মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেছেন, কোন মুসলমান তার শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকলে, আল্লাহ পাক-এর হাবীব আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অবমাননা সহ্য করতে পারে না। আর করলে সে মুসলমান থাকতে পারে না। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অবমাননা যে বা যারা করবে তারা শুধু মুরতাদই নয় বরং ইসলামের দৃষ্টিতে তাদের যেখানেই পাওয়া যাবে সেখানেই কতল করা ফরয-ওয়াজিব।
গত ৩রা নভেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কর্তৃক প্রদর্শিত ‘মান্দার’ নামক নাটকে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি চরম অবমাননা করার প্রতিক্রিয়ায় রাজারবাগ শরীফ-এ তিনি এসব কথা বলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, বাংলার মাটি ইসলামের ঘাঁটি। এ পবিত্র ভূমিতে শুধু লক্ষ লক্ষ ওলী আল্লাহই আসেননি। এ মাটিতে হযরত সাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়াল্ াআনহুমদেরকে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পাঠিয়েছিলেন। এরপর হযরত উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুও প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন। কাজেই মূলতঃ ইসলামের জন্মলগ্ন থেকেই এ ভূমি ইসলামের নূরে আলোকিত।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, হাদীছে কুদসীতে রয়েছে, আল্লাহ পাক কোনো কিছুই তৈরি করতেন না যদি তিনি তাঁর হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সৃষ্টি না করতেন। কোনো লোক শুধু লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু কিয়ামত পর্যন্ত বলে মুসলমান হতে পারবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে মুহাম্মাদুর রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম না পড়বে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, কুরআন শরীফ-এ আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “হে হাবীব! আমি আপনার আলোচনাকে সমুন্নত করেছি। এতো সমুন্নত করা হয়েছে যে, “স্বয়ং আল্লাহ পাক-এর নাম মুবারকের সাথে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নাম মুবারক সংযুক্ত হয়ে গেছে। আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কারণেই আমরা আল্লাহ পাককে পেয়েছি। ইসলাম পেয়েছি।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর থু থু মুবারক খাওয়ার জন্য ব্যাকুল থাকতেন। কেউ কেউ সুযোগ পেলে তাঁর রক্ত মুবারক, পেশাব মুবারকও খেয়ে ফেলতেন। এবং এরূপ যারা খেয়েছেন তাঁদের জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে গেছে। (সুবহানাল্লাহ)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, আইএনবি ওয়ার্ল্ড ডট নেট পরিবেশিত এক খবরে জানা যায়,
“রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন কর্তৃক ব্যঙ্গ চরিত্রে মুহাম্মাদ (সাঃ) এর নাম ব্যবহার করে নাটক প্রদর্শন করেছে।
এ নাটকে মহানবী (সঃ) কে ব্যঙ্গ করা হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ।
“মান্দার” নামক এ নাটকে একটি ব্যঙ্গ চরিত্রের নাম রাখা হয় মোহাম্মাদ রাসূল। নাটকের মধ্যে মোহাম্মাদ রাসূলের চরিত্রকে ব্যঙ্গ করে অধিকাংশ দৃশ্যে ‘এই কুত্তার বাচ্চা মোহাম্মদ’ বলে গালি দিয়ে তাঁর চরিত্রটিকে চামচা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। যা দ্বারা মূলত ইসলাম ধর্মের প্রাণপুরুষ মোহাম্মাদ (সাঃ) কেই বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
“মান্দার” নামক এ নাটকটি পরিচালনা করেছে রাবির উদীচীর সেক্রেটারি ও ছাত্র ইউনিয়ন রাবি শাখার সভাপতি আবু সায়েম এবং নাটকটি লিখেছে ‘প্রাচ্যনাট’ দলের সদস্য রাহুল আনন্দ।
এ ব্যাপারে উদীচীর সেক্রেটারি আবু সায়েমের সাথে যোগাযোগ করা হলে সে এ নাটকে রাসূল নামের চরিত্র থাকার কথা স্বীকার করে।
