বহু ভুল মাসয়ালা প্রদানকারী এনটিভি’র মাওলানা নামধারী আবুল কালাম আজাদই একাত্তরের কুখ্যাত ঘাতক ‘বাচ্চু রাজাকার’

সংখ্যা: ১৮০তম সংখ্যা | বিভাগ:

কালামুল্লাহ শরীফ-এর সূরা হুদের ১১৩নং আয়াত শরীফ-এ আল্লাহ পাক ঈমানদার বান্দাগণকে লক্ষ্য করে ইরশাদ করেন, “যারা পাপিষ্ঠ তাদের প্রতি ঝুঁকবেনা নতুবা তোমাদেরকেও আগুনে ধরবে….।”

আল্লামা বায়যাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি এ আয়াত শরীফের তাফসীরে বলেন, আল্লাহ পাক-এর নাফরমানীকে নিষিদ্ধ ও হারাম ঘোষণা করার জন্য এ আয়াত শরীফে মহান রব্বুল আলামীন যেরূপ কঠোর ভাষা প্রয়োগ  করেছেন, এর চেয়ে কঠোর জোড়ালো ভাষা কল্পনাও করা যায় না। এখানে শুধু পাপিষ্ঠদের সাথে অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ব ও গভীর সম্পর্ককেই নিষেধ করা হয়নি বরং তাদের প্রতি সামান্যতম আকৃষ্ট হওয়া তাদের সাথে উপবেশন করা এবং তাদের কার্যকলাপের প্রতি মৌনতা অবলম্বনও নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে হারাম টিভি চ্যানেলগুলোতে পাপিষ্ঠ ধম্যব্যবসায়ী রাজাকাররা নিলর্জজ্জভাবে ইসলামের নামে বিকৃত ফতোয়াবাজী করে যাচ্ছ। শবে বরাত, ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নাজায়িয- এ ধরনের কুফরী ফতওয়া দিয়ে যাচ্ছে।

কাজেই এসব কুফরী ফতওয়াবাজদের ফতওয়া দানের সুযোগ বন্ধ করে তাদের হাক্বীক্বত জনসম্মুখে প্রকাশ করাই মুসলমানের কর্তব্য।

প্রসঙ্গতঃ গত ২৩শে আগস্ট দৈনিক আল ইহসানে লীড নিউজ হয়- “মুজাদ্দিদে আ’যমের বিরোধিতাকারী, সুন্নত অস্বীকারকারী, মীলাদ শরীফ ও শবে বরাত বিরোধী এবং টিভি চ্যানেলে শরীয়ত বিরোধী বক্তব্য ও বহু ভুল মাসয়ালা প্রদানকারী এনটিভি’র মাওলানা নামধারী আবুল কালাম আজাদই একাত্তরের কুখ্যাত ঘাতক ‘বাচ্চু রাজাকার’।”

খবরে বলা হয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ড. প্রদীপ রঞ্জন কর বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর কুখ্যাত দোসর হিসেবে ফরিদপুরের নগরকান্দায় হত্যাযজ্ঞে অংশগ্রহণকারী রাজাকার বাচ্চুই এখনকার এনটিভি’র তথাকথিত ইসলামী চিন্তাবিদ মাও. আবুল কালাম আজাদ। গত মঙ্গলবার নিউইয়র্কে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। খবর এনার।

 সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বন্দুকধারী কুখ্যাত রাজাকার মাওলানা আবুল কালাম আজাদই ‘বাচ্চু রাজাকার’ এবং একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় তারই সহায়তায় ফরিদপুরের নগরকান্দার খাবদিয়া গ্রামে পাকিস্তানি বাহিনী ১১ জনকে এক সঙ্গে হত্যার পর গান পাউডার দিয়ে পুরো গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছিল। সেই কুখ্যাত ঘাতক বাচ্চু (আবুল কালাম আজাদ) রাজাকার আমেরিকায় আসছে বলে জানার পরই আয়োজন করা হয় এ সংবাদ সম্মেলনের এবং প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের সমর্থকদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে একাত্তরের কুখ্যাত ঘাতক বাচ্চু রাজাকারকে প্রতিরোধ করার আহ্বান জানানো হয়।

আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “… আল্লাহ পাক  পছন্দ করেন না তাকে যে বিশ্বাসঘাতক, পাপী হয়।  তারা মানুষের কাছে লজ্জিত হয়…।” (সূরা আন নিসা-১৮০)

মানুষের কাছে আরো লজ্জিতত হবার জন্যই যেন আল্লাহ পাক-এর কুদরতে সম্প্রতি আরো প্রকাশিত হলো কুখ্যাত ধর্মব্যবসায়ী মাওলানা নামধারী আবুল কালাম আজাদ ওরফে কুখ্যাত বাচ্চু রাজাকারের হাক্বীক্বত।

-মুহম্মদ গোলাম মুর্শিদ, ঢাকা।

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।