বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৫ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বাহ ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

সংখ্যা: ১৭৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

বর্তমানে ইসলামের নামে বা মুসলমানের ছূরতে ইসলাম ও মুসলমানদের ক্ষতি সাধনে বা মুসলমানদের ঈমান আমল নষ্ট করণে ইহুদী-নাছারাদের খাছ দালাল বা এজেন্ট হয়ে যারা কাজ করছে তারা হলো-

১.  শিয়া, ২. কাদিয়ানী, ৩. ওহাবী।

ওহাবী ফিরক্বা

বর্তমানে ইসলামের ছূরতে মুসলমানের ঈমান-আমলের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে যে দলটি, সেটি হচ্ছে- ‘ওহাবী ফিরক্বাহ’। অর্থাৎ, মুহম্মদ বিন আব্দুল ওহাব নজদীর অনুসারীরা। আমাদের আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের ফতওয়া মুতাবিক ওহাবীরা বাতিল ফিরক্বার অন্তর্ভূক্ত। কারণ তাদের আক্বীদা ও আমল আহলে সুন্নত ওযাল জামায়াতের খিলাফ।

নিম্নে ওহাবী ফিরক্বার জনক ইবনে ওহাব নজদীর পরিচয় ও তাদের কুফরী আক্বীদাসমূহ তুলে ধরা হলো-

ইবনে আব্দুল ওহাব নজদীর সংক্ষিপ্ত পরিচয় ও তার আক্বীদা

ইবনে আব্দুল ওহাব নজদীর পরিচয় সম্পর্কে ফতওয়ায়ে ‘শামী, ইশয়াতে হক্ব, ওহাবীদের ইতিহাস, ওহাবীদের উৎপত্তি, সাইফুল মাযহাব, মাযহাব কি? ও কেন, সাইফুল জাব্বার”, ইত্যাদি কিতাবে ইবনে আব্দুল ওহাব নজদীর পরিচয় এইভাবে বর্ণিত আছে, ইবনে আব্দুল ওহাব নজদী ১১১১ হিজরী মুতাবিক ইংরেজী ১৭০৩ ঈসায়ী সালে আরবের নজদ প্রদেশে জন্মগ্রহন করে। তার পিতার নাম আব্দুল ওহহাব। তার বড় ভাই এর নাম সুলায়মান। পিতা ও ভ্রাতা দুজনই তৎকালে দেশে হক্কানী বিজ্ঞ আলিম নামে খ্যাত ছিলেন। কিন্তু আব্দুল ওহাবের কণিষ্ঠ পুত্র “মুহম্মদ ইবনে আব্দুল ওহ্হাব” অত্যন্ত উদাসীন ও গোঁড়ামী চরিত্রের অধিকারী ছিল। তাই সে তার পিতা ও ভ্রাতার মতের বিপরীত চলতো এবং প্রায়ই তাদের বিরুদ্ধাচরণ করতো এবং মনগড়া নতুন মত প্রচার করে ফিৎনা পয়দা করতো। তার ভ্রান্ত আক্বীদাগুলোর সাথে সেই যামানার হক্কানী-রব্বানী আলিমগণ একমত হতে পারেননি। ফলে সে বহু আলিম, ছূফী, দরবেশ, মুক্তাক্বীদের উপর স্টীম রোলারের ন্যায় অত্যাচার চালায় এবং তাঁদের অনেককে সে শহীদ করে ফেলে।

ছহীহ হাদীছ শরীফে নজদীর পরিচয়

আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম- এ হাদীছ শরীফটির দ্বিতীয় অংশে বলেন, এই নজদ হতে শয়তানের ধারাল শিং এর আবির্ভাব হবে। দ্বিতীয় বাক্যটির মধ্যে করনুশ শয়তান বা শয়তানের প্রথম শিং মিথ্যা নুবুওওয়াতের দাবীদার মুসায়লামাতুল কাজ্জাবকে এবং দ্বিতীয় শিং দ্বারা ইবনে আব্দুল ওহাব নজদীকে বুঝানো হয়েছে। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ভবিষ্যদ্বানীটি অক্ষরে অক্ষরে বাস্তব রূপ ধারণ করেছে। প্রথম শিংকে দমন করা হয় হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর খিলাফত কালে। আধুনিক কালের শয়তানের শিং অর্থাৎ ১৮০১ ইং ওহাবীরা সাউদ বিন আব্দুল আজিজের নেতৃত্বে কারবালার পবিত্র ভূমি হতে হযরত ইমাম হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর পবিত্র মাযার শরীফ ভেঙ্গে দেয়। ১৮০৩ ঈসায়ী সালে মক্কা শরীফ আক্রমণ করে কা’বা শরীফ-এর গিলাফ ছিড়ে ফেলে। আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম, আওলিয়ায়ে কিরাম ও ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের মাযার শরীফসমূহ ভেঙ্গে ফেলে। ১৮০৪ ঈসায়ী সালে মদীনা শরীফ আক্রমণ করে। এই পবিত্র স্থানটি ১৮১৩ ঈসায়ী সাল পর্যন্ত ওহাবীদের দখলে ছিল। তাদের অধীনে থাকা অবস্থায় তারা জান্নাতুল বাক্বীর সকল মাযার শরীফসমূহ ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়েছিল। এমনকি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর রওযা শরীফ-এর উপরও ঘৃণিত কালো থাবা বিস্তার করেছিল। ওহাবীরা যে কুফরী কর্মে লিপ্ত হয়েছিল তা পবিত্র কুরআন শরীফে ঘোষিত কাফিরগণও এরূপ অপকর্মে লিপ্ত হয়নি। হাদীছ শরীফে আরো ইরশাদ হয়েছে,

عن ابن عمر رضى الله تعالى عنه عن النبى صلى الله عليه وسلم انه قال وهو مستقبل المشرق ان الفتنة ها هنا

অর্থঃ হযরত আব্দুল্লাহ বিন উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত, তিনি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে হাদীছ শরীফ বর্ণনা করে বলেন, একদা আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পূর্বমূখী হয়ে অর্থাৎ নজদের দিকে ফিরে বলেন, এ দিক হতে ফিৎনা ফ্যাসাদ আবির্ভূত হবে। (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)

মুহম্মদ আবুল হাছান, বাসাবো, ঢাকা

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।