বাংলাদেশের তরুণ সমাজ এখন এনার্জি ড্রিংকসের নামে আফিম সেবনে বুঁদ। সরকারের ব্যর্থতা দুঃখজনক

সংখ্যা: ২১৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

সব প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ ও সালাম।

বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এনার্জি ড্রিংকসের হাত ধরে নিজেদের অজান্তেই নেশার জগতে প্রবেশ করছে দেশের তরুণ-তরুণীরা। কথিত এনার্জি ড্রিংকস নামের এসব পানীয়তে রয়েছে আফিম ও অ্যালকোহলসহ নানা ক্ষতিকর নেশা দ্রব্য। তারপরও রেডিও-টেলিভিশন, পত্রিকা ও রাস্তাঘাটে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে তরুণ সমাজকে আকৃষ্ট করছে বিভিন্ন কোম্পানি।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান, বাজার সয়লাব হওয়া এসব এনার্জি ড্রিংকস পান করলে দীর্ঘ মেয়াদে মানুষের মস্তিষ্ক বিকৃতি হতে পারে। চরম ক্ষতি করতে পারে গর্ভবতী মা ও সন্তানের। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর জানায়, এরই মধ্যে কম পরিচিত তিনটি ব্র্যান্ডের এনার্জি ড্রিংকস পরীক্ষা করে তারা ভয়াবহ মাদক আফিম পেয়েছেন। এর পরও আইনি কোনো বাধা না থাকায় বাজারে দেদার বিক্রি হচ্ছে এসব ক্ষতিকর পানীয়।

সূত্র মতে, এই মুহূর্তে দেশে এনার্জি ড্রিংকসের বাজার প্রায় সাড়ে ৬শ’ কোটি টাকার। দিন দিন এর চাহিদা বাড়ছে। তবে এগুলোর উপকারিতা, ক্ষতিকর প্রভাব ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে কোনো ধারণা দেয়া থাকে না কোনোটিতেই।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছে, এনার্জি ড্রিংকসে ক্ষতিকর অন্যান্য উপাদানের পাশাপাশি আছে উচ্চমাত্রার ক্যাফেইন যা মৃগীরোগ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষের দেহে ৪০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইনই যথেষ্ট। একজন নারীর জন্যে এ মাত্রা ৩০০ মিলিগ্রাম। অথচ একটা এনার্জি ড্রিংকসের ক্যানেই থাকে ৩৬০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন। সফট ড্রিংকস কোম্পানিগুলোর দাবি- এটা তারা ব্যবহার করছে স্বাদ বাড়ানোর জন্য। কারণ ক্যাফেইনের তেতো স্বাদ অন্যান্য ফ্লেভারকে বাড়িয়ে দেয়। বাড়িয়ে দেয় আসক্তি। তরুণরা একবার যখন এতে অভ্যস্ত হয় তখন তার দিকেই বেশি ঝুঁকে পড়ে তারা। অন্য সব আসক্তি সৃষ্টিকারী উপাদানের মতো ক্যাফেইনও সাময়িকভাবে মানুষের মুডকে চাঙ্গা করলেও দীর্ঘমেয়াদে এর রয়েছে অনেকগুলো ক্ষতিকর দিক।

চিকিৎসকরা জানায়, এসব ক্ষতিকর ও নেশাজাতীয় উপাদান মেশানো এক বা দুই বোতল সফট ড্রিংকসই অনিদ্রা, নার্ভাসনেস ও দ্রুত হৃদস্পন্দন সৃষ্টির জন্যে যথেষ্ট। বেশি পরিমাণে খেলে তা অনিয়মিত হৃদস্পন্দন থেকে শুরু করে আতঙ্ক এবং উদ্বেগ প্রবণতা, পেশিতে টান লাগা, অসংলগ্ন কথাবার্তা, বিষন্নতা এবং উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি করতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভবতী মহিলা- যারা সফট ড্রিংকস পান করেছেন তাদের গর্ভপাত, সময়ের আগেই প্রসব বা কম ওজনের বাচ্চা জন্ম দেয়ার ঝুঁকি বেশি। ক্যাফেইনের আরেকটি প্রভাব হলো, এটি প্রস্রাবের প্রবণতা বাড়ায় এবং দেহকে পানিশূন্য করে ফেলে। এ ছাড়া সফট ড্রিংকস দেহে অক্সিজেনের পরিমাণ কমিয়ে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। ক্যারামেলের রং আনার জন্যে সফট ড্রিংকস এ পলি-ইথিলিন গ্লাইকোল নামের যে রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয়, তা ক্যান্সার সৃষ্টির জন্য দায়ী।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মুদি দোকান, জেনারেল স্টোরসহ বিভিন্ন স্থানে প্রচলিত অন্যান্য পানীয়র সঙ্গে থরে থরে সাজানো হট ফিলিংস, ট্রিপল এক্স, ফাস্ট ফিলিংস, পাওয়ার, এনার্জি, হর্স পাওয়ার, হর্স ফিলিংস, সুপার পাওয়ার, ফাস্ট হর্স, ম্যান পাওয়ারসহ কথিত সব এনার্জি ড্রিংকস।

