ভারতে মুসলমানদের হিন্দুত্ববরণের জন্য দল-বল-কৌশল প্রয়োগ ও মিথ্যা প্রচার চলছে। অপরদিকে বাংলাদেশেও চলছে বিজেপি’র হিন্দুত্ব বিস্তৃতির কর্মসূচি। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরোধী এসব মহাষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বলা কি উস্কানী? বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী এবং মুসলমানদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন কারী ঘৃণ্য কূটকৌশলের বিরুদ্ধে লেখা ও বলা কি সাম্প্রদায়িকতা?

সংখ্যা: ২৪২তম সংখ্যা | বিভাগ:

ভারতে মুসলমানদের হিন্দুত্ববরণের জন্য দল-বল-কৌশল প্রয়োগ ও মিথ্যা প্রচার চলছে। অপরদিকে বাংলাদেশেও চলছে বিজেপি’র হিন্দুত্ব বিস্তৃতির কর্মসূচি।

পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরোধী এসব মহাষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বলা কি উস্কানী? বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী এবং মুসলমানদের স্বার্থ ক্ষুণ্নকারী ঘৃণ্য কূটকৌশলের বিরুদ্ধে লেখা ও বলা কি সাম্প্রদায়িকতা?


ভারতীয় মুসলমানদের হিন্দুত্ববাদবরণে এবং হিন্দু মৌলবাদ ছড়ানোর জন্য মৌলবাদী হিন্দু সংগঠনগুলো শিক্ষাব্যবস্থাকে করায়ত্ত করতে সুপরিকল্পিতভাবে ভারতজুড়ে চালিয়ে যাচ্ছে ব্যাপক কার্যক্রম। শিক্ষাব্যবস্থায় হিন্দু মৌলবাদের থাবা বিস্তারে তাদের পরিচালিত কিছু কার্যক্রম নিয়ে এখানে আলোচনা করা হলো।

আরএসএস’র শিক্ষা কার্যক্রম: আরএসএস (রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবকসংঘ) হচ্ছে ভারতের সবচেয়ে বড় মৌলবাদী উগ্র হিন্দু সংগঠন। এ সংগঠনের রাজনৈতিক ফ্রন্ট বিজেপি কেন্দ্রে ও বিভিন্ন প্রদেশে সরকার গঠন করেছে। আরএসএস অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে সারা ভারতে প্রতিষ্ঠা করেছে হাজারো বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। হিন্দু মৌলবাদ প্রচারের জন্য শিক্ষাব্যবস্থা দখল করা যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ, এ অনুভূতি থেকেই আরএসএস এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছে। ভারতের প্রত্যেকটি প্রদেশ ও অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে বিভিন্ন নামের নানা সংগঠন। আরএসএস’র প্রতিষ্ঠিত এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দেশের শিক্ষা বিভাগের কারিকুলাম ও দিক-নির্দেশনা (Guidelines) অনুসরণ করা হয়, তবে শিক্ষার্থীদের মনে ইসলামবিদ্বেষী মনোভাব ঢুকিয়ে দেবার জন্য রয়েছে অতিরিক্ত পাঠ্যপুস্তকসহ শিক্ষা বহির্ভূত বাড়তি নানা কার্যক্রম। এসব পাঠ্যপুস্তক তৈরি করার জন্য রয়েছে ‘সংস্কার ভারতী প্রকাশন’ এবং ‘ভারতীয় শিক্ষা সমিতি’ নামের বিশেষ প্রকাশনী প্রতিষ্ঠান। হিন্দুত্ববাদী ‘সংঘ পরিবার’ই এসব প্রকাশনী প্রতিষ্ঠানকে পরিচালনা করে থাকে।

