নারী অধিকার প্রসঙ্গে

সংখ্যা: ২৩২তম সংখ্যা | বিভাগ:

সমস্ত প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি এবং অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম শরীফ পেশ করছি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি এবং আরো ছলাত শরীফ ও সালাম শরীফ পেশ করছি আমাদের প্রাণের আক্বা সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম এবং উনার সম্মানিত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি।

সত্য কথা। সত্য জীবন যাত্রা। জীবনের প্রদীপ নিভে গেলে সব হয়ে গেল হারা। সুতরাং জীবন চলার  শেষ পথই হচ্ছে একজন ব্যক্তির মৃত্যু অর্থাৎ দুনিয়া থেকে চলে যাওয়া। কিš‘ এই চলে যাওয়ার মধ্যেই রয়েছে আশে পাশে আত্মীয়-পরিজনের ব্যাথাতুর বাণী, অশ্রুস্বজল আঁখি। আমাদের মুসলিম দেশের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী যখন একজন মানুষ চলে যান বা ইন্তিকাল করেন তখন সে ব্যক্তি যদি তার আল-আওলাদ, স্ত্রীর জন্য কিছু অর্থাৎ সহায় সম্পদ রেখে না যান সে পরিবারের ছেলেমেয়েরা দিশেহারা হয়ে পড়ে। স্ত্রী কোন রোজগার না করায় পরবর্তীতে মাথা গুজে ঠাঁইয়ের জন্য, খাবার, ভরণ-পোষণের জন্য বেপর্দা হয়ে ঘরের বাইরে বের হতে হয়। অথচ সে মহিলা হয়তো কোনদিন পর্দার খিলাফ কোন কাজ করেননি। কিš‘ তার স্বামীর টাকা, বাড়ি-ঘর, সহায়-সম্পদ থাকলেও তাদের নামে লিখে না দেয়াতে পর্দাণশীন মহিলাদের জন্য ছেলে-মেয়েদের জন্য সে সম্পদ তাদের পেতে কঠিন হয়ে পড়ে। তার মূল কারণ, ছবি। সে পর্দাণশিন মহিলা ছবি তুলতো না। তার আজ ছবি তুলতে হচ্ছে। জালিম শাসক (সরকার) তাদের ছবি তুলতে বাধ্য করছে। এদেশে ৯৭% মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও মুসলমানদের শরীয়ত মুতাবিক ন্যায্য পাওনা থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছে।

অথচ সরকার প্রধান মুসলমান দাবি করেন আর মুসলমান দাবি যখন করেন, তাহলে কেন মুসলমানদের অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে না। সরকার প্রধান যদি সর্বত্র ফিংগার প্রিন্টের ব্যবস্থাকরেন তাহলে মুসলিম অধ্যুষিত দেশের মুসলিম মহিলা বা মা-বোনদের ছবি তোলার মত কবীরাহ গুনাহর কাজ করতে হয় না। ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমেই কাগজপত্র সবকিছু প্র¯‘ত করা সম্ভব হয়।

অতএব, সরকার প্রধান যেহেতু একজন মুসলিম; আর তাই মুসলিম নারীদের অধিকার বা পাওনা কিভাবে তারা ফিরে পাবে বা অক্ষুণœ থাকবে সে ব্যাপারে যদি সরকার সতর্ক না হন তাহলে দেশ প্রধান হিসেবে ক্বিয়ামতের দিন আপনাকে মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে পাকড়াও হতে হবে।

সুতরাং সরকার প্রধানের কাছে আমাদের মুসলিম নারীদের আহবান আপনি যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত আহলিয়া আমাদের প্রাণপ্রিয়া সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার নেক ছোহবতে আসুন। সম্মানিত শরীয়তে ছবির ফায়সালার বিষয় বুঝে না থাকলে বুঝে নিন। ‘পর্দা’র বিষয় বুঝে না থাকলে বুঝে নিন। তাহলেই আপনি নারীদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে পারবেন। তা না হলে কস্মিনকালেও সম্ভব নয়। দ্বীনি অর্থাৎ সম্মানিত শরীয়ত মুতাবিক বুঝ অন্তরে পয়দা করুন। রূহানী ফায়িজ-তাওয়াজ্জুহ হাসিল করুন; যদি তা করতে পারেন তবেই আপনার জন্যে রয়েছে ইহকাল পরকাল দু’কূলেরই ফায়দা (ভালাই)। যদি তওবা করে ফিরে আসেন তাহলে মহান আল্লাহ পাক আপনাকে ক্ষমা করবেন, দয়া করবেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

“তবে যারা তওবা করল এবং নেক কাজ করল! মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদেরকে ক্ষমা করবেন। মহান আল্লাহ পাক তওবা কবুলকারী এবং পরম দয়ালু। (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৬০)

আর সেই নেক কাজ করার জন্য আপনার দাওয়াত রইল। আপনিও নেক কাজ করুন। অন্যান্য মুসলিম মহিলাদেরকে নেক কাজ করার সুযোগ করে দিন।

আপনিও বাঁচুন এবং অন্যান্য মুসলিম মহিলাদেরকে গুণাহর কাজ থেকে বাঁচান। (আমীন)

              -আহমদ আজীমা ফারহা

খতীব-মাহিউদ্দীন গং ও দাজ্জালে কাজ্জাবা এবং একজন সাইফুল্লাহ মুনীর-এর কথা 

তথাকথিত ইসলামী রাজনীনিতে মশগুল হয়ে, ইসলাম ফেলে তারা এখন ভোটের রাজনীতির অনিবার্য অঙ্গ লোক দেখানো প্রবণতায় মশগুল হয়ে এক একজন মহা ‘রিয়া’ কারে পরিণত হয়েছে        

সরকার বনাম আলিমের অবস্থান ॥  হাইকোর্টের ফতওয়া বিরোধী রায় ও ফতওয়ার মূল্যায়ন এবং কাদিয়ানীদের কাফির ঘোষণায় সরকারের সম্পৃক্ততা প্রসঙ্গেঃ  এখনকার মাওলানা নামধারীদের তুলনায় আগেকার রাজা-বাদশাহরাও অনেক বেশী ধার্মিক ছিলেন। ধর্ম নিজেরা যতটুকু পারতেন করতেন কিন্তু ধর্মের প্রতি, ধর্মবেত্তাদের তথা আলিমদের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা ও মমত্ববোধ ছিল অনেক বেশী।   

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব।  খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১১         

বৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বৃটিশ ভূমিকা-১১