প্রসঙ্গঃ বঙ্গবন্ধুর শাহাদত দিবস পালন   সারাদেশব্যাপী ‘কুরআনখানী, কাঙ্গালি ভোজ, মীলাদ শরীফ এবং      দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠান’- সবকিছু এটাই প্রমাণ করে যে, বঙ্গবন্ধু      ছিলেন খাঁটি মুসলমান এবং একদিকে ইসলাম সমুন্নত রাখা, অপরদিকে     ইসলামের নামে ধর্মব্যবসায়ী ও ইসলাম বিরোধী এবং ইসলাম       বৈরী বুদ্ধিজীবীদের দমন তথা সমাজ জীবনের সর্বত্র খাঁটি ইসলামের     প্রতিফলনই ছিলো বঙ্গবন্ধুর সত্যিকার স্বপ্ন।   বঙ্গবন্ধুর সে স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে আসতে হবে এবং সজাগ থাকতে হবে     বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বর্তমান সরকারকেই।

সংখ্যা: ১৯০তম সংখ্যা | বিভাগ:

গত ১৫.০৮.০৯ ঈসায়ী তারিখের প্রায় সব পত্রিকায়ই লীড নিউজ হয়েছে, ‘আজ জাতীয় শোক দিবস’। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের প্রায় সব দৈনিকই অভিন্ন খবর প্রকাশ করে।

বলা হয়: “আজ শোকাবহ পনেরই আগস্ট। জাতীয় শোক দিবস। ১৯৭৫ সালের পনেরই আগস্টের কালরাত্রিতে বাঙালি জাতির ইতিহাসে কলঙ্ক লেপন করেছিল সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী উচ্ছৃঙ্খল সদস্য। ঘাতকের নির্মম বুলেটে এদিন ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের ঐতিহাসিক ভবনে নির্মমভাবে শাহাদতবরণ করেছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। একইসঙ্গে সেদিন নিহত হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী নারী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠপুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল, তাদের স্ত্রীদ্বয় যথাক্রমে সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর শিশুপুত্র শেখ রাসেল, বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ নাসেরসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের আরো ২৮ জন সদস্য। একইদিন ঘাতকের নির্মম বুলেটে প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা পতœী বেগম আরজু মণি, বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, শহীদ সেরনিয়াবাত, শিশু বাবু, আরিফ, রিন্টু প্রমুখ। ঘাতকরা সেদিন ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বাড়িতে আক্রমণ করে বঙ্গবন্ধু পরিবারের প্রায় সকল সদস্যকেই হত্যা করে।

কিন্তু মহান আল্লাহ তায়ালার অপার করুণায় দেশে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা। ঘাতকেরা সেদিন বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের সদস্যদেরই কেবল হত্যাই করেনি, বাঙালি জাতির আশা-আকাঙক্ষার কেন্দ্রবিন্দুকে নস্যাৎ করতে চেয়েছিল। ৩৪ বছর আগের সেই শোকাবহ দুঃসহ স্মৃতি আজো বয়ে বেড়াচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।

আজ সরকারি ছুটির দিন। গত ৩৪ বছরের বেশিরভাগ সময়ই দিনটি ছিল রাষ্ট্রীয়ভাবে চরম অবহেলার শিকার। এর মধ্যে মাত্র সাত বছর দিনটি সরকারিভাবে শোক দিবস হিসেবে পালিত হয়েছে। আজ জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। সরকারি ও বেসরকারি ভবনে উড়বে কালো পতাকা।

এ বছর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ায় ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে জাতীয় শোক দিবস পালিত হচ্ছে। ওয়ান ইলেভেনের পর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা কারারুদ্ধ থাকায় এবং নেতা-কর্মীরা মামলা-মোকদ্দমায় পালিয়ে বেড়ানোর ফলে শোক দিবসের কর্মসূচি যথাযথভাবে পালিত হতে পারেনি। আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রথম শোক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু এরপর ২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় এসে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে। আজ এক শোকাবহ পরিবেশে দিনটি উদযাপিত হলেও আজো বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের রায় কার্যকর হয়নি। উচ্চ আদালতে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চূড়ান্ত শুনানি।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সারাদেশের মসজিদসমূহে বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।”

