ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-৩০

সংখ্যা: ২০৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

-আল্লামা আবুল বাশার মুহম্মদ রুহুল হাসান

শয়তান যে মানুষকে নেক ছূরতে ধোঁকা দেয়, এ বিষয়টি ভালোভাবে অনুধাবন করেছিলো শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রিস্টানরা। মুসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী খ্রিস্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে- ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা; যার মূলে থাকে খ্রিস্টীয় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ। জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ সৃষ্টির মূলে থাকে একজন ব্রিটিশ গুপ্তচর- হ্যামপার। সে মিসর, ইরাক, ইরান, হেজাজ ও তুরস্কে তার গোয়েন্দা তৎপরতা চালায় মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার জন্য। ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদের উপর তুর্কি ভাষায় রচিত হযরত মুহম্মদ আইয়ূব সাবরী পাশা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর “মিরাত আল হারামাইন” কিতাবের ইংরেজি অনুবাদ থেকে বাংলায় ধারাবাহিকভাবে ভাষান্তর করা হচ্ছে ইনশাআল্লাহ।

(ধারাবাহিক)

১৩০৬ হিজরীতে মুহম্মদ বিন আর রশীদ নজদ প্রদেশ দখল করেন এবং আব্দুল্লাহকে কারাবন্দী করেন। প্রায় দশ লক্ষ আসির অঞ্চলীয় অসভ্য, যারা বসবাস করতো সানা ও তায়েফ অঞ্চলের মধ্যবর্তী অঞ্চলে যা ছিল সাওয়াত পার্বত্যাঞ্চল নামে মশহুর। এখানেই ওই দুষ্টের দল ওহাবী মতবাদ দ¦ারা দীক্ষিত হয়। ইয়েমেন অভিযান পরিচালনা করার সময় এই ঘটনাটি সংঘটিত হয়। মুহম্মদ আলী পাশা উনার অভিযানে কিছুটা বিরতি দান করেন, পার্বত্যাঞ্চলীয় দুষ্কৃতিকারীদেরকে শায়েস্তা করার ব্যাপারে। কারণ ইতিমধ্যে এক দফা অভিযান পরিচালনায় অর্জিত সাফল্যের পর কিছু বিশ্রামের প্রয়োজন ছিল। হযরত সুলতান আব্দুল মজীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার আমলে সত্যি সত্যি সেই অঞ্চলেও বিজয়ের পতাকা উড্ডীন হয়েছিল। ১২৩৬ হিজরী সনে উসমানীয়ানগণ এই অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন ।

আসির অঞ্চলের নিজেদের মনোনীত শাসক থাকা সত্ত্বেও তাদের একজন গভর্নর ছিল উসমানীয়ান কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিযুক্ত। বলার অপেক্ষা রাখেনা যে, অল্প কিছুদিন পরেই তারা বিদ্রোহ করেছিল। অথচ সেই গভর্নর ছিলেন তাদের প্রতি অত্যন্ত দয়ালু তথাপি তারা সেই মহান উসমানীয়ান প্রতিনিধির প্রতি চরম বেয়াদবী প্রদর্শন করে।

কুর্দ মাহমুদ পাশা ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে এই অসভ্যগুলি ইয়েমেন এর হুদাইদাতে আক্রমণ করে। এই অসভ্যগুলিও এক পর্যায়ে রক্তাক্ত সংগ্রামের দ্বারা পরাজিত হয়। ১২৮৭ সালে  পুনরায় তারা হুদাইদা আক্রমণ করে। কিন্তু অল্প কিছু উসমানীয়ান সেনা তা বীরত্বের সাথে প্রতিহত করেন।  তারপর রদিফ পাশার নেতৃত্বে একদল সেনা প্রেরিত হয় এই অসভ্য বিদ্রোহীদেরকে দমন করার জন্য। উনাদের সুদক্ষ নেতৃত্বে একের পর এক বিদ্রোহীদের ঘাঁটির পতন ঘটে। তাদের নিমর্ূূল করে দেয়া হয়। রদিফ পাশা অসুস্থতার পর গাজী আহমদ মুখতার পাশা তিনি এই আসির অঞ্চলের লোকদেরকে অনুগত করার দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। এবং তিনি ইয়েমেন অঞ্চলীয় মরু প্রদেশ এবং আসির অঞ্চলীয় পার্বত্যাঞ্চলেও দ্বীন ইসলামের পবিত্র শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে ব্রতী হন।

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।