(ক)
‘দেও’ মানে ‘দৈত্য’। ‘বন্দ’ মানে বন্ধ করা। আক্ষরিক অর্থে ‘দেওবন্দ’ মানে হয় যেখানে ‘দৈত্যকে বন্ধ করে রাখা হয়েছে।’ দেওবন্দ সম্পর্কে রয়েছে এমন হাজারো জনশ্রুতি। যা মূলত জায়গাটি প্রতি বদ তাছিরেরই ইঙ্গিত বহন করে।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “ক্বিয়ামত হওয়ার আগে আখিরী যামানায় অনেক মিথ্যাবাদী দাজ্জাল বের হবে। তারা এমন সব কথা বলবে, যা তোমরা শোনোনি, তোমাদের বাপ-দাদা চৌদ্দপুরুষ শুনেনি। তোমরা তাদের কাছে যেয়ো না। তাদেরকে তোমাদের কাছে আসতে দিয়ো না। তবে তারা তোমাদের গুমরাহ করতে পারবে না।” (মুসলিম শরীফ)
স্মর্তব্য যে, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মৌলিক মহত্ত্ব হলো পবিত্র কুরবানী বা আত্মত্যাগ করা। হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি সীয় ছেলে উনাকে পবিত্র কুরবানী করে মহান আল্লাহ পাক উনার রেযামন্দি হাছিল করেছিলেন।
আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উসীলায় উম্মতে হাবীবী সে পবিত্র কুরবানী উনার নিদর্শন ব্যক্ত করে তথা মহান আল্লাহ পাক উনার রেযামন্দি হাছিল করে পশু কুরবানীর মধ্য দিয়ে।
উল্লেখ্য, পশু কুরবানীর মধ্যে গরু কুরবানীকে বলা হয় শেয়ারে ইসলাম। কারণ, পৌত্তলিকরা গরুকে দেবতা মনে করে; অপরদিকে মুসলমানরা গরুকে পশু মনে করে কুরবানী করে।
মূলত, মুসলমানদের গরু কুরবানী দেয়ার ইতিহাস অতি প্রাচীন। এ নিয়ে ঘটে গেছে অনেক যুগান্তকারী ঘটনা। বাংলাদেশে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার প্রচার প্রসার বলতে গেলে গরু কুরবানীকে কেন্দ্র করেই। গরু কুরবানী দেয়ায় এক মুসলমানের উপর সিলেটের রাজা গৌরগোবিন্দের নির্মম অত্যাচারের কাহিনী হযরত শাহজালাল ইয়েমেনী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কানে পৌঁছাতেই তিনি গৌরগোবিন্দের বিরুদ্ধে জিহাদ করেন এবং এদেশে পবিত্র দ্বীন ইসলাম প্রচার করেন।
ইতঃপূর্বে ভারতে মৃত ইন্দিরা গান্ধী গরু কুরবানী নিষিদ্ধ করায় তার নির্মম পরিণিতি সবারই জানা।
দেওবন্দীরা প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও গরু কুরবানীতে বাধা দিয়েছে। দেওবন্দের মুখপাত্র আশরাফ উসমানী চলতি বছরে গরু কুরবানীর বিরুদ্ধে ফতওয়া দেয়ার প্রসঙ্গে বলেছে,
ÒAshraf Usmani says, Darul Uloom has always been against cow slaughter and from time to time also issued a fatwa about it. First, at the request of Papatha Gandhi during the freedom movement fatwa was issued by Darul Uloom.Ó (আইবিএন)
অর্থাৎ “আশরাফ উসমানী বলেছে, দারুল উলুম সবসময়ই গরু কুরবানীর বিরুদ্ধে বলে আসছে এবং প্রতি কুরবানীর মৌসুমেই গরু কুরবানীর বিরুদ্ধে ফতওয়া দিয়ে আসছে। প্রথম এটা করা হয় ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সময় পাপাত্মা গান্ধী যখন দারুল উলুম দেওবন্দকে গরু কুরবানী বন্ধ করতে অনুরোধ জানিয়েছিল তখন থেকেই।”
দেওবন্দীরা গরু কুরবানী বন্ধের এ আহবানের প্রেক্ষিতে “আখিরী যামানায় দাজ্জাল আসার আগে অনেক মিথ্যাবাদী দাজ্জাল বের হবে। তারা এমন সব কথা বলবে যা তোমরা শোনোনি তোমাদের বাপ-দাদা চৌদ্দপুরুষ শুনেনি।” এ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ভাষ্যমতে তাকে অন্যতম দাজ্জাল বলেই সান্তনা খুঁজে পাওয়া যায়। দেওবন্দের দেওয়ের তাছিরে ওদের প্রধান তথা ভাইস চ্যান্সেলরও যে কি রকম মিথ্যাবাদী দাজ্জাল হতে পারে; তা স্পষ্টতই অনুভব করা যায়।
