প্রসঙ্গঃ- এদেশের বুদ্ধিজীবী এবং সেলিনা দিদিদের হিন্দু প্রীতিও পূজা মনোবৃত্তি

সংখ্যা: ১৮২তম সংখ্যা | বিভাগ:

এদেশের বুদ্ধিজীবীরা ইসলাম পালন করা মধ্যযুগীয় আচরণ বলে কটাক্ষ করে থাকেন। পরহেযগারীকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেন। পর্দা পালনের বিরুদ্ধে সোচ্চার কণ্ঠ তুলেন। বোরকা পরাকে কুসংস্কার বলে অভিহিত করেন। অর্থাৎ ইসলাম ও ইসলাম প্রিয় মুসলমানদের প্রতি তাদের বড়ই এ্যালার্জি।

কিন্তু তারাই আবার হিন্দু প্রীতিতে বড়ই কাতর। ওপারের দাদাদের সান্নিধ্য পেলে তারা বড়ই আনন্দে গদগদ হন। শুধু তাই নয় বরং এপারে বসেও তারা দাদাদের মনতুষ্টির লক্ষ্যে কথা বলেন। কলম ধরেন। লেখনী চালান। পারলে একেকজন নিজেই দাদা আর দিদি সেজেও যান।

গত ০৬/১০/০৮ তারিখ ‘দৈনিক সমকাল’ পত্রিকায় দিদি সেলিনা হোসেন তার দিদিত্ব রক্ষার্থে লিখেছেন। দিদি সেলিনা হোসেনের কোন বই আজ পর্যন্ত এদেশে পাঠক প্রিয়তা পায়নি। হাতে লেখা দু’ চারজন পাঠক তার রয়েছে কিনা তাতেও গভীর সন্দেহ। আর সর্বসাধারণ তো লেখিকা হিসেবে তাকে চেনেই না।

অগত্যা  দিদির পূর্বসূরিরা যা করেছেন তিনিও সেই পথ ধরেছেন। তিনি ওপারের দাদা আর দিদিদের নেক নজর কাড়ার উদ্দেশ্যে নিজেই একজন প্রকাশ্য দিদি হিসেবে জাহির হয়েছেন।

গত ০৬/১০/০৮ তারিখে দিদি সেলিনা হোসেন ‘দৈনিক সমকালের’ ৫নং পৃষ্ঠায় তার পূজার স্মৃতি শীর্ষক নিবন্ধে লিখেছেন, “পরিবারের কেউ নেই, এবার ঈদ করবো দেশবাসীর সঙ্গে।

অথচ কৈশোরে সরস্বতী দেবীকে প্রিয় ভাবতে কোন মানসিক দ্বিধা ছিল না। এখনো নেই। সে সময়ে সরস্বতী পূজা হতো স্কুলে। ছুঁয়ে দেখতাম রাজহাঁসটাকে। আমার প্রিয় সরস্বতী কৈশোরের দেবী। সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হতো স্কুলে। মনে হতো ওই রাজহাঁসটা যদি আমি কখনো পেতাম, তাহলে অবন ঠাকুরের ‘বুড়োআংলা’ বইয়ের নায়ক হৃদয়ের চোখ দিয়ে পূর্ববাংলাটা দেখার জন্য ঘুরে বেড়াতে পারতাম। ভেবেই পূজার স্মৃতি আমার ভেতরে প্রবল নষ্টালজিয়ার জন্ম দেয়। এখনো কৈশোরে ফিরে যাওয়ার বাসনা ফুরোয় না। সেই দিনগুলো বড় স্পষ্ট ছিল। কোথাও কোন দেয়াল ছিল না। … …

অফিস পালিয়ে সেই কালীমন্দিরে পূজা দেখতে যেতাম। মন্দিরের সামনে আয়োজিত মেলার বিভিন্ন শুকনা মিষ্টান্ন কিংবা ছোট ছোট পুতুল ইত্যাদি কিনে বাড়ি ফিরতাম। মন্দিরটির একটি অসাধারণ স্থাপত্য সৌন্দর্য ছিল। এই একই কারণে পূজার সময়ের বাইরেও এই মন্দিরটিকে দেখতে যেতাম। যেমন বারবার দেখতে যাই দিনাজপুরের কান্তজীর মন্দিরের টেরাকোটার সৌন্দর্য।

