দেশ কী হারামজাদা আর চরিত্রহীনে ভরে যাবে? এর পেছনে বেশরীয়তী আবহ তথা বেপর্দা এবং কথিত সংস্কৃতি ও মিডিয়াই যে দায়ী তা কী অস্বীকার করা যাবে?

সংখ্যা: ২০৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

দেশ কী হারামজাদা আর চরিত্রহীনে ভরে যাবে? এর পেছনে বেশরীয়তী আবহ তথা বেপর্দা এবং কথিত সংস্কৃতি ও মিডিয়াই যে দায়ী তা কী অস্বীকার করা যাবে?

সরকারের উচিত অবিলম্বে তথাকথিত বাল্যবিবাহ আইন পরিবর্তন করা। বাল্যবিবাহের সুন্নত প্রচলন করা।

 

 

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন অনুযায়ী ছেলেদের ক্ষেত্রে ২১ বছরের নীচে এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৮ বছরের নিচে বিয়ে নিষিদ্ধ।

আর এ নিষিদ্ধের পরও যদি এ বয়সের নিচে ছেলে-মেয়েদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয় তাহলে তাকে একবাক্যে বলতে হয় অবৈধ, অনৈতিক সম্পর্ক। ইসলামের দৃষ্টিতে জিনা বা ব্যভিচার।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একমাত্র সরকারি সংবাদ সংস্থা হল বাসস। গত ৮ জুলাই-২০১১ ঈসায়ী তারিখে বাসস পরিবেশিত এক সংবাদে বলা হয়েছে- æ১৮ না পেরুতেই যৌন অভিজ্ঞতা ৫০ শতাংশ শহুরে তরুণের।” বাংলাদেশে বয়স ১৮ হওয়ার আগেই যৌন অভিজ্ঞতা হচ্ছে ৫০ শতাংশ শহুরে তরুণের। এছাড়া প্রায় ৮০ শতাংশ তরুণ পরোক্ষভাবে প্ররোচিত হয়ে (মিডিয়ার কু-প্রভাবে) যৌন কর্মে লিপ্ত হচ্ছে। এদের এক-তৃতীয়াংশ আবার লিপ্ত হচ্ছে দলগত যৌনকর্মে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের যৌনসঙ্গী হচ্ছে পেশাদার যৌনকর্মী।

জানা গেছে যৌনকর্মে লিপ্ত হতে এসব তরুণের ৮০ শতাংশ যাচ্ছে আবাসিক হোটেলে। আর ২০ শতাংশ অপেশাদার যৌনকর্মীর কাছে যাচ্ছে। আর জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ তরুণ হওয়ায় দেশের বৃহৎ ও নির্ভরশীল এই জনগোষ্ঠী ব্যাপক ঝুঁকির মধ্যে আছে।

জরিপ অনুযায়ী, তরুণদের অধিকাংশ যৌন চাহিদা মেটাতে যৌনকর্মীর কাছে যাচ্ছে। সব ধরনের যৌন আচরণ করছে। গবেষণায় দেখা যায়, এসব তরুণের প্রায় ২০ শতাংশের মধ্যে যৌনবাহিত ইনফেকশনের লক্ষণ দেখা যায়। তবে এদের মাত্র ১৫ শতাংশ চিকিৎসকের কাছে যায়।

ঢাকার ৯টি আবাসিক হোটেলে আইসিডিডিআরবি পরিচালিত জরিপটিতে আরো দেখা গেছে, তরুণের দুই তৃতীয়াংশ স্কুল ও কলেজ পড়–য়া। তারা যৌনকর্মে প্ররোচিত হয় বন্ধু বা বন্ধুস্থানীয় কাউকে দিয়ে। প্রায় ৮০ শতাংশ তরুণ মিডিয়ার দ্বারা প্ররোচিত হয়ে যৌন কর্মে লিপ্ত হয়। আবার অনেকে পর্নো সিডি এবং মোবাইলে পর্নো দেখে যৌন কর্মে উৎসাহিত হন। এদের অনেকের বয়স ১১ থেকে ১৪ বছর। এছাড়া বিবাহিতরাও যৌনকর্মীর কাছে যাচ্ছে বলে দেখা গেছে গবেষণা জরিপে।

প্রতিভাত হচ্ছে যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ জনগোষ্ঠী যুবকরাসহ অধিকাংশ জনসারণ চরিত্রহীন হয়ে গেছে। জিনাখোর বা ব্যভিচারী হয়ে গেছে। (নাঊযুবিল্লাহ) আর এ জিনা বা ব্যভিচারের সাথে যারা অভ্যস্ত হয়ে পড়ে তারা যে সব হারামজাদার জন্ম দিচ্ছে অথবা নিজেরা কলঙ্কিত জীবন যাপন করছে তা কী বলার অপেক্ষা রাখে।

অপরদিকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় জীবনের সর্বত্র ইসলামই প্রতিফলিত হবার দাবি রাখে। তবে শুধু রাষ্ট্রীয়ভাবেই নয় দেশের ৯৭ ভাগ লোক মুসলমান হবার প্রেক্ষিত্রে ইসলামই তাদের অন্তরের প্রগাঢ় অনুভূতি ও অনুভব হিসেবে কাজ করে। যদিও তারা নফসের কারণে গুনাহ করে কিন্তু রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত মিডিয়াই তাদের নফসকে প্ররোচিত করে।