এ ব্যাপারে রাবি প্রক্টর প্রফেসর ড. মুহা. এনামুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে সে সাংবাদিকদের বলে, প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই তারা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে এ নাটক পরিবেশন করেছে।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, উক্ত নাটকের অভিনেতা, সংলাপ প্রণেতা, ব্যবস্থাপক, দর্শক সবাই ইসলামের দৃষ্টিতে শুধু মুরতাদই নয়, কুকুরই নয় বরং তারা কুকুরের চেয়েও অধম বলে প্রমাণিত হয়েছে। মুসলমানদের কাছে এরা জীবিত থাকলেও কুকুরের চেয়ে অধম। মারা গেলেও কুকুরে চেয়ে অধম। এদের ফাঁসি দিলেও কুকুরের মতই গর্তে পুতে রাখতে হবে। আর এসকল কুকুররূপী মুরতাদ ও কাফিরদেরকে হত্যা করার নির্দেশ স্বয়ং নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামই উম্মতদেরকে দিয়েছেন। শুধু তাই নয় স্বয়ং নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নির্দেশে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম এরূপ কুকুররূপী অনেক কাফিরের মৃত্যুদ- কার্যকর করেছেন। তাদের মধ্যে একজন হলো কাব ইবনে আশরাফ। যার ঘটনাটি বুখারী শরীফ-এই উল্লেখ আছে।
কাব ইবনে আশরাফ কিছু কুশিক্ষিত ও কুলাঙ্গারকে অর্থের বিনিময়ে তার পদলেহী করে ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করতো, করাতো। সে নিজেও কবি হবার কারণে স্বরচিত ইসলাম বিদ্বেষী কবিতা রচনা ও প্রচার করে বেড়াত। সে কিছু গায়িকা দাসী-বাদীর মাধ্যমে তাদের দিয়ে আল্লাহ পাক ও তাঁর হাবীব নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর তথা ইসলামবিরোধী গান বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গাওয়াতো। বদরের যুদ্ধে যে সমস্ত কাফির মারা গিয়েছিলো কাব ইবনে আশরাফ তাদের স্মরণে শোকগাঁথা রচনা করে কুরাঈশদের শোনাতো এবং তাদেরকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করে তুলতো। এমনকি সে উম্মুল মু’মিনীন ও মুসলমান মহিলাদের বিরুদ্ধে অপবাদ রটনা করে বেড়াত। ইত্যাদি কারণের জন্য আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার মৃত্যুদ- দান করেন। যা বুখারী শরীফ-এর হাদীছ শরীফ-এ উল্লেখ করা হয়েছে।
হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেছেন, একদা নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, কাব ইবনে আশরাফ হতে ইসলাম ও মুসলিম জাতিকে মুক্তি দেবার জন্য কেউ প্রস্তুত হতে পারে কি? সে ইসলামদ্রোহিতা এবং আল্লাহ পাক-এর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে যাতনা প্রদানে চরমে পৌঁছে গিয়েছে। হযরত মুহম্মদ ইবনে মাছলামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু নামক মদীনাবাসী ছাহাবী এ কাজের জন্য প্রস্তুত হলেন এবং জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি কি অন্তরের সঙ্গে চান যে এ দুরাচার পাপময় জীবনকে আমি শেষ করে ফেলি? নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, হ্যাঁ। তখন ঐ ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু আরজ করলেন, ‘আপনার সম্বন্ধে কিছু কৃত্রিম অভিযোগ প্রকাশে অনুমতি দান করুন।’ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকে সে অনুমতি দান করলেন।
অতঃপর ঐ ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু কাব ইবনে আশরাফের নিকট উপস্থিত হয়ে কৃত্রিম অভিযোগ পেশ করার উদ্দেশ্যে বললেন, ‘হে বন্ধু! ঐ লোকটা (হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সর্বদা আমাদেরকে দান খয়রাতের জন্য উৎপীড়ন করতে থাকে, আমাদেরকে মস্ত বড় চাপের মধ্যে ফেলে দিয়েছে, বাধ্য হয়ে আমি তোমার নিকট কিছু ধার নেয়ার জন্য উপস্থিত হয়েছি।’
কাব ইবনে আশরাফ বললো, ‘তোমাদেরকে আরো বহু ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে। এমনকি তোমরা বিতৃষ্ণ হতে বাধ্য হবে।’ ঐ ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উত্তর করলেন, ‘একবার যেহেতু তার দলভুক্ত হয়ে পড়েছি, এখন শেষ ফলাফল না দেখে ত্যাগ করা উত্তম মনে করছি না। কিছু সময়ের জন্য তুমি আমাকে ধার দাও।’
কাব ইবনে আশরাফ ঐ ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর কথাবার্তায় আকৃষ্ট হয়ে ধার দিতে স্বীকৃত হলো এবং বললো ‘ধার দেব, তবে কোন বস্তু রেহেন (বন্ধক) রাখতে হবে।’ সে বললো, ‘স্ত্রীকে রেহেন রাখুন।’ ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বললেন, ‘তোমার ন্যায় সুন্দর পুরুষের নিকট স্ত্রী রেহেন রাখা যায় কি? সে বললো, “তবে পুত্রগণকে রেহেন রাখুন।’ ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বললেন, ‘তা করলে আজীবন আমার বংশের নিন্দা শুনতে হবে। এর পরিবর্তে আমি অস্ত্র জমা রাখব।’ শেষ পর্যন্ত এটা সাব্যস্ত হলো।