(খ)
“পবিত্র সূরা ইউসূফ শরীফ” উনার শেষ আয়াত শরীফ উনার প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে- পূর্ববর্তীদের ইতিহাস পরবর্তীদের জন্য নসীহতস¦রূপ।
আর ইতিহাসের ইতিহাস হচ্ছে যে, ইতিহাস থেকে অনেকেই শিক্ষা নেয় না। ইতিহাস আয়নাস¦রূপ। কিন্তু সে আয়নায় আমরা তাকাতে চাই না। না তাকিয়ে সমসাময়িক অনুষঙ্গকেই মূল্যায়ন করে বসি।
অথচ ইতিহাসের আয়নার দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাব আজকের ঘটনাবলী, আজকের ধর্মব্যবসায়ীদের প্রতিচিত্র ধারাবাহিকভাবে ইতিহাসের আয়নায় প্রতিবেষ্টিত হয়ে আছে। যদিও সে তিক্ত প্রতিক্রিয়া অনেকের জন্যই মেনে নেয়া কঠিন।
একটি মহলের কাছে আজকের তথাকথিত দারুল উলুম দেওবন্দ ও এদেশীয় খতীব খুব উচ্চ মার্গের বিষয়। এ অনুভূতিটা তারা উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্তির মতোই জিইয়ে রেখেছে। যেমন, পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “তাদেরকে যখন বলা হয় মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের পথে এসো। তখন তারা বলে আমরা কি সে পথ ছেড়ে দিব যাতে আমরা আমাদের বাপ-দাদা ও মুরুব্বীদের পেয়েছি?”
ঠিক আজকের তথাকথিত দারুল উলুম দেওবন্দ ও তথাকথিত দেওবন্দী গং তথা তথাকথিত দেওবন্দী খতীব, শাইখুল হাদীছ, মুফতী, মাওলানা বা যারা আজকে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার থেকে, পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আমোঘ আহকাম থেকে বিচ্যুত হয়ে গেছে তারপরেও তাদেরকে তালাক দিতে তাদের অনুসারীরা যুগপৎ দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ও জড়তার মধ্যে রয়েছে।
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “হালালও স্পষ্ট এবং হারামও স্পষ্ট।” সুতরাং এরূপ সুস্পষ্ট নীতিমালা ও দলীল তথা বাইয়্যিনাত থাকার পরও তা মূল্যায়ন না করে তথাকথিত আসাতিজে দেওবন্দ বা উস্তাদবর্গের অন্ধ মুহব্বত ও অনুকরণেই মত্ত থাকা নির্ভেজাল মুরুব্বী পূজা ছাড়া কিছুই নয়।
প্রকৃতপক্ষে একে শুধু মুরুব্বী পূজা বললেও ভুল হবে। এটা প্রকারান্তরে কাদিয়ানীদের দোসর সাজা তথা নব্য কাদিয়ানী দাবি করারও শামিল।
কারণ আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি প্রাপ্ত ওহীর মাধ্যমে যে শরীয়ত প্রচার করেছেন- যুগের দোহাই দিয়ে, শাসকের ভীতি অথবা অনুকম্পার আশায় সর্বোপরি নফসের সার্থে সুস্পষ্ট হারাম-হালালের বিপরীত ফতওয়া দেয়া কার্যত নিজেদেরই মনগড়া শরীয়ত প্রবর্তন করা তথা নতুন নবী-রসূল দাবি করার শামিল।
স্মর্তব্য, সম্মানিত ইসলামী অধিষ্ঠান গণতন্ত্রের মতো নয় যে, যেভাবেই চলুক নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত তা চলতেই থাকবে।
ছয় লক্ষ বছরের ইবাদতকারী মুয়াল্লিমুল মালাকুত ইবলিস মহান আল্লাহ পাক উনার একটা আদেশ অমান্য করার কারণেই মালউন তথা ইবলিসে পরিণত হলো।
জলীলুল ক্বদর রসূল হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার ছেলে কেনান কাফিরদের দলভুক্ত হলো।
