ভারতীয় নাগরিকসহ বাংলাদেশে অবৈধ বিদেশী প্রায় ১৪ লাখ। বছরে নিয়ে যাচ্ছে ৮৫ হাজার কোটি টাকা তথা বাজেটের ২৪ শতাংশ। এই প্রবণতা বিলুপ্ত করা গেলে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ থেকে ঋণ না নিয়েই স্বাবলম্বী হতে পারবে। সেইসাথে স্বাভাবিক হবে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি।

সংখ্যা: ২৫৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

গতকাল দৈনিক আল ইহসান শরীফে প্রকাশিত এক খবরে জানা গিয়েছে, গত ১৩ নভেম্বর-২০১৬ ইয়াওমুল আহাদি বা রোববার রাজধানীর উত্তরা থেকে প্রতারণার অভিযোগে ৪ বিদেশীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। অভিযুক্তরা মোবাইলে লটারি জেতার এএমএস পাঠিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করতো এবং প্রতারণা করে মানুষের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিতো।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে অবৈধ বিদেশীদের সংখ্যা দিন দিন আশঙ্কাজনক হারে বেড়েই চলেছে। গত ১৪ নভেম্বর-২০১৬ ঈমায়ী, প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে প্রকাশ হয়েছে, ‘বাংলাদেশে ২ লাখ অবৈধ বিদেশী রয়েছে।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সম্প্রতি জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন, বাংলাদেশে অবস্থানকারী বৈধ বিদেশী নাগরিক ১ লাখ ১১ হাজার ৫৭৫ জন। আর ৯১০ জন বিদেশী নাগরিকের ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে।

কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশে অবস্থানকারী অবৈধ বিদেশীদের সংখ্যা অনেক বেশি। একটি সংস্থার সূত্র মতে, বাংলাদেশে শুধু ভারতীয় নাগরিকই রয়েছে প্রায় ১২ লাখ। এছাড়া ক্যামেরুন, পাকিস্তান, ফিলিপিন্স, নাইজিরিয়া, ঘানা, কঙ্গো, লিবিয়া, আফগানিস্তান, সুদান, তাঞ্জানিয়া, উগান্ডা ও শ্রীলঙ্কার  রয়েছে প্রায় ২ লাখের মতো। সে হিসেবে সবমিলিয়ে বাংলাদেশে প্রায় ১৪ লাখের মতো বিদেশী বৈধ-অবৈধভাবে অবস্থান করছে।

প্রসঙ্গত, এসব বিদেশী নাগরিক প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা তাদের দেশে নিয়ে যাচ্ছে। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) তথ্য বলছে, শুধু ভারতেরই ৫ লাখ নাগরিক বাংলাদেশে কাজ করে, যারা ২০১৫ সালেই ভারতে নিয়ে গেছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থা জানায়- সিলিকন ইন্ডিয়ার তথ্যমতে, বাংলাদেশে অবস্থানকারী ভারতের ১২ লাখ অবৈধ নাগরিকের মধ্যে ৫ লাখ নাগরিক বছরে ৩৭১৬ মিলিয়ন ডলার ভারতে পাঠিয়ে থাকে। যা বাংলাদেশের হিসেবে ৩০ হাজার কোটি টাকার। একই অনুপাতে ১২ লাখ নাগরিকের যদি হিসাব করা যায়, তাহলে দেখা যায় প্রায় ৭২ হাজার কোটি টাকা তারা ভারতে পাঠিয়ে থাকে। এছাড়া অন্যান্য দেশের ২ লাখ অবৈধ নাগরিকদের ক্ষেত্রে যদি একই আনুপাতিক হারে ধরা হয়, তাহলে দেখা যায় দেশের ১৪ লাখ অবৈধ বিদেশীরা বছরে প্রায় ৮৫ হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে পাচার করে নিয়ে যায়। যা বর্তমান বাজেটের ২৪ শতাংশ। আর এই টাকা দিয়ে বাংলাদেশে ৩টি পদ্মাসেতু তৈরি করা সম্ভব। তাছাড়া এই টাকা পাচার বন্ধ করতে পারলে বিশ্বব্যাংক বা আইএমএফ থেকে ঋণ না নিয়েই দেশকে স্বাবলম্বী করা সম্ভব হতো।