অতঃপর হযরত মুহম্মদ ইবনে মাছলামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু দ্বিতীয় আরেকজন ছাহাবী হযরত আবু নায়েলা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু- যিনি কাব ইবনে আশরাফ-এর দুধ ভাইও ছিলেন, তাঁকে সঙ্গে নিয়ে অস্ত্র-শস্ত্রসহ রাতে তার বাড়ি গিয়ে তাকে ডাকলেন। কাব ইবনে আশরাফ সুদৃঢ় কেল্লার ভিতর অবস্থান করতো। ঐ ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুদ্বয়কে কেল্লার ভিতর ডেকে আনলো এবং সে উপর তলা হতে নেমে আসার জন্য রওয়ানা হলো। তার স্ত্রী বাধা দিয়ে বললো, ‘আপনি কোথায় যাচ্ছেন? আমি রক্তের গন্ধ পাচ্ছি।’ সে বললো, ‘ভয়ের কিছু নেই, আগুন্তক আমার বন্ধু হযরত মুহম্মদ ইবনে মাছলামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং আমার দুধ ভাই হযরত আবু নায়েলা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। কারও ডাকে সাড়া না দেয়া ভদ্রলোকের কাজ নয় যদিও বিপদের আশঙ্কা থাকে।’
হযরত মুহম্মদ ইবনে মাছলামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু আরও দু’ব্যক্তিকে সঙ্গে এনেছিলেন, তাঁদেরকে নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করলেন। তাঁদেরকে তিনি আগেই বলেছিলেন ‘কাব ইবনে আশরাফ আমার নিকটবর্তী হলে আমি যে কোন অজুহাতে তার মাথার চুল শক্তভাবে ধরব এবং তখন তোমরা তার গর্দান কেটে ফেলবে।
কাব ইবনে আশরাফ নিচের তলায় নেমে আসলো। ঐ ছাহাবী বললেন, তুমি যেরূপ সুগন্ধী ব্যবহার করেছো সেরূপ সুগন্ধী আমি জীবনে দেখিনি। সে বললো, ‘আমার স্ত্রী সুগন্ধীর অনুরাগিনী অধিক, সেজন্য আমি বেশি বেশি সুগন্ধী ব্যবহার করি।’ ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বললেন, ‘তোমার মস্তক হতে ঘ্রাণ নিতে পারি কি? সে বললো, ‘হ্যাঁ।’ এ সুযোগে ঐ ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তার মাথার চুল শক্তভাবে ধরলেন এবং সঙ্গীদ্বয়কে ইশারায় বললেন, ‘তোমাদের কাজ করে ফেলো।’ তারা তৎক্ষণাৎ তার গর্দান কেটে ফেললেন। অতঃপর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট চলে আসলেন।” কাজেই সকল মুরতাদদেরকে এভাবেই হত্যা করা উচিত। আর এটাই মূলতঃ শরীয়তের ফায়ছালা।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, বাংলাদেশ সংবিধানের প্রস্তাবনায়, সর্বশক্তিমান আল্লাহ পাক-এর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসের কথা বলা হয়েছে। ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া ফৌজদারী অপরাধ বলে গণ্য করা হয়েছে। প্রত্যেককে যার যার ধর্ম পালনের স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। তারপরেও এরূপ ধারাবাহিকভাবে মুরতাদী করলেও সরকার মুরতাদদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। সরকারের উচিত মুরতাদদের বিরুদ্ধে শরীয়তী শাস্তি মৃত্যুদ- ঘোষণা করা। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার কি ব্যবস্থা নেয় সেদিকে পৃথিবীর ২৫০ কোটি মুসলমানের দৃষ্টি।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, ইসলামের দৃষ্টিতে এসকল মুরতাদদেরকে একটি একটি করে খুঁজে বের করে মৃত্যুদ- দেয়া বাংলাদেশ সরকারসহ দেশের ১৫ কোটি মুসলমানের জন্য ফরয-ওয়াজিব। যে ব্যক্তি এসকল মুরতাদদেরকে কতল বা হত্যা করতে পারবে তাকে আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত-এর পক্ষ থেকে উপযুক্ত পুরস্কারে পুরস্কৃত করা হবে। ইনশাআল্লাহ। যদি তারা এসকল মুরতাদদেরকে মৃত্যুদ- দিতে ব্যর্থ হয় তবে মহান আল্লাহ পাক ও তাঁর হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট তাদেরকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।
মন্তব্য প্রতিবেদন
ভাস্কর্য ধ্বংস, নাটক নিষিদ্ধ এবং মুরতাদকে কতল কি ইসলামের বাইরে কিছু?
মুসলমান কি ইসলাম মানবে না?ইসলাম পালনই কী হবে মুসলমানের বড় অপরাধ? শতকরা ৯৫ ভাগ মুসলমানের এইদেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের এই দেশে তা যেমন গ্রহণযোগ্য নয়; তেমনি তা বরদাস্তযোগ্যও নয়।
৭১ এর রাজাকাররা যে বোকার স্বর্গে বাস করছিলো তাদের সে মহাভূল ভেঙ্গেছিল ১৬ই ডিসেম্বর। তার আগে রাজাকাররা ভেবেছিল দেশবাসী তাদের সাথেই আছে। পীস কমিটির চেয়ারম্যান নয়, মেম্বর হতেও তখন হুড়োহুড়ি লেগেছিল। গোটা সমাজ তাদের পেছনে আছে এ ধারণা থেকেই প্রতিযোগীতাটা জমেছিল।
কিন্তু সে পীস কমিটির চেয়ারম্যান নয় মেম্বাররাও এখন গর্তে লুকিয়ে বেঁচে আছেন। সমাজ তথা দেশবাসী যে তাদের সাথে নেই এ ধারণার আজ অপনোদন হয়েছে।