রমনার কালীমন্দির এখন স্মৃতি। কষ্টের স্মৃতি। শৈশবের যে আনন্দ ছিল সে আনন্দ থেকে বঞ্চিত হওয়ার কষ্ট।

তারপরও পূজার আনন্দ ফুরায় না। কষ্টের ভেতর থেকে ফুটে ওঠে আনন্দ। পূজার আনন্দ নিয়ে ঘরে ফেরার আনন্দ দেখতে পাই অনেকের চোখে মুখে। আমারো দু’ চারটে দিন ভালো কাটে। কিন্তু একক আনন্দ নিভে আসে যখন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দেখি মন্দির পাহারা দিতে। বুকের ভিতর বড় লাগে।

ধর্মীয় উৎসব হবে সার্বজনীন। মানুষের উৎসবের জায়গা। জায়গাটি হবে সব ধর্মের মানুষের সামাজিক মিলনমেলার জায়গা। সে জায়গাটিকে বন্দুক দিয়ে পাহারা দিতে যেন না হয়। মানুষই তো বড় শক্তি। তাকে অস্ত্র দিয়ে অবমাননা করতে হবে কেন?

অস্ত্রের সামনে মানুষের মর্যাদা ধুলোয় লুটায়। এই বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িকতার মৌলিক চেতনায় বড়ই বেমানান এই দৃশ্য। এর থেকে মুক্তি চাই।”

আসলে দিদি সেলিনা হোসেন মূল আরেকটা জিনিস চেয়েছেন। সেটাই ভেতরের জিনিস। আসল চাওয়া-পাওয়া তার বাইরে এসব লেখা আসলে খোলস মাত্র, ভাওতা মাত্র।

সোজা কথা  দিদি  যা চেয়েছেন তা হলো ওপারের স্বীকৃতি।

দাদাদের খাতায় নাম উঠানো। তসলিমার মত আনন্দ বাজার না হলেও নিদেন পক্ষে ওপার বাংলার কোন একটা তকমা।

একটা তথাকথিত সাহিত্য পুরস্কার। পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবে মানবতাবাদী লেখিকা হওয়ার সিড়িতে আরোহণ।

মূলতঃ এরকম দিদি শুধু এক সেলিনা হোসেনই নয়। আছে নাসরীন জাহান। আছে রাবেয়া খাতুন থেকে উপদেষ্টা রাশেদা সহ অনেকেই।

আসলে এসব দিদিদের তৈরির বীজ বুনেছিল ‘র’ অনেক আগেই। আজ তা শুধু রীতিমত বৃক্ষেই পরিণত হয়নি বরং তা ফুল ফলও দিতে শুরু করেছে।

তাই মুসলমান নামধারী এসব দিদিরা দিব্যি লিখতে পারছে যে সরস্বতী তাদের দেবী। সরস্বতীর রাজহাঁসটা পেলে নাকি গোটা পূর্ব বাংলা ঘুরে দেখার সুযোগ তারা পেত। (নাঊযুবিল্লাহ)

অথচ সে তো দূরের কথা তাদের দেবীই সে রাজহাঁসে বসার পরেও নড়তে পারছে না। আশ্চর্য মানুষের নিজেকে, নিজের ধর্মকে- ইসলামকে বিকিয়ে দেয়ার প্রবণতা ও কুক্ষমতা!

সেলিনা দিদিরা কত আন্তরিক আবেদন দিয়ে লিখেছেন। প্রকাশ করেছেন তার এতই কালিভক্ত যে, অফিস ফাঁকি দিয়ে তারা কালিমন্দির দেখতে যেতেন। কেন? অফিসের আগে বা পরে অথবা ছুটির দিনে নয় কেন?

আসলে এ কালিভক্তিও যে আসল ভক্তি থেকে নয়। বরং এ হচ্ছে ওপারের দাদাদের সন্তোষ কামানোর ভক্তি। সুতরাং তার থেকে যে ফাঁক বের হবেই। তাতে চোরামানি থাকবেই। ব্যবসার গোমরটা প্রকাশ হবেই।

সেলিনা দিদিদের নাকি পূজার দিন আসলে বড় ভাল লাগে। তখন নাকি তাদের দু’চারটা দিন ভালোকাটে। তবে বাকী দিনগুলো এত কষ্টে কাটাতে, তাদেরকে কে বলেছে?

