দলের কাঁধে চড়ে ব্যক্তিমত, বিশ্বাস ও ভাবধারা ব্যক্ত করে দলকে যাতে বিতর্কের মুখোমুখি দাঁড় না করায়- ৯৫ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত না দেয়-  সেজন্য সব মন্ত্রী-এমপিকে সতর্ক করতে হবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে। পাশাপাশি রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে উঠিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্রকারীদের রুখতে হবে ‘কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না’- সে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির সরকারকেই স্মরণ রাখা দরকার, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম অক্ষুণœ রাখলেই ইসলামের নামে ধর্মব্যবসায়ী, রাজাকারদের বিরুদ্ধে- ইসলামের আলোকে সাধারণ মুসলমানদের মাঝে শক্ত জনমত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি বাস্তবায়নের গভীর ভিত তৈরি সম্ভব।

সংখ্যা: ১৯০তম সংখ্যা | বিভাগ:

পূর্বকালে রাজা-বাদশাহরা কোন গরীব প্রজাসাধারণদের বাড়িতে গেলে উচ্চারণ হতো ‘গরীবের ঘরে হাতির পা’। হাতি এখানে বিশালত্বের, বৃহৎ-এর প্রতীকরূপে প্রতিভাত হয়েছে।

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ হাতির মতই বিশাল ও শক্তিশালী। তাই আওয়ামী লীগকে মূল্যায়নের ক্ষেত্রে অনেকেই অন্ধের হাতি দেখার মত আচরণ করেন।

পাশাপাশি আওয়ামী লীগেও হাতির বিচিত্র অঙ্গের মত বিচিত্র মানসিকতার বিভিন্ন মতের লোকের সন্নিবেশ।

আওয়ামী লীগের মন্ত্রী বা এক/দুজন এমপি কোন মন্তব্য করলে,

কোন কিছু বললেই

তার অর্থ এই দাঁড়ায় না যে, গোটা দল বা গোটা সরকারের তরফ থেকেই তা বলা হচ্ছে।

বরং দেখা যায় যে, যিনি যা বলেছেন তার বক্তব্যে অথবা তার অন্য কর্মকাণ্ডেই তা ভিন্ন বলে প্রমাণিত হচ্ছে।

এই নিয়ে খোদ দলটিকেও অথবা দলের বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারকেও কম হিমশিম খেতে হয়নি।

আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ কওমীওয়ালাদের সম্পর্কে বলে যে প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছিলেন অবশেষে খোদ প্রধানমন্ত্রীকে সে কওমীওয়ালাদের ডেকে চা-নাস্তা খাইয়ে ঠা-া করে বিদেয় দিতে হয়েছিলো।

কওমীওয়ালারা তাতে খুশিই হয়েছিলো।

কারণ, আইনমন্ত্রীর অভিযুক্ত জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা তাদের মধ্যে শতভাগই ছিলো এবং এখনও আছে।

কিন্তু তা প্রমাণ সাপেক্ষে বলার যে প্রক্রিয়া তা আইনমন্ত্রী অবলম্বন করেননি বলেই কওমীওয়ালারা সে সুযোগটা নিতে পেরেছিলো।

তবে সুযোগ শুধু আইনমন্ত্রীই করেননি

পররাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং

খোদ পার্টি সেক্রেটারি কেউ বাদ যাননি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘বাফার স্টেট’ সম্পর্কিত প্রতিক্রিয়াহীনতা, পিনাক রঞ্জন সম্পর্কিত বক্তব্য শুধরিয়ে দিতে হয়েছিলো।

এমনকি যিনি শুধরিয়ে দিয়েছিলেন সেই পার্টি সেক্রেটারি আশরাফও একই ভুলের পথে পা মাড়ানো থেকে বাঁচতে পারেননি।

সম্প্রতি তিনি মন্তব্য করেছেন, ‘পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হওয়া অনেক লম্বা সময়। এটাকে কমিয়ে আনা উচিত।’