স্বাধীনতা উত্তর ৭১ এর রাজাকারের পাশাপাশি আরেক শ্রেণীর রাজাকারের উদ্ভব হয়েছে।
এরা সংস্কৃতির রাজাকার। ৭১ এর রাজাকাররা ইসলামের নামে পাকিদের দালালী করেছিল। আর আজকে সংস্কৃতির রাজাকাররা ইসলামের নামে ভারত-ইসরাইলের তথা অপসংস্কৃতির দালালী করছে।
অপসংস্কৃতির, মূর্তি ভাস্কর্যর প্রোপাগা-া তারা চালাচ্ছে। কিন্তু তা ঐ ধর্মের নামে। ইসলামের নামে। ৭১ এর রাজাকারদের মতো আজকের সংস্কৃতির রাজাকাররাও মনে করছে গোটা দেশবাসীই বুঝি তাদের সাথে রয়েছে।
গোটা দেশবাসীই বুঝি গান-বাজনায় মত্ত এবং তাদের ভক্ত।
কিন্তু আসলে কী তাই। যতদিন যাবত এদেশের মুসলমানরা জানাযা পড়াবে, দাফন করবে ততদিন যাবত মূলতঃ এই প্রতিভাত হবে যে, আসলে কথিত সংস্কৃতির রাজাকারদের আছর মুক্ত হয়ে তারা কুরআন সুন্নাহ তথা ধর্ম বা ইসলামের কোলেই আশ্রয় নিয়েছে। শেষ পরিণতিতে ইসলামকেই গ্রহণ করেছে। ইসলামের বিজয় ঘোষণা করেছে। তথাকথিত সংস্কৃতিবাদী বা সংস্কৃতির রাজাকারদের পরিত্যাজ্য ঘোষণা করেছে।
গত ২৩ নভেম্বর দৈনিক সমকালে খোলা জানালা বিভাগে এ ধরনের এক পাল সংস্কৃতির রাজাকারের তালিকা পাওয়া গিয়েছে।
বিপুল শাহ, নাসিমুল খবির ডিউক, আজাদ আবুল কালাম, মোল্লা সাগর, সাইফূল হক অমি, শাওন আকন্দ, কফিল আহমেদ, মুয়ীয মাহফুজ, আবুল হাসান রুবেল, জাঈদ আজিজ, সব্যসাচী হাজরা, হারুন-অর-রশীদ টুটুল, আমীরুল রাজীব, রবি খান, সাইফুল জার্নাল, শাহানা মজুমদার, সুলেখা চৌধুরী, সামিউর রহমান নয়ন, আহমেদ মুনীরুদ্দিন ও ফারুক ওয়াসিম নামধারী এসব সংস্কৃতির রাজাকাররা লিখেছে-
“একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে বেশিরভাগ নাগরিকের নামই আরবি শব্দ ধরে হয়ে থাকে। নামের সঙ্গে ‘মোহাম্মদ’ বা ‘আহমেদ’ থাকাও চালু রীতি। বাস্তবে এই নামধারীদের কেউবা ভালো, কেউবা মন্দ। সুতরাং যে নাটকে বাস্তব জীবনের ছাপ থাকবে, সে নাটকে বাস্তবতার প্রতিফলন থাকা দোষের কিছু নয়।”
সংস্কৃতির রাজাকারের উপরোক্ত বক্তব্যে মূলতঃ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের কোন জবাব নেই।
এটা তখনই জবাব হতো যদি মান্দার নাটকে খারাপ চরিত্রে অভিনয়কারীর নামের সাথে তাদের বিবৃত চালুরীতি অনুযায়ী মোহাম্মদ বা আহম্মদ নাম যুক্ত থাকতো।
কিন্তু কুখ্যাত মান্দার নাটকে কথিত ভাল চরিত্রের নামই রাখা হয়েছে মুহম্মদ এবং শুধু মুহম্মদ নয়, বরং মুহম্মদ রসূল।
আর নাটকের খারাপ চরিত্রে রাখা হয়েছে সেক্যুলার নাম ‘চৌধুরী’।
কিন্তু কূটকৌশল যেটা করা হয়েছে তা হল যে ঐ খারাপ চরিত্র দ্বারাই রসূল মিয়াকে বার বার …… বাচ্চা …….. বাচ্চা বলে লাঞ্চিত অপমানিত করা হয়েছে।
তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, সংস্কৃতির রাজাকাররা তাদের ভাষ্যমতেই অপরাধ মুক্ত হতে পারছে না।
ধর্মের নামে নাটকে যে বাস্তবতার দোহাই দিয়ে তারা বাঁচতে চেয়েছিল সেটি তাদের বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই তাদেরকে দায় থেকে মুক্তি দিচ্ছে না বরং উল্টো বিশেষ দায়যুক্ত করেছে।
এদিকে, সংস্কৃতির রাজাকাররা ধর্মব্যবসায়ীদের মতই ধুরন্ধর। কখনও তারা ধর্মের নামেই ধর্মকে বিকৃত করতে চায়। আবার কখনও খোলামলাভাবেই ধর্মকে ইসলামকে আক্রমন করে বসে। (নাউযুবিল্লাহ)
সংস্কৃতির রাজাকাররা তাদের ‘ভাস্কর্য ধ্বংস, নাটক নিষিদ্ধ হত্যার হুমকি কিন্তু নাই প্রতিকার’ শীর্ষক লেখার শুরু করেছে-
‘ভাস্কর্য ধ্বংসের পর ধর্মীয় আগ্রাসী থাবা এবার পড়েছে নাটকের ওপর’ লাইন দিয়ে।
লাইনটি ধর্মীয় গোষ্ঠী উল্লেখ্য করে সংস্কৃতির রাজাকাররা তাদেরকে ধর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন আলাদা গ্রুপ বলে প্রতিপন্ন করেছে। এবং ধর্মীয় আচারকেই তারা আগ্রাসী বলে মন্তব্য করেছে। (নাউযুবিল্লাহ)
পাশাপাশি ধর্মকর্ম পালনকে অসভ্যতার পরিচায়ক বলে অভিহিত করেছে। (নাউযুবিল্লাহ)
সংস্কৃতির রাজাকাররা তাদের লেখায় উল্লেখ করেছে-
‘আমাদের জিজ্ঞাসা, জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো কি তাহলে সভ্য দুনিয়ার রীতিনীতি ফেলে ধর্মীয় গোষ্ঠীর আনুগত্য করবে?’
সংস্কৃতির রাজাকারদের উপরোক্ত জিজ্ঞাসায় পরিস্কার প্রতিভাত হয় যে, তারা তথাকথিত সভ্য দুনিয়ার রীতিনীতিকে ধর্মীয় রীতিনীতির ঊর্দ্ধে বলে মনে করে। অর্থাৎ ধর্মকে তারা তথাকথিত সভ্য দুনিয়ার নীচে মনে করে। (নাউযুবিল্লাহ)
সঙ্গতকারনেই সংস্কৃতির রাজাকারদের ইসলামের দৃষ্টিতে মুরতাদ ছাড়া কি বলা যেতে পারে?
