মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عَنْ اُمِّ الْمُؤْمِنِـيْـنَ الثَّالِثَةِ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اَلصّـِدِّيْـقَةِ عَلَيْـهَا السَّلَامُ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَاَلَ رَبَّهٗ اَنْ يُّـحْيِـىَ اَبَـوَيْهِ فَاَحْيَاهُـمَا لَهٗ فاٰمَنَا بِهٖ ثُـمَّ اَمَاتَـهُمَا
অর্থ: “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। (তিনি বলেন,) নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি (সরাসরি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ উনাদের নিকট মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক রাখেন এবং) মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট সম্মানিত দো‘আ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদেরকে উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ থেকে তুলে সরাসরি উনার সামনে উপস্থিত করেন। অতঃপর মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদেরকে উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ থেকে তুলে সরাসরি উনার সামনে উপস্থিত করেন। তারপর উনারা দীর্ঘ সময় উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছোহবত মুবারক-এ সম্মানিত অবস্থান মুবারক করেন, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছোহবত মুবারক গ্রহণ করেন। তিনি উনাদেরকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছোহবত মুবারক হাদিয়া মুবারক করেন। অতঃপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনারা যে পূর্ব থেকেই উনার প্রতি সম্মানিত ঈমান মুবারক এনেছিলেন, উনারা উনাদের সেই সম্মানিত ঈমান মুবারক উনার বিষয়টি প্রকাশ করেন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাদের সম্মানিত ঈমান মুবারক উনার বিষয়টি তাছদীক্ব মুবারক করেন। তারপর মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদেরকে উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ উনার মধ্যে তাশরীফ মুবারক নেয়ার জন্য বলেন। উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত আহ্বান মুবারক-এ সাড়া দিয়ে উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ উনার মধ্যে তাশরীফ মুবারক নেন।” সুবহানাল্লাহ! (আর রওদ্বুল উন্ফ ১/২৯৬, আল হাওই ২/২৭৭, মাসালিকুল হুনাফা ৩৭ নং পৃষ্ঠা, নাশরুল আলামীন ১০-১১ নং পৃষ্ঠা, আস সুবুলুল জালিয়্যাহ্ ফিল আবায়িল আলিয়্যাহ্ ৭ নং পৃষ্ঠা, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১/২৫৯, তারীখুল খমীস ১/২৩০, রদ্দুল মুহতার ১৬/২৮০ ইত্যাদি)
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার রাতে এবং সম্মানিত বিদায় হজ্জ মুবারক উনার সময় উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ উনার নিকট উপস্থিত হয়ে উনাদেরকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছোহবত মুবারক, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দীদার মুবারক হাদিয়া করেন। সুবহানাল্লাহ! এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ঘটনা মুবারক উনার মাধ্যমে ৩টি বিষয় স্পষ্ট করে দেয়া হয়েছে-
১. নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনারা যে পূর্ব থেকেই উনার প্রতি সম্মানিত ঈমান মুবারক এনেছিলেন, উনারা উনাদের সেই সম্মানিত ঈমান মুবারক উনার বিষয়টি প্রকাশ করেছেন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাদের সম্মানিত ঈমান মুবারক উনার বিষয়টি তাছদীক্ব মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
২. নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনারা যে পূর্ব থেকেই উনার প্রতি সম্মানিত ঈমান মুবারক এনেছিলেন, সেই বিষয়টি বিশ্ববাসীর নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
৩. মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াত এবং রিসালত মুবারক প্রকাশ পাওয়ার পর ২৩ বছর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জিন্দেগী মুবারকের ছোহবত মুবারকের যে বেমেছাল ফযীলত ও বরকত মুবারক, সেটা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে হাদিয়া মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছোহবত মুবারক লাভ করার জন্যই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার রাতে সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা সম্মানিত বায়তুল মুক্বাদ্দাস শরীফ উনার মধ্যে উপস্থিত হন এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছোহবত মুবারক গ্রহণ করেন। আর স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ উনার নিকট উপস্থিত হয়ে উনাদেরকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছোহবত মুবারক হাদিয়া করেন।” সুবহানাল্লাহ!