বালাম বিন বাউরা প্রখ্যাত ছূফী ও আলিম থাকার পরও মরদুদ হলো। অথচ তার দরবারে সবসময় দশ হাজার আলিম তা’লীম নেয়ার জন্য সরগরম থাকতো।
নিকট ইতিহাসে আফযালুল আউলিয়া হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সময় আবুল ফজল, ফৈজী, আজকের দেওবন্দী মাওলানা-খতীবদের চেয়ে অনেক উঁচু দরের মাওলানা ছিল।
সুতরাং এত উঁচু দরের মাওলানা হওয়ার পরও ক্ষমতা ও অর্থের লোভী হয়ে গুমরাহ হওয়ার জন্য তারা এত মশহুর হতে পারে;
সেক্ষেত্রে আজকের তথাকথিত দেওবন্দী খতীব, শাইখুল হাদীছ, মুফতী, মাওলানা গং তথা খোদ দারুল উলুম দেওবন্দও ক্ষমতা ও অর্থের লোভী তথা প্রতিপত্তির আশঙ্কায় সুস্পষ্ট পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আহকামকে অস¦ীকার করার প্রেক্ষিতে তাদেরকে গুমরাহ, ফাসিক ও বিদয়াতী বলা যাবে না, আর বললেও তাতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলে কুফরী হবে না এটা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের কোথায় আছে?
মূলত, আজকে সত্যিকার অর্থে অবস্থা যখন তাই এটা এখন ফরয তাদেরকে সেভাবেই চিহ্নিত ও প্রতিহত করার।
ইন্টারনেটে দেওবন্দীদের গরু কুরবানীর সর্বপ্রথম বিরোধিতার খবরটি ২০০৪ সালের, প্রায় দশবছর আগের। এখন বিষয়টি গতানুগতিক হয়ে গিয়েছে, প্রতিবছরই কুরবানীর সময়ে দেওবন্দ থেকে গরু কুরবানীর বিরুদ্ধে ফতওয়া দেয়া হয়। সেখান থেকে একে একে সেসবের সংবাদ ও সূত্র তুলে ধরা হচ্ছে।
(দ্য হিন্দুর খবর, ২০০৪ সালের)
http://www.hindu.com/2004/02/02/stories/2004020204261100.htm
Fatwa’ against cow slaughter
NEW DELHI, FEB. 1. The Darululoom in Deoband, a top religious body of Muslims, today issued a “fatwa” (religious order) against slaughter of cows in the country.
A three-member committee of the Darululoom has recommended that Muslims can slaughter animals other than the cow on Id-ul-Azha, according to Maulana Zafarullah.
The BJP and various organisations, including the RSS, welcomed the move and said it was a step in promoting unity and brotherhood between Muslims and Hindus.
The RSS spokesman, Ram Madhav, said the move would resolve the cow slaughter issue peacefully and promote communal harmony in the country.
The BJP spokesman, Mukhtar Abbas Naqvi, said the Darululoom’s decision would lead to greater brotherhood between the two communities.
Maulana Mehmood Madni of the Jamiat-Ulema-i-Hind said his organisation had passed a resolution to this effect about a year ago.
N.K. Sharma, founder-president of the Universal Association for Spiritual Awareness, welcomed the “courageous” action of the Darululoom. — UNI
নয়াদিল্লি, ফেব্রুয়ারি ১ তারিখ: দারুল উলুম দেওবন্দ, ভারতের মুসলমানদের কথিত শীর্ষস্থানীয় ধর্মীয় সংগঠন, আজ গরু কুরবানীর বিরুদ্ধে ফতওয়া জারি করেছে।
মৌলভী জাফরুল্লাহর নেতৃত্বে পরিচালিত তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটির পক্ষ থেকে সাফাই গাওয়া হয়েছে যে, পবিত্র ঈদুল আযহাতে মুসলমানরা গরু ছাড়া অন্য যে কোন হালাল পশু যবেহ করতে পারে। (নাউযুবিল্লাহ!)