প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, ইসলামের দৃষ্টিতে মুরতাদদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। জামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, জামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আযম, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তাঁর মুবারক বিবৃতিতে এসব মুরতাদদের ইসলামী শাস্তি মৃত্যুদ- ঘোষণা করেছেন। যা যামানার তাজদীদী মুখপত্র দৈনিক আল ইহসানে বিশেষ ব্যানার হেডিং হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে।
সে কারণে ঐসব সংস্কৃতির রাজাকারদের জামানার তাজদীদী মুখপত্র দৈনিক আল ইহসানের প্রতি ভয়ংকর আক্রোশ। এবং সরকারে প্রতি মারাত্মক সংক্ষোভ।
সরকার কেন প্রতিকার নেয়না? আসলে সংস্কৃতির এসব রাজাকাররা ৭১-এর রাজাকারদের মতই গণ্ডমূর্খ।
এমনকি নিজেদের তথাকথিত সাহিত্য সংস্কৃতি অঙ্গনেও মূর্খ।
এসব সংস্কৃতিক রাজাকারদের কি জানা উচিৎ ছিল না যে সমরেশ বসুর ‘প্রজাপতি’ অথবা ‘রোদ-বৃষ্টি-মেঘ’ নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়ার পরও পুনরায় প্রকাশের অনুমতি পেল কীভাবে?
তার পেছনে আদালতের আইনগত রায়ের ভিত্তি এই যে-
ঐসব অশ্লীল উপন্যাস যদি নিষিদ্ধ করতে হয় তাহলে মহাভারতকেও নিষিদ্ধ করতে হয়। কারণ মহাভারত ঐ দুটি অশ্লীল উপন্যাস থেকেও বেশী অশ্লীল।
লক্ষ্যণীয় যে মামলার প্রক্রিয়ায় অশ্লীল ঐ উপন্যাস দু’টির পাশাপাশি মহাভারতকেই আরো আগে নিষিদ্ধ করা হয়নি বরং মহাভারত অশ্লীলতর বলে ঐ অশ্লীল উপন্যাস দু’টোও নিষিদ্ধ ঘোষণা থেকে মুক্তি পেয়েছে।
কারণ, বিচারকের দৃষ্টিতে মহাভারত একটা ধর্মগ্রন্থ। আর সে ধর্মগ্রন্থের প্রতি কোন হাত দেয়া তো দূরের কথা বরং সে ধর্মগ্রন্থের আলোকে যা লেখা হয়েছে তাকেও নিম্ন আদালতের লিপিবদ্ধের গন্ডি উচ্চ আদালতে অবমুক্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ, এতো গেল হিন্দু ধর্মের কথা। হিন্দু ধর্মগ্রন্থের কথা- যা ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ বাতিল।
যদি তাই হয়ে থাকে, তাহলে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের এদেশে, শতকরা ৯৫ ভাগ মুসলমান এদেশে মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ কুরআন শরীফ-এর আলোকে যা লেখা হয় তা কি করে কথিত আইনী প্রক্রিয়ায় পড়তে পারে।
খোদা না করুক যদি সত্যিই তা পড়ে এবং সে কারণে দৈনিক আল ইহসান অভিযুক্ত হয় তাহলে সর্বপ্রথম সারা পৃথিবীর ২৫০ কোটি মুসলমানের ধর্মগ্রন্থ কুরআন শরীফই বাংলাদেশ সরকারকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)
আর সংস্কৃতির রাজাকাররা নিজেরাও জানে যে, সে দুঃসাহস তাদের পৃষ্ঠপোষকতাকারী বর্তমান সরকার কেন? পৃথিবীর সব সরকারেরও নেই।
কারণ কুরআন শরীফ-এ আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “নিশ্চয়ই আমি এই কুরআন শরীফ নাযিল করেছি এবং আমিই একে রক্ষা করব।” (সুবহানাল্লাহ)
প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, মুজাদ্দিদে আযম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর বিবৃতিতে তাঁর তাজদীদী দৈনিক দৈনিক আল ইহসান শরীফ-এ মুরতাদদের ইসলামী শাস্তি মৃত্যুদ- বিষয়ক যে ব্যানার হেডিং গিয়েছে তা কুরআন শরীফ এর বিভিন্ন সূরার বিভিন্ন আয়াত শরীফ এর প্রেক্ষিতে।
সে কথা আবারো বলতে হয়, দৈনিক আর ইহসানে বিবৃত মুরতাদকে কতল করার আহ্বান মূলতঃ কুরআন সুন্নাহ বিবৃত ইলামেরই আহ্বান। আর রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের এদেশে কী সে ইসলামেরই কথা বলা যাবে না?
লেখা যাবে না?
প্রকাশ করা যাবে না?
প্রচার করা যাবে না?
রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের এদেশে ৯৫% মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে কুরআন শরীফ-এর সূরা পড়া, আয়াত পড়া, হাদীছ প্রচার করাই কি হবে মুসলামনের বড় অপরাধ? (নাউযুবিল্লাহ)
তা কি আদৌ রাষ্ট্রের তরফ থেকে প্রতিকার যোগ্য বিষয়? (নাউযুবিল্লাহ)
সংস্কৃতিবাদী রাজাকাররা কী তাহলে রাষ্ট্রকে, রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলে?
তাহলে কি রাষ্ট্র টিকবে?
রাষ্ট্র কি করে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামে বিশ্বাসী।
শতকরা ৯৫ ভাগ অধিবাসী মুসলমান তা মেনে নিবে?
গ্রহণ করবে কি?
বরদাশ্ত করবে কি?