পরে সাজেদা চৌধুরী বক্তব্য দিলেন, ‘এ বক্তব্য সৈয়দ আশরাফের নিজস্ব।’

বলাবাহুল্য, পার্টি সেক্রেটারি তথা মুখপাত্রই যদি নিজস্ব মত ঝাড়েন

তবে অন্যেরাও যে সে দোষে কম-বেশি দুষ্ট হবেন না তা বলার উপায় নেই।

তবে কেউ এক্ষেত্রে দৃষ্টিকটু দূষণের দৃশ্যের অবতারণা করেছেন।

জামাত-জোট কর্তৃক বামঘেঁষা এমনকি নাস্তিক বলে

অভিযুক্ত আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদও এ যাবত যা বলতে

প্রগলভতার পরিচয় দেননি

তার চেয়ে অনেক বেশি ও অতি উৎসাহ দেখাচ্ছেন ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী।

সুযোগ পেলেই

অপ্রাসঙ্গিক

ও অযৌক্তিকভাবে

এবং সম্পূর্ণ অন্যায়

অনৈসলামিক ভাবধারায় আপ্লুত হয়ে তিনি প্রায়ই বলে ফেলেন,

“রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রাখা ঠিক না। অবিলম্বে সংবিধান সংশোধন করে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম পরিবর্তন করা উচিত।” (নাঊযুবিল্লাহ)

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম লেখা হয়েছে। এটা গোটা জাতির জন্য অবমাননাকর। কোন বিশেষ ধর্মকে রাষ্ট্রধর্ম করা উচিত নয়। সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম বাদ দেয়া উচিত। সম্প্রতি জাতীয় প্রেসক্লাবে ডেভেলপম্যান্ট অরগাইনেশন অব দি রুরাল পুওর ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত “সামাজিক সম্প্রীতি ও অধিকার বাঁশখালি …” শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

বলাবাহুল্য, ধর্ম সম্পর্কে বক্তব্য দেয়ার অভিপ্রেত ধর্মমন্ত্রীর। কোন ডেপুটির নয়।

উল্লেখ্য, বর্তমান মহাজোটের মহাবিজয়ের একমাত্র কারণ হলো, “কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন পাস হবে না”- এ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি উচ্চারণ এবং  যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকরণ।

-০-

বলাবাহুল্য, এতে নব প্রজš§ উৎসাহিত হয়েছিলো। কিন্তু আওয়ামী লীগের সংস্কারপন্থীর নামে মূলতঃ প্রাচীনপন্থীরা এটার অনুধাবনে এখনও ব্যর্থ।

এখনও তারা গৎ বাঁধা মানসিকতায় চলতে অভ্যস্ত।

তাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে হলে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টেকসই করতে হলে

* ইসলাম বৈরী মানসিকতা দেখাতে হবে। (নাঊযুবিল্লাহ)

* ইসলাম বিরোধী বক্তব্য দিতে হবে। (নাঊযুবিল্লাহ)

* মূলতঃ হিন্দু ঘেঁষা বক্তব্য দিতে হবে। অথবা এমন বক্তব্য দিতে হবে, যাতে ইসলাম বিদ্বেষী হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানরা খুশি হয়। (নাঊযুবিল্লাহ)

বলাবাহুল্য, ডেপুটি স্পিকার শওকত আলীর বক্তব্য তদ্রুপই হয়েছে।

কিন্তু তার এ বক্তব্য যে গভীর স্ববিরোধিতাপূর্ণ তথা মিথ্যা এবং মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতস্বরূপ এবং সর্বোপরি তা সংবিধান বিরোধী ও রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক; তা কী তিনি একবারও ভেবে দেখেছেন?

