প্রসঙ্গ : দেশে চার হাজার রকমের দুর্নীতির বিস্তার, খোদ দুদকের দুর্নীতি এবং দুর্নীতি রোধে ধর্মনিরপেক্ষতার ব্যর্থতা এবং ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশে দুর্নীতি রোধে অনিবার্য ইসলামী আক্বীদা ও বিশ্বাস

সংখ্যা: ২০৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

দুদক চেয়ারম্যান নিজেই স্বীকার করেছেন: দেশে এখন চার হাজার ধরনের দুর্নীতি বিদ্যমান। দুর্নীতি নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে দুর্নীতির রকমফের ভয়াবহ আকারে বেড়েছে। ২০০০ সালে যদি ৪০ রকমের দুর্নীতি থেকে থাকে এখন তা চার হাজারে পৌঁছেছে।
দুদক চেয়ারম্যান স্বীকার করেছেন দুর্নীতি হলে গরিব মানুষের দুর্ভোগ বাড়ে। এতে সরকারের ব্যয় বাড়ে আর আয় কমে। তবে দুদক চেয়ারম্যান আরো বলেছেন দুর্নীতি দূর করার জন্য দরকার জনসচেতনতা, সততা ও নিষ্ঠা। বলাবাহুল্য, এ বক্তব্যের মাঝে দুদক চেয়ারম্যান নিজেই কতো দুর্নীতি করলেন সে সম্পর্কে তিনিই সচেতন নন।
বলার অপেক্ষা রাখে না, গণতান্ত্রিক কাঠামোতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপি, আমলা কেউই এ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণার অধিকারী নন।
উল্লেখ্য, সচেতনতা ও সততা আপেক্ষিক শব্দ। যারা সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী এবং গণতন্ত্রের ঘোর বিরোধী তাদের আদর্শগত ধ্যান-ধারণায় তারাই সবচেয়ে সচেতন। আর এই সচেতনতার আলোকেই গরিবকে দান করে দেয়ার উদ্দেশ্যে অনৈতিকভাবে ধনীর সম্পদ কেড়ে নেয়া- তাদের দৃষ্টিতে প্রগাঢ় সততা।
আবার এই তথাকথিত সচেতনতা ও সততার জন্য নিবেদিত শ্রমের নামই নিষ্ঠা। তাহলে দেখা যাচ্ছে কথিত জনসচেতনতা, সততা আর নিষ্ঠা কখনই দুর্নীতি দমনে সহায়ক নয়।
প্রসঙ্গত এখানেই ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দের প্রত্যক্ষ পোস্টমর্টেম প্রতিভাত হয়। প্রচারণা চালানো হয় ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দের অর্থ সব ধর্মের সমান অধিকার। মূলত সব ধর্মেরও সমান অধিকার হতে পারে না। সব ধর্মাবলম্বীর সুষম অধিকার হতে পারে। সব ক্ষেত্রেই সমান অধিকার দারুণ বৈষম্য তৈরি করে। যেমন দাবি করা হয় উত্তরাধিকার সম্পদে- নারী-পুরুষের সমান অধিকার। আসলে উত্তরাধিকার সম্পদে নারী-পুরুষের সমান অধিকার হলে কখনো সমতা হতে পারে না। কারণ নারী তার স্বামীর সম্পদের ভাগ পাচ্ছে। আবার তার স্বামী নারীর জন্যই অর্থ ব্যয় করছে।
এক্ষেত্রে নারীও যদি সমান সম্পদ পায় তাহলে নারীর সম্পদ বেশি হয়ে যাচ্ছে। তাহলে আর সমতা রক্ষা হচ্ছে না। তেমনি ৯৭ ভাগ মুসলিম ধর্মাবলম্বীর জন্য যে অধিকার তা .০১ ভাগ উপজাতি ধর্মের জন্য যদি একই অধিকার দেয়া হয় বা তাদের প্রতি একই ব্যবহার করা হয়; তাহলে তা চূড়ান্ত বৈষম্য তৈরি করবে এবং এ বৈষম্যটা হবে ৯৭ ভাগ। নাঊযুবিল্লাহ!
বলাবাহুল্য, দুঃখজনকভাবে তাই হচ্ছে। এবং এটাই হচ্ছে- ধর্মনিরপেক্ষতার প্রকৃত ব্যবহারিক দিক। এ ধারায়ই দুদক চেয়ারম্যান বলেননি যে গুনাহ থেকে বিরত থাকা, পরকালীন আযাব থেকে মুক্তি লাভ এবং সর্বোপরি আল্লাহ পাক উনার প্রতি ভয়ই মুসলমানদের দুর্নীতি থেকে মুক্ত করতে পারে।
বলাবাহুল্য, দেশের ৯৭ ভাগ অধিবাসী মুসলমান যদি কথিত সৎ হয়ে যায় তাহলে তাদের প্রভাবে ও পরশে বাকী ৩% থেকেও সৎভাবে চলতে বাধ্য হবে।
কিন্তু ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশ হওয়া সত্ত্বেও ‘নেকী-বদী’, ‘গুনাহ-ছওয়াব’, ‘কবরের আযাব’, ‘পরকালের ভয়’, ‘দোযখের শাস্তি’, বেহেশতের শান্তি, ‘মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের ক্রোধ।’ নাঊযুবিল্লাহ!
‘মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি’ ইত্যাদি আবেদনধর্মী ভাষায়- প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী থেকে দুদক, আমলা কেউই দুর্নীতি, অনিয়ম, অন্যায় থেকে এদেশের ৯৭ ভাগ মুসলমানকে ফিরে আসার আবেদন জানায় না। তারা মনে করে ওই ভাষায় কথা বললে ধর্মনিরপেক্ষতার খিলাফ হবে।
বলাবাহুল্য, এভাবে রাষ্ট্রীয় জীবনের সর্বত্রই ধর্মনিরপেক্ষতার নামে মূলত ধর্মহীনতা চলছে। আর এর কুফলে অধঃপতনে যাচ্ছে ৯৭ ভাগ অধিবাসী মুসলমান। অবক্ষয় তৈরি হচ্ছে মারাত্মকভাবে এবং এ অবক্ষয় অন্য কোনোভাবেই রোধ করা সম্ভব নয়।
তার প্রধান প্রমাণ দুদক নিজেই। সাবেক দুদক চেয়ারম্যান থেকে কমিশনারেরও দুর্নীতিতে জরাগ্রস্ততা প্রমাণ হয়েছে।
সাবেক দুদক চেয়ারম্যান হাসান মশহুদকে স্থায়ী কমিটি তলব করেছিলো। কিন্তু তিনি যাননি। এখন আবার দুদকের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে স্থায়ী কমিটি তলব করেছে। তিনিও যাচ্ছেন না। অপরদিকে যে স্থায়ী কমিটি দুদদকে তলব করেছে ওই কমিটি প্রধান হলেন দুদকের মামলার আসামি, যিনি দুদকের মামলায় জেলও খেটেছেন এবং এ অভিযোগ উঠেছে যে, দুদক এখন স্থায়ী কমিটি প্রধান ওই আসামির আক্রোশের শিকার।