৭১-এর পরাজিত শক্তি
৭১-এর রাজাকার থেকে আজকের সংস্কৃতির রাজাকাররা সে শিক্ষা নিতে পারে।
এদিকে, সংস্কৃতির রাজাকাররা আরো লিখেছে, ধর্মের আচার প্রতিষ্ঠা হোক এমন বাংলাদেশ তো আমরা চাইনি।
সত্যিই ৭১-এর রাজাকার আর সংস্কৃতির রাজাকার উভয়ের মধ্যে কী অপূর্ব মিল।
কোনো রাজাকারই মূলতঃ বাংলাদেশে বিশ্বাসী নয় । বিশ্বাসী হলে যেসব ৭১ এর রাজাকাররা পাকীদের পৃষ্ঠপোষকতা করতনা তেমনি সংস্কৃতির রাজাকাররা তাদের তথাকথিত সংস্কৃতি তথা ধর্মনিরপেক্ষতাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তথা বাংলাদেশ সৃষ্টির মূল মন্ত্র বলতনা। কারণ বাংলাদেশ সংবিধানের প্রস্তাবনায় লিখিত হয়েছে-
“আমরা অঙ্গীকার করিতেছি যে, যে সকল মহান আদর্শ আমাদের বীর জনগণকে জাতীয় স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধে আত্মনিয়োগ ও বীর শহীদদিগকে প্রাণোৎসর্গ করিতে উদ্বুদ্ধ করিয়াছিল সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস।”
দেখা যাচ্ছে আজকের সংস্কৃতির রাজাকাররা দৈনিক আল ইহসানকে সে কথিত রাষ্ট্রীয় আইনে অভিযুক্ত করার ষড়যন্ত্র করেছে উল্টো তারাই সেই রাষ্ট্রীয় আইনে রাষ্ট্রদ্রোহী, ধর্মদ্রোহী তথা সংবিধানদ্রোহী কথিত সংস্কৃতির রাজাকাররা। সঙ্গত কারণেই রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তাদের আশু কঠোর ব্যবস্থা এবং ইসলামী শাস্তি মৃত্যুদ- বাস্তবায়ন করা দরকার।
গত ১২ নভেম্বর ২০০৮ বুধবার প্রায় সবগুলো দৈনিক পত্রিকায়ই লীড নিউজ হয়েছে যে, “জামাতী রাজাকার সড়ক অবরোধে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ।” অর্থাৎ সরকার তার প্রয়োজনে এতদিন পর হলেও ঠিকই জামাত-শিবিরকে বেধড়ক পিটিয়েছে।
কিন্তু রাজশাহীতে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অবমননাকারী ‘কুত্তার বাচ্চা মুহম্মদ রসূল’ বার বার উচ্চারণকারী উদীচী মুরতাদ গং-এর বিরুদ্ধে প্রধান উপদেষ্টা, ধর্ম উপদেষ্টা, সংস্কৃতি উপদেষ্টা কারো একটা বিবৃতি, মুরতাদদের প্রতি নিন্দা ও ধিক্কার জ্ঞাপন এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস আদৌ দেখা গেলো না।
অথচ সরকারের বিভিন্ন উপদেষ্টা প্রায়ই শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে ম্যানেজ করার জন্য, নির্বাচন হওয়ার জন্য অনেক বিবৃতি দিয়ে থাকেন। এমনকি একসাথে চার উপদেষ্টা নেত্রীদের বাসায় গভীর রাতেও গিয়ে থাকেন।
অথচ তারা সবাই মুসলমান। পাশাপাশি ধর্ম উপদেষ্টা কয়েকবারই একথা বলেছেন যে, ইসলাম বিরোধী কোন আইন করা হবে না।
কিন্তু মধ্যকার অর্থে কোথায় রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের এদেশে ইসলামের পৃষ্ঠপোষকতা। কোথায় ইসলাম বিরোধী মুরতাদদের প্রতি কঠোরতা।
জামাতী রাজাকার এতদিন পরে পেটালেই কী হবে, সাথে মুরতাদদের তো পেটাতে হবে। ইসলামী শাস্তি মৃত্যুদ- দিতে হবে।
আসলে সরকার আছে মূলতঃ সরকারের ইসলাম নিয়ে। প্রকৃত ইসলাম নিয়ে নয়। সঙ্গতকারণেই দেশবাসী মুসলমানের কাছে প্রকৃত ইসলামের প্রেক্ষিতে দৈনিক আল ইহসানের প্রেসনোটে যা বলতে হয়,
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অবমাননাকারী ‘কুত্তার বাচ্চা মুহম্মদ’ বার বার উচ্চারণকারী উদীচী মুরতাদ গং ও তাদের দাদাগোষ্ঠী স্পেনের মতই এ ভূমি থেকে মুসলমানদের উঠিয়ে দিতে চায়। ফিলিস্তিনীদের মতই বাংলাদেশেই বাংলাদেশী মুসলমানদের পরবাসী করতে চায়। সংস্কৃতি তাদের বাহনা মাত্র।
দেশবাসী মুসলমান, মুরতাদদের ইসলামী শাস্তি- ‘মৃত্যুদ-’ বাস্তবায়নে একজোট হোন। ঈমান রক্ষা করুন, মুসলমান থাকুন, দেশ বাঁচান।
মুহতারাম দেশবাসী,
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ।
আমরা মুসলমান। আমাদের কালিমা শরীফ ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মদুর রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’। আমাদের রয়েছে সোনালী অতীত। সমৃদ্ধ ঐতিহ্য। গোটা পৃথিবীর অর্ধেকের বেশি শাসন করেছে মুসলমান। এশিয়া, আফ্রিকা পেরিয়ে ইউরোপের স্পেনেও ইসলামের পতাকা পতপত করে উড়েছে। ইসলামের সে সোনালী বিজয় ছিলো সেদিনের মর্দে মুজাহিদদের অমিততেজা ঈমানি জোর আর জিহাদী জজবার পূর্ণ প্রতিফলন। ইসলামী আদর্শ ও আমলে পরিপূর্ণ অবগাহন।
