সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি এবং অফুরন্ত দরূদ ও সালাম পেশ করছি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি এবং আরো ছলাত সালাম পেশ করছি আমাদের প্রাণের আঁকা সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার প্রতি এবং উনার সম্মানিত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি।
খালিক্ব¡ মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “কোন মু’মিন পুরুষ-মহিলার জন্য এটা বৈধ নয় যে, মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোন বিষয় আদেশ করলে তার উপরে সে ভিন্ন মত পোষন করবে। আর যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের আদেশ অমান্য করবে সে প্রকাশ্যভাবে পথভ্রষ্ট হবে। (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৬)
সুতরাং উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার আলোকে আমাদের শরীয়ত উনার প্রতিটা আদেশ-নিষেধের উপর বিশ্বাস স্থাপনের সাথে সাথে পালন করা ফরয-ওয়াজিব। যদি আমরা মুসলমান দাবি করে থাকি, যদি আমরা মু’মিন-মু’মিনা দাবি করে থাকি, তাহলে অবশ্যই আমাদের ফরয, ওয়াজিব, নফল, মুস্তাহাব আমলগুলো যথাযথভাবে অবশ্যই পালন করা উচিত।
আমাদের মা-বোন, ভাইদের ভুলে যাওয়া উচিত নয়- শরীয়ত তথা পবিত্র দ্বীন ইসলামে পর্দার বিধান কতখানি গুরুত্ব সহকারে রয়েছে। মহিলাদেরকে পর্দা করতে হবে এবং পুরুষদেরকে এ ব্যাপারে সাহায্য করতে হবে। কোন পুরুষ যদি তার অধিনস্তদের পর্দা না করায় তাহলে সে ‘দাইয়্যূছ’ হিসেবে গণ্য হবে। আর সেটাই যদি হয়ে থাকে তবে বর্তমান পরিবেশ অবস্থার প্রতি তাকালে আমাদের সহজেই প্রতীয়মান হবে অধিকাংশ পুরুষরা তাহলে কোন অবস্থায় রয়েছে, স্ত্রী, মা, বোনদের পর্দা না করানোর কারণে সহজেই ‘দাইয়্যুছ’ বনে যাচ্ছে। অতএব, আমাদেরকে শরীয়ত মুতাবিক সতর্ক হতে হবে। সাবধান হতে হবে। আমরা যদি মুসলমানই হই আর যদি মু’মিন, মু’মিনা হয়ে থাকি তবে আমাদের দ্বারা গুনাহর কাজ যেন না হয়। যদি কবীরা গুনাহ, ছগীরাহ গুনাহ হয়েও যায় তাহলে যেন আমরা হাক্বীক্বীভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার সমীপে তওবা-ইস্তিগফার করতে পারি এবং দোয়া চাইতে থাকি যেন বেহায়া-বেপর্দা হতে না হয়। হাক্বীক্বী পর্দা করে নিজেদের ঈমান-আমল রক্ষা করতে পারি। আক্বীদা বিশুদ্ধ রাখতে পারি। ‘মনের পর্দা বড় পর্দা’ এমন বিভ্রান্তিমূলক কথার দ্বারা নিজেরা যেন বিভ্রান্ত না হই।
আমাদের মনে রাখতে হবে ভুল মানুষই করে থাকে। আমাদের হয়তো ভুল হয়ে থাকে তা সত্বেও সেই ভুল থেকে ফিরে আসা, সেই গুনাহ থেকে ফিরে আসা অর্থাৎ খালিছ তওবা করে পুনরায় সে ভুল এবং গুনাহ না করে নিজেদের শুধরিয়ে নেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। এতে মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশও পালন করা হবে এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নির্দেশ মুবারক পালনের সাথে সাথে উনাদের সন্তুষ্টিও পাওয়া যাবে। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি তওবা করে এবং আমলে ছালেহ করে তাহলে মহান আল্লাহ পাক তার অতীতের গুনাহখতাগুলো নেকিতে পরিণত করে দিবেন।” সুবহানাল্লাহ!
সুতরাং মু’মিনা মহিলাগণ যেন শরীয়ত মুতাবিক যতটুকু পর্দা পালন করা উচিত ততটুকু পর্দা পালন করতে পারি। এবং আমাদের মু’মিন ভাইরাও যেন স্ত্রী, মা, বোনদেরকে পর্দা করার ব্যাপারে সাহায্য সহযোগিতা করেন। এই দোয়া এবং আরযি পেশ করছি। আমীন।
-আহমদ আজিমা ফারহা
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৩৪
চাঁদ দেখা এবং নতুন চন্দ্রতারিখ শুরু নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা- ১
কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-১৮
কট্টর কমুনিস্ট মাওসেতুং এর নতুন ভাবশিষ্য ফুলতলীর লংমার্চ এবং তার শরয়ী পর্যালোচনা ও প্রসঙ্গ কথা