-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যমের মুবারক সংযোজন:- ইসলাম- বিধর্মীদের ধর্ম পালনে কোন বাধা দেয় না। কারণ, প্রত্যেকেই তার নিজ ধর্ম পালনে স্বাধীন। ইসলাম- মুসলমানদের জন্যও বিধর্মীদের কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাওয়ার অনুমোদন করে না। পাশাপাশি মুসলমানদেরকে বিধর্মীদের অনুষ্ঠানে যেতে বিধর্মী কর্তৃক উৎসাহিত করাটাও শরীয়তসম্মত নয়। কেননা, মুসলমানরা বিধর্মীদেরকে ইসলাম পালনে বাধ্য করে না।

সংখ্যা: ১৮৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

-মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী

যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, “বিধর্মীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে মুসলমানদের কিরূপ আক্বীদা রাখা ও আমল করা কর্তব্য তা অধিকাংশ মুসলমান জানে না। এমনকি রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের দেশের সরকারও জ্ঞাত নয়। আর ধর্মব্যবসায়ী মালানা-মুফতেরাও তাদের ধর্মব্যবসা, ভোটব্যবস্থার স্বার্থে এ সম্পর্কিত প্রকৃত ইসলামিক ইল্ম উচ্চারণ করছে না।”

সম্প্রতি বিধর্মীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের নামে দেশব্যাপী তাদের অবাঞ্ছিত আড়ম্বরতা ও অনাকাঙ্খিত ব্যাপকতা এবং বৈষম্যমূলক সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার প্রতিক্রিয়ায় গতকাল রাজারবাগ শরীফ-এ তিনি এসব কথা বলেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন “যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখে সে তাদের দলভুক্ত এবং তার হাশর-নশর তাদের সাথেই হবে।”

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, এ প্রসঙ্গে হিন্দুস্তানের একটি ঘটনা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।  হিন্দুস্তানে একজন জবরদস্ত আল্লাহ পাক-এর ওলী ছিলেন। যিনি ইন্তিকালের পর অন্য একজন বুযূর্গ ব্যক্তি তাঁকে স্বপ্নে দেখে জিজ্ঞেস করেন, ‘হে আল্লাহ পাক-এর ওলী! আপনি কেমন আছেন?’

তখন সেই আল্লাহ পাক-এর ওলী জাওয়াবে বলেন, ‘আপাতত আমি ভালই আছি; কিন্তু আমার উপর দিয়ে এক কঠিন সময় অতিবাহিত হয়েছে যা বলার অপেক্ষা রাখে না।’

তখন স্বপ্নদ্রষ্টা ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আপনি কি আমাকে আপনার সেই কঠিন অবস্থা সম্পর্কে বলবেন?’

আল্লাহ পাক-এর ওলী জবাব দিলেন, ‘অবশ্যই বলবো। কারণ, এতে যমীনবাসীদের জন্য শক্ত ইবরত বা নছীহত রয়েছে।’ এরপর বলা শুরু করলেন, ‘আমার ইন্তিকালের পর আমাকে ফেরেশ্তারা সরাসরি আল্লাহ পাক-এর সম্মুখে পেশ করেন। আল্লাহ পাক ফেরেশ্তাদের বললেন, ‘হে ফেরেশতাগণ! তোমরা কেন তাঁকে এখানে নিয়ে এসেছো?’ ফেরেশতাগণ বললেন, ‘আয় আল্লাহ পাক!  আমরা তাকে খাছ বান্দা হিসেবে আপনার সাথে সাক্ষাত করার জন্য নিয়ে এসেছি।’ আল্লাহ পাক বললেন, তাঁকে এখানে কেন এনেছ? তার হাশর-নশর হবে হিন্দুদের সাথে। আমি তখন বললাম, আয় বারে ইলাহী! আমার হাশর-নশর হিন্দুদের সাথে হবে কেন? আমি তো মুসলমান ছিলাম। আল্লাহ পাক বললেন, যেহেতু আপনি পূজা করেছেন তাই আপনার হাশর-নশর হিন্দুদের সাথেই হওয়া উচিত। আমি বললাম, আয় আল্লাহ পাক আপনার কসম! পূজা করা তো দূরের কথা আমি জীবনে কোন দিন মন্দিরের পাশ দিয়েও হাঁটি নাই।