এদিকে দুদক কর্তৃক ২৮৮টি মামলাকে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক বলে প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে। প্রতিভাত হচ্ছে দুদক স্পষ্টরূপেই রাজনৈতিক দল দ্বারা ব্যবহৃত হয়। যদি তাই হয়ে থাকে তবে দুদকের স্বচ্ছতা কোথায়?
এদিকে গত জানুয়ারি মাসেও চট্টগ্রামের দুদক কর্মকর্তা ঘুষ নেয়ার সময় র্যাব কর্তৃক আটক হয়েছেন। পাশাপাশি এক চট্টগ্রামেই দুদক কর্তৃক তিনশ ঊর্ধ্বতন দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তার তালিকা প্রস্তুত হয়েছে। এই যদি হয় অবস্থা তাহলে দুর্নীতির করাল থাবা রোধ করবে কে? কিভাবে?
বলাবাহুল্য, দুর্নীতি যে চার হাজার রকমের হচ্ছে তাই নয় পাশাপাশি খোদ দুর্নীতি দমন বিভাগই পুরো দুর্নীতিবাজ হয়ে যাচ্ছে। মূলত এই শেষ দুঃখজনক কথা নয়। বরং প্রথম ও শেষ দুঃখজনক কথা হলো যেভাবে দুর্নীতি দমন হবে বলে দুদক যে বিশ্বাসের প্রতিফলন করে সে বিশ্বাস ব্যক্ত করাই হচ্ছে চরম দুর্নীতি।
৯৭ ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত এদেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করতে হবে কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর দৃষ্টিভঙ্গি ও চেতনা দিয়ে। তা না করে ৯৭ ভাগ মুসলমান অধিবাসীকে চালিত করা হচ্ছে তাদের ধর্মকে অবমাননা করে ধর্মনিরপেক্ষতা বাণী দিয়ে। নাঊযুবিল্লাহ! এর কুফল রাষ্ট্রদেহের সর্বত্র বিরাজ করছে। কিন্তু রাষ্ট্রযন্ত্রের চালিকাশক্তি এখনও সচেতন হতে পারছে না। এটা শুধু গভীর দুঃখজনক নয়, চরম আত্মঘাতীমূলক।
সঙ্গতকারণেই ধর্মনিরপেক্ষতার দাবিদার রাষ্ট্রযন্ত্রকে এখন ঠিক করতে হবে, তার সব নাগরিককে সে কী প্রবাহমান দুর্নীতির দিকে ঠেলে দিবে? না-কী দুর্নীতি থেকে রক্ষা পেতে ইসলামী অনুশাসনের নির্দেশনা দিবে, পৃষ্ঠপোষকতা করবে।

