প্রসঙ্গ: মুজাদ্দিদে আ’যমের আবির্ভাব এবং আমেরিকায় অর্থনৈতিক ও প্রাকৃতিক গযব

সংখ্যা: ১৮২তম সংখ্যা | বিভাগ:

আবরাহার চেয়েও বড় জালিমের অস্তিত্ব ছিল। তারা সবাই দুনিয়াতে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়নি। কিন্তু আবরাহার হস্তিবাহিনী ধ্বংসপ্রাপ্ত হলো লাখ লাখ আবাবিল পাখি দ্বারা।

কারণ হিসেবে তাফসীরে লেখা হয় যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম-এর আবির্ভাবকাল অর্থাৎ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আবির্ভাবের লক্ষণ হিসেবেই- বড় ধরনের কুদরত ও মুজিযা আল্লাহ পাক প্রকাশ করালেন।

গৌড় গোবিন্দের চেয়ে অনেক জালিম হিন্দু রাজার অস্বিত্ব পৃথিবীতে ছিল কিন্তু হযরত শাহজালাল রহমাতুল্লাহি আলাইহি-এর মোবারক অস্তিত্বের কারণেই গৌড়-গোবিন্দের ধ্বংস হয়েছিল। পৃথিরাজ ভীষণ জালিম রাজা ছিল। অজয়পাল বড় যাদুকর ছিল। কিন্তু হাবীবুল্লাহ, খাজায়ে খাজেগা, কুতুবুল হিন্দ গরীবে নেওয়াজ হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি-এর কারামতেই পৃথিরাজ ধ্বংস হলো।

আশির দশক পর্যন্ত সমাজতন্ত্রী রাশিয়া, চীন, সমাজতন্ত্র এদেশে সমাজতন্ত্রী বুদ্ধিজীবী, সাহিত্যিক, লেখক, চিন্তাবিদ সমাজতন্ত্রের পক্ষে এবং ইসলামের বিপক্ষে তাদের তীব্র বাণযুক্ত লেখা, বক্তব্য প্রচারণাকে ইসলামের দৃষ্টিতে ফায়সালা দিতে, জবাব দিতে ইসলামী চিন্তাবিদদের কি সে হিম-সিমই না খেতে হয়েছে। এবং সমাজতন্ত্র যদি এখনও দায়েম কায়েক থাকত তাহলে সাধারণ মুসলমানদের হোদায়েত বাদ দিয়ে সময়, মেধা, শ্রম, ইলমের একটা বিরাট অংশ ব্যায় করতে হত সমাজতন্ত্রী, সাম্রাজতন্ত্রী সাহিত্য কর্মকা-ের বিরুদ্ধে কিন্তু এটা মুজাদ্দিদে আযম রাজারবাগ শরীফ-এর মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর অনন্য কারামত যে যে সমাজতন্ত্রী আগ্রাসন, জবরদখল সমাজতন্ত্রী সাহিত্য, প্রচারণা কর্মকা- তথা গোটা সমাজতন্ত্র এমনিতেই গায়েব হয়ে গেল। সমাজতন্ত্র ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে গেল। এদেশে সমাজতন্ত্রী চেলা, কর্মী বুদ্ধিজীবি, সংস্কৃতি কর্মী, সব লা-জাওয়াব হয়ে গেল। ফলতঃ মুসলমানদের সুবিধা হলো উলামায়ে হক্বানী রব্বানী সমাজতন্ত্রী জিহাদ থেকে ফুরসত পেয়ে মুসলমানদের হেদায়েতের কাজে আরো অধিক সময় দিতে পারলেন।

এদিকে, মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই আমেরিকা পরাশক্তির অধিকারী হওয়ায় মুসলিম বিশ্বে চালায় একের পর এক আক্রমণ।

ফলতঃ মুসলমানগণ চাচ্ছিলেন যাতে আমেরিকার উপর গযব নাযিল হয়। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রায় অর্ধ-শতক পরে হলেও আমেরিকায় সে গযব নাযিল হয়নি।

