বৈশাখীপূজার অমঙ্গল যাত্রা স্কুল-কলেজে বাধ্যতামূলক!! পহেলা বৈশাখের ফ্রি বোনাসের মাশুল এভাবেই দিতে হচ্ছে বাংলাদেশের মুসলমানদের

সংখ্যা: ২৬০তম সংখ্যা | বিভাগ:

প্রথমত পহেলা বৈশাখ। দ্বিতীয়ত কথিত অমঙ্গল যাত্রা। এ দুটিই বিধর্মীয় অপসংস্কৃতির অন্তর্ভুক্ত ও পরস্পর সংযুক্ত।

দীর্ঘদিন থেকেই দেশের অভিজ্ঞ আলেম সমাজ অসংখ্য প্রমাণ দ্বারা ইতিহাস পর্যালোচনার দ্বারা প্রমাণ করেছেন পহেলা বৈশাখ হোক আর অমঙ্গল যাত্রাই হোক- এর একটির সাথেও বাঙালি মুসলমানদের কোনো সংযোগ নেই। এবং সম্মানিত দ্বীন ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক এসব পালন করা হারাম, নাজায়িয, কুফরী ও শিরক।

ইতিহাস নির্ভর এসব আলোচনা ও শরীয়তের পর্যাপ্ত ও শক্ত বিচার-বিশ্লেষণ, তথ্য প্রমাণের সাথে পেরে উঠতে না পেরে তারা(!) এখন লাঠিতে হাত দিয়েছে। অর্থাৎ প্রশাসনকে ব্যবহার করে, চাকরির ভয় দেখিয়ে জোর করে এসব অপসংস্কৃতি মুসলমানদের উপর চাপিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করছে। যার সাক্ষাৎ প্রমাণ হলো- সম্প্রতি স্কুল-কলেজসহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামূলক পহেলা বৈশাখ পালন ও অমঙ্গল যাত্রা বের করতে প্রশাসনিক সরকারি নির্দেশনা প্রেরণ।

তবে সরকারি প্রশাসনের এত তোড়জোড় ও ছড়ি ঘুরানোর সাহস কিন্তু এমনি এমনি হয়নি। এর জন্য জনগণের ‘সর্বভূক’ মানসিকতাই দায়ী। হারাম আর হালালের যাচাই না করে সবকিছুকে গ্রহণ করার মতো কমজাত স্বভাবই সরকারকে জনগণের উপর হারাম ও বিধর্মীয় সংস্কৃতি চাপিয়ে দেয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।

বছর কয়েক আগ থেকে সরকার পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে সর্বভূক জনগণকে বৈশাখী বোনাসের ‘টোপ’ দেয়। এই বড়শির টোপটিই গিলে নেয় বাংলাদেশের জনগণ। অতএব, যা হবার তাই হলো। এখন সরকার টোপগেলা জনগণকে নিজের মতো করে ব্যবহার করছে। পহেলা বৈশাখের বোনাস খাবে অথচ পহেলা বৈশাখ পালন করবে না তা কি করে হতে পারে? সরকার তার এতগুলো টাকাতো পানিতে ফেলতে পারে না। সে এই হারাম টাকার বিনিময় পুরোপুরি তো বটেই প্রয়োজনে তার চেয়ে বেশিই আদায় করার চেষ্টা করবে।

দেশের ৯৮ ভাগ মুসলমান যদি শুরুতেই পহেলা বৈশাখে নাজায়িয-হারাম বোনাসের টাকা গ্রহণ না করে প্রতিবাদ করতো, তাহলে সরকার কখনোই আজ বৈশাখী পূজা করতে বাধ্য করার নির্দেশনা দিতে পারতো না, দেয়ার সাহস করতো না।

কিন্তু আফসুস! যাচাই বাছাই ছাড়া ফ্রি খাওয়ার বদ অভ্যাস ও যাচ্ছেতাই খাওয়ার মানসিকতা থেকে বাঙালি মুসলমানরা বের হতে পারেনি। অতএব, ‘হারাম থেকে হারাম ছাড়া আর কি আশা করা যেতে পারে, বৈশাখী বোনাস থেকে কি করে ভালো কিছু হতে পারে।

তবে এখনো সময় আছে প্রতিবাদ করার, প্রতিরোধ করার, সুযোগ আছে হারাম কাজ বর্জন করার। দেশের ৯৮ ভাগ মুসলমান যদি বৈশাখী বোনাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে ও তা বর্জন করতে পারে, তাহলেই সম্ভব হবে বৈশাখী পূজা বাধ্য করার নির্দেশনাকে উপেক্ষা করা।

দেশের ৯৮ ভাগ মুসলমানদের প্রতিবাদের মুখে কোনো সরকারই নিজের গদিকে নিরাপদ মনে করে না। যে কারণে গদি রক্ষার কারণে হলেও সরকারকে মুসলমানদের চাওয়া পাওয়াতে বাধ্য করা সম্ভব। বাংলাদেশের মুসলমানদেরকে গভীরভাবে তাদের এই অন্তর্নিহিত শক্তি ও ক্ষমতা উপলব্ধি করা প্রয়োজন।

-আবুল কালাম আর রাযী

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাযযাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১০৩

মুবারক হো- হাদিউল উমাম, বাবুল ইলম, কুতুবুল আলম, জামিউল আলক্বাব, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ ছানী হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক বিলাদত শরীফ

হিন্দুরা অন্তর থেকে মুসলমানদেরকে ঘৃণা করে ও অস্পৃশ্য মনে করে। আবুল মনসুর আহমদ, বঙ্গবন্ধুর আত্মকথা, মীর মোশাররফসহ অনেক সাহিত্যিকের লেখনীতেই এর প্রমাণ রয়েছে। বিশেষত রবীন্দ্র বঙ্কিম শরৎসহ হিন্দু সাহিত্যিকদের রচনায় এর প্রমাণ বিস্তর। কিন্তু বর্তমানে তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা ও হিন্দু তোষণকারী প্রশাসন পারলে হিন্দুদের মাথায় তুলে রাখে। হিন্দুরা যে মুসলমানদের শত্রু জ্ঞান করে- সে কথা অস্বীকার করে। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মুশরিক-হিন্দুদের বড় শত্রু বলা হয়েছে। অতএব, ওদের থেকে সাবধান।

ভারতকে কানেকটিভিটির নামে ট্রানজিট দেয়ার বৈধতা বর্তমান সরকারের নেই। ভারতকে কোনোমতেই ট্রানজিট দেয়া যাবে না। দিলে ৯৭ ভাগ ঈমানদার জনগোষ্ঠী বরদাশত করবে না।

আন্তর্জাতিক পানি ব্যবহারের বিধিবিধান লঙ্ঘন করে ভারত নির্মাণ করছে টিপাইমুখ বাঁধ। বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের জোর প্রতিবাদ দরকার।