বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২১

সংখ্যা: ১৯০তম সংখ্যা | বিভাগ:

হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

বর্তমানে ইসলামের নামে বা মুসলমানের ছূরতে ইসলাম ও মুসলমানদের ক্ষতি সাধনে বা মুসলমানদের ঈমান আমল নষ্ট করণে ইহুদী-নাছারাদের খাছ দালাল বা এজেন্ট হয়ে যারা কাজ করছে তারা হলো-

১.                                                         কাদিয়ানী ২. শিয়া, ৩. ওহাবী।

ওহাবী বাতিল ফিরক্বা

বর্তমানে ইসলামের ছূরতে মুসলমানের ঈমান-আমলের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে যে দলটি, সেটি হচ্ছে- ‘ওহাবী ফিরক্বা’। অর্থাৎ ইবনে ওহাব নজদীর অনুসারীরা। আমাদের আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের ফতওয়া মুতাবিক ওহাবীরা বাতিল ফিরক্বার অন্তর্ভুক্ত। কারণ তাদের আক্বীদা ও আমল আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের খিলাফ।

ইবনে ওহাব ইহুদী দালাল

ব্রিটিশ গুপ্তচর হেমপারের স্বীকারোক্তি

শয়তান যে মানুষকে নেক সুরতে ধোঁকা দেয়, এ বিষয়টি ভালভাবে অনুধাবন করেছিল শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রিস্টানরা। মুসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী খ্রিস্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা যার মূলে থাকে খ্রিস্টীয় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ। জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ সৃষ্টির মূলে থাকে একজন ব্রিটিশ গুপ্তচর হেমপার। মিসর, ইরাক, ইরান, হেজাজ ও তুরস্কে তার গোয়েন্দা তৎপরতা চালায় মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার জন্য। “ঈড়হভবংংরড়হ ড়ভ ইৎরঃরংয ঝঢ়ু ধহফ ইৎরঃরংয বহসরঃু ধমধরহংঃ ওংষধস” গ্রন্থ হচ্ছে হেমপারের স্বীকারোক্তিমূলক রচনা। মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর মতামত বিভাগে ১২৪তম সংখ্যা থেকে ১৭৭তম সংখ্যায় তা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। নিম্নে সংক্ষিপ্তভাবে কিছু বিষয় উল্লেখ করা হলো-

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

মি. হেমপার লিখেছে- ইবনে ওহাব স্বাধীনচেতা লোক ছিল। তার মন শিয়া সুন্নী পক্ষপাতিত্ব মুক্ত ছিল। অথচ সেখানকার বেশীর ভাগ সুন্নীই শিয়া বিরোধী ছিলেন। আবার কোন সুন্নী মুফতী শিয়াদের কাফের বলে অভিহিত করতেন। শায়খ ইবনে আব্দুল ওহাবের দৃষ্টিতে হানাফী, শাফেয়ী, হাম্বলী ও মালেকী শিক্ষা কেন্দ্রের কোনটিরই বিশেষ কোন গুরুত্ব ছিলো না। তাঁর বক্তব্য হল আল্লাহতায়ালা যা কুরআন মজীদে বলেছেন, ছিলো ব্যাস তাই আমাদের জন্য যথেষ্ট।

ইবনে ওহাব কুরআন হাদীছ চর্চা করেছেন। স্বীয় অভিমতের পক্ষে ইসলামী জ্ঞান বিশারদের মতামত প্রমাণ হিসেবে পেশ করতেন। কিন্তু কোন কোন সময় তার চিন্তাধারা প্রখ্যাত আলিমদের বিপরীত অর্থে হত। তিনি কথায় কথায় বলতেন, রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শুধু কিতাব ও সুন্নতকে অপরিবর্তনীয় বিধান করে আমাদের জন্য পেশ করেছেন। তিনি কখনো বলেননি যে, ছাহাবায়ে কিরাম ও আইম্মায়ে দ্বীনের বর্ণনা অটল এবং অবতীর্ণ ওহীর শামিল। আমাদের জন্য কিতাব ও সুন্নতের অনুসরণ করাই শুধু ওয়াজিব। উলামা, চার ইমাম এমনকি ছাহাবাদের মতামত যাই হোক না কেন, তাঁদের ইখতিলাফের দ্বারা দ্বীনকে মজবুত করা নিষ্প্রয়োজন। একদিন ইরান থেকে আগত জনৈক আলিমের সাথে খাবার টেবিলে তর্ক শুরু হয়ে গেল। সে আলিমের নাম ছিল শায়খ জাওয়াদ কুম্মী। তিনি আব্দুর রেজা তরখানের মেহমান ছিলেন। শায়খ জাওয়াদ কুম্মীর সাথে ইবনে আব্দুল ওহাবের মৌলিক মতভেদ ছিল। তাদের কথাবার্তা সত্বরই তিক্ততার রূপ পরিগ্রহ করল। শায়খ কুম্মী ইবনে ওহাবকে বললেন, ‘যদি তুমি স্বাধীন চিন্তার লোক হও, নিজের দাবি অনুযায়ী ইসলাম সম্পর্কে যথেষ্ট লেখাপড়া করে থাক, তবে কেন শিয়াদের মত হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে সম্মান প্রদর্শন কর না?’ ইবনে আব্দুল ওহাব উত্তরে বললো, “হযরত উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও অন্যান্যদের মত ও কথা আমার কাছে প্রমাণ নয়। আমি শুধু কিতাব ও সুন্নতকে মানি।”

 – মুহম্মদ আবুল হাসান, বাসাবো, ঢাকা।

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।