-মুহম্মদ মাহবুবুর রহমান, ঢাকা

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাযযাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১০৩

মুবারক হো- হাদিউল উমাম, বাবুল ইলম, কুতুবুল আলম, জামিউল আলক্বাব, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ ছানী হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক বিলাদত শরীফ

হিন্দুরা অন্তর থেকে মুসলমানদেরকে ঘৃণা করে ও অস্পৃশ্য মনে করে। আবুল মনসুর আহমদ, বঙ্গবন্ধুর আত্মকথা, মীর মোশাররফসহ অনেক সাহিত্যিকের লেখনীতেই এর প্রমাণ রয়েছে। বিশেষত রবীন্দ্র বঙ্কিম শরৎসহ হিন্দু সাহিত্যিকদের রচনায় এর প্রমাণ বিস্তর। কিন্তু বর্তমানে তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা ও হিন্দু তোষণকারী প্রশাসন পারলে হিন্দুদের মাথায় তুলে রাখে। হিন্দুরা যে মুসলমানদের শত্রু জ্ঞান করে- সে কথা অস্বীকার করে। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মুশরিক-হিন্দুদের বড় শত্রু বলা হয়েছে। অতএব, ওদের থেকে সাবধান।

ভারতকে কানেকটিভিটির নামে ট্রানজিট দেয়ার বৈধতা বর্তমান সরকারের নেই। ভারতকে কোনোমতেই ট্রানজিট দেয়া যাবে না। দিলে ৯৭ ভাগ ঈমানদার জনগোষ্ঠী বরদাশত করবে না।

আন্তর্জাতিক পানি ব্যবহারের বিধিবিধান লঙ্ঘন করে ভারত নির্মাণ করছে টিপাইমুখ বাঁধ। বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের জোর প্রতিবাদ দরকার।