বাংলার ইহুদী খ্যাত সাঈদীর ইহুদী খাছলতের হাক্বীক্বত

সংখ্যা: ১৮০তম সংখ্যা | বিভাগ:

কুরআন শরীফ-এ আল্লাহ পাক ইরশাদ করেছেন, “তোমরা যদি সত্যবাদী হয়ে থাক তবে দলীল পেশ কর।”

প্রসঙ্গতঃ গতকাল “দৈনিক সমকাল” ১ম পৃষ্ঠার, ১ম কলামে শিরোনাম হয়: “খালেদার বিষোদগার করলেন সাঈদী।”

খবরে বলা হয়, “পিরোজপুরে গতকাল শুক্রবার জামাতে ইসলামীর এক সমাবেশে পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সাংসদ মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী বিএনপি ও চারদলীয় জোট নেত্রী খালেদা জিয়ার বিষোদগার করেছেন। তিনি বলেন, ক্ষমতায় থেকে জুলুম, অত্যাচার কিংবা অসংযত আচরণ করলে কি পরিণতি হয় তার জ্বলন্ত প্রমাণ কারাভোগকারী দুই নেত্রী (খালেদা-হাসিনা)। ক্ষমতায় থাকাকালে তাদের অঙ্গুলি হেলনে কি-না হতো। অথচ এখন তাদের পাশে কেউ নেই।”

প্রশ্ন হলো, ক্ষমতায় থাকাকালে সাঈদী ওরফে বাংলার ইহুদী খালেদা জিয়ার পাশে ছিল কী-না?

যদি থাকে তাহলে আজকে সাঈদী ওরফে বাংলার ইহুদীর বক্তব্য কিভাবে গৃহীত হবে?

সাঈদী ওরফে বাংলার ইহুদী খালেদা জিয়ার সরকারের শুধু সমর্থনকারীই নয় বরং প্রশংসাকারী ছিলেন কী-না?

যদি তিনি খালেদা জিয়ার প্রশংসা করে থাকেন তবে তার কোন প্রমাণ রয়েছে কী-না?

আর প্রমাণ থাকলে খালেদা জিয়ার সরকারের প্রশংসা করায় ইসলামের দৃষ্টিতে তিনিও তার বক্তব্য অনুযায়ী খালেদা জিয়ার ক্ষমতা থেকে জুলুম, অত্যাচার, কিংবা অসংযত আচরণের সহযোগী, সহযাত্রী ছিলেন তাই প্রমাণিত হবেন কী-না?

যেহেতু হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “পৃথিবীর পূর্ব প্রান্তে যদি কেউ বদ কাজ করে আর পশ্চিম প্রান্ত থেকে কেউ তা সমর্থন করে তবে তারও সমান গুনাহ হবে।” (নাঊযুবিল্লাহ) আবার এসব প্রমাণের জন্য খালেদা জিয়ার সরকারের আমলের কয়েকটি পত্রিকার উদ্ধৃতি দেয়া গেলো-

“দৈনিক সমকাল” ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬, ১৫ পৃষ্ঠায় পত্রস্থ হয়েছে, “সাঈদী বলে, দেশের ১৫ কোটি মানুষ বিশ্বাস করে বাংলাদেশের অস্তিত্ব, সমৃদ্ধি, ঈমান-আক্বীদা প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার হাতে নিরাপদ।”

“দৈনিক আমার দেশ” ৬ সেপ্টেম্বর, ২০০৬, ২ পৃষ্ঠায় হেডিং করে: “বর্তমান সরকার ইসলামের পক্ষের সরকার -সাঈদী।” খবরে বলা হয়, “বর্তমান সরকার ইসলামের পক্ষের সরকার। যারা সরকারকে একদিনের জন্যও ঘুমাতে দেবে না বলে হুমকি দিচ্ছেন তারাই বোমা হামলার সঙ্গে জড়িত। তারা কতিপয় দাড়ি-টুপিওয়ালা লোকদের দিয়ে বোমা হামলার ঘটনা ঘটিয়ে আলেমদের উপর দায়ভার চাপানোর চেষ্টা চালিয়েছে।”

“দৈনিক সংগ্রাম” ২২ এপ্রিল, ২০০৬, ১২ পৃষ্ঠায় হেডিং করে: “বর্তমান সরকার সন্ত্রাসমুক্ত দেশ গড়তে একশ’ ভাগ সফল হয়েছে -সাঈদী।”

খবরে বলা হয়, “তাফসীরুল কুরআন মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে তাফসীর পেশকালে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক ও সন্ত্রাসমুক্ত দেশ গঠনে ১০০ ভাগ সফল হয়েছে।”

এদিকে খোদ খালেদা জিয়াও তার জোট সরকারের সহযোগী সাঈদীর কিরূপ উচ্ছ্বাসিত প্রশংসা করতেন তার বিবরণও পত্র-পত্রিকায় অনেক।

“দৈনিক জনকন্ঠ” ৯ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬, ১২ পৃষ্ঠায় হেডিং করে, “সাঈদীকে আবার নির্বাচিত করতে হবে, তাহলে সব দাবি পূরণ হবে -পিরোজপুরে প্রধানমন্ত্রী।”

খবরে বলা হয়, “ভোট দিতে হবে জোট প্রার্থীকে, দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীকে আবার নির্বাচিত করতে হবে। তাহলে সব দাবি পূরণ হবে। তিনি আরও বলেন, সাঈদী সাহেব ইসলাম সম্পর্কে ভাল আলোচনা ও ওয়াজ করেন, ভাল বক্তৃতা দেন।”

উল্লেখ্য, ২০০৬-এ যে খালেদা জিয়া- বাংলার ইহুদীর এত প্রশংসা করলেন; যে প্রশংসা বাংলার ইহুদী হা করে গিললেন, আনন্দে গদগদ হলেন- ২০০৮ সালে সেই সাঈদী তথা বাংলার ইহুদীই খালেদা জিয়ার সাথে কী রকম বেঈমানী করলেন।

অথচ ইসলামের লেবেলে এরাই খালেদার চারপাশে ঘুরঘুর করত। এরাই ইসলাম পক্ষের শক্তি বলে প্রাধান্য পেতো। প্রচারিত হতো।

কিন্তু আজ প্রমাণিত হলো, খালেদার তথা জোট সরকারের ইসলাম পক্ষের শক্তিরা জামাতে মওদুদীরা, ইসলামী ঐক্যজোটওয়ালারা তথা তাবত ইসলামী রাজনীতিকওয়ালা আসলে কত বড় মুনাফিক।

মূলতঃ এরা এরকম কাট্টা মুনাফিক বলেই ১৯৭১-এ ঘৃণিত রাজাকারগিরি করতে পেরেছিলো। (নাঊযুবিল্লাহ)

-মুহম্মদ মাহবুবুর রহমান, ঢাকা।

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।