বিজেপি এবং আরএসএস-এর মতো বেশ কয়েকটি উগ্র হিন্দু মৌলবাদী সংগঠন তারা এই ফতওয়াকে স¦াগতম জানিয়েছে এবং বলেছে যে এটা মুসলমান ও হিন্দুদের মধ্যে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের মেলবন্ধন সৃষ্টিকারী কার্যকরী একটি পদক্ষেপ।
আরএসএস-এর মুখপাত্র রাম মাধব এ প্রসঙ্গে বলেছে, এই ফতওয়া গরু যবেহ ইস্যুর শান্তিপূর্ণ সুষ্ঠু সমাধা করবে এবং দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুনিশ্চিত করবে।
বিজেপি মুখপাত্র, মুখতার আব্বাস নাকভী বলে দারুল উলুমের এই ফতওয়া দুই সম্প্রদায়ের ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক আরো বৃহদাকারে ত্বরান্বিত করবে।
জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ-এর মৌলভী মেহমুদ মদনী বলেছে যে, তার সংগঠন এক বছর আগেই এই সমাধান সম্পর্কে অবহিত করেছিল। ইউনিভার্সাল এসোসিয়েশন অফ স্পিরিচুয়াল অ্যাওয়ারনেস এর প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি এন.কে শর্মা দারুল উলুম-এর এই সাহসী (!!!) পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছে।
*********
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবর, ২০০৪ সালের
http://articles.timesofindia.indiatimes.com/2004-02-02/india/28340918_1_cow-slaughter-deoband-fatwa
PTI Feb 2, 2004, 06.10am IST
SAHARANPUR: The influential Darul Uloom school of Islamic theology asked Muslims on Sunday to desist from sacrificing cows for Eid in the states where slaughtering the animal is banned.
“Though cow slaughter is legitimate under Shariat, it is advised that sheep, goat and camel may be sacrificed in states where there is a ban on cow slaughter. The law of the land should not be violated and peace should be maintained in the states and the country,” Mufti Habibur Rahman, head of the Darul’s fatwa bench, said from Deoband, about 50 km from here.
দেওবন্দের আহবান, ”গরু কুরবানী নিষিদ্ধের হুকুমকে সম্মান জানান।”
সাহরানপুর : মুসলমানদের ধর্র্মীয় জ্ঞানচর্চার কথিত পীঠস্থান দারুল উলুম গত ২০ অক্টোবর ২০১৩ ঈসায়ী তারিখে মুসলমানদের পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে ভারতের বুকে গরু কুরবানী না দেয়ার জন্য আহবান জানিয়েছে, যেখানে ভারতে গরু কুরবানী দেয়া নিষিদ্ধ। (নাউযুবিল্লাহ)
সাহরানপুর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, দারুল উলুমের ফতওয়া বিভাগের প্রধান মুফতী হাবীবুর রহমান ফতওয়া দেয় ”যদিও শরীয়তের দৃষ্টিতে গরু কুরবানী করা নিষিদ্ধ (!), তথাপি দেশে গরু কুরবানী নিষিদ্ধ হওয়ার কারণে ভেড়া, ছাগল, এবং উট কুরবানী দেয়ার জন্য উপদেশ দেয়া যাচ্ছে। দেশের আইন কোনভাবেই ভঙ্গ করা যাবে না এবং দেশ এবং রাষ্ট্রের মধ্যে শান্তি পরিপূর্ণভাবে বজায় থাকতে হবে।”
*******
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবর, ২০০৮ সালের
“Meat eaters can opt for buffaloes, goats, chicken and fish. Shariat doesn’t allow beef-eating if it’s prohibited under law,” Deoband’s fatwa department head Mufti Habibur Rehman said.