উল্লেখ্য, ডেপুটি সাহেব সুবিধাবাদী ও দুর্নীতিবাজ এনজিও গ্রামীণ দারিদ্র ‘ডরপ’ আয়োজিত ‘সামাজিক সম্প্রীতি ও অধিকার বাঁশখালী ট্র্যাজেডি’ শীর্ষক সেমিনারে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সম্পর্কে বিষোদগার করেছেন।

কিন্ত তা করার আগে তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন ও বলেছেন,

‘দীর্ঘদিন থেকে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রয়েছে। এখানকার সব ধর্ম ও বিশ্বাসের লোকজনদের সমান অধিকার রয়েছে।’

ডেপুটি সাহেবের একথা যদি সত্যি হয় তাহলে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের বিষোদগার করতে গিয়ে তিনি যে বললেন,

‘সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম লেখা হয়েছে এটা গোটা জাতির জন্য অবমাননাকর।’- এ বক্তব্য মহা স্ববিরোধী ও পরস্পর মিথ্যা হয়ে গেলো না?

এত বড় ডাহা মিথ্যা

এত বড় স্পর্ধামূলক উচ্চারণের

দুঃসাহস ডেপুটি সাহেব কোথায় পেলেন?

তিনি বলেছেন, ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম গোটা জাতির জন্য অবমাননাকর (?)’

ডেপুটি সাহেব কোন্ জাতির লোক?

তিনি কী হিন্দু জাতি

না,

মুসলমান জাতির লোক?

তিনি যদি বলেন, ‘বাঙালি জাতি’

তবে বাংলাদেশে বসবাসকারী বাঙালি জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৯৫ ভাগ বাঙালির ধর্ম কী ইসলাম নয়?

তাহলে রাষ্ট্রে সেই ৯৫ ভাগ মুসলমানের ধর্মের প্রাধান্য কী স্বীকৃত হবে না?

যদি ডেপুটি সাহেবের মতে তা না হয়; তাহলে বলতে হবে, ডেপুটি সাহেব শুধু রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের বিরুদ্ধে বলে রাষ্ট্রদ্রোহী কাজ করেননি

পাশাপাশি তিনি রাষ্ট্রভাষা বাংলার প্রতিও

প্রকারান্তরে বিষোদগার করেছেন।

-০-

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সংবিধানের ২(ক) ধারায় লেখা রয়েছে, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, তবে অন্যান্য ধর্মও প্রজাতন্ত্রে শান্তিতে পালন করা যাবে।

অপরদিকে সংবিধানে ৩ নম্বর অনুচ্ছেদে লেখা রয়েছে, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা।

লক্ষণীয় যে, রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মত অন্যান্য ভাষারও লালন-পালন উৎকর্ষতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে করা যাবে তা কিন্তু এখানে বলা নাই।

অথচ বাংলা ভাষা ছাড়াও এদেশে হাজারো উপজাতি এদেশে বসবাস করে তাদের নিজস্ব ভাষায় কথা বলে যাচ্ছে, লিখে যাচ্ছে

এমনকি উপজাতীয় ভাষায় পাঠ্যপুস্তক পর্যন্ত ছাপা হচ্ছে।

প্রসঙ্গতঃ ডেপুটি সাহেব বলেছেন, ‘কোন বিশেষ ধর্মকে রাষ্ট্রধর্ম করা উচিত নয়।’

দেখা যাচ্ছে, ডেপুটি সাহেবের মত অনুযায়ী তাহলে- রাষ্ট্রভাষা বাংলা থাকাও ঠিক নয়।

তার দৃষ্টিতে এটা চাকমা, মারমা, মগসহ হাজারো উপজাতি এবং গোটা বাঙালি জাতির  জন্য অবমাননাকর।

ডেপুটি সাহেবের বক্তব্যের সরল হিসেব মোতাবেক

তিনি ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’

এবং

‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা’

দু’টোর প্রতিই বিষোদগার করেছেন।

উল্লেখ্য, সংবিধানে রাষ্ট্রভাষা বাংলা যেমন এমনিতেই লিখিত হয়নি

তেমনি রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম এমনিতেই সন্নিবিষ্ট হয়নি।

