বর্তমানে ইসলামের নামে বা মুসলমানের ছূরতে ইসলাম ও মুসলমানদের ক্ষতি সাধনে বা মুসলমানদের ঈমান আমল নষ্ট করণে ইহুদী-নাছারাদের খাছ দালাল বা এজেন্ট হয়ে যারা কাজ করছে তারা হলো-
১. শিয়া, ২. কাদিয়ানী, ৩. ওহাবী।
বর্তমানে ইসলামের ছূরতে মুসলমানের ঈমান-আমলের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে যে দলটি, সেটি হচ্ছে- ‘ওহাবী ফিরক্বাহ’। অর্থাৎ, মুহম্মদ বিন আব্দুল ওহাব নজদীর অনুসারীরা। আমাদের আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের ফতওয়া মুতাবিক ওহাবীরা বাতিল ফিরক্বার অন্তর্ভূক্ত। কারণ তাদের আক্বীদা ও আমল আহলে সুন্নত ওযাল জামায়াতের খিলাফ।
নিম্নে ওহাবী ফিরক্বার জনক ইবনে ওহাব নজদীর পরিচয় ও তাদের কুফরী আক্বীদাসমূহ তুলে ধরা হলো-
মুহম্মদ ইবনে আব্দুল ওহাব নজদীর পরিচয় সম্পর্কে ফতওয়ায়ে ‘শামী, ইশয়াতে হক্ব, ওহাবীদের ইতিহাস, ওহাবীদের উৎপত্তি, সাইফুল মাযহাব, মাযহাব কি? ও কেন, সাইফুল জাব্বার”, ইত্যাদি কিতাবে মুহম্মদ ইবনে আব্দুল ওহাব নজদীর পরিচয় এইভাবে বর্ণিত আছে, মুহম্মদ ইবনে আব্দুল ওহাব নজদী ১১১১ হিজরী মুতাবিক ইংরেজী ১৭০৩ ঈসায়ী সালে আরবের নজদ প্রদেশে জন্মগ্রহন করে। তার পিতার নাম আব্দুল ওহহাব। তার বড় ভাই এর নাম সুলায়মান। পিতা ও ভ্রাতা দুজনই তৎকালে দেশে হক্কানী বিজ্ঞ আলিম নামে খ্যাত ছিলেন। কিন্তু আব্দুল ওহাবের কণিষ্ঠ পুত্র “মুহম্মদ ইবনে আব্দুল ওহ্হাব” অত্যন্ত উদাসীন ও গোঁড়ামী চরিত্রের অধিকারী ছিল। তাই সে তার পিতা ও ভ্রাতার মতের বিপরীত চলতো এবং প্রায়ই তাদের বিরুদ্ধাচরণ করতো এবং মনগড়া নতুন মত প্রচার করে ফিৎনা পয়দা করতো। তার ভ্রান্ত আক্বীদাগুলোর সাথে সেই যামানার হক্কানী-রব্বানী আলিমগণ একমত হতে পারেননি। ফলে সে বহু আলিম, ছূফী, দরবেশ, মুক্তাক্বীদের উপর স্টীম রোলারের ন্যায় অত্যাচার চালায় এবং তাঁদের অনেককে সে শহীদ করে ফেলে।
পূর্ব প্রকাশিতের পর
হাদীছ শরীফে পূর্ব দিকের কথা উল্লেখ করে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নজদকেই বুঝিয়েছেন।
যেমন হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে-
قال النبى صلى الله عليه وسلم رأس الكفر نحو الـمشرق والفخر والـخيل فى اهل الخيل والابل. وفى راواية قال صلى الله عليه وسلم غلظ االقلوب والجفاء بالـمشرق والايـمان فى اهل الحجاز
অর্থঃ হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, মূল কুফর পূর্ব দিকে এবং গর্ব ও অহংকার রাখালদের মধ্যে। অন্য আর এক বর্ণনাতে রয়েছে যে, কঠিন অন্তর ও জুুলুম অত্যাচার পূর্ব দিকের লোকদের মধ্য থেকে আবির্ভূত হবে। আর ‘ঈমান’ হিজাজ এর বাসিন্দাদের মধ্যে থাকবে।
উপরোক্ত হাদীছ শরীফদ্বয়ের দ্বারা নজদ ও নজদীদের প্রকৃত স্বরূপ বুঝানো হয়েছে। কারণ গর্ব ও অহঙ্কার এবং জুলুম ও অত্যাচার তাদের দ্বারা যেমন প্রকাশ পেয়েছে এরূপ আর কোন এলাকার লোকদের দ্বারা তা প্রকাশিত হয়নি। (চলবে)
মুহম্মদ আবুল হাছান, বাসাবো, ঢাকা
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০