসী কুখ্যাত শিবির নেতা।

কাজেই সন্ত্রাসীদের সাথে জামাতীদের যোগসাজশ রয়েছে না বলে বরং জামাতীরাই সন্ত্রাসী বেশ ধারণ করে সন্ত্রাসীপনা করে যাচ্ছে সে কথাই ব্যক্ত করতে হবে।

এদিকে জামাতে ইসলামী তথা জামাতে মওদুদীর মাসতুতো ভাই ইসলামী ব্যাংকেরও সন্ত্রাসীপনায় সরাসরি সম্পৃক্ততার প্রমাণ হয়েছে।

মূলত ইসলামী ব্যাংক প্রচলিত সুদী ব্যাংকের চেয়েও বেশি সুদ আদায় করছে এ অভিযোগ এখন সবার মুখে মুখে। পাশাপাশি তথাকথিত সব ইসলামী ব্যাংকিং এরই কার্যত একই অবস্থা। কোন লোকসানগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের লোকসান তারা মেনে নিয়েছে এমন নজির নেই। বরং ইসলামী খোলশের অন্তরালেই কার্যত চক্রবৃদ্ধিহারে সুদের প্রয়োগ ঠিকই করেছে।

অথচ সুদের বিরুদ্ধে সে কি তাদের তর্জন গর্জন। ‘এক দিরহাম সুদ খেলে ছত্রিশ বার মায়ের সাথে ব্যভিচারের পাপ হয়’ ইত্যাদির বর্ণনাও তাদের প্রকাশনায় রয়েছে। তার বিপরীতে সুদমুক্ত ইসলামী ব্যাংকিংয়ের পক্ষে প্রবল মায়াকান্নার রোল তারা উঠিয়েছে।

কিন্তু সবই যে দ্বীন ইসলাম উনার নামে রাজনীতির যোগান দিতে গিয়ে মজবুত ভিত্তি গড়ে তোলার অভিপ্রায়ে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার নামে অধিকতর সুদী ব্যবসার পাঁয়তারা সে কথা আজ সরলমতিরাও বুঝে উঠেছে।

ইসলামী ব্যাংক যে সত্য বলে না তা এখন পত্রিকায়ও পত্রস্থ হয়। বিগত ৩রা ডিসেম্বর ২০১৩ ঈসায়ী, দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় পত্রস্থ হয়:

 

নামে ইসলামী মালিক ইহুদী খ্রিস্টান

 

মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে সচল রয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। এ ব্যাংক ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক বলে দাবি করলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে শরিয়াহ নিয়ম অনুসরণ করছে না। বরং মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে ইসলামকে বাণিজ্যিকরণ করছে। জানা গেছে, ব্যাংকটির প্রায় ৭০ শতাংশ মালিকানা বিদেশীদের হাতে। আর ওইসব বিদেশীর অধিকাংশই ইহুদী ও অমুসলিম। এ ছাড়া ব্যাংকটির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে শতশত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ইসলামী ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৩ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং মন্ত্রণালয়ের নাম পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, ব্যাংকটির বিরুদ্ধে গুরুতর ঋণ অনিয়মেরও অভিযোগ উঠেছে। এর আগে সন্ত্রাসবাদে অর্থের জোগানদাতা হিসেবে এ ব্যাংকটির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তোলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারকাত বলেন, যেসব ব্যাংক ইসলামিক ব্যাংক বলে কার্যক্রম চালাচ্ছে সেগুলো কোনোভাবেই সুদমুক্ত নয়। কাজেই ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে ‘ইসলাম’ শব্দটি বাদ দেয়া উচিত।

তিনি বলেন, ইহুদীদের অর্থে পরিচালিত কয়েকটি ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকিং চালু করেছে, এটাকে ধোঁকাবাজি ছাড়া আর কি বলা যেতে পারে? প্রচলিত ব্যাংকিংয়ের পাশাপাশি যারা ইসলামী ব্যাংকিং করছে তারা মানুষের সঙ্গে মারাত্মক প্রতারণা করছে বলে সে মনে করে। এ প্রসঙ্গে আরও বলে, দেশের দরিদ্র মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে ইসলামকে বাণিজ্যিকীকরণ করছে দেশের ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা। তিনি নিজের ‘মৌলবাদের অর্থনীতি’ শীর্ষক গবেষণার তথ্য তুলে ধরে বলেন, জামায়াতে ইসলামী ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ ৮টি খাতে অর্থায়ন করেছে। এটা তাদের ‘অর্থনৈতিক কার্যভিত্তিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া’। তারা ধর্মের নামে ক্ষমতায় আসতে চায়। কিন্তু তা সম্ভব না হওয়ায় রাষ্ট্রের মধ্যে রাষ্ট্র বা সরকারের মধ্যে সরকার রাখার চেষ্টা করছে। ২০১০ সালে ইসলামী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘ইসলামী অর্থনীতি ও ব্যাংকিং’ শীর্ষক এক সেমিনারে আবুল বারকাত বলেন, জনতা ব্যাংকের ৬টি শাখায় ইসলামিক ব্যাংকিং চালুর অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। ওই ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে আমি বুঝতে চেষ্টা করেছি, ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার আয় সুদ না অন্যকিছু। দেখেছি এটা কোনোভাবেই সুদের বাইরে নয়। এজন্য তিনি জনতা ব্যাংকের ইসলামী ব্যাংকিং চালুর সম্ভাবনা নাকচ করে দেন।