বরং রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করার কারণে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমান স্বৈরশাসকের স্বৈরশাসনও সহ্য করেছে,

পেটে লাথি খেয়েছে,

পিঠে গুতো খেয়েছে,

কিন্তু তারপরেও-

রাষ্ট্রধর্ম ‘ইসলাম’ পেয়ে সে দুঃখ ভোলার সান্ত¡না পেয়েছে। শুধু তাই নয়-

সে মহা স্বৈরশাসক আজ মহাজোটের

শরীকদার হয়েছে।

দেশের মানুষ তাকে নির্বাচিত করেছে।

হাজারো অপশাসনের ভিড়েও

ইসলাম রাষ্ট্রধর্ম এবং

শুক্রবার দিন ছুটির জন্য

মানুষ তাকে মনে রেখেছে।

-০-

বলাবাহুল্য, দলের আর কেউ নয় ডেপুটি সাহেবকেই এ ব্যাপারে বেশ এবং অতি উৎসাহীরূপে দেখা যাচ্ছে।

কিন্তু ভদ্রলোক মুখচোরা কেন?

নির্বাচনের আগে তার এসব কথা কোথায় ছিলো?

তিনি কী বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন, গোটা দলের নির্বাচনী ইশতেহার অন্তর্ভুক্তিতে প্রচেষ্টা চালানো তো দূরের কথা

নিজের কোন নির্বাচনী জনসভায় তিনি দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে ঘোষণা দিয়েছেন যে,

‘তিনি ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের বিরোধিতা করবেন।’

অথবা ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম উঠিয়ে নেয়া হবে?’

না, তখনও তো উচ্চারণ করেনইনি

বরং তখন তাদেরকে জোর গলায় বার বার উচ্চারণ করতে হয়েছিলো যে, ‘দেশে কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন পাস হবে না’।

উল্লেখ্য, ইসলামকে উঠিয়ে দেয়া আর কুরআন-সুন্নাহ উঠিয়ে দেখা কী এক নয়?

তাহলে প্রতিষ্ঠার বদলে যদি উচ্ছেদের প্রক্রিয়া নেয়া হয়-

পরিণতিটা তখন কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে?

-০-

পাশাপাশি ডেপুটি সাহেবের এসব কথা ঘন ঘন উচ্চারণের দ্বারা তিনি কাদের দ্বারা প্রভাবিত অথবা প্রলুব্ধ হচ্ছেন তাও উদঘাটন করতে হবে।

কারণ, ডেপুটি সাহেব ‘ডরপ’ নামক যে এনজিও’র আমন্ত্রণে এসব কথা বলার সুযোগ পেয়েছেন সেই একই এনজিও সম্পর্কে একই আলোচনা সভায় আলোচক ড. রুবায়েত ফেরদৌস বলেন, “ডরপ উপজাতীদের উন্নয়নে কাজ করার কথা বললেও বান্দরবানের লামা থানায় উপজাতিদের বহু জমি ইজারা নিয়ে ব্যক্তি স্বার্থ উন্নয়ন করেছিলো। সে ইজারা বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করেছিলো।”

স্বার্থবাজ এনজিও ডরপ স্বার্থগতকারণেই যে ডেপুটি সাহেবের মুখ দিয়ে এসব কথা বলতে অতি উৎসাহী করেছেন তা নিশ্চিত না করার কী উপায় আছে?

