জুমুয়ার দিনকে (যা হিজরী বৎসরে কমপক্ষে ৫০ বার আসে) হাদীছ শরীফ-এ তথা ইসলামী শরীয়তে কোন মর্যাদায় অভিষিক্ত করা হয়েছে একবার দেখুন-
হযরত আবু লুবাবা ইবনে আব্দিল মুনজির রদ্বিয়াল্লাহ তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন। হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, æনিশ্চয়ই জুমুয়ার দিন হচ্ছে দিনের সাইয়্যিদ। আল্লাহ পাক উনার নিকট এটি একটি মহান দিন। উনার কাছে এই দিনটি কুরবানীর ঈদ ও রোযার ঈদের চেয়েও বেশি মূল্যবান মহান দিন।” সুবহানাল্লাহ! (দলীল : ইবনে মাজাহ, মিশকাত শরীফ)
উক্ত হাদীছ শরীফ-এই নিম্নোক্ত এই ৫টি কারণে জুমুয়ার দিনকে দিনের সাইয়্যিদ ও ইয়াওমুল আ’যীম এমনকি কুরবানীর ঈদ ও রোযার ঈদের চেয়েও বেশি মূল্যবান ও মহান বলা হয়েছে। কারণগুলো হলো-
১. জুমুয়ার দিন হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে সৃষ্টি করা হয়েছে।
২. জুমুয়ার দিন হযরত আদম আলাইহিস সালাম তিনি জান্নাত হতে যমীনে তাশরীফ আনেন।
৩. জুমুয়ার দিন হযরত আদম আলাইহিস সালাম তিনি ইলাহী দীদারে গমন করেন তথা বিছাল শরীফ লাভ করেন।
৪. জুমুয়ার দিন আছর হতে মাগরিবের মধ্যে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে যখন খাছভাবে দোয়া কবূল করা হয়।
৫. জুমুয়ার দিন ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে।
উপরোক্ত ৫টি কারণে যদি জুমুয়ার দিনকে দিনের সাইয়্যিদ, ইয়াওমুল আযীম, ঈদের দিন এমনকি দুই ঈদের চেয়েও মহান-মূল্যবান হিসেবে বর্ণনা করা হয় এবং যেখানে অন্যতম দুটি কারণ হলো- হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার বিলাদত শরীফ ও বিছাল শরীফ। তাহলে যে ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ সোমবার শরীফ-এর সাথে স্বয়ং সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহান বিলাদত শরীফ ও বিছাল শরীফসহ ইসলামের অসংখ্য-অগণিত ঐতিহাসিক স্মরণীয় ঘটনা জড়িত সেই দিনকে কি বলতে হবে এবং কোন মর্যাদায় অভিষিক্ত করতে হবে? এটার উত্তরেই পবিত্র কুরআন শরীফ-সুন্নাহ শরীফ-এর আলোকে যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, æএটাই হচ্ছে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।” সুবহানাল্লাহ!
-মাওলানা মুহম্মদ আবু ইরফান