যিনি খ্বলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَا كَانَ لِاَهْلِ الْمَدِيْنَةِ وَمَنْ حَوْلَـهُمْ مِنَ الْاَعْرَابِ اَنْ يَّتَخَلَّفُوْا عَنْ رَّسُوْلِ اللهِ وَلَا يَرْغَبُوْا بِاَنْفُسِهِمْ عَنْ نَّفْسِهٖ.
অর্থ: “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফবাসী এবং পার্শ্ববর্তী পল্লীবাসী উনাদের জন্য অর্থাৎ আরব-অনারব সমস্ত পৃথিবীর কারো জন্য কস্মিনকালেও জায়েয নেই বা জায়েয হবে না নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গ ত্যাগ করে পেছনে থেকে যাওয়া এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল আম্র মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র প্রাণ মুবারক) থেকে নিজেদের প্রাণকে অধিক প্রিয় মনে করা।” (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা তাওবা শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১২০)
অর্থাৎ সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের জন্য ফরযে আইন হচ্ছে- নিজেদের জীবন থেকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বেশী মুহব্বত মুবারক করা। সুবহানাল্লাহ!
এ সম্পর্কে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى الله عَليْهِ وسَلَّمَ لَا يُؤْمِنُ اَحَدُكُمْ حَتّٰـى اَكُوْنَ اَحَبَّ اِلَيْهِ مِنْ وَّالِدِهٖ وَوَلَدِهٖ وَالنَّاسِ اَجْـمَعِيْـنَ وَفِـىْ رِوَايَةٍ مِّنْ مَّالِهٖ وَنَفْسِهٖ.
অর্থ: “হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা আমাকে তোমাদের পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি এবং সমস্ত মানুষ থেকে বেশি মুহব্বত না করবে। আর অন্য বর্ণনায় এসেছে, সমস্ত ধন-সম্পদ থেকে এবং নিজের জীবনের চেয়ে বেশি মুহব্বত না করবে (ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার হতে পারবে না)।” (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, নাসাঈ শরীফ, ইবনে মাজাহ শরীফ, মুসনাদে আহমদ, ছহীহ ইবনে হিব্বান, মুসনাদে বাযযার, আবী ইয়া’লা, মুস্তাদ্রকে হাকিম, আবী আউওয়ানা, আল মু’জামুল কাবীর, আল মু’জামুল আওসাত্ব, দারিমী, মিশকাত শরীফ ইত্যাদি)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ধন-সম্পদ, পিতা-মাতা, ভাই-বোন, আল-আওলাদ, আহাল-ইয়াল, স্বামী-স্ত্রী, সন্তান-সন্ততি, পাড়া-প্রতিবেশী তথা সমস্ত মানুষ থেকে; এমনকি নিজের জীবনের চেয়েও বেশি মুহব্বত করা ফরযে আইন। সুবহানাল্লাহ! ঠিক একইভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকেও ধন-সম্পদ, পিতা-মাতা, ভাই-বোন, আল-আওলাদ, আহাল-ইয়াল, স্বামী-স্ত্রী, সন্তান-সন্ততি, পাড়া-প্রতিবেশী তথা সমস্ত মানুষ থেকে; এমনকি নিজের জীবনের চেয়েও বেশি মুহব্বত করা ফরযে আইন। সুবহানাল্লাহ!
এ সম্পর্কে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৭ই সফর শরীফ লাইলাতুল জুমু‘আহ্ শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “মানুষ এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার অর্থ করে থাকে
اَلنَّبِـىُّ اَوْلـٰى بِالْمُؤْمِنِيْـنَ مِنْ اَنْفُسِهِمْ وَاَزْوَاجُهۤٗ اُمَّهٰتُهُمْ.
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন মু’মিন উনাদের নিকট উনাদের জানের চেয়ে অধিক প্রিয় এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা হচ্ছেন সমস্ত মু’মিন উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাতা আলাইহিন্নাস সালাম।” (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৬)
আসলে অর্থটা সঠিক না। এটা ভুল অর্থ।
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি আজকে (৬ই ছফর শরীফ ইয়াওমুল খ্বমীস শরীফ দিনে) আমাকে বললেন-
اَلنَّبِـىُّ اَوْلـٰى بِالْمُؤْمِنِيْـنَ مِنْ اَنْفُسِهِمْ وَاَزْوَاجُهۤٗ اُمَّهٰتُهُمْ.
এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার অর্থ কী? আমি (বিনয় মুবারক প্রকাশ করে) বললাম, আমি জানি না। আপনারা শিক্ষা না দিলে জানবো কোথায় থেকে? (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)
তিনি আমাকে বললেন, মানুষ এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার অর্থ করে থাকে-
اَلنَّبِـىُّ اَوْلـٰى بِالْمُؤْمِنِيْنَ مِنْ اَنْفُسِهِمْ وَاَزْوَاجُهۤٗ اُمَّهٰتُهُمْ.