উল্লেখ্য, শুধু মসজিদ-মসজিদেই নয় বলতে গেলে সেদিন সারাদেশে

গলিতে গলিতেই শোনা গেছে

কুরআন শরীফ তিলাওয়াতের আওয়াজ

মীলাদ শরীফ-এর মোহাবিশিষ্ট সুর।

দেখা গেছে-

কাঙালি ভোজ।

বলাবাহুল্য, এসব আয়োজন ছিলো বঙ্গবন্ধুর রূহের মাগফিরাতের জন্য।

-০-০-০-

উল্লেখ্য, পাকিস্তানের কথিত ইসলামী শাসক জিয়াউল হকের লাশ পাওয়া যায়নি।

তৎক্ষণাৎ পাওয়া যায়নি বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের লাশও।

কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ঘাতকরা ৩২টি বুলেট দিয়ে আঘাত করলেও,

যে তজুর্নী দিয়ে তিনি স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন

তা উড়িয়ে দিলেও

খোদায়ী অনবদ্য রহমতে

ও খোদায়ী কুদরতে

ঘাতকদের তৎপরতায়ই

বঙ্গবন্ধুর পরিচিত ও ঘনিষ্ঠ লোকদের দ্বারাই তার সসম্মানে দাফনের ব্যবস্থা হয়েছিলো,

জানাযা হয়েছিলো।

-০-০-

প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন পবিত্র কালাম পাকে ইরশাদ করেন, “প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুবরণ করতে হবে।” (সূরা আলে ইমরান/১৮৫, সূরা আম্বিয়া/৩৫, সূরা আনকাবূত/৫৭)

কাজেই কোন মুসলমান মৃত্যুবরণ করার পর জীবিতদের প্রতি দায়িত্ব কর্তব্য হচ্ছে যথা শীঘ্র মৃত ব্যক্তির দাফনের ব্যবস্থা করা এবং দাফন কার্যে বিলম্ব না করা।

কেননা আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “তোমাদের মধ্যে যখন কেউ মৃত্যুবরণ করে তখন তাকে আবদ্ধ করে রেখে দিওনা বরং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাকে দাফন করতে কবরে নিয়ে যাও।” (তাবারানী)

অবশ্য দাফনের পূর্বে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরী কাজ রয়েছে, যেমন প্রথমতঃ মাইয়্যিতকে গোসল করানো, দ্বিতীয়তঃ কাফনের কাপড় পরিধান করানো, তৃতীয়তঃ মাইয়্যিতের উপর জানাযা পড়া।

মূলতঃ মাইয়্যেতের উপর জানাযা পড়া শুধু ফযীলত লাভেরই কারণ নয় বরং মাইয়্যিতের উপর জানাযা পড়া স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন-এর নির্দেশ।

যেমন উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে লক্ষ্য করে মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন বলেন,  “(হে নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনি তাদের (মু’মিনগণের) উদ্দেশ্যে নামাযে জানাযা পড়ুন। নিশ্চয়ই আপনার নামায তাদের জন্য শান্তির কারণ স্বরূপ।” (সূরা তাওবা/১০৩)

অত্র আয়াতে কারীমায় স্বয়ং আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন জানাযা নামাযের গুরুত্ব, ফাযায়িল-ফযীলত বর্ণনা করেছেন। আর তা মু’মিন-মুসলমানগণের জন্য রহমত, বরকত ও শান্তির কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

