প্রতি বছরই পহেলা বৈশাখ পালনকারীরা প্রার্থনা ও প্রত্যাশা করে। কিন্তু প্রতি বছরই দুর্ভোগ আরো বাড়ে। প্রকৃতি ও পহেলা বৈশাখের কাছে মুসলমানদের প্রার্থনা ও প্রত্যাশা করার কিছু নেই।

সংখ্যা: ২০৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

গত ১৩ই এপ্রিল অর্থাৎ পহেলা বৈশাখের আগের দিন একটি পত্রিকায় প্রথম পৃষ্ঠায় বিশাল ছবির ক্যাপশন ছিল “জীর্ণ পুরাতন ভেসে যাক, মুছে যাক গ্লানি……… বিদায়ী বছরের অন্তিম সূর্যের কাছে জাতির প্রণতি।”
উল্লেখ্য, জাতি হিসেবে বাঙালি বলা হলেও সরকারি ভাষায় নাগরিক হিসেবে সবাই বাংলাদেশী। যার সাতানব্বই ভাগ বাংলাদেশীই মুসলমান। ইসলাম তাদের দ্বীন। রব লা-শরীক আল্লাহ পাক।
সব চাওয়া-পাওয়ার মালিক আল্লাহ পাক। সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ পাক। আসমান-যমীন প্রভৃতি চাঁদ-সূর্য সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ পাক। মুসলমান সবসময় দোয়া করে, “রাব্বানা আতিনা ফিদ দুনিয়া হাসানাতাওঁ ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাতাওঁ ওয়াক্বিনা আযাবান্নার” অর্থাৎ “হে আল্লাহ পাক! তিনি আমাদের দুনিয়ার ভালাই দান করুন এবং পরকালের ভালাই দান করুন এবং জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করুন।” অর্থাৎ দুনিয়ায় হোক আখিরাতে হোক সবকিছুর ভালো দান করার মালিক আল্লাহ পাক।
মুসলমান মহান আল্লাহ পাক উনার কাছেই সব প্রার্থনা করে। অন্য কথায় মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে প্রার্থনা না করে অন্য কারো কাছে প্রার্থনা করলে তিনি মুসলমান থাকতে পারেন না। পাশাপাশি উল্লেখ্য যে, অন্য কারো সে প্রার্থনা কবুল করার ক্ষমতাও নেই।
তার প্রমাণ অবশ্য প্রতি পহেলা বৈশাখেই প্রতিভাত হচ্ছে। কারণ প্রতি পহেলা বৈশাখে গতায়ু বছরের হতাশা-ক্লান্তি, অপ্রাপ্তি-বেদনা, পাপাচার-অনাচারসহ সব হাহাকারের পালা সাঙ্গ করে আগামী বছর নতুন আমেজ নতুন প্রত্যাশা যার সম্ভাবনা আকাঙ্খা করে সব পহেলা বৈশাখ পালনকারীরা। কিন্তু দেখা যায় প্রতি বছরই গত বছরের থেকে অবস্থা আরো খারাপ হয়।
নারী টিজিং, ধর্ষণ, খুন-রাহাজানি, পারিবারিক থেকে সামাজিক বিবাদ আরো বাড়ে। দলবাজি আরো চাঙ্গা হয়। দুর্নীতি প্রশাসন থেকে বিচার বিভাগ সর্বত্র আরো বিস্তৃত হয়। বাড়ে দারিদ্র্য। দারিদ্র্যের চরমসীমা। বাড়ে ক্ষুধার্তের সংখ্যা। আর্তের সংখ্যা। বস্ত্রহীনের সংখ্যা।
বাড়ে লোভীর সংখ্যা। নারী দেহ ভোগকারীদের সংখ্যা। ব্যভিচারের সংখ্যা। দেহ ব্যবসায়ীদের সংখ্যা। চরিত্রহীনদের সংখ্যা। মাদকসেবীদের সংখ্যা। সন্ত্রাসীদের সংখ্যা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদেহ ভোগ করে ফার্স্ট ক্লাস পাইয়ে দেবার শিক্ষকের সংখ্যা। ভাল নাম্বার দেয়ার প্রলোভনে ছাত্রীদেরকে ঘরের বউয়ের মতো ব্যবহারকারী শিক্ষকের সংখ্যা।
স্বামী-সন্তান ফেলে রেখে অন্য পুরুষের হাত ধরে চলে যাওয়া স্ত্রীদের সংখ্যা। বাড়ে ভোগবাদী লালসা। বাড়ে পুঁজিবাদী প্রবণতা। বাড়ে মূল্যবোধের অবক্ষয়।
বলাবাহুল্য, এ আঙ্গিকে দেখা যাবে ১৯৬৭ সালে যখন ছায়ানট প্রথম আনুষ্ঠানিকতা করে পহেলা বৈশাখের কাছে প্রত্যাশা করেছে তাদের প্রত্যাশা তথা প্রার্থনার বিপরীতে দিন দিন উল্টো ফলই ক্রমবৃদ্ধিহারে প্রকাশিত হয়েছে। অর্থাৎ পহেলা বৈশাখ প্রার্থনাকারীদের প্রার্থনা কোনদিনই কবুল হয়নি। কারণ যে প্রকৃতির কাছে তারা প্রার্থনা করেছে সে প্রকৃতি নিজেই খোদাতায়ালার সৃষ্টি। সুতরাং তার দেবার কোন ক্ষমতা নেই। এবং তাই কোনোদিন দিতেও পারেনি।
বলাবাহুল্য, এ তথ্যে সব মুসলমানই বিশ্বাসী। সুতরাং মুসলমান তো প্রচলিত ভাবধারায় পহেলা বৈশাখ পালন করতে পারে না এবং ইসলামের আলোকে কোনোভাবেই পারে না। কারণ ইসলামের আলোকে কোন নওরোজই পালন করা জায়িয নেই।
প্রসঙ্গত যদি মুসলিম বিদ্বেষী ইসলাম বিদ্বেষী মহল মনে করেন যে মুসলমান প্রকৃত অর্থে পহেলা বৈশাখ পালন করছে তাহলে তারা ভুল করবেন। কারণ যে মুসলমান ঈদ পালন করে সে মুসলমান মহান আল্লাহ পাক উনাকে বিশ্বাস করে।
আর মহান আল্লাহ পাক উনাকে যারা বিশ্বাস করে তারা অন্য কোন প্রকৃতি বা সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী নয়। যদিও নফসের প্ররোচনায় অথবা ইবলিসের কুমন্ত্রণায় তারা পহেলা বৈশাখের হুজ্জোতিতে শামিল হয় তারপরেও অন্তরে তারা ওইসব কাজকে নাজায়িয ও অনৈসলামী মনে করে। প্রকৃত অর্থে আত্মিকভাবে কখনও করে না। যদি করতো তাহলে তারা মুসলমান থাকতো না। পরিচয় দিতনা। আর মুসলমান সব গুনাহ করেও তওবা করলে মহান আল্লাহ পাক ক্ষমা করে দেন। পাপী মুসলমান তখন মু’মিন হয়। এখানেই ইবলিসের অনুচর তথা পহেলা বৈশাখ প্রতিভূদের করুণ ব্যর্থতা তথা মৃত্যু।
এক্ষেত্রে সরকারের উচিত মুসলমান যাতে মুসলমান থাকতে পারে সে পরিবেশ ও শিক্ষার পৃষ্ঠপোষকতা করা। পাশাপাশি মুসলমানদেরও উচিত জেনে শুনে শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ না করা। কারণ শয়তান আমাদের প্রকাশ্য শত্রু।

