বর্তমানে ইসলামের নামে বা মুসলমানের ছূরতে ইসলাম ও মুসলমানদের ক্ষতি সাধনে বা মুসলমানদের ঈমান আমল নষ্ট করণে ইহুদী-নাছারাদের খাছ দালাল বা এজেন্ট হয়ে যারা কাজ করছে তারা হলো- ১. কাদিয়ানী ২. শিয়া, ৩. ওহাবী।
ওহাবী বাতিল ফিরক্বা
বর্তমানে ইসলামের ছূরতে মুসলমানের ঈমান-আমলের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে যে দলটি, সেটি হচ্ছে- ‘ওহাবী ফিরক্বা’। অর্থাৎ ইবনে ওহাব নজদীর অনুসারীরা। আমাদের আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের ফতওয়া মুতাবিক ওহাবীরা বাতিল ফিরক্বার অন্তর্ভুক্ত। কারণ তাদের আক্বীদা ও আমল আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের খিলাফ।
ইবনে ওহাব ইহুদী দালাল
ব্রিটিশ গুপ্তচর হেমপারের স্বীকারোক্তি
শয়তান যে মানুষকে নেক সুরতে ধোঁকা দেয়, এ বিষয়টি ভালভাবে অনুধাবন করেছিল শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রিস্টানরা। মুসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী খ্রিস্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা যার মূলে থাকে খ্রিস্টীয় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ। জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ সৃষ্টির মূলে থাকে একজন ব্রিটিশ গুপ্তচর হেমপার। মিসর, ইরাক, ইরান, হেজাজ ও তুরস্কে তার গোয়েন্দা তৎপরতা চালায় মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার জন্য। “ঈড়হভবংংরড়হ ড়ভ ইৎরঃরংয ঝঢ়ু ধহফ ইৎরঃরংয বহসরঃু ধমধরহংঃ ওংষধস” গ্রন্থ হচ্ছে হেমপারের স্বীকারোক্তিমূলক রচনা। মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর মতামত বিভাগে ১২৪তম সংখ্যা থেকে ১৭৭তম সংখ্যায় তা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। নিম্নে সংক্ষিপ্তভাবে কিছু বিষয় উল্লেখ করা হলো-
আব্দুল ওহাবের চরিত্রহীনতা
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
বসরায় ইংরেজ উপনিবেশ সরকারের পক্ষ হতে চরিত্র হননের জন্য খ্রিস্টান এক মহিলা নিয়োজিত ছিল। সে মুসলিম নওজোয়ানদের পথ ভ্রষ্টতার জন্য উৎসাহ যোগাত। সেই মহিলার কাছে আমি সবিস্তারে পরিকল্পনার কথা বললাম। যখন সে সম্মত হল তখন সাময়িকভাবে তার নাম সুফিয়া রাখলাম। আর বললাম, আমি যথাসময়ে ইবনে আবদুল ওহাবকে নিয়ে তোমার কাছে আসব। নির্দিষ্ট দিনে ইবনে আব্দুল ওহাবকে নিয়ে সুফিয়ার ঘরে পৌঁছলাম। আমরা মাত্র দুজন, সেখানে আর কেউ ছিলনা। ইবনে আব্দুল ওহাব একটি আশরাফীর (স্বর্ণ মুদ্রা) বিনিময়ে এক সপ্তাহের জন্য সুফিয়াকে বিবাহ করলেন। মোট কথা আমি বাইরে আর সুফিয়া ভিতরে ইবনে আব্দুল ওহাবকে আগামী প্রোগ্রামের জন্য তৈরি করছিলাম। ধর্মীয় বিধান নিদান আর স্বাধীন চিন্তাধারার নতুন স্বাদ তাকে পান করাল সুফিয়া। এ অনুষ্ঠানের পর তৃতীয় দিন পুনরায় ইবনে আব্দুল ওহাবের সাথে দেখা করলাম। আমার কথাবার্তার ধারা অব্যাহত রাখলাম। এবার শরাব যে হারাম এ সম্পর্কে আলোচনা চলল। আমি চেষ্টা করলাম, যে সমস্ত আয়াতে শরাবকে হারাম করা হয়েছে, যে আয়াতগুলো ইবনে আব্দুল ওহাবের নিকট প্রমাণ হিসাবে স্বীকৃত, সেগুলোর খ-ন করি। আমি বললাম ইয়াযীদ, খুলাফায়ে বনু উমাইয়া ও বনী আব্বাস-এর শরাব নূশী আমাদের জানা কথা তাহলে এটা কি করে হতে পারে যে, এসকল ধর্মীয় ও মাযহাবের নেতারা গুমরাহীর জীবন-যাপন করতেন, আর শুধু আপনিই সঠিক পথের উপর আছেন? নিশ্চয়ই আমাদের চেয়ে আল্লাহ পাক-উনার কিতাব ও রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সুন্নতের জ্ঞান তাদের বেশি ছিল। সুতরাং এ কথা পরিষ্কার যে, আল্লাহ পাক ও রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার বাণী থেকে তারা যা কিছু বের করেছেন তাহল শরাব যে তা নয়, বরং এটা মাকরূহ। এছাড়া ইয়াহুদী নাছারার পবিত্র কিতাবসমূহে পরিষ্কারভাবে শরাব পান করার অনুমতি রয়েছে। অথচ ওটাও দ্বীন-ই-ইলাহী। ইসলাম ওই সমস্ত দ্বীনের পয়গম্বরদের উপর বিশ্বাসী।
মুহম্মদ আবুল হাসান, বাসাবো, ঢাকা।
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৩৪
চাঁদ দেখা এবং নতুন চন্দ্রতারিখ শুরু নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা- ১
কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-১৮
কট্টর কমুনিস্ট মাওসেতুং এর নতুন ভাবশিষ্য ফুলতলীর লংমার্চ এবং তার শরয়ী পর্যালোচনা ও প্রসঙ্গ কথা