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন মু’মিন উনাদের নিকট উনাদের জানের চেয়ে অধিক প্রিয় এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা হচ্ছেন সমস্ত মু’মিন উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাতা আলাইহিন্নাস সালাম।” (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৬)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি বললেন, এই অর্থটা সঠিক না। এটা অর্ধেক অর্থ করা হয়। এই অর্থটা ভুল। সঠিক অর্থ হবে,
اَلنَّبِـىُّ اَوْلـٰى بِالْمُؤْمِنِيْـنَ مِنْ اَنْفُسِهِمْ وَاَزْوَاجُهۤٗ اُمَّهٰتُهُمْ.
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা মু’মিন উনাদের নিকট উনাদের জানের চেয়ে অধিক প্রিয় এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন সমস্ত সৃষ্টির মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পিতা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা হচ্ছেন সমস্ত সৃষ্টির মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাতা আলাইহিন্নাস সালাম।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৬)
প্রথমে-
اَلنَّبِـىُّ اَوْلـٰى بِالْمُؤْمِنِيْـنَ مِنْ اَنْفُسِهِمْ وَاَزْوَاجُهٗ
এতটুকু এক সাথে অর্থ হবে- “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা মু’মিন উনাদের নিকট উনাদের জানের চেয়ে অধিক প্রিয়।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)
তারপর অর্থ হবে- এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন সমস্ত সৃষ্টির মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পিতা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা হচ্ছেন সমস্ত সৃষ্টির মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাতা আলাইহিন্নাস সালাম।” সুবহানাল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জান থেকে প্রিয়। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা কি তাহলে অপ্রিয়? না‘ঊযুবিল্লাহ!
মানুষ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক বুঝে না। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক বুঝানোর জন্য উনারা আজকে আমাকে এটা বলেছেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেমন জান থেকে প্রিয়, ঠিক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারাও জান থেকে প্রিয়। এটা যদি কেউ বিশ্বাস না করে, তাহলে সে কস্মিনকালেও ঈমানদার হতে পারবে না। বিশ্বাস করতে হবে। বিশ্বাস না করলে ঈমানদার হতে পারবে না।
اَلنَّبِـىُّ اَوْلـٰى بِالْمُؤْمِنِيْـنَ مِنْ اَنْفُسِهِمْ وَاَزْوَاجُهۤٗ اُمَّهٰتُهُمْ.
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা মু’মিন উনাদের নিকট উনাদের জানের চেয়ে অধিক প্রিয় এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন সমস্ত সৃষ্টির মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পিতা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা হচ্ছেন সমস্ত সৃষ্টির মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাতা আলাইহিন্নাস সালাম।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৬)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি বললেন, এভাবে অর্থ করতে হবে। তারপর প্রথমে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি সমর্থন করে বললেন, এই অর্থটাই সঠিক। এই অর্থই করতে হবে। উনার পরে সমস্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা সমর্থন করলেন এবং বললেন, এই অর্থটাই সঠিক। এই অর্থই করতে হবে। তারপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, হ্যাঁ। এটাই সঠিক। এটাই অর্থ করতে হবে এবং যিনি খ্বলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনিও বললেন, হ্যাঁ; এটাই সঠিক, এটাই অর্থ করতে হবে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)
কাজইে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেমন জান থেকে প্রিয়, ঠিক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারাও জান থেকে প্রিয়। এটা বিশ্বাস করতে হবে। এটা বিশ্বাস করা ফরযে আইন। এটা যদি কেউ বিশ্বাস না করে, তাহলে সে কস্মিনকালেও ঈমানদার হতে পারবে না।
কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার শরীয়তে মাকে পিতার চেয়ে ৯ গুণ মুহব্বত করা হতো। আমাদের শরীয়তে মাকে পিতার চেয়ে ৩ গুণ বেশি মুহব্বত করতে হয়। তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে কয় গুণ মুহব্বত করতে হবে? তাহলে উনাদের ফযীলত কতটুকু?
১৪শত বছর অতিবাহিত হয়ে গেছে। কেউ কি এই অর্থ করেছে? কেউ কি জানতো? তারা অর্থটাই ঠিক করতে পারেনি। মানুষ উল্টো অর্থ করে থাকে।
এখন আমার বেশির ভাগ সময় ঐখানেই অর্থাৎ যিনি খ্বলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার মহাসম্মানিত হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা আলাইহিস সালাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আম্মা আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সম্মানিত ছোহবত মুবারকেই কাটতেছে। সময় পাওয়া মুশকিল হয়ে গেছে।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)
কাজেই, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুরূপ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকেও সমস্ত কিছু থেকে; এমনকি নিজের জীবনের চেয়েও বেশি মুহব্বত করা ফরযে আইন। সুবহানাল্লাহ!
যিনি খ্বলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুরূপ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকেও সমস্ত কিছু থেকে; এমনকি নিজের জীবনের চেয়েও বেশি মুহব্বত করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!
-মুফতী মুহাদ্দিছ মুহম্মদ ইবনে মারইয়াম।