-মুহম্মদ আরিফুর রহমান, ঢাকা।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাযযাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১২৩

‘পবিত্র দ্বীন ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার’ অর্থ হচ্ছে- ‘পবিত্র দ্বীন ইসলাম ও অনৈসলামী শিক্ষা’। যার ফলাফল ‘শূন্য ধর্মীয় শিক্ষা’। বিতর্কিত ও বামঘেঁষা মন্ত্রী এটা করলেও ‘পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না’- এ প্রতিশ্রুতির সরকার কী করে তা গ্রহণ করতে পারলো?

বেপর্দা-বেহায়াপনায় আক্রান্ত কলুষিত সমাজের নতুন আতঙ্ক ‘সেলফি’। সেলফি উম্মাদনায় সমাজে ব্যাপকভাবে বেড়েছে হত্যা, আত্মহত্যা, সম্ভ্রমহরণ, সড়ক দুর্ঘটনাসহ নানা অপরাধ। বিভিন্ন দেশে সেলফি’র উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও বাংলাদেশে কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সরকারের উচিত অপসংস্কৃতি এবং আত্মহত্যার মতো অপরাধ বন্ধ করতে অবিলম্বে সেলফি নিষিদ্ধ করা।

প্রতারণার ফাঁদে নাগরিক জীবন। সরকারের নজরদারী নেই। রকমফের প্রতারণা বন্ধে সম্মানিত ইসলামী আদর্শ বিস্তারের বিকল্প নেই

পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলছে অবাধ খ্রিস্টান ধর্মান্তরিতকরণ। বিষয়টি অদূর ভবিষ্যতে গভীর শঙ্কার। রহস্যজনক কারণে নীরব সরকার