অপরদিকে হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “হযরত আউফ ইবনে মালিক আশ্জায়ী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রসূলুল্লাহু ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক জানাযা নামায পড়লেন। আমি তার দোয়ার কিছু অংশ মুখস্ত রেখেছি। তিনি দোয়াতে বলেছেন: ‘আয় আল্লাহ পাক! আপনি তাকে মাফ করুন, তার প্রতি রহম (দয়া) করুন, তাকে শান্তিতে রাখুন, তার অবস্থানকে মর্যাদাময় করুন, তার কবর-অবস্থান স্থলকে প্রশস্ত করুন, তাকে পাক-পবিত্র করে দিন, পানি, বরফ ও বৃষ্টির পানি দ্বারা। তাকে গুনাহ থেকে এভাবে পবিত্র করে দিন, যেমন সাদা কাপড়কে ময়লা থেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়। তাকে তার বাড়ি থেকে উত্তম বাড়ি দান করুন, তার পরিবার থেকে উত্তম পরিবার, তার স্ত্রী থেকে উত্তম স্ত্রী দান করুন। তাকে কবরের ও দোযখের আযাব থেকে রক্ষা করুন।’ হযরত আউফ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, আমি আকাঙ্খা করতে লাগলাম যে, হায়! আমি যদি এই মৃত ব্যক্তিই হতাম! ”

আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “আর এই সম্পদ তোদের জন্য, যারা তাদের পরে এসেছে। তারা বলেন, আমাদের রব! আমাদেরকে এবং আমাদের (পূর্বে) ঈমানে অগ্রগামী ভাইগণকে ক্ষমা করুন। আর ঈমানদারগণের বিরুদ্ধে আমাদের অন্তরে কোন প্রকার বিদ্বেষ রাখবেন না। আয় আল্লাহ পাক! আপনি অসীম দয়ালু, পরম করুণাময়।” (সূরা হাশর-১০)

হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “মৃত ব্যক্তি হচ্ছে ডুবন্ত ব্যক্তির ন্যায়।” অর্থাৎ সমুদ্রে ডুবন্ত ব্যক্তি বাঁচার জন্য যেরূপ আপ্রাণ চেষ্টা করে তদ্রুপ মৃত ব্যক্তিরাও কবরে শান্তির জন্যে তার আত্মীয়-স্বজনের দিকে তাকিয়ে থাকে। তাদের দোয়া, ছদকা খয়ারাত ইত্যাদির আশায় থাকে।

হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, “যখন কেউ মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া বা ঈসালে ছওয়াব করে তখন ফেরেশতাগণ উক্ত দোয়াগুলোকে বেহেশতের রুমালে করে মৃত ব্যক্তির নিকট পৌঁছে দেন এবং বলেন, তোমার অমুক আত্মীয় তোমার জন্য এ দোয়া বা নেকীগুলো পাঠিয়েছেন। তখন মৃত ব্যক্তি খুব খুশি হয়।” (তাবারানী)

উপরোক্ত কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এর আলোকে প্রমাণিত হয় যে, মৃত ব্যক্তির জন্য ঈছালে ছওয়াব, ফাতিহা বা কুলখানি করা জায়িয।

তাই বঙ্গবন্ধুর সব সৈনিকদের উচিত, বঙ্গবন্ধুর জন্য অধিক মাত্রায় দোয়া বা ছওয়াব রেসানী করা।

আর বিশেষ করে যে সময়গুলোতে দোয়া কবুল হয় সে সময় বেশি বেশি করে বঙ্গবন্ধুর জন্য দোয়া করা।

-০-০-০-

প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু মনে-প্রাণে একজন মুসলমান ছিলেন। তিনি লাভ করেছেন শাহাদতের মর্যাদা। তার মৃত্যুর পর আনুষ্ঠানিকতাও হয়েছে ইসলামী কায়দায়। এবং এখনও ৩৪ বছর পরও তার এই শাহাদত দিবস পালনে যোগ হচ্ছে কুরআন-সুন্নাহ সম্মত ঈসালে ছওয়াব তথা মীলাদ শরীফ, দোয়া মাহফিল ও মানুষকে খাওয়ানো।