এদেশের ৯৭ ভাগ মুসলমান এখনো নিখাঁদভাবে বিশ্বাস করে গুনাহ-নেকী। গুনাহর মধ্যে ছগীরা-কবীরা বিশেষ করে হারাম খাওয়া, সুদ খাওয়া, ঘুষ খাওয়া, মদ খাওয়া তথা ব্যভিচার করা বা চরিত্রহীন হওয়া এ যাবৎ এদেশের মুসলিম মানসের প্রেক্ষাপটে গভীর নিন্দনীয়, চরম ঘৃণাযুক্ত ও পরম কলঙ্কময় কাজ হিসেবে চিহ্নিত ছিল। বলাবাহুল্য ইসলামের দৃষ্টিতে ব্যভিচার এক মারাত্মক অশ্লীল কাজ। কুরআন শরীফ-এ মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন- æতোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেয়োনা।”

বলাবাহুল্য প্রদত্ত আয়াত শরীফ অনেক অর্থবহ। আজকে প্রিন্ট মিডিয়া এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় যেভাবে বিবস্ত্র দেহ প্রদর্শনী চলে তাতে সাধারণের মাঝে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোগবাদী লালসা প্রবৃত্তির প্রবাল্য বিস্তার করে। যে কারণে আজকে নামি-দামি সব বিশ্ববিদ্যালয় এমনকি স্কুলের শিক্ষকরাও তাদের সন্তানতুল্য মেয়েদের দেহও নির্মমভাবে ভোগ করছে। (নাঊযুবিল্লাহ)

বলাবাহুল্য, এ ধরনের বিকৃত মানসিকতা একদিনেই গড়ে উঠেনা। দিনের পর দিন মিডিয়ার অশ্লীল দেহ প্রদর্শনী ও অশ্লীল প্রবণতাই এ পরিণতির জন্য দায়ী। বরং বলা চলে মিডিয়ার এ কুফলের কারণে মনোগতভাবে অধিকাংশ সাধারণ মানুষই ভেতরে ভেতরে পশুবত এক বিকৃত মানুষ। সামাজিক খোলস তাকে আটকে রেখেছে। কিন্তু সুযোগ পেলেই তার বিকৃত মনোবৃত্তি পশুর মতো হিং¯্র হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। (নাঊযুবিল্লাহ)

কাজেই ইসলামের এ রাষ্ট্র যদি তার জনগণকে রক্ষা করতে চায় তাহলে দেশে ইসলাম জারি করতে হবে। শরীয়তী পর্দা চালু করতে হবে। রাষ্ট্র ১১ বা ১৪ বছরের ছেলে-মেয়ের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কের বিরুদ্ধে কিছু বলেনি এবং তার বলার ও কার্যকর করতে ক্ষমতাও নেই। কিন্তু তাই বলে অনৈসলামিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক রাষ্ট্রে চলতে পারে না, তাহলে রাষ্ট্র টিকবে না। সেক্ষেত্রে টিকে থাকার স্বার্থে রাষ্ট্রকে বর্তমান বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন তুলে দিতে হবে। বাল্যবিবাহের সুন্নত চালু করতে হবে।

-মুহম্মদ আলম মৃধা

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাযযাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১০৩

মুবারক হো- হাদিউল উমাম, বাবুল ইলম, কুতুবুল আলম, জামিউল আলক্বাব, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ ছানী হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক বিলাদত শরীফ

হিন্দুরা অন্তর থেকে মুসলমানদেরকে ঘৃণা করে ও অস্পৃশ্য মনে করে। আবুল মনসুর আহমদ, বঙ্গবন্ধুর আত্মকথা, মীর মোশাররফসহ অনেক সাহিত্যিকের লেখনীতেই এর প্রমাণ রয়েছে। বিশেষত রবীন্দ্র বঙ্কিম শরৎসহ হিন্দু সাহিত্যিকদের রচনায় এর প্রমাণ বিস্তর। কিন্তু বর্তমানে তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা ও হিন্দু তোষণকারী প্রশাসন পারলে হিন্দুদের মাথায় তুলে রাখে। হিন্দুরা যে মুসলমানদের শত্রু জ্ঞান করে- সে কথা অস্বীকার করে। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মুশরিক-হিন্দুদের বড় শত্রু বলা হয়েছে। অতএব, ওদের থেকে সাবধান।

ভারতকে কানেকটিভিটির নামে ট্রানজিট দেয়ার বৈধতা বর্তমান সরকারের নেই। ভারতকে কোনোমতেই ট্রানজিট দেয়া যাবে না। দিলে ৯৭ ভাগ ঈমানদার জনগোষ্ঠী বরদাশত করবে না।

আন্তর্জাতিক পানি ব্যবহারের বিধিবিধান লঙ্ঘন করে ভারত নির্মাণ করছে টিপাইমুখ বাঁধ। বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের জোর প্রতিবাদ দরকার।