কালামুল্লাহ্ শরীফের সূরা হুদের ১১৩নং আয়াত শরীফে আল্লাহ্ পাক ঈমানদার বান্দাগণকে লক্ষ্য করে ইরশাদ করেন, “যারা পাপিষ্ঠ তাদের প্রতি ঝুকবেনা নতুবা তোমাদেরকেও আগুনে ধরবে …….।”
আল্লামা কাজী বায়যাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি এ আয়াত শরীফের তাফসীরে বলেন, আল্লাহ পাক-এর নাফরমানীকে নিষিদ্ধ ও হারাম ঘোষণা করার জন্য এ আয়াত শরীফে মহান রব্বুল আলামীন যেরূপ কঠোর ভাষা প্রয়োগ করেছেন, এর চেয়ে কঠোর জোড়ালো ভাষা কল্পনাও করা যায় না। এখানে শুধু পাপিষ্ঠদের সাথে অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ব ওগভীর সম্পর্ককেই নিষেধ করা হয়নি বরং তাদের প্রতি সামান্যতম আকৃষ্ট হওয়া, তাদের সাথে উপবেশন করা এবং তাদের কার্যকলাপের প্রতি মৌনতা অবলম্বনও নিষেধ করা হয়েছে।
অথচ গত ১৯শে অক্টোবর পল্টন ময়দানে ইসলামের নামে ধর্মব্যবসায়ী তাবৎ উলামায়ে ছু’রা ফাসেক ফুজ্জার তথা পাপিষ্ঠদের কথিত মহাসমাবেশে সদলবলে যোগদান করে। দুপুর থেকে শুরু হওয়া ঐ জনসমাবেশে সর্বক্ষণিকভাবে চলছিলো ব্যান্ড পাটিগুলোর অনবরত বাজনার ঝনঝনানি, চতুর্দিক থেকে ভ্রাম্যমান ভিডিও ও ক্যামেরার মূহমূহ ছবি তোলা, দফায় দফায় হাত তালি দেওয়া, মঞ্চের চতুর্দিকে শত শত বেপর্দা বেগানা মহিলাদের কর্তৃক আবৃত থাকা, ফাঁকে ফাঁকে বেগানা মহিলা নেত্রীর বদনের দিকে তাকিয়ে আলাপ করা। অর্থাৎ আল্লাহ্ পাক-এর নাফরমানীমূলক সমুদয় কাজেরই মহাসমাবেশ ছিলো সেদিন। আর এ কথা সমস্ত মুসলমানই কমবেশী জানে যে, যারা আল্লাহ পাক-এর নাফরমানি করে, অবাধ্য হয় তারাই মূলতঃ পাপিষ্ঠ।
মূলতঃ যামানার মুজাদ্দিদের বিরোধীতাকারী এদেশের শীর্ষস্থানীয় তাবৎ উলামায়ে ছু’রা উক্ত মহাসমাবেশে যোগদান করে চরম পাপিষ্ঠ, নাফরমান তথা আল্লাহ্ পাক ও তাঁর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর দুশমন হিসেবে সাব্যস্ত হয়েছে। তাদের প্রতি আল্লাহ্ পাক-এর এমন খোদায়ী গজব সে দিন বর্ষিত হয়েছিলো যে, তারা আল্লাহ পাক-এর ফরয ইবাদত পবিত্র আছর নামাযও তরক করতে বাধ্য হয়েছে।
-মুনজির মুহম্মদ গিয়াস উদ্দীন, ঢাকা।
ইরাকের মীরজাফর সাদ্দাম রাশিয়ার বেলারুশ যেতে চায় কেন?
প্রসঙ্গঃ ছবি, অশ্লীল ছবি ইনকিলাব ও হাটহাজারীর আহমক শাফী উপাখ্যান