কিন্তু এক শ্রেণীর বুদ্ধিজীবী রয়েছে যারা বঙ্গবন্ধুকে ইসলাম বিরোধী অথবা ইসলাম থেকে দূরে অবস্থানকারী ব্যক্তি হিসেবে প্রমাণ করতে খুব তৎপর।

আবার আরেক শ্রেণীর মালানা রয়েছে যারা মীলাদ শরীফকে বিদ্য়াত, শাহাদত বার্ষিকী বা মৃত্য বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মোনাজাত করা তথা ঈছালে ছওয়াব পালন করাকে হারাম ফতওয়া দেয়।

বলাবাহুল্য, কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী এই উভয় দলের  বিরুদ্ধেই ‘কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন পাশ করা হবে না’- এ প্রতিশ্রুতির সরকারকে সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সরকারকে একথাও বিশেষভাবে বিবেচনায় আনতে হবে যে,

বঙ্গবন্ধুর শাহাদত দিবসে কুরআন খানি, কাঙ্গালি ভোজ, মীলাদ শরীফ পাঠ এবং দোয়া ও মুনাজাতের আয়োজন করা হচ্ছে- এই বিশ্বাস থেকে যে,

এসব করলে তার ছওয়াব বঙ্গবন্ধুর রূহ মুবারকে যাবে। এবং তাতে বঙ্গবন্ধু হাদীছ শরীফ-এ উল্লিখিত পৃথিবীর ঘরের চেয়ে উত্তম ঘর,

* পৃথিবীর আরামের চেয়ে বহুগুণে বেশি আরাম

* এবং পৃথিবীর সম্মানের চেয়েও অনেক বেশি সম্মানে অধিষ্ঠিত হবেন।

বলাবাহুল্য, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাও তাসবীহ-তাহলীল, নামায, কুরআন শরীফ পাঠের পরিক্রমা বঙ্গবন্ধুর পারিবারিক আবহ থেকেই লাভ করেছেন।

আর এসব কথার একটা বাক্যেই সীমাবদ্ধ হয় যে, পৃথিবীতে ইসলাম নির্দেশিত নেক কাজ করাই প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য।

সেক্ষেত্রে ইসলামের অনুশীলনের পরিপূর্ণ আবহ তৈরি, ইসলামের সমুন্নত রাখা

ইসলাম বৈরী ও ইসলাম বিরোধী ব্যক্তিদের পৃষ্ঠপোষকতা না করা তথা সমাজ জীবনের সর্বত্র ইসলামের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা ও  ইসলামের প্রতিফলন ঘটানোও যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন তথা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ

তা বঙ্গবন্ধুর সৈনিকদের বুঝতে হবে।

‘কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন পাস হবে না’- এ প্রতিশ্রুতির সরকারকে সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর শাহাদত দিবস পালন পুরোটাই ইসলামী কায়দায় করতে হবে।

এক্ষেত্রে ইসলামের দৃষ্টিতে যেসব কাজ নাজায়িয তা বন্ধ করতে হবে।

কুরআনখানী, কাঙালি ভোজ, মীলাদ শরীফ এবং দোয়া ও মোনাজাতের দ্বারা

রূহে যে ছওয়াব যায়

একইভাবে তার বিপরীত কাজ করলে

বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর আত্মার যে কষ্ট হয়

তা বঙ্গবন্ধুর ধর্ম- ইসলাম এবং সে ধর্মে বিশ্বাসকারী

দেশের ৯৫ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান নিশ্চিতরূপে বিশ্বাস করে।

কাজেই সে বিশ্বাসের আলোকে সরকার কাজ করলে দেশের ৯৫ ভাগ জনগোষ্ঠী সব মুসলমানই তার চেয়েও বেশি খুশি হবে।

যেমনটি তারা খুশি হয়েছিলো

আগ্রহী হয়েছিলো

বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বর্তমান সরকারের কাছে

‘কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন পাশ হবে না’- এ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি শুনে।

-মুহম্মদ আরিফুল্লাহ

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।