প্রসঙ্গ : বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ বাংলাদেশে পালন দুই হাজার কোটি টাকার সাশ্রয় এবং কুরআন শরীফ-এ মায়ের দুধ পানের নির্দেশ

সংখ্যা: ২০৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

শিশুকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে গত ৭ই আগস্ট, রোববার সারাদেশে পালিত হয়েছে ‘বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০১১’। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘শিশু খাবে মায়ের দুধ আর ঘরের তৈরি খাবার, এ কথাটি বলতে হবে সব সময় সবার।’

৭ আগস্ট থেকে বিশ্বব্যাপী শুরু হয় বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ। বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৭০টি দেশে সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এই সপ্তাহ পালিত হয়।

মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘দি ওয়ার্ল্ড এ্যালায়েন্স ফর ব্রেস্ট ফিডিং অ্যাকশন-এর উদ্যোগে এবং ইউনিসেফের সমর্থনে ১৯৯২ সাল থেকে পালিত হয়ে আসছে ‘মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ’।

অপুষ্টির কারণে প্রতিদিন দেশে অনূর্ধ্ব পাঁচ বছর বয়সী ২০০ শিশু মারা যাচ্ছে। জন্মের প্রথম ঘণ্টায়, প্রথম ছয় মাস এবং প্রথম দুই বছর মায়ের দুধ পান করলে শিশু মৃত্যুর হার ব্যাপকভাবে হ্রাস পায় এবং শিশু সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়।

বুকের দুধ খাওয়াতে পারছেন না এমন মায়ের সংখ্যা খুবই কম। চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো গুঁড়োদুধ খাওয়ানোর জন্য মায়েদের প্রলুব্ধ করছে। কোনো মা আকৃষ্ট হয়ে, আবার অনেক মা বুকের দুধ খাওয়ানো ঝামেলা মনে করে শিশুদের গুঁড়োদুধ খাওয়াচ্ছেন।

গবেষণায় দেখা গেছে, মারাত্মক অসুস্থতা ছাড়া সব মায়েরাই বুকের দুধ খাওয়াতে সক্ষম। বুকের দুধে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, মিনারেল ও ফ্যাট সঠিক মাত্রায় এবং সঠিক উষ্ণতায় থাকে। এ দুধ অত্যন্ত পুষ্টিকর। জন্মের পর এক ঘণ্টার মধ্যে বুকের দুধ খাওয়ালে এ উসীলায় ১০ লাখ শিশু মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পাবে। অপরদিকে গুঁড়োদুধে ক্যাসিন নামের প্রোটিন থাকার কারণে শিশুর জন্য তা সহজপাচ্য নয়।

শিশুরা যত বেশি চুষবে, মায়ের বুকের দুধ তত বাড়বে। দেখতে লিকলিকে পুষ্টিহীন মায়েরাও কেবল বুকের দুধ খাইয়ে সন্তান বড় করতে পারেন। স্বাস্থ্যবান-স্বাস্থ্যহীন সব মায়েরই বুকে দুধ জমে। কিন্তু স্বাস্থ্যহীনতার কথা বলে অনেক মা অস্বস্তিতে ভোগেন এবং অকারণেই গুঁড়োদুধ খাওয়ান।

৬ মাস পর্যন্ত শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান ৪৩ শতাংশ মা। গ্রামের মায়ের তুলনায় শিক্ষিত ও উচ্চবিত্ত পরিবারের মায়েরা শিশুকে কম বুকের দুধ খাওয়ান।

মায়ের দুধ খাওয়ালে শিশু মানসিক ও শারীরিক দিক থেকে সুস্থ ও সবলভাবে বেড়ে উঠবে।

ঐতিহ্যগতভাবে আমাদের দেশের মায়েরা শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ান। কিন্তু বিভিন্ন কারণে আজকাল এ প্রবণতা কিছুটা কমছে। আবার যারা বুকের দুধ খাওয়ান তারা কতটুকু নিয়ম মেনে খাওয়াচ্ছেন এ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

সফলভাবে মায়ের দুধ খাওয়ানোর জন্য বাড়তি কোন টাকার প্রয়োজন হয় না। শুধু দরকার মায়ের প্রতি সহায়তা ও সহমর্মিতা। এই সহায়তা ও সহমর্মিতা দরকার বাড়িতে, হাসপাতালে এবং কর্মস্থলে।

প্রসঙ্গত, প্রসূতি মায়েরা যেন মানসিক শান্তি নিয়ে সর্বক্ষণ উৎফুল্ল থাকে সেদিকে পিতাকে নজর দিতে হবে। প্রসুতিদের প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত বিশ্রাম পরিবারকে নিশ্চিত করতে হবে।

জন্মের ১ ঘন্টার মধ্যে মায়ের দুধ খাওয়ানোর মাধ্যমে নবজাতক শতকরা ৩১ ভাগ শিশুর মৃত্যু রোধ করা সম্ভব। জন্মের পরপরই শিশুকে মধু সবচেয়ে প্রথম খাওয়াতে হবে। এরপর শাল দুধ খাওয়ালে শিশু প্রকৃতিগতভাবে প্রথম টিকা পায়, শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি এবং বুদ্ধির বিকাশ যথাযথ হয়। শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