-০-

আমরা আশা করব যে, ডেপুটি সাহেব এরপর রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সম্পর্কে আবার কোন মন্তব্য করার আগে তার নেত্রী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে ইসলামের মাহাত্ম্য সম্পর্কে জেনে নিবেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে যে ইসলাম প্রিয় লোক,

ইসলাম তিনি ব্যক্তিজীবনে গভীরভাবে পালন করেন- একথা বোধকরি ডেপুটি সাহেবও অস্বীকার করবেন না।

তবে ডেপুটি সাহেবকে অনুধাবন করতে হবে যে, রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করলে তার নেত্রী থেকে ৯৫ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান সবাই প্রচ- ক্ষুব্ধ হবেন।

হতাশ হবেন।

এবং

ফুঁসে উঠবেন।

বলাবাহুল্য,  ডেপুটি সাহেব, চাকরি জীবনে কর্নেল পদ অতিক্রান্ত করতে পারেননি। নিজের জীবনের এই হীনমন্যতা বোধই কী তাকে খোদ ইসলাম সম্পর্কেও হীনমন্যতায় ভোগাচ্ছে?

নচেৎ তিনি কী করে বলতে পারলেন যে, “রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম গোটা জাতির জন্য অবমাননাকর।” (নাঊযুবিল্লাহ)

ডেপুটি সাহেব একজন মুসলমানের নাম ধারণ করলেও আসলে তিনি ইসলাম সম্পর্কে

কিছুই জানেনা

কিছু বুঝে না।

অথচ পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উপলক্ষে হোয়াইট হাউসের ওয়েব সাইটে এক বার্তায় বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছে, “ইসলাম ন্যায় ও সততার শিক্ষা দেয়।”

উল্লেখ্য, অমুসলিম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামাও যে

ইসলামকে ন্যায় ও সততার শিক্ষা দেয় বলে উচ্চকিত প্রশংসা করলেন,

সেই ইনসাফের ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করায় তা ‘গোটা জাতির জন্য অবমাননাকর’- একথা ডেপুটি সাহেব কী করে বলতে পারলেন?

তিনি কী তাহলে

ইনসাফ

ন্যায়

সততা ইত্যাদির সম্পূর্ণ বিরোধী?

তাহলে তো তিনি কী

এ দেশ

এ জাতি

ইসলাম

সবকিছুরই বিরোধী নয়?

মূলতঃ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম,

পরোক্ষভাবে রাষ্ট্রভাষা বাংলার অবমাননার পাশাপাশি

দেশের ৯৫ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে

আঘাত দেয়ার গুরুতর অভিযোগেও তাকে অভিযুক্ত করতে পারেন দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমান।

-০-

এসবের বাইরে ডেপুটি সাহেবের আত্মপক্ষ সমর্থনের আরেকটি সুযোগ অবশ্য বাকি থেকে যায়।

তাহলো- তিনি বলতে পারেন যে,

হিন্দুদের খুশি করার জন্য

খ্রিস্টানদের হাতে রাখার জন্য তিনি এসব বলেছেন।

বিতর্কে না গিয়ে প্রসঙ্গতঃ সম্প্রতি নির্মূল কমিটির একটি সভার উদাহরণ এখানে টানতে হয়।

এতে শাহরিয়ার কবির মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন। আলোচক ছিলেন সর্ব জনাব রাশেদ খান মেনন এমপি, মনজুরুল আহসান খান, জেনারেল (অব.) শফিউল্লাহ।

মনজুরুল আহসান খান তার আলোচনায় যা বলেন তা নি¤œরূপ-

“মুশতাককে কেন বঙ্গবন্ধু মন্ত্রিসভায় রেখেছেন, তা জানার জন্য অনুরোধ করলে বঙ্গবন্ধু নাকি বলেছিলেন যে ভারসাম্য রক্ষার জন্য। কিন্তু তা কি হয়েছিল। বিষধর সাপকে কি কখনো পোষ মানানো যায়?

সেই সভাতে একান্ত আলোচনায় জেনারেল শফিউল্লাহর বর্ণিত ঘটনার উল্লেখ করলে বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাবে।

জেনারেল সাহেব বললেন যে ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর লাশ ৩২ নম্বরে পড়ে আছে। এয়ার ভাইস মার্শাল খন্দকার সাহেবের উপস্থিতিতে জেনারেল শফিউল্লাহ মুশতাককে বললেন যে বঙ্গবন্ধুর লাশ কি সংসদ ভবনের কাছের গোরস্থানটায় কবর দেয়া হবে?