বিদ্যাভারতী: আরএসএস ‘বিদ্যাভারতী’ নামে স্কুলের এক বিরাট নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করেছে। এসব স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের যে শিক্ষা দেয়া হয়, তার দ্বারা তারা হিন্দু মৌলবাদের মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয় এবং হিন্দু মৌলবাদের জন্য ভবিষ্যৎ জীবনে যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত হয়। বিদ্যাভারতী স্কুল সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল ১৯৫২ সালে। পরবর্তীকালে এসব স্কুল অত্যন্ত ব্যাপকভাবে প্রসার লাভ করেছে। ১৯৯৮ সালে এসব স্কুলের সংখ্যা ছিল ১৯,৭৪১। তখন এসব স্কুলে ছিল চব্বিশ লাখ ছাত্র-ছাত্রী এবং সত্তর হাজারেরও অধিক শিক্ষক। পরবর্তী বছরগুলোতে এসব সংখ্যা যে অনেকগুণ বেড়েছে, তাতে সন্দেহ নেই। বিদ্যাভারতী স্কুলগুলো বেসরকারি হলেও ভারতের কেন্দ্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড (ঈইঝঊ) এবং প্রাদেশিক সরকারের শিক্ষা বোর্ডের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে। অঞ্চলভেদে বিদ্যাভারতী স্কুলগুলোর জন্য বিভিন্ন নাম রাখা হয়েছে। এসব নামের মধ্যে রয়েছে বিদ্যাভারতী, জ্ঞানভারতী, সরস্বতী মন্দির, গীতা নিকেতন, বিবেকানন্দ বিদ্যালয় ইত্যাদি।

সারা ভারতব্যাপী যেসব বিদ্যাভারতী স্কুল রয়েছে সেগুলোর শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য রয়েছে বিদ্যাভারতীর তৈরি ওয়ার্কবুক সিরিজ। এসব পুস্তক অনুসরণ করে শিক্ষা দেয়া হয় সংস্কৃতি জ্ঞান। সংস্কার সম্পর্কে এসব স্কুলে ব্যাপকভাবে আলোচনা করা হয়। সংস্কার শিক্ষার মধ্যে রয়েছে সংস্কৃত ভাষায় প্রার্থনা, শিক্ষকদের আচার্য বলা এবং শিক্ষকদের পদধূলি নেয়া। পরিবেশ সচেতনতা জাগাবার উদ্দেশ্যে স্কুল ক্যাম্পাসে রোপণ করা হয় তুলসী গাছের চারা, যা হিন্দুদের নিকট অতি পবিত্র। স্কুলগুলোর দেয়াল জুড়ে রয়েছে হিন্দু মৌলবাদ প্রবর্তকদের চিত্র। এরা হলো আরএসএস’র আদর্শিক গুরু গোলওয়াকার, আরএসএস প্রতিষ্ঠাতা হেজওয়ার, আর্যসমাজ প্রতিষ্ঠাতা শঙ্করাচার্য দয়ানন্দ সরস্বতী, বিবেকানন্দ, শিবাজী, রানা প্রতাপ, সুভাষচন্দ্র বসু, চন্দ্রশেখর আজাদ এবং বল্লব প্যাটেল।

পাঠ্যক্রম:

বিদ্যাভারতী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠ্যক্রমের আওতায় যা শিখানো হয় তার কিছুটা নমুনা নিচে দেয়া হলো:-

০ মূর্তিপ%A

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাযযাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১০৩

মুবারক হো- হাদিউল উমাম, বাবুল ইলম, কুতুবুল আলম, জামিউল আলক্বাব, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ ছানী হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক বিলাদত শরীফ

হিন্দুরা অন্তর থেকে মুসলমানদেরকে ঘৃণা করে ও অস্পৃশ্য মনে করে। আবুল মনসুর আহমদ, বঙ্গবন্ধুর আত্মকথা, মীর মোশাররফসহ অনেক সাহিত্যিকের লেখনীতেই এর প্রমাণ রয়েছে। বিশেষত রবীন্দ্র বঙ্কিম শরৎসহ হিন্দু সাহিত্যিকদের রচনায় এর প্রমাণ বিস্তর। কিন্তু বর্তমানে তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা ও হিন্দু তোষণকারী প্রশাসন পারলে হিন্দুদের মাথায় তুলে রাখে। হিন্দুরা যে মুসলমানদের শত্রু জ্ঞান করে- সে কথা অস্বীকার করে। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মুশরিক-হিন্দুদের বড় শত্রু বলা হয়েছে। অতএব, ওদের থেকে সাবধান।

ভারতকে কানেকটিভিটির নামে ট্রানজিট দেয়ার বৈধতা বর্তমান সরকারের নেই। ভারতকে কোনোমতেই ট্রানজিট দেয়া যাবে না। দিলে ৯৭ ভাগ ঈমানদার জনগোষ্ঠী বরদাশত করবে না।

আন্তর্জাতিক পানি ব্যবহারের বিধিবিধান লঙ্ঘন করে ভারত নির্মাণ করছে টিপাইমুখ বাঁধ। বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের জোর প্রতিবাদ দরকার।