সূত্র জানায়, ইসলামী ব্যাংক নিজেদের সুবিধামতো ইসলামী শরিয়াহ বোর্ড গঠন করে নিজেদের স্বার্থে কার্যক্রম চালাচ্ছে। অদৃশ্য কারণে এ শরিয়াহ বোর্ডের সিদ্ধান্তের উপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক কখনো হস্তক্ষেপ করে না। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলে, রেগুলেটরি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি নিজস্ব শরিয়াহ বোর্ড থাকা উচিত। কিন্তু কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে এটি করা যাচ্ছে না।

 

ফাউন্ডেশনে অর্থ প্রদান বন্ধের নির্দেশ

 

সন্ত্রাসী অর্থায়নের অভিযোগে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডকে তার অধিভুক্ত সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনে অর্থ প্রদান বন্ধের নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনের অর্থের উৎস ও এর ব্যবহার নিয়ে প্রাথমিকভাবে কিছু অস্বচ্ছতার প্রমাণ পাওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক ওই সিদ্ধান্ত নেয়।

মুনাফার চার ভাগের তিন ভাগ

বাইরে চলে যাচ্ছে

ব্যাংকটি প্রতি বছর যে বিপুল পরিমাণ মুনাফা করছে, তার চার ভাগের তিন ভাগ বাইরে চলে যাচ্ছে। আর এর বিদেশী মালিকরা ডলারে তাদের মুনাফা নিয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে চাপ তৈরি হয়ে থাকে। বিদেশীদের মালিকানা না থাকলে ওই পরিমাণ ডলার বাংলাদেশে থেকে যেত। ২০১২ সালে ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা মুনাফা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। এর ৭০ শতাংশ দাঁড়ায় ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা। অর্থাৎ ইসলামী ব্যাংকের বিদেশী মালিকরা ওই পরিমাণ লভ্যাংশ নিয়ে গেছে। একইভাবে ২০১১ সালে ব্যাংকের মুনাফা ছিল প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। সে হিসাবে সে বছর দেশের বাইরে গেছে প্রায় ১ হাজার ৫০ কোটি টাকা।

এদিকে বিদেশী প্রতিষ্ঠানের হাতে মালিকানা থাকায় বিনিয়োগকারীদের বিষয়ে তেমন কোনো তথ্য নেই বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে। এসব প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি আন্তর্জাতিকভাবে কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত কি না তাও জানা সম্ভব নয়।

সূত্র আরও জানায়, ইসলামী ব্যাংকের বিদেশী একাধিক পরিচালক এবং শেয়ারহোল্ডারের বিরুদ্ধে তাদের দেশে বিভিন্ন সময় নানা অপরাধের অভিযোগও উঠেছে। তারা সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসে অর্থায়নে জড়িত বলে বিভিন্ন সময় তথ্য বেরিয়ে এসেছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোতে। অন্যদিকে বাংলাদেশেও ইসলামী ব্যাংকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় নানা অভিযোগ উঠেছে। এর বিরুদ্ধে জামায়াত ও শিবিরের কর্মকা-ে অর্থায়নের অভিযোগ রয়েছে। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট বোমা হামলার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসী সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের প্রধান আবদুর রহমান ওরফে শায়খ আব্দুশ শয়তান এ ব্যাংকের মাধ্যমে হিসাব পরিচালনা করতো। বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগের তথ্য মতে, বর্তমানে এই ব্যাংকে শতাধিক সন্দেহজনক হিসাব রয়েছে। সেগুলোর লেনদেন তদারকির মধ্যে রাখা হয়েছে। যে কোনো সময় তথ্য-প্রমাণসহ প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে এর বিরুদ্ধে।

-মুহম্মদ আরিফুল্লাহ

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।