পর্যবেক্ষক মহল বিষয়টিকে খুবই উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেছে। অর্থনৈতিক ক্ষতি ছাড়াও এসব বিদেশীরা দেশের আইন-শৃঙ্খলার জন্য চরম হুমকি। শুধু চলতি ২০১৬ সালেই খুন ও সন্ত্রাসী তৎপরতাসহ নানা অপরাধ কর্মকা-ে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৭৩ বিদেশী নাগরিককে গ্রেফতার করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিদেশী নাগরিকদের অবৈধভাবে অবস্থান এবং অপরাধ কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িত হওয়া আইন-শৃঙ্খলার জন্য হুমকি সৃষ্টি করলেও এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো কতটা সচেতন তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগে রাষ্ট্র পরিচালনের জন্য খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষাকে মৌলিক নীতিমালা হিসেবে দেয়া হয়েছে। কিন্তু এরপর দেশের ৪ কোটি মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করে। এছাড়া দেশে কর্মক্ষম মানুষের মধ্যে ৪ কোটি  লোক বেকার। দেখা গেছে, বিভিন্ন শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকরা বেশি বেতন ভাতা দিয়ে বিদেশী নাগরিকদের প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পদে চাকরি দেয়। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সেসব প্রতিষ্ঠানে একজন বিদেশীকে যে পরিমাণ বেতন ভাতা দেয়া হয় তা দিয়ে বাংলাদেশী ১০ জন দক্ষ লোককে সম্পদে নিয়োগ দেয়া সম্ভব।

দেখা যাচ্ছে, দেশের একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠী অনাহারে অসহায়ভাবে জীবনযাপন করছে আর অন্যদিকে দেশের বাইরে থেকে এসে একটি অবৈধ বৃহৎ বিদেশী জনগোষ্ঠী দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে নিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে দেশের সরকার এবং নীতিনির্ধারক মহল একেবারেই নীরব ভূমিকা পালন করছে। যা দেশের নাগরিকদের মনে প্রবল ক্ষোভের সঞ্চার করেছে।

আমরা মনে করি, সরকারের উচিত- এমন কঠোর ব্যবস্থা নেয়া যাতে বিদেশীদের পক্ষে অবৈধভাবে চাকরি ও বসবাস করা সম্ভব না হয়। এজন্য মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা নিশ্চিত ও জোরদার করতে হবে। কতজন বিদেশী আসছে, তারা ঘোষিত উদ্দেশ্যের বাইরে অন্য কোনো কাজ বিশেষ করে চাকরি করছে কিনা এসব বিষয়ে মনিটরিং থাকতে হবে। বাড়ি ভাড়া দেয়ার ক্ষেত্রে মালিকদের ভিসার কাগজপত্র দেখানো বাধ্যতামূলক করতে হবে। ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে যারা বাংলাদেশে আসছে তাদের কাউকে কোনো চাকরিতে ঢুকতে দেয়া যাবে না; বরং ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বহিষ্কার বা গ্রেফতার করতে হবে। বিনিয়োগের অনুমতি দেয়ার সময়ও শর্ত রাখা দরকার যাতে স্থাপিত শিল্প বা প্রতিষ্ঠানে চাকরি প্রধানত বাংলাদেশীরাই পেতে পারে।

-আল্লামা মুহম্মদ আরিফুল্লাহ, ঢাকা

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাযযাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১২৩

‘পবিত্র দ্বীন ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার’ অর্থ হচ্ছে- ‘পবিত্র দ্বীন ইসলাম ও অনৈসলামী শিক্ষা’। যার ফলাফল ‘শূন্য ধর্মীয় শিক্ষা’। বিতর্কিত ও বামঘেঁষা মন্ত্রী এটা করলেও ‘পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না’- এ প্রতিশ্রুতির সরকার কী করে তা গ্রহণ করতে পারলো?

বেপর্দা-বেহায়াপনায় আক্রান্ত কলুষিত সমাজের নতুন আতঙ্ক ‘সেলফি’। সেলফি উম্মাদনায় সমাজে ব্যাপকভাবে বেড়েছে হত্যা, আত্মহত্যা, সম্ভ্রমহরণ, সড়ক দুর্ঘটনাসহ নানা অপরাধ। বিভিন্ন দেশে সেলফি’র উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও বাংলাদেশে কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সরকারের উচিত অপসংস্কৃতি এবং আত্মহত্যার মতো অপরাধ বন্ধ করতে অবিলম্বে সেলফি নিষিদ্ধ করা।

প্রতারণার ফাঁদে নাগরিক জীবন। সরকারের নজরদারী নেই। রকমফের প্রতারণা বন্ধে সম্মানিত ইসলামী আদর্শ বিস্তারের বিকল্প নেই

পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলছে অবাধ খ্রিস্টান ধর্মান্তরিতকরণ। বিষয়টি অদূর ভবিষ্যতে গভীর শঙ্কার। রহস্যজনক কারণে নীরব সরকার