বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৭ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

সংখ্যা: ১৮১তম সংখ্যা | বিভাগ:

ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বাহ ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

বর্তমানে ইসলামের নামে বা মুসলমানের ছূরতে ইসলাম ও মুসলমানদের ক্ষতি সাধনে বা মুসলমানদের ঈমান আমল নষ্ট করণে ইহুদী-নাছারাদের খাছ দালাল বা এজেন্ট হয়ে যারা কাজ করছে তারা হলো-

১.    শিয়া, ২. কাদিয়ানী, ৩. ওহাবী।

ওহাবী বাতিল ফিরক্বা

বর্তমানে ইসলামের ছূরতে মুসলমানের ঈমান-আমলের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে যে দলটি, সেটি হচ্ছে- ‘ওহাবী ফিরক্বাহ’। অর্থাৎ, ইবনে ওহাব নজদীর অনুসারীরা। আমাদের আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের ফতওয়া মুতাবিক ওহাবীরা বাতিল ফিরক্বার অন্তর্ভূক্ত। কারণ তাদের আক্বীদা ও আমল আহলে সুন্নত ওযাল জামায়াতের খিলাফ।

 নিম্নে ওহাবী ফিরক্বার জনক ইবনে ওহাব নজদীর পরিচয় ও তাদের কুফরী আক্বীদাসমূহ তুলে ধরা হলো-

ইবনে আব্দুল ওহাব নজদীর সংক্ষিপ্ত

পরিচয় ও তার কুফরী আক্বীদা

ইবনে ওহাব নজদীর পরিচয় সম্পর্কে ফতওয়ায়ে শামী, ইশয়াতে হক্ব, ওহাবীদের ইতিহাস, ওহাবীদের উৎপত্তি, সাইফুল মাযহাব, মাযহাব কি ও কেন? সাইফুল জাব্বার”, ইত্যাদি কিতাবে মুহম্মদ ইবনে ওহাব নজদীর পরিচয় এইভাবে বর্ণিত আছে, ইবনে আব্দুল ওহাব নজদী ১১১৪ হিজরী মুতাবিক ইংরেজী ১৭০৩ ঈসায়ী সালে আরবের নজদ প্রদেশে জন্মগ্রহন করে। তার পিতার নাম আব্দুল ওহহাব। তার বড় ভাই এর নাম সুলায়মান। পিতা ও ভ্রাতা দুজনই তৎকালে দেশে হক্কানী বিজ্ঞ আলিম নামে খ্যাত ছিলেন। কিন্তু আব্দুল ওহাবের কণিষ্ঠ পুত্র “ইবনে ওহ্হাব” অত্যন্ত উদাসীন ও গোঁড়ামী চরিত্রের অধিকারী ছিল। তাই সে তার পিতা ও ভ্রাতার মতের বিপরীত চলতো এবং প্রায়ই তাদের বিরুদ্ধাচরণ করতো এবং মনগড়া নতুন মত প্রচার করে ফিৎনা পয়দা করতো। তার ভ্রান্ত আক্বীদাগুলোর সাথে সেই যামানার হক্কানী-রব্বানী আলিমগণ একমত হতে পারেননি। ফলে সে বহু আলিম, ছূফী, দরবেশ, মুক্তাক্বীদের উপর স্টীম রোলারের ন্যায় অত্যাচার চালায় এবং তাঁদের অনেককে সে শহীদ করে ফেলে।

ছহীহ হাদীছ শরীফে নজদীর পরিচয়

পূর্ব প্রকাশিতের পর

এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফে আরো ইরশাদ হয়েছে-

قال النبى صلى الله عليه وسلم يخرج الناس من المشرق يقرؤن القران لا يجاوز تراقيهم يمرقون من الذين كما يمرق السهم من الرمية سيماهم التحليق.

অর্থঃ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-ইরশাদ করেন, পূর্ব দিক হতে (অর্থাৎ নজদ দেশ হতে) একদল লোক বের হবে, তারা ঠিকই কুরআন শরীফ পাঠ করবে, কিন্তু কুরআন শরীফ-এর মর্মার্থ তাদের কণ্ঠনালীর নিচে নামবে না। অর্থাৎ কুরআন শরীফ-এর অর্থ বুঝবে না। তারা ইসলাম ধর্ম হতে এমনিভাবে দূরে সরে পড়বে যেমন তীর ধনুক হতে ছুড়লে আবার ফিরে আসে না। এসব লোকের সাধারণ লক্ষণ হল তাদের মাথা মুড়ানো থাকবে।

ঠিক এই লক্ষণটি পরিলক্ষিত হয়েছে নজদবাসী ইবনে ওহাব নজদী ও তার অনুসারীদের মাঝে।

স্মর্তব্য, আমাদের এদেশেও তথাকথিত একদল মুবাল্লিগ জনসাধারণের মধ্যে খ্যাতি অর্জনের জন্য মাথা মুড়ায়ে ফেলে। তারা দাবী করে যে, তারাই প্রকৃত ইসলামের অনুসারী। প্রকৃত পক্ষে তারা হল ইসলামের চরম শত্রু। আল্লাহ পাক ও তাঁর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পরম শত্রু। তাই তাদের থেকে দূরে থাকা প্রত্যেক ঈমানদারের একান্ত কর্তব্য।

মুহম্মদ আবুল হাসান, বাসাবো, ঢাকা

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাযযাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৩৩

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৩৪

চাঁদ দেখা এবং নতুন চন্দ্রতারিখ শুরু নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা- ১

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-১৮

কট্টর কমুনিস্ট মাওসেতুং এর নতুন ভাবশিষ্য ফুলতলীর লংমার্চ এবং তার শরয়ী পর্যালোচনা ও প্রসঙ্গ কথা