নির্বোধ রাষ্ট্রের অধীনে বোধশক্তিসম্পন্ন মানুষ বাস করতে পারে কিভাবে? কল্পিত রাষ্ট্র কথিত নির্বোধ বলেই পরকীয়া, খুন, সম্ভ্রমহরণ, ছিনতাই, রাহাজানি, পর্নোগ্রাফি, দুর্নীতি ইত্যাদির রহস্য বের করতে পারে না। আর সমাজে ব্যাপকহারে বেড়ে যাচ্ছে ওইসব অবক্ষয় জনিত ঘটনা। বোধশক্তিসম্পন্ন মানুষ আর কতকাল নির্বোধ রাষ্ট্রের অরাজকতা বরদাশত করবে? (১)

সংখ্যা: ২১০তম সংখ্যা | বিভাগ:

ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা বলে থাকেন রাষ্ট্রের কোনো ধর্ম থাকতে পারে না। কারণ তাদের ভাষায় রাষ্ট্র নির্বোধ। রাষ্ট্র কোনো ধর্মের পক্ষ নিতে পারে না।

বলাবাহুল্য, রাষ্ট্রকে যারা নির্বোধ হিসেবে পেতে চান

তারা জানেন না, তারা বুঝেন না

যে এতে করে তারা প্রজাসাধারণকে কোন জঙ্গলে ছেড়ে দেন। নির্বোধ রাষ্ট্র মানুষের প্রকৃতি বুঝে না

নির্বোধ রাষ্ট্র পরস্ত্রীর প্রতি পুরুষের কুদৃষ্টি

পুরুষের কু-ইচ্ছা পুরুষের কু-প্রবৃত্তির

কথা অনুধাবন করতে পারে না।

নির্বোধ রাষ্ট্র অর্থের প্রতি মানুষের দুর্নিবার আকর্ষণের কথা অনুধাবন করতে পারে না।

অর্থের জন্য যে- মানুষ মানুষকে খুন করতে পারে

মানুষ অমানুষ হতে পারে, বন্ধু বন্ধুকে খুন করতে পারে

স্বামী স্ত্রীকে খুন করতে পারে

স্ত্রী স্বামীকে খুন করতে পারে

এগুলো নির্বোধ রাষ্ট্র অনুধাবন করতে পারে না।

অথচ পত্র-পত্রিকায় এ ধরনের খবর প্রত্যহই পত্রস্থ হচ্ছে।

গত ১০ অক্টোবর ২০১১ ঈসায়ী তারিখ, সোমবার এ সংক্রান্ত খবর অনেক প্রকাশিত হয়েছে। ঐ দিন দৈনিক ইত্তেফাকে খবরের হেডিং হয়েছে

‘পরকীয়ার বলি পাহাড়পুর পল্লী বিদ্যুতের পরিচালক’।

খবরে বলা হয়- নওগাঁ পাহাড়পুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পরিচালক আমিনুল হাসান মুন্নু (৫২) সুন্দরী রুমার পরকীয়ার বলি হয়েছেন। এ হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতারকৃত সুন্দরী প্রেমিকা ইশরাত জাহান রুমা (৩০) এবং লাশ বহনকারী মাই-ক্রোবাস চালক পিযূষকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ও  লাশ জয়পুরহাটে নিয়ে ফেলে দেয়া বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়।

যেভাবে রহস্য উদঘাটন হলো: ঘটনার রাতে মিলন নামে গরু ব্যবসায়ী বারশিবালয়ের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় একটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে। সে বিষয়টি টহল পুলিশকে জানায়। পুলিশ দ্রুত সেখানে গিয়ে প্যান্ট পরিহিত অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে। তার শার্টের পকেট থেকে মোটর সাইকেলের চাবি, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশনের কাগজপত্র উদ্ধার করে পুলিশ। লাইসেন্সের নাম ঠিকানা অনুযায়ী পুলিশ মুন্নুর আপনজনদের খুঁজে পায়। পরদিন জয়পুরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে গিয়ে তার স্ত্রী মুন্নুর লাশ শনাক্ত করেন। সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। জয়পুরহাট পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হকের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মামলার তদন্ত শুরু হয়। গোপন সূত্রে সংবাদ পেয়ে গোলাপ হোসেনকে তদন্তকারী কর্মকর্তা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।  জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় যে, তার স্ত্রী রুমার সঙ্গে মুন্নুর সম্পর্ক থাকতে পারে। পুলিশ তাৎক্ষণিক রুমাকে থানায় নিয়ে আসে। জিজ্ঞাসাবাদে রুমা পুরো ঘটনার বিবরণ দেয়। তার স্বামী ২ অক্টোবর ঢাকা যান এবং ৪ অক্টোবর ফিরে আসবেন। এ সুযোগে মুন্নুর সঙ্গে রাত যাপনের জন্য স্বপ্নপুরীতে গিয়েছিল বলে রুমা জানায়।  রুমার স্বামী কাঁচামাল ব্যবসায়ী এবং ২০০০ সালে তাদের বিয়ে হয়। একমাত্র পুত্র সন্তান রয়েছে।