কিন্তু আজ যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মা, কুতুবুল আলম, মুহইস সুন্নাহ, আওলাদে রসূল রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী এর রূহানী দামানের উপর ভিত্তি করেই আমেরিকায় গযবটা নাযিল হচ্ছে। যে আমেরিকা তার ঐশ্বর্য্যরে কারনে মুসলিম দেশগুলোকে করুণা করত আজকে আমেরিকাই মুসলমান দেশ থেকে ভিক্ষা করছে। বিবিসি জানায়, আমেরিকাকে দেড়শ’ কোটি ডলার দিয়েছে লিবিয়া।

এদিকে, ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়ায় আমেরিকানদের আর্থিক গযবের আরো যেসব খবর প্রমাণিত হয়, তা হলো-

“আর্থিক সঙ্কটে আমেরিকানদের ঘুম হারাম!”

“পরিস্থিতি ভয়াবহ: যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক মন্দা আরো শোচনীয় হচ্ছে ধৈর্য ধরতে জনগণের প্রতি বুশের আহ্বান”

“আর্থিক সঙ্কটে নিউইয়র্কেই চাকরি হারাচ্ছে দেড় লক্ষাধিক মানুষ”

“দেনার দায়ে বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমেছে কোটি কোটি মার্কিনী” “লুণ্ঠন করে হলেও মার্কিনীদের সম্পদ চাই”

“আমেরিকার বয়স্ক নাগরিকরা অর্থনৈতিক ধসের কারণে অবসর জীবন নিয়ে হতাশ”

“আমেরিকার বয়স্ক নাগরিকরা অর্থনৈতিক ধসের কারণে অবসর জীবন নিয়ে হতাশ”

“যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, জাপান, ভারত ও দ. কোরিয়ার শেয়ার বাজার ক্র্যাশ”

“আর্থিক মন্দা কাটাতে পাশ্চাত্যের দেশগুলো অধিক অস্ত্র-সম্ভার বিক্রির জন্য”

“চলতি বছরের শেষে ও আগামী বছরের প্রথমে মার্কিন অর্থনীতিতে আরো বেশি ধস নামবে”

“মহামন্দায় পড়ে বিশ্ব অর্থনৈতিক সম্মেলন ডাকছে বুশ”

“অর্থনৈতিক সঙ্কটে গুগল ইয়াহু’র কর্মী ছাটাই”

“যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি তিনগুণ বৃদ্ধি”

“আর্থিক সঙ্কট উত্তোরণে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৩ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার সাহায্য পরিকল্পনা”

“দরিদ্র দেশ আমেরিকা”

উল্লেখ্য, উপরে উল্লিখিত সংবাদ শিরোনামগুলো হচ্ছে শুধু আমেরিকায় আর্থিক গযবের উদাহরণ। কিন্তু এছাড়া গত দু’তিন বছর ধরে আমেরিকায় হারিকেন, ক্যাটরিনা থেকে আরম্ভ করে দাবানল, টর্নেডো, ঘূর্ণিঝড়, খরা, তুফান, বন্যা ইত্যাদি প্রাকৃতিক গযব পুরো আমেরিকাকে তছনছ  করে ফেলছে।

প্রসঙ্গত বর্তমান অবস্থায় আমেরিকার প্রতি মুজাদ্দিদে আযম, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী এর ফরমাণ হলো, “তারা যেন সময় থাকতেই তওবা করে। মুসলমানদের উপর অত্যাচার বন্ধ করে। ইরাক, আফগানিস্তান থেকে সৈন্য সরিয়ে পাকিস্তানে হামলার চিন্তা বন্ধ করে। নতুবা অতি শীঘ্রই আমেরিকাকে ভিক্ষা করে খেতে হবে।

– মুহম্মদ তারীফুর রহমান

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।