ধর্মমন্ত্রী, ধর্ম উপদেষ্টা তথা ধর্মসচিব, তারা আসলে কোন ধর্মের লোক? অন্য ধর্মের প্রশংসাকারী তো মুসলমান থাকতে পারেনা

সংখ্যা: ১৮২তম সংখ্যা | বিভাগ:

গত ৬-১০-০৮ তারিখে পত্রিকাগুলোতে ধর্ম উপদেষ্টার বরাতে ছাপা হয়, “অসুর দমনের ন্যায় দেশ থেকে অশুভ কর্মকা-কে বিদায় দিতে হবে – ধর্ম উপদেষ্টা।”

খবরে বলা হয়, ধর্ম উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, অসুরকে দমনের ন্যায় দুর্গোৎসব প্রতিবছর মানুষকে হিংসা, বিদ্বেষসহ সমাজের সব অশুভ কর্মকা- দূর করতে পুনঃঅঙ্গীকারাবদ্ধ হওয়ার শিক্ষা দেয়।

উল্লেখ্য, এই ধর্ম উপদেষ্টা হাসান আরিফই ইতোপূর্বে বলেছিলেন যে, তার সরকার ইসলাম বিরোধী কিছু বলবে না। করবে না।

কিন্তু এখন খোদ ধর্ম উপদেষ্টাই ইসলাম বিরোধী কথা বললেন।

কারণ অসুর সম্পর্কে উপদেষ্টা যে কথা বলেছেন তা হিন্দুদের বিশ্বাস।

সে বিশ্বাসের কারণেই হিন্দুরা হিন্দু।

আর ধর্ম উপদেষ্টা ব্যক্তিগতভাবে মুসলমান।

তাহলে কোন জিনিস তাকে মুসলমান বানালো?

মূলতঃ কালিমা শরীফ মুখে স্বীকার ও অন্তরে বিশ্বাস করার নামই হলো ঈমান।

কালিমা শরীফ কি?

লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহম্মাদুর রসূলুল্লাহ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)

লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু নাই কোন মা’বুদ আল্লাহ ছাড়া। কিন্তু ধর্ম উপদেষ্টা যে আল্লাহ ছাড়াও মাবুদ মানলেন। দেবীর মাহাত্ম্য ঘোষণা করলেন।

অসুরের ক্ষমতাকে স্বীকৃতি দিলেন।

তাহলে কি আর তিনি কালিমা শরীফ বিশ্বাসী থাকলেন?

ঈমান কি তার থাকল?

মুসলমান কি তিনি থাকলেন?

হিন্দুদের মন্দিরে গিয়ে কি তিনিই হিন্দু হয়ে গেলেন না?

তিনি কি ঈমান হারালেন না?

মুসলমান থেকে বাদ হলেন না?

মূলতঃ ধর্ম উপদেষ্টা তথা সরকারের এরূপ জিহালতি ও গুমরাহির কারণেই মিডিয়াগুলো এখন হিন্দুদের মুখপত্ররূপে কাজ করছে।

সি.আর দত্ত রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তুলে দেয়ার কথা উচ্চারণ করতে পারছে।

তাদের সবার এই চরম উদ্ধত্যমূলক ও পরম স্পর্ধার সুযোগের জন্য মূলত দায়ী সরকার।

অর্থাৎ রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের এ সরকার শতকরা ৯৫ ভাগ মুসলমানের আদৌ প্রতিনিধিত্ব করছে না।

তাদের হক্ব আদায় করছে না।

ইসলামের মর্যাদা দিচ্ছে না।

 মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষা করছে না।

স্বার্থ রক্ষা করছে ঐ হিন্দুদের,

কাজেই সঙ্গতকারণেই মুসলমানকে তার ঈমান রক্ষার্থে, ইসলাম রক্ষার্থে

জিহাদী জজবায় অনুপ্রাণিত হতে হবে।

এসপার কি ওসপারের মীমাংসায় নামতে হবে। বুকের তাজা রক্ত ঢালতে হবে।

বঙ্গবন্ধু তার সৈনিকদের বলেছিলেন- প্রয়োজনে আরো রক্ত দিব। বঙ্গবন্ধু ঘোষিত সত্যিকার শোষণমুক্ত সমাজ আদৌ আসেনি বরং এখন ধর্মের ক্ষেত্রে ইসলামের ক্ষেত্রেও আজ শোষণ চলছে। সঙ্গতকারণেই সব মুসলামনকে আরো রক্ত ঢালার জন্য উন্মুখ থাকতে হবে।

রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের এদেশে ইসলামের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। হিন্দুদেরকে তোষণ আর মুসলমানদের শোষণ এ অবস্থার সম্পূর্ণ পরিবর্তন ঘটাতে হবে। নারায়ে তাকবীর আল্লাহু আকবার শ্লোগানে গগন বিদীর্ণ করতে হবে।

-মুহম্মদ এম. আলম

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।