মুহতারাম মুসলমান,
ক্রুসেডের যুদ্ধের পর ইহুদী-খ্রিস্টানরা মর্মে মর্মে বুঝেছে যে, তারা মুসলমানদের সাথে কখনও সামনা-সামনি যুদ্ধে পারবে না। তাই তারা এরপর থেকেই পরিকল্পনা নেয়, মুসলমানদের ঈমানি অনুভূতি ও আমল নষ্ট করার। সে লক্ষে একদিকে তারা মুসলমানদের মাঝে নামধারী আলিমের অনুপ্রবেশ ঘটায় পাশাপাশি তারা সাধারণ মুসলমানদেরকে সংস্কৃতি ও ক্রীড়ার নামে নানা অনৈসলামিক কর্মকা-ে উৎসাহিত ও সম্পৃক্ত করে তাদের আমল নষ্ট করে দেয়। আজ আমরা নিজেরাও বুঝি যে, আমরা ইসলামী আমল করতে পারছি না। তবে আমরা নিজেরাও জানিনা যে, সুদূর অতীত থেকেই ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাদের আমলের পরিবেশ ধ্বংস করা হয়েছে। দুরভিসন্ধিমূলক এমন সাংস্কৃতিক আবহ তৈরি করা হয়েছে যাতে তার প্রভাবে আমাদের মন মানসিকতা সম্পূর্ণ অনৈসলামী সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত হয়ে উঠে।
মুসলমানদের তাহজীব-তমুদ্দুন নষ্ট করে দেয়ার জন্য ইহুদীরা আগেই প্রটোকল রচনা করেছিলো। হেমপারসহ আরো অনেকে ইহুদীকে মুসলমানদের মাঝে ধর্মীয় আলিমরূপে পাঠিয়ে ধর্মীয় কোন্দল তৈরি করেছিলো। এমনকি ব্রিটিশ প্রতিভূ লর্ড উইলিয়াম মেকলে প্রকাশ্যেই ঘোষণা দিয়েছিলো, “আমরা এদেশ ছেড়ে যাব ঠিকই; কিন্তু আমরা এদেশে এমন জনগোষ্ঠী পরিণত করে দেব যারা রক্ত, গোশত, চেহারায়, বর্ণে হবে ভারতীয়- কিন্তু তাদের চিন্তা, চেতনায় তারা হবে ইংরেজ”।
মুহতারাম মুসলমান,
ব্রিটিশ ভারতে হিন্দুরা সব সময় ফায়দা লুটেছে। তারা ব্রিটিশ সেজেছে এবং মুসলমানদের কোণঠাসা করেছে। কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, ‘মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু হলো ইহুদী এবং এরপরে মুশরিক অর্থাৎ হিন্দু’।
মুহতারাম মুসলমান,
হিন্দু ভারতে এখনও মুসলমান কচুকাটা হচ্ছে। অযোধ্য, গুজরাট, কাশ্মীর, উত্তর প্রদেশ সব জায়গাই মুসলমান কচুকাটা হচ্ছে। সম্প্রতি আসামে চলছে নির্বিচারে মুসলমানদের শহীদ করা।
ভারতের হিন্দুরা কখনই মুসলমানদের বরদাশত করতে পারে না। সাহিত্যিক সাংবাদিক আবুল কালাম শামসুদ্দীন তার আত্মজীবনীতে হিন্দু সেজে ভারতের হিন্দুদের এক গোপন বৈঠকের তথ্য জানান যে, “তারা বলেছিলো, স্পেন থেকে যেমন মুসলমানদের তিরোহিত করা হয়েছিলো তেমনি গোটা ব্রিটিশ ভারত থেকেও অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকেও মুসলমানদেরকে বিভিন্ন উপায়ে নিধন ও তিরোহিত করে দেয়া হবে”। (নাঊযুবিল্লাহ)
হিন্দুরা কখনও মুসলমানদের ভালো চায় না। সহ্য করতে পারে না। যা ঐতিহাসিকভাবে সত্য। যে কারণে ১৯০৬ সালে বাংলাদেশের আয়তন বৃদ্ধি করে বঙ্গভঙ্গ হলেও ১৯১১ সালে ভারতীয় হিন্দুদের প্রবল বিরোধিতার তোড়ে ব্রিটিশ সরকার তা রদ করতে বাধ্য হয়। হিন্দুরা এখনও বাংলাদেশে বিশ্বাসী নয়। সমর্থ্যবান হিন্দু প্রত্যেকেই ওপারে টাকা পাচার করে, ঠিকানা গড়ে। এদেশে বসে ষড়যন্ত্র করে কীভাবে এদেশের মুসলমানিত্ব নষ্ট করে দেয়া যায়? কিভাবে ইসলামের অবমাননা করা যায়?
মুহতারাম মুসলমান,
গত দু’বছর পূর্বে তারা ফরিদপুরে ‘কৃষ্ণকলি’ নাটক মঞ্চ অভিনয় করে। তাতে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অবমাননা করে। তখনও দেশব্যাপী প্রতিবাদ ও মামলা হলে তারা চুপ মেরে যায়। কিন্তু গত ৩রা নভেম্বর রাজশাহীতে ইসলাম বিদ্বেষী হিন্দুবাদী সে শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। আজ দেশ-বিদেশের ইহুদী, খ্রিস্টান, হিন্দুরা একযোগে একের পর এক মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম-পরম আঘাত হেনে যাচ্ছে। অকল্পনীয় স্পর্ধার সাথে তারা ইসলামের অবমাননা করে যাচ্ছে। উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কর্তৃক ‘মান্দার’ নাটকে আল্লাহ পাক-এর হাবীব-এর নাম মুবারক নিয়ে ব্যঙ্গ করেছে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে একটি তুচ্ছ চরিত্রের নাম রসূল রেখে তাঁকে বার বার ‘কুত্তার বাচ্চা মুহম্মদ রসূল’ বলেছে। (নাঊযুবিল্লাহ)
মুহতারাম মুসলমান!