উল্লেখ্য, ২০০১ সালে ৫৪তম বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনে শিশুদের জন্মের প্রথম ৬ মাস শুধু মায়ের দুধ খাওয়ানোর প্রস্তাব গ্রহীত হয়।

বিশ্বব্যাপী মায়ের দুধ দানের প্রথা পুনরায় জনপ্রিয় করার আন্দোলনে বিশ্বের সকল দেশ একত্রিত হয়ে কাজ করছে। ২০০২ সনে WHO এবং UNICEF শিশুদের খাওয়ানোর ব্যাপারে Infant and Young Child Feeding (IYCF) Strategy প্রণয়ন করে। সে আলোকে বাংলাদেশেও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক দেশীয় উপযোগী করে শিশু ও বাড়ন্ত শিশুদের খাওয়ানোর কৌশলপত্র, কর্ম পরিকল্পনা ও যোগাযোগ পরিকল্পনা প্রণয়ন করে।

সেই সাথে প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে ব্রেস্টফিডিং কর্নার প্রতিষ্ঠা করা ও স্বাস্থ্য কর্মসূচিতে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে মাতৃদুগ্ধ দানের সার্বিক প্রচেষ্টার কথা বলা হয়েছে।

বাংলাদেশে জন্মের পরপরই প্রাথমিক পর্যায়ে শতকরা ৯৮ ভাগ শিশুকে মায়ের বুকের দুধ দেয়া হলেও পরবর্তীতে এ হার শতকরা ৪৩ ভাগে নেমে আসে।

প্রসঙ্গত প্রশ্ন হলো আজকে ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশে বিশ্ব দুগ্ধ সপ্তাহের প্রচারণা থেকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর জন্য উৎসাহ সঞ্চার করতে হবে কেন?

অথচ কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে- “আর সন্তানবতী নারীরা তাদের সন্তানদেরকে পূর্ণ দু’বছর দুধ খাওয়াবে, যদি দুধ খাওয়াবার পূর্ণ মেয়াদ সমাপ্ত করতে চায়।”

সূরা বাক্বারার ২৩৩তম এই আয়াত শরীফ-এর প্রেক্ষিতে তাফসীরে বলা হয়েছে, শিশুকে স্তন্যদান মাতার উপর ওয়াজিব। কোনো অসুবিধা ব্যতীত ক্রোধের বশবর্তী হয়ে বা অসন্তুষ্টির দরুন স্তন্যদান বন্ধ করলে পাপ হবে এবং স্তন্যদানের জন্য স্ত্রী স্বামীর নিকট থেকে কোন প্রকার বেতন বা বিনিময় নিতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত বিবাহবন্ধন বিদ্যমান থাকে।

উল্লেখ্য, কুরআন শরীফ-এর এ আয়াত শরীফ-এর যদি আমল থাকতো তাহলে দেশকে গুঁড়াদুধ আমদানির পেছনে দুই হাজার কোটি টাকার বেশী ব্যয় করতে হতো না, বরং এ টাকা মা ও শিশুর অধিকতর কল্যাণে ব্যয় করা যেত।

-মুহম্মদ আশিকুল্লাহ

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাযযাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১০৩

মুবারক হো- হাদিউল উমাম, বাবুল ইলম, কুতুবুল আলম, জামিউল আলক্বাব, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ ছানী হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক বিলাদত শরীফ

হিন্দুরা অন্তর থেকে মুসলমানদেরকে ঘৃণা করে ও অস্পৃশ্য মনে করে। আবুল মনসুর আহমদ, বঙ্গবন্ধুর আত্মকথা, মীর মোশাররফসহ অনেক সাহিত্যিকের লেখনীতেই এর প্রমাণ রয়েছে। বিশেষত রবীন্দ্র বঙ্কিম শরৎসহ হিন্দু সাহিত্যিকদের রচনায় এর প্রমাণ বিস্তর। কিন্তু বর্তমানে তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা ও হিন্দু তোষণকারী প্রশাসন পারলে হিন্দুদের মাথায় তুলে রাখে। হিন্দুরা যে মুসলমানদের শত্রু জ্ঞান করে- সে কথা অস্বীকার করে। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মুশরিক-হিন্দুদের বড় শত্রু বলা হয়েছে। অতএব, ওদের থেকে সাবধান।

ভারতকে কানেকটিভিটির নামে ট্রানজিট দেয়ার বৈধতা বর্তমান সরকারের নেই। ভারতকে কোনোমতেই ট্রানজিট দেয়া যাবে না। দিলে ৯৭ ভাগ ঈমানদার জনগোষ্ঠী বরদাশত করবে না।

আন্তর্জাতিক পানি ব্যবহারের বিধিবিধান লঙ্ঘন করে ভারত নির্মাণ করছে টিপাইমুখ বাঁধ। বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের জোর প্রতিবাদ দরকার।