উত্তরে মুশতাক বলেছিলেন যে, কতো লোকের লাশই তো রাস্তায় পড়ে থাকে। তা নিয়ে মাথা ঘামাবার সময় কি প্রেসিডেন্ট মুশতাকের আছে। যা হোক শেষে মুশতাক বলেছিলেন লাশ ঢাকার বাইরে দাফন করা হোক।”

অতএব,  বোঝার বিষয় ওদের দ্বারা কী ব্যালেন্স রক্ষা হয়েছিল?

বলাবাহুল্য, আওয়ামী লীগকে এখন বুঝতে হবে যে,

মুসলমানই বরকতময় বর্ধিষ্ণু জাতি। এক ঢাকা শহরেই এখন পুরান ঢাকা বলতে গেলে হিন্দুছাড়া। অনেক হিন্দুরা এদেশে কামায় আর ওদেশে বাড়ি করে।

এমনকি প্রগতিবাদী, সংস্কৃতিবাদী ঐতিহাসিক ও ঢাবি অধ্যাপক ড. রতন লাল চক্রবর্তীও এই ধারাবাহিকতার বাইরে যাননি। ঢাবি কর্তৃপক্ষ জানেনই না যে, কবে কখন তিনি ঢাবি থেকে ভারতে চলে গেছেন। তার অনেক হিসেব-নিকেশও বাকি রয়েছে বলে অভিযোগ।

কাজেই প্রাচীনপন্থীদের প্রথাগত ধারণা পাল্টাতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিন বদলের ডাকে সাড়া দিতে হবে।

দিন বদলের ডাকে সাড়া দিয়ে শুধুই হিন্দু তোয়াজ নীতি বিসর্জন দিয়ে

ঘরের ভাইয়ের হক্ব আদায়ে সচেষ্ট হতে হবে।

ঘরের লোক ঠিক রাখতে হবে।

মুসলমানদেরকে ভুল বুঝতে দেয়া যাবে না।

বলার অপেক্ষা রাখে না, শুধুমাত্র এই একটি কারণেই অতীতে সব সময় আওয়ামী লীগকেই মাশুল দিতে হয়েছে। ফায়দা লুটেছে জামাত-জোট।

কিন্তু এবারের ‘কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না’- এ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি জামাত-জোটকে ফায়দা ঘরে তুলতে দেয়নি। যে কারণে তাদের মহাপতন হয়েছে।

এই শিক্ষা মহাজোটকে ভুলে গেলে চলবে না। দিন বদলের ডাকে সাড়া দিয়ে মুসলমান ও ইসলাম অবমাননার এবং বৈরী ভাবাপন্ন মানসিকতার ধারা পরিবর্তন ও প্রকাশ করতে হবে।

৫% বিধর্মীর জন্য ৯৫% মুসলমানকে যথাযথ মূল্যায়ন না করাও বড় বৈষম্য।

এ বৈষম্য বঞ্চনার খেদ তৈরি করে। সে খেদ বুঝতে হবে।

বাংলার মানুষ সব হারাতে পারে কিন্তু ধর্ম হারাতে পারে না,

বরদাশত কতে পারে না।

কাজেই যে ইসলাম রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মহাজোট ক্ষমতায় এসেছে তা ধরে রাখার দায়িত্ব বা রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বজায় রাখার দায়িত্ব বর্তমান সরকারেরই।

কাজেই অন্য কোন মন্ত্রী বা এমপি যাতে এরকম মন্তব্য না দিতে পারে

সেজন্য বাণিজ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সতর্ক করার মতই ডেপুটি সাহেবকেও সতর্ক করতে হবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে।

 

 -মুহম্মদ মাহবুবুর রহমান।

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।