আজকে যদি কেউ বলত, কুত্তার বাচ্চা ইয়াজউদ্দীন। কুত্তার বাচ্চা প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন। কুত্তার বাচ্চা সেনাবাহিনী প্রধান মইন। কুত্তার বাচ্চা শেখ মুজিব। কুত্তার বাচ্চা জিয়া। কুত্তার বাচ্চা হাসিনা। কুত্তার বাচ্চা খালেদা।
তাহলে তারা কী-রকম ক্ষুব্ধ হতেন এবং তাদের ভক্তরা কীরূপ ভীষণ সংক্ষুব্ধ হতেন এবং কত কঠোর শাস্তি তাদের হতো। এমনকি আপনি, আমি যে সাধারণ মানুষ আমাদেরকেও যদি কেউ কুত্তার বাচ্চা বলত, তাহলে আমাদের কীরকম খারাপ লাগতো? এবং ক্ষমতা থাকলে আমরা তাদের কীরকম শাস্তি দিতাম?
মুহতারাম মুসলমান,
যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে যে কালিমা শরীফ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহম্মদুর রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পড়ে আপনি, আমি মুসলমান হয়েছি যিনি আমাদের প্রাণাধিক প্রিয় রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে যদি কেউ গালি দেয় তাহলে আমরা কী করে ছাড়তে পারি?
মুহতারাম মুসলমান!
একথা ঠিক যে, আজ ইহুদী-খ্রিস্টান ষড়যন্ত্রে, আজ হিন্দু সংস্কৃতির প্রাবল্যে আমাদের আমল অনেক কমে গেছে। কিন্তু আমাদের যতই আমল কমুক, আল্লাহ পাক না করুন আমরা যতই গুনাহ করি না কেন আল্লাহ পাক-এর রহমতে আমাদের ঈমান তো অন্তত ঠিক আছে। ঈমান তো অন্তত ঠিক রাখতে হবে। ঈমানের উপর আঘাত করলে, আমাদের নবী, আমাদের রসূল, আমাদের আক্বা, আমাদের মাওলা আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি অবমাননা করলে তো আমরা আর ঠিক থাকতে পারিনা, আর বরদাশত করতে পারি না। আমরা তার বদলা গ্রহণ না করে পানি স্পর্শ করতে পারি না।
মুহতারাম মুসলমান,
শিখরা লম্বা চুল রাখে, হাতে বালা পরে মুসলমানদের রক্তের বন্যা বইয়ে দেয়ার সময়ের প্রতীক্ষায়। আমরা শিখদের চেয়েও অধম হয়ে গেলাম? আমাদের ঈমানি চেতনা কি তার চেয়েও ম্লান হয়ে গেলো?
মুহতারাম মুসলমান,
আসুন! আমরা যে দয়াল নবীজী হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ভুলে থাকি, তার আদর্শ থেকে দূরে থাকি এবার আসুন তার কাফ্ফারা আদায় করি। তাঁর অবমাননাকারীদের কতল করি। মুসলমান হিসেবে আপনাকে আমাকে বিশ্বাস করতে হবে যে, যারা আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অবমাননা করবে ৩ দিনের মধ্যে প্রকাশ্য তওবা না করলে তাদের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদ-।
মুহতারাম মুসলমান,
কুরআন শরীফ-এ আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “তোমরা তাদেরকে কতল কর, যারা আল্লাহ পাক ও তাঁর রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি ঈমান আনে না।” (সূরা আল ইমরান)
আরো ইরশাদ করেন, “মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, কাফির-মুশরিকদেরকে কতল করুন যেখানেই পান তাদেরকে পাকড়াও করুন, আবন্ধ করুন এবং তাদেরকে কতল করার সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। যদি তারা তওবা করে, নামায কায়িম করে, যাকাত আদায় করে তবে তাদেরকে ছেড়ে দিন। আল্লাহ পাক ক্ষমাশীল, দয়ালু।” (সূরা মুজাদালা)
মুহতারাম মুসলমান,
ইসলামের দৃষ্টিতে মুরতাদদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন। অথচ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ধূমকেতু নাট্য সংসদের ‘মান্দার’ নামক নাটকে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নাম মুবারক ব্যঙ্গ চরিত্রে ব্যবহার এবং তাঁর প্রতি বার বার চরম অশ্লীল গালি প্রদানকারীসহ সংশ্লিষ্ট সময়ের নিকৃষ্ট মুরতাদরা কেউ এখনও তওবা করেনি। কাজেই মুরতাদদেরকে মৃত্যুদ- দেয়া বাংলাদেশ সরকারসহ দেশের ১৫ কোটি মুসলমানের জন্য ফরয-ওয়াজিব। যে ব্যক্তি এ সকল মুরতাদদেরকে কতল বা হত্যা করতে পারবে তাকে আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত-এর পক্ষ থেকে উপযুক্ত পুরস্কারে পুরস্কৃত করা হবে ইনশাআল্লাহ। যদি তারা এ সকল মুরতাদদেরকে মৃত্যুদ- দিতে ব্যর্থ হয় তবে মহান আল্লাহ পাক ও তাঁর হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট তাদেরকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।
মুহতারাম মুসলমান,
হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “যখন কোন অন্যায় হতে দেখ হাত দিয়ে বাধা দাও। না হলে মুখে বলো।” কাজেই যাদের হাত দিয়ে বাধার ক্ষমতা নেই তারা তাহলে ঐ মুরতাদদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থান হতে ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম আঘাত হানার প্রতিবাদে মামলা করুন। মুরতাদদের বিষদাঁত ও কালো থাবা ভেঙ্গে দেন। ইসলামের উপর আঘাতের জবাব দিন। মুসলমানের ঈমান রক্ষা করুন। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহম্মদুর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলার হক্ব আদায় করুন। প্রকৃত মুসলমান হোন।
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০