কত হিন্দুই তো এদেশ ছেড়ে চলে গেছে। সেলিনা দিদিরা যদি বাকী সময়টা পূজার অভাবে এতই ম্রিয়মান থাকেন তবে তারা এদেশে থিতু হয়ে আছেন কেন?

সেলিনা দিদির এক মাসের বেতনও লাগবে না মাত্র কয়েক হাজার টাকার বিনিময়ই তিনি টিকিট কিনে দিব্যি ওপারে চলে যেতে পারেন। সেখানে কোন মন্দিরে পুরোহিতদের দেহ-মন উজার করে দিয়ে যোগ্য সেবা দাসী হয়ে উঠতে পারেন।

আসলে সেলিনা, নাসরিন, রাবেয়া, রাশেদারা মুসলমানদের পবিত্র এ ভূমিতে থাকার যোগ্য নয়। বরং ওপারের হিন্দু মন্দিরে পুরোহিতদের যৌনদাসী হয়ে জীবন কাটানোরই যথাযোগ্য তারা।

কাজেই স্বেচ্ছায় তারা না গেলেও সচেতন মুসলমানদেরই উচিৎ তাদেরকে অর্ধ-চন্দ্র দিয়ে তাদের পুরোহিত ঠাকুরের কাছে পাঠানো। এদেশকে পবিত্র করা। রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের এই দেশের ইসলামের পবিত্রতা মর্যাদা রক্ষা করা।

এদিকে দিদির এ লেখার মাধ্যমে ‘র’ তাদের শতভাগ সাফল্য অর্জন করছে বলে মনে করছে। কারণ দিদির এ লেখায় হিন্দু ঘেষা তথাকথিত বুদ্ধিজীবিদের বক্তব্যের যেমন প্রতিধ্বনি আছে, পাশাপাশি নব প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করে,

ভাষার শৈলীতে,

 অনুভবের প্রতারণার ফাঁদে

 উপলদ্ধির প্রলোভনে ইতিহাসের বিকৃত উচ্চারণে

উপস্থাপনার ছলনায়

এ প্রজন্মের মাঝেও হিন্দুদের দেবীর পূজা প্রবণতার একটা ক্রেজ তৈরি করা।

উল্লেখ্য, বন্ধ্যা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ তার রচনায় বহু পূর্বেই এভাবে দেব-দেবীর বন্দনা করার কারণেই আজ ‘র’এর সহযোগীতায় জনপ্রিয় পাঠক হতে পেরেছেন।

শাহরিয়ার কবির এদেশের হিন্দু মন্দির ধ্বংসের কল্প-কাহিনী লেখার ফলেই- পরিচিতি পেয়েছেন।

প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন পুরস্কার পেয়েছেন।

সেলিনা দিদিরা তাই অনুসরণ করছেন। কিন্তু কথা হচ্ছে সেলিনা দিদিদের এসব কথা তথাকথিত জাতীয় দৈনিক সমকালে প্রকাশিত হয়েছে।

কথা হচ্ছে শতকরা ৯৫% মুসলমানের এদেশে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মাঝে মুসলমান নামধারীদের মুসলমান অনুভূতির বিপরীত হিন্দুয়ানী মতবাদের প্রচারণা,

মুসলমান হয়ে হিন্দুত্ব গ্রহণের প্রচারণা প্রকাশ করে কীভাবে? কারণ ইসলামের দৃষ্টিতে কোন মুসলমান যদি অন্য ধর্মের প্রতি দুর্বলতা বা ভাললাগা প্রকাশ করে তাহলে সে মুরতাদ হয়।

আর মুরতাদ যে মুসলমানদের কাছে কত জঘন্য বিষয় তা সবারই জানা। কাজেই এরূপ মুরতাদী নিবন্ধ প্রকাশের সাহস পত্রিকাগুলো পায় কি করে।

উল্লেখ্য, রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের এদেশে

সরকার ইসলামকে বড়ই অবহেলার

ইসলামকে বড়ই অনাদরে

ইসলামকে বড়ই অনিরাপদে রেখেছে।

কারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমান যদি বুঝতে পারে যে এখানে মুরতাদীর বিস্তার হচ্ছে, মুরতাদীর প্রকাশনা চলছে তাহলে তারা যে কোন মুহূর্তে সব জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিতে পারে।

-মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।