যেভাবে পরকীয়া প্রেম হয়: পাহাড়পুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পরিচালক আমিনুল হাসান মুন্নুর বাড়ি নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলায়। তার শ্বশুর বাড়ি জয়পুরহাট সদর থানার বিশ্বাসপাড়া এলাকায়। মুন্নু দুই সন্তানের জনক। সম্প্রতি মুন্নু শ্বশুর বাড়ির কাছে আলিশান দোতলা বাংলো নির্মাণের সময় সেখানে থাকতেন। প্রতিবেশী কাঁচামাল ব্যবসায়ী গোলাপ হোসেনের সুন্দরী স্ত্রী রুমার সঙ্গে প্রথমে ভাবী বলে পরিচয় হয়। এরপর উভয়ের মধ্যে মন দেয়া-নেয়া চলে বলে তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ জানান। গত বুধবার জয়পুরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে মুন্নুর লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়। পুলিশ স্বপ্নপুরীর উক্ত বাংলোতে রেজিস্ট্রারে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় এবং লিখিত কাগজটি উদ্ধার করেছে।

উল্লেখ্য, রাষ্ট্র নির্বোধ বলেই

খোলামেলা থাকলে

পর্দাবৃত না থাকলে;

মুন্নু-রুমার মতো এরকম অনেক ঘটনা ঘটছে এবং ঘটতে পারে তা অনুধাবন করতে পারে না।

ঢাকা সিটি করপোরেশনের (ডিসিসি) তথ্য অনুযায়ী, শুধু রাজধানীতেই বছরে পাঁচ হাজার বিয়ে বিচ্ছেদ হচ্ছে। গত ৪ বছরে ১৫ হাজারেরও বেশি বিয়ে ভেঙে গেছে। উচ্চবিত্তদের মধ্যেই এর সংখ্যা বেশি। ডিসিসির সালিশ বোর্ডের কাছে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে আরও প্রায় ৫০ হাজার আবেদন। বিয়ে বিচ্ছেদে এসব আবেদনের ৭০ ভাগই করেছেন মহিলারা। ডিসিসি’র সালিশ বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী বিয়ে বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে আবেদনকারীরা পরকীয়াকে দায়ী করেন। (ইনশাআল্লাহ চলবে)

-মুহম্মদ ওয়ালীউল্লাহ

প্রসঙ্গঃ শাইখুল হদসের দরসে বুখারীর পঞ্চাশ বছর পূর্তি ॥ নামধারী জাহিরী আলিমদের ডামাডোলের বিপরীতে মুজাদ্দিদুয্ যামানের পরিচয়-৩

প্রসঙ্গঃ গণতন্ত্র; এখনই চরম সময় বিষয়টি ভাবিবার- ১২

আকবরের আমলের উলামায়ে ‘ছূ’দের উত্তরাধিকারী মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে দ্বীন-ই-ইলাহীর আদলে দ্বীন-ই-জুমহুরী প্রচলনে তারা এক হয়েছে-৭

জাতীয় হেলাল কমিটির চরম গাফলতি এবং প্রাসঙ্গিক কথা

একটি কথোপকথন লংমার্চ, হরতাল, মৌলবাদ, ব্লাসফেমী, কুশপুত্তলিকা দাহ; অতঃপর কি আপনারা এই পথের ………অভিমুখে