তখন আল্লাহ পাক বললেন, ‘আপনি সেদিনের কথা স্মরণ করুন, যেদিন হিন্দুস্তানে হোলি পূজা হচ্ছিলো। আপনি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। আপনার সামনে-পিছনে, ডানে-বামে, উপরে-নিচে, আশে-পাশে সমস্ত গাছপালা, পশুপাখি, কীট-পতঙ্গ, বাড়ি-ঘর, সবকিছুতেই রং দেয়া হয়েছিলো। এমতাবস্থায় আপনার সামনে দিয়ে একটি গর্দভ (গাধা) হেঁটে যাচ্ছিলো যাকে রং দেয়া হয়নি। তখন আপনি পান চিবাচ্ছিলেন, আপনি সেই গর্দভের গায়ে এক চিপটি পিক বা পানের রঙ্গিন রস নিক্ষেপ করে বলেছিলেন, হে গর্দভ! তোমাকে তো এই হোলি পূজার দিনে কেউ রং দেয়নি তাই আমি তোমাকে রং দিয়ে দিলাম। এতে কি আপনার পূজা করা হয়নি? আপনি কি জানেন না যে, আমার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: ‘যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখবে, সে তাদের অন্তর্ভুক্ত এবং তার হাশর-নশর তাদের সাথে হবে।’ ‘সুতরাং আপনার হাশর-নশর হিন্দুদের সাথেই হওয়া উচিত।’

*****

অতঃপর তিনি বলেন, তখন আমি বললাম: আয় আল্লাহ পাক! এই বিষয়টা আমি বুঝতে পারিনি। আর আমাকে কেউ বুঝিয়েও দেয়নি। আমার অন্তরও সাড়া দেয়নি। আল্লাহ পাক! আমাকে ক্ষমা করে দিন বলে আল্লাহ পাক-এর নিকট অনেক কান্না-কাটি, রোনাজারি করার পর আল্লাহ পাক বললেন: আপনার অন্যান্য আমলের কারণে আপনাকে ক্ষমা করা হলো। অন্যথায় আপনার হাশর-নশর হিন্দুদের সাথেই হতো।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, এ ঘটনা থেকে সরকারিভাবে অথবা বেসরকারিভাবে মুসলমান হয়ে খ্রিস্টানদের বড় দিনের, বৌদ্ধদের বৌদ্ধ পূর্ণিমার, মজুসীদের নওরোজ বা নববর্ষের, হিন্দুদের পূজার অনুষ্ঠানে কতটুকু অংশগ্রহণ করা যাবে আর কতটুকু সাহায্য করা যাবে, কতটুকু আনন্দ উপভোগ করা যাবে, কতটুকু প্রসাদ খাওয়া যাবে। আর তাদের মেলায় কতটুকু জিনিসপত্র কেনাকাটা করা যাবে- তা গভীরভাবে চিন্তা-ফিকির করতে হবে।

মুসলমানরা কি মুসলমানদের সাথে থাকতে চায়? না, তারা বিধর্মীদের সাথে হাশর-নশর করতে চায়? (নাঊযুবিল্লাহ)

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, বাংলাদেশ সংবিধানের প্রস্তাবনায় লেখা রয়েছে সর্বশক্তিমান আল্লাহ পাক-এর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস। যার অর্থ হচ্ছে সর্বশক্তিমান আল্লাহ পাক-এর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসের পাশাপাশি সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পূর্ণ অনুসরণ ও তাঁর আদেশ পালন। কারণ কুরআন শরীফ-এ আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “আমার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যা নিয়ে এসেছেন তা আঁকড়িয়ে ধর, (যা বলেছেন তা পালন কর) যা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন তা থেকে বিরত থাক। এ ব্যাপারে আল্লাহ পাককে ভয় কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক কঠিন শাস্তিদাতা।”

এ আয়াত শরীফ-এর তাফসীরে সব ইমাম-মুজতাহিদ একমত যে, আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা বা তা পালন করা সব মুসলমানের জন্য মহা ফরয।

মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের এই দেশের সরকারকে  তথা ধর্মমন্ত্রীকে শতকরা ৯৫ ভাগ অধিবাসী মুসলমানের এই দেশে মূলতঃ ইসলামের আলোকে কাজ করতে হবে। অন্য ধর্মাবলম্বীরা তাদের ধর্ম পালনের সুযোগ পেতে পারে কিন্তু বিধর্মীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মুসলমানদের যাওয়া এবং তাদের ধর্মীয় কল্পকথার সমর্থন করার অর্থ হলো ইসলাম থেকে সরে যাওয়া। কিন্তু রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ও শতকরা ৯৫ ভাগ অধিবাসী মুসলমানের এই দেশের সরকার ইসলাম থেকে সরে যেতে পারে না। কাজেই মহান আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে ঈমান ও ইসলামের উপর থাকার তাওফিক দান করুন। (আমীন) (৮-০২-০৯)

সাইয়্যিদুন্ নাবিইয়ীন, রহ্মাতুল্লিল আলামীন, হাবীবু রব্বিল আলামীন, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারী ছিলেন

وعلمناه من لدنا علما

অর্থ: আল্লাহ পাক বলেন, আর আমি আমার তরফ থেকে তাঁকে অর্থাৎ আমার ওলীকে গইবের ইলম্ দান করেছি। (সূরা কাহাফ-৬৫)

খইরুল উম্মাহাত, সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম ছিলেন তাঁর যামানায় আল্লাহ পাক-এর মনোনীতা লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ এবং ইলমে গাইব তথা অদৃশ্য ইলমের অধিকারী। তাই তিনি ইলমে গাইব তথা ঐশীজ্ঞান ইলহাম-ইলক্বার মাধ্যমেই স্বীয় আওলাদ হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে বাস্তব সত্য বাণীগুলি তাঁর কবিতার ভাষায় ব্যক্ত করেছিলেন।

এমনকি বর্ণিত না’ত শরীফখানাও ইলহামী-গাইবী ইলমে পরিপূর্ণ। যার বাস্তবতা পরবর্তিতে কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ ও হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বাস্তব নুবুওওয়াতী ও রিসালতী গোটা যিন্দিগী মুবারকে আমরা লক্ষ্য করি। যেখানে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আম্মা ইলমে গাইবের জ্ঞানে জ্ঞানী ছিলেন, সেখানে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে পরিপূর্ণভাবে আল্লাহ পাক প্রদত্ত ইলমে গাইবের অধিকারী তথা ‘মুত্তালাউন আলাল গাইব’ তা বলার অপেক্ষাই রাখেনা।

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্্ নাবিয়্যীন, রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাস্্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সম্মানিতা শ্রদ্ধেয়া আম্মা খাইরাতুল উম্মাহাত, ত্বাহিরা, ত্বইয়্যিবাহ, মুনাওওয়ারাহ, যাকিয়্যাহ হযরত আমিনা আলাইহাস্ সালাম স্বীয় আওলাদ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর শানে প্রশংসামূলক যে না’ত শরীফ বা ক্বাছীদা শরীফ পাঠ করেছিলেন তা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ হিসেবে গণ্য ও পরিচিত। যা তিনি স্বীয় বিছাল মুবারকের কয়েকদিন পূর্বে পাঠ (আবৃত্তি) করেছিলেন। যা আল্লামা হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী শাফিয়ী আশয়ারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর ‘কিতাবুল আযীম ওয়াস সুন্নাহ’ কিতাবে সঙ্কলন করেছেন।