তাহলে এখান থেকেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায় যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূূর্গী-সম্মান মুবারক ও পবিত্রতা মুবারক কত বেমেছাল। সুবহানাল্লাহ! উনারা শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন উনারা। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছোহবত মুবারক এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুত তাবার্রুক মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র স্পর্শ মুবারক) কতটুকু ফজিলতপূর্ণ, বুযূর্গী সম্পন্ন এবং নাজাতের উছিলা সে সম্পর্কে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছেন-
كَانَ فِـىْ بَـنِـىْ اِسْرَائِـيْلَ رَجُلٌ عَصَى اللهَ مِائَـتَـىْ سَنَةٍ ثُـمَّ مَاتَ فَاَخَذُوْا بِرِجْلِهٖ فَاَلْقَوْهُ عَلـٰى مَزْبَـلَةٍ فَاَوْحَى اللهُ اِلـٰى حَضْرَتْ مُوْسٰى عَلَيْهِ السَّلَامُ اَنِ اخْرُجْ فَصَلِّ عَلَيْهِ قَالَ يَا رَبِّ بَـنُـوْ اِسْرَائِـيْلَ شَهِدُوْا اَنَّهٗ عَصَاكَ مِائَـتَـىْ سَنَةٍ فَاَوْحَى اللهُ اِلَيْهِ نَـعَمْ هٰكَذَا كَانَ اِلَّا اَنَّهٗ كَانَ كُلَّمَا نَشَرَ التَّـوْرَاةَ وَنَظَرَ اِلَـى اسْمِ سَيِّدِنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدٍ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَـبَّـلَهٗ وَوَضَعَهٗ عَلـٰى عَيْـنَـيْهِ وَصَلّٰـى عَلَيْهِ فَشَكَـرْتُ لَهٗ ذٰلِكَ وَغَفَرْتُ ذُنُـوْبَهٗ وَزَوَّجْتُهٗ سَبْعِـيْـنَ حَوْرَاءَ
অর্থ: “বনী ইসরাঈলে একজন ব্যক্তি ছিলো। (সে দুই শত বছর হায়াত পেয়েছিলো এবং) সে দুই শত বছর মহান আল্লাহ পাক উনার নাফরমানী করেছিলো। তারপর সে ইন্তেকাল করলো। তখন লোকজন তার পায়ে ধরে তাকে টেনে হেঁচড়ে গোবর পূর্ণ স্থানে, গোবরের স্তূপে নিক্ষেপ করলো। আর যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি জলীলুল ক্বদর নবী ও রসূল হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে সম্মানিত ওহী মুবারক করলেন যে, আপনি বের হোন, যান, (অমুক জায়গায় এক ব্যক্তি ইন্তেকাল করেছে।) আপনি ঐ ব্যক্তির (গোসল, কাফন-দাফনের ব্যবস্থা করুন এবং তার) জানাযার নামায পড়–ন। হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, আয় বারে এলাহী! বনী ইসরাঈলরা সাক্ষী দিয়েছে যে, নিশ্চয়ই এই ব্যক্তি (দুই শত বছর হায়াত পেয়েছে এবং) দুই শত বছর আপনার নাফরমানী করেছে। (কেউ তাকে কখনও কোনো নেক কাজ করতে দেখেনি। তাকে সবাই ঘৃণা করে। যার কারণে তারা তার লাশ গোবর পূর্ণ স্থানে, গোবরের স্তূপে ফেলে রেখেছে।) তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার নিকট সম্মানিত ওহী মুবারক করে বললেন, হ্যাঁ; সে এরূপই ছিলো। তবে সে (একবার সম্মানিত তাওরাত শরীফ উনার একটা নুসখা পেয়েছিলো) সম্মানিত তাওরাত শরীফ উনার নুসখা মুবারক খুলে যখনই সে আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক দেখেছিলো, তখনই সে মুহব্বতের সাথে খুশি মুবারক প্রকাশ করে আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক ‘সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উনার মধ্যে (একবার মাত্র) বুছা দিয়েছিলো এবং মুহব্বতের সাথে খুশি মুবারক প্রকাশ করে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম মুবারক তার দুই চোখে লাগিয়েছিলো এবং উনার প্রতি সম্মানিত ছলাত মুবারক পাঠ করেছিলো। সুবহানাল্লাহ! এই কারণে আমি তাকে উত্তম প্রতিদান দান করি। সুবহানাল্লাহ! তার জীবনের সমস্ত গুনাহ-খতাগুলো ক্ষমা করে দিয়েছি এবং তার সাথে সত্তর জন হুরের বিবাহ দিয়েছি। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ তার উপর জাহান্নাম হারাম করে সম্মানিত জান্নাত মুবারক ওয়াজিব করে দিয়েছি এবং আপনার মতো একজন জলীলুল ক্বদর নবী এবং রসূল হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার জন্য তার গোসল, কাফন-দাফন করা এবং তার জানাযার নামায পড়া ফরয করে দিয়েছি।” সুবহানাল্লাহ! (খছায়িছুল কুবরা ১/২৯, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১/৪১২, সীরাতে হালবিয়্যাহ্ ১/১৩৬, তাফসীরে দুররে মানছূর ৩/৫৭৯, রূহুল বয়ান ৭/১৮৫, হিলইয়াতুল আউলিয়া ৪/৪২, আল বিদায়াহ্ ওয়ান নিহায়াহ্ ৯/৩০২, শরহুয যারক্বানী ৮/৪০০, সিয়ারুছ ছালফিছ ছালিহীন ইত্যাদি)
এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক-এ শুধুমাত্র একবার বুছা দিয়ে সবচেয়ে বড় নাফরমান সর্বোচ্চ জান্নাতী হিসেবে সাব্যস্ত হয়েছে। অথচ সে মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত ছোহবত মুবারক এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুত তাবার্রুক মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র স্পর্শ মুবারক) অথবা সরাসরি দিদার মুবারক লাভ করতে পারেনি। তারপরও সে যদি একজন শ্রেষ্ঠ জান্নাতী হয়ে যায়, তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদের ফায়ছালা মুবারক কি? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা আলাইহিস সালাম তিনি দীর্ঘ ২৫ বছর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মূল নূর মুবারক ধারণ করেছেন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আম্মা আলাইহাস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রেহেম শরীফ-এ) ৮ মাস সোয়া ১১ দিন ধারণ করেছেন অত:পর দীর্ঘ ছয় বছর উনাকে অত্যন্ত মুহব্বত মুবারক উনার সাথে আদর-স্নেহ মুবারক করেছেন এবং উনাকে অসংখ্য বার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুত তাসকীন মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বূছা মুবারক) দিয়েছেন, উনার দিদার মুবারক হাছিল করেছেন উনারা আবার হচ্ছেন সরাসরি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম। সুবহানাল্লাহ! তাহলে উনাদের মর্যাদা ও মর্তবা মুবারক সম্পর্কে এবং উনারা জান্নাতী ও ঈমানদার কিনা এই প্রশ্ন আসবে কেন? কারণ উপরোক্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদিছ শরীফসমূহ দ্বারা এ বিষয়টিই প্রমানিত হচ্ছেন যে, উনারা শুধু জান্নাতীই নন এবং জান্নাত উনার মুহতাজও নন; বরং জান্নাতই উনাদের মুহতাজ নিজের ওজুদ মুবারক বজায় রাখার জন্য। উনারাই হচ্ছেন সম্মানিত জান্নাত মুবারকসহ সমস্ত সৃষ্টির মালিক। সুবহানাল্লাহ! মূলত সম্মানিত জান্নাত মুবারকসহ সমস্ত কায়িনাত সৃষ্টিই করা হয়েছে উনাদের সম্মানিত গোলামী মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার জন্য। সম্মানিত জান্নাত মুবারক উদগ্রীব হয়ে রয়েছেন কখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনারা সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ দয়া করে প্রবেশ করবেন। সুবহানাল্লাহ!
বিশেষভাবে উল্লেখ্য, এ বিষয়টি যারা বালহুম আদল ও বাতিল ফিরকার অন্তভূর্ক্ত তারাই বুঝতে পারবে না। এ ব্যতিত যারা হক্ব এবং হক্ব তালাশী তারা সহজেই বুঝতে পারবে।
অতএব, যারা উনাদের সম্পর্কে চুঁ-চেরা করবে তারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শরীয়ত মুবারক উনার ফতওয়া অনুযায়ী সবচেয়ে বড় কাট্টা কাফির, চিরজাহান্নামী, চিরমাল‘ঊন। তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি হচ্ছে মৃত্যুদণ্ড।” সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!
খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার সম্মানার্থে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদের বেমেছাল শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযুর্গী-সম্মান মুবারক উপলব্ধি করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ ইবনে ছিদ্দীকুর রহমান