মাত্র ৪৫ টাকা মূল্যের এনার্জি ড্রিংকস সেবনের পর শরীরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। সাময়িক এ উত্তেজনার জন্যই পানীয়গুলো দেদার বিক্রি হচ্ছে বলে বিক্রেতাদের মত। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি না থাকায় অলিগলিসহ অনেকটা প্রকাশ্যেই চলছে এ মাদক সেবন।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, এনার্জি ড্রিংকের নামে বাজারজাত করা পানীয়গুলোতে যে ‘অপিয়েটস’ মিলছে, তা আফিম থেকে উদ্ভূত। অপিয়েটস হেরোইন, নেশার ইনজেকশনসহ বিভিন্ন ধরনের ভয়ংকর মাদকের মতোই ক্ষতিকর। আরেক উপাদান ‘সিলডেনাফিল সাইট্রেট’ যৌন উত্তেজক হিসেবে কাজ করে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তরুণ প্রজন্মকে তাদের ব্র্যান্ডের এনার্জি ড্রিংকে আকৃষ্ট করতেই এসব ভয়ঙ্কর মাদকের উপাদান ব্যবহার করা হচ্ছে। বাজার তৈরি করতেই প্রথম পর্যায়ে কম দামে তা বিক্রি করা হচ্ছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯০-এর ১৯/৩ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কারো কাছে আফিম ও আফিম উদ্ভূত পণ্য পাওয়া যায় এবং তা যদি দুই কেজির বেশি হয় তবে তার শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। আইনের এত কঠোর বিধান থাকার পরও অসৎ চক্রগুলি এনার্জি ড্রিংকের নামে আফিম মেশানো পণ্য উৎপাদন করছে।

মাদকের এ অভিনব ব্যবসার বিস্তার ঘটেছে মূলত গত বছরের গোড়ার দিকে। বিশেষ চক্র দেশের বিভিন্ন স্থানে কারখানা খুলে কথিত এনার্জি ড্রিংকস উৎপাদনের পাশাপাশি গ্রাম-গঞ্জে বাজারজাত করেছে।

এতে উঠতি বয়সের ছেলেরাসহ যুবকরাই বেশি আকৃষ্ট হচ্ছে। দেশে এভাবে একটা উপার্জনক্ষম কর্মশক্তি ধীরে ধীরে অচল হয়ে পড়ছে। জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী একটি দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ নেশার দ্রব্য অবাধে প্রবেশ করিয়ে এদেশের উপার্জনক্ষম পুরুষ ও যুবশক্তিকে যড়যন্ত্রমূলকভাবে নষ্ট করে দেয়া হচ্ছে।

পর্যবেক্ষক মহল জানায়, ১৯৯০ সাল থেকে যদিও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর কাজ করছে, কিন্তু আইন প্রয়োগের অভাব এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দুর্নীতিপরায়ণতার কারণে এদেশে মাদকের অপব্যবহার বাড়ছে। এক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা অন্ধ, বোবা আর বধিরের মতোই। উল্লেখ্য, সম্প্রতি একটি ফ্যাশনযুক্ত শ্লোগান উঠেছে, ‘মাদককে না বলো।’ অথচ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এ মাদকের বিরুদ্ধে যা বলা আছে তার প্রচারে মুসলমানের অন্তরে এমনিতেই দাগ কাটার কথা।

মূলত মাদকের বিরুদ্ধে ইসলামী অনুভূতি ও প্রচার এক সময় জোরদার ছিল। কিন্তু ইদানীংকালে ধর্মব্যবসায়ীদের নিষ্ক্রিয়তা সে মূল্যবোধকে নিস্তেজ করে দিয়েছে। হালে মুজাদ্দিদে আ’যম হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার ক্বওল শরীফ ও উনার লেখনী সে অবলুপ্ত অনুভূতিতে জাগরণ তৈরি করছে। তবে এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য যে, মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি শুধু তাত্ত্বিক ফতওয়াই দিচ্ছেন না; পাশাপাশি দিচ্ছেন মাদক থেকে বিরত হওয়ার বেমেছাল রূহানী কুওওয়াত। যা মাদকসেবীদের আনন্দের সাথেই মাদক থেকে বিরত রাখছে। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে মুজাদ্দিদে আ’যম হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নেক ছায়াতলে কবুল করুন। (আমীন)

-মুহম্মদ ওয়ালীউল্লাহ

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।