নিম্নে উক্ত মুবারক না’ত শরীফখানা উল্লেখ করা হলো-

 আরবী না’ত শরীফ

(১) بَارَكَ اللهُ فِيْكَ مِنْ غُلَامٖ +

يَا اِبْنُ الَّذِىْ مِنْ حُرْمَةِ الْحِمَامٖ*

(২) فَاَنْتَ مَبْعُوْثٌ اِلَى الْاَنَامٖ +

مِنْ عِنْدِ ذِى الْجَلَالِ وَ الْاِكْرَامٖ*

(৩) تُبْعَثُ فِى الْحِلِّ وَالْحَرَامٖ+

  تُبْعَثُ بِالتَّحْقِيْقِ وَالْاِسْلَامٖ*

(৪) دِيْنُ اَبِيْكَ الْبِرِّ وَاِبْرَاهَامٖ  +

 فَاللهُ اَنْهَاكَ عَنِ الْاَصْنَامٖ*

(৫) كُلُّ كَثِيْرِ يُفْنٰى وَاَنَا مَيَتَةٌ+

وَذِكْرِىْ بَاقٍ تَرَكْتُ خَيْرًا وَلَدْتُّ طُهْرًا*

না’ত শরীফ-এর অনুবাদ

১. হে আমার যোগ্য আওলাদ, আল্লাহ পাক আপনাকে বরকতময় করেই সৃষ্টি করেছেন। হে আমার যোগ্য আওলাদ আমার পবিত্র বিছাল শরীফ-এর সময় আমি তা বলে যাচ্ছি।

২. আপনি সমস্ত সৃষ্টি জগতের জন্য নবী ও রসূলরূপে প্রেরিত হয়েছেন। মহা সম্মান ও প্রতিপত্তির অধিকারী আল্লাহ পাক-এর পক্ষ থেকেই প্রেরিত হয়েছেন।

৩. আপনাকে নবী ও রসূলরূপে পাঠানো হয়েছে মদীনা শরীফ মক্কা শরীফ ও সারা দুনিয়াবাসীদের মধ্যে। আপনাকে নবী ও রসূলরূপে পাঠানো হয়েছে হক্ব প্রতিষ্ঠা করার জন্য এবং দ্বীন ইসলাম প্রতিষ্ঠা করার জন্য।

৪. আপনি আপনার সৎকর্মশীল পিতা হযরত আব্দুল্লাহ যবীহুল্লাহ আলাইহিস্্ সালাম ও হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস্্ সালাম-এর দ্বীনকে পুনর্জীবিত করবেন। আর মহান আল্লাহ পাক আপনার কারণেই আপনার উম্মতদেরকে মূর্তিপূজা থেকে রক্ষা করবেন।

৫. সবকিছুই ধ্বংস হবে। আমিও বিছাল শরীফ লাভ করব বা দিদারে ইলাহীতে চলে যাব। কিন্তু আমার প্রশংসনীয় আলোচনা অনন্তকাল ধরে অবশিষ্ট থাকবে। কারণ, আমি আল্লাহ পাক-এর সর্বশ্রেষ্ঠ হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রেখে যাচ্ছি। যাঁকে পূতঃ পবিত্র হিসেবে আগমন করতে সাহায্য করেছি।

সর্বশ্রেষ্ঠ ক্বাছীদাহ শরীফ থেকে শিক্ষা নিয়ে বিশ্ববাসীকে আক্বীদাহ, আমল ও ইখলাছ অর্জনের জন্য বর্তমান যামানার ইমাম ও মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম-এর নিকট বাইয়াত হওয়া জরুরী। আল্লাহ পাক প্রত্যেককে কবুল করুন। আমীন।

আল্লামা মুফতী মুহম্মদ ইবনে ইসহাক

সাইয়্যিদুল আম্বিয়া, ইমামুল আতক্বিয়া, হাদিউল আওলিয়া, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিলাদত শরীফ উপলক্ষে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, ঈদে আ’যম, ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন প্রসঙ্গে

মিছবাহুদ্ দুজা, মিফতাহুদ্ দারা, খইরুল ওয়ারা, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পবিত্রতম দেহ মুবারক, ঘাম মুবারক ও থুথু মুবারক-এর সৌরভের কাছে যত রকমের খুশবু আছে সবই ম্লান হয়ে যায়

আকমালুল মাওজূদাত, আজমালুল মাখলূক্বাত, আল্মুওয়াইইয়াদু বিওয়াদ্বিহিল বাইয়্যিনাত, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বৈশিষ্ট্য থেকেই সমস্ত আম্বিয়া আলাইহিমুস্ সালাম ও আওলিয়ায়ে কিরামগণ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয়েছেন

আখলাকুহূ হামীদাহ, আফয়ালুহূ জামীলাহ, আলত্বাফুহূ কারীমাহ, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সদাচরণ হযরত উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্নাগণের সাথে

হাবীবুল্লাহিল মান্নান, দ্বীনুহূ খইরুল আদইয়ান, কুছূরুহুল জিনান, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর স্মরণ ব্যতীত নামায আদায় অসম্ভব