”গরুর গোশত খাওয়া অনৈসলামিক যদি সেখানে রাষ্ট্রীয় নিষেধাজ্ঞা থাকে।”
লক্ষৌ/নয়াদিল্লি : গত জুমুয়াবার, দারুল উলুম, দেওবন্দ ফতওয়া ইস্যু করেছে, ” মুসলমানদের অবশ্যই গরু কুরবানী থেকে, গরুর গোশত খাওয়া থেকে অথবা গোপনে গরু বিক্রি করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
দারুল উলুমের ফতওয়া বিভাগের প্রধান মোফতে হাবীবুর রহমান ফতওয়া দেয়, ”গোশত ভোজনকারীরা বিকল্প হিসেবে মহিষের গোশত, ছাগলের গোশত, মুুরগি এবং মাছ বেছে নিতে পারে। আইনত যদি নিষিদ্ধ থাকে তবে শরীয়ত কখনোই গরুর গোশত খাওয়াকে সমর্থন করে না।” (নাঊযুবিল্লাহ)
উল্লেখ্য, ২০০৮, ২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৩ প্রত্যেক বছরেই দেওবন্দ গরু কুরবানীর বিরোধিতা করেছে।
MUZAFFARNAGAR: On the eve of Eid-ul-Zuha, leading Islamic seminary Darul Uloom Deoband on Sunday appealed to Muslims to avoid cow slaughter on the festival as a mark of respect for the feelings of Hindus.
Vice-chancellor of the Darul Uloom, Maulana Abul Kasim Naumani said, “As a mark of respect for the feelings of Hindus, the seminary has asked Muslims in the country to avoid cow slaughter on the occasion of Id-Ul-Zuha tomorrow.”
দারুল উলুম দেওবন্দের ফতওয়া, ”হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিকে সম্মান জানিয়ে ঈদে গরু কুরবানী পরিহার করুন।”
মুজাফফরনগর : ঈদুল আযহার প্রাক্কালে কথিত ধর্মীয় জ্ঞানের পীঠস্থান দারুল উলুম দেওবন্দ গত রবিবার হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতির দোহাই দিয়ে মুসলমানদের গরু কুরবানী থেকে বিরত থাকার জন্য ফতওয়া দিয়েছে।
দারুল উলুম দেওবন্দের উপাচার্য মৌলভী আবুল ক্বাসিম নোমানী বিবৃতি দেয়, ”হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শনস¦রূপ দারুল উলুম মুসলমানদের আগামী কাল ঈদুল আযহাতে গরু কুরবানী না দেয়ার জন্য আহবান জানাচ্ছে।”
দেওবন্দ দাবি করেছে, তারা প্রতিনিয়ত (টাইম টু টাইম) গরু কুরবানীর বিরুদ্ধে ফতওয়া জারি করে আসছে। তারা সর্বপ্রথম গরু কুরবানীর বিরুদ্ধে ফতওয়া জারি করেছিল গান্ধীর অনুরোধে, ভারতের সাধীনতার সময়ে।
बकौल अशरफ उस्मानी दारूल उलूम हमेशा से ही गौहत्या के खिलाफ रहा है और समय समय पर इसके बारे में फतवे भी जारी किए गए हैं। सबसे पहला फतवा स्वतंत्रता आंदोलन के दौरान महात्मा गांधी के अनुरोध पर दारूल उलूम द्वारा जारी किया गया था।
(খবরটি হিন্দিতে, গুগল ট্রান্সলেটে এরকম আসে)
অনুবাদ :
Ashraf Usmani says Darul Uloom has always been against cow slaughter and from time to time also issued a fatwa about it. First, at the request of Papatha Gandhi during the freedom movement fatwa was issued by Darul Uloom.
“আশরাফ ওসমানী বলেছে, দারুল উলুম সবসময়েই গরু কুরবানীর বিরুদ্ধে ছিল এবং টাইম টু টাইম, বারবার গরু কুরবানীর বিরুদ্ধে ফতওয়া ইস্যু করেছে। সর্বপ্রথম দারুল উলুম, মালউন পাপাত্মা গান্ধীর নির্দেশে সাধীনতা আন্দোলনের সময় গরু কুরবানীর বিরুদ্ধে ফতওয়া দেয়।” (নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক)
-মুহম্মদ আরিফুল্লাহ
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০