ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৫

সংখ্যা: ১৯৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

-আল্লামা আবুল বাশার মুহম্মদ রুহুল হাসান

শয়তান যে মানুষকে নেক সুরতে ধোঁকা দেয়, এ বিষয়টি ভালোভাবে অনুধাবন করেছিলো শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রিস্টানরা। মুসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী খ্রিস্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে- ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা; যার মূলে থাকে খ্রিস্টীয় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ। জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ সৃষ্টির মূলে থাকে একজন ব্রিটিশ গুপ্তচর- হেমপার। সে মিসর, ইরাক, ইরান, হেজাজ ও তুরস্কে তার গোয়েন্দা তৎপরতা চালায় মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার জন্য। ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদের উপর তুর্কি ভাষায় রচিত হযরত মুহম্মদ আইয়ূব সাবরী পাশা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর “মিরাত আল হারামাইন” কিতাবের ইংরেজি অনুবাদ থেকে বাংলায় ধারাবাহিকভাবে অনুবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে ইনশাআল্লাহ।

(ধারাবাহিক)

এই মেসেজ পাওয়ার সাথে সাথেই হযরত শরীফ গালিব আফিন্দি রহমতুল্লাহি আলাইহি কিছু সুনির্দিষ্ট সৈনিককে সাথে নিলেন। অবশ্য উনার সাথে ছিলেন জিদ্দাহ-এর গভর্ণর শরীফ পাশা। তারা সন্তর্পণে রাতের গভীরে মক্কা শরীফ-এ অনুপ্রবেশকারী ওহাবীদেরকে আক্রমণ করেন। শরীফ গালিব আফিন্দি পুরো তাঁবু ঘিরে ফেলেন কিন্তু সউদ জীবিত পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। সউদ বাহিনী জানালো যে, তারা আত্মসমর্পণ করবে যদি তাদেরকে ক্ষমা করে দেয়া হয়। তাদের আবেদন গৃহীত হয়েছিল। এভাবেই পবিত্র নগরী এইসব নিষ্ঠুর পশুদের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছিলো। এই সাফল্য কিন্তু তায়িফে অবস্থানকারী ওহাবীদের অন্তরাত্মায় ভীতির কাঁপুনি ধরিয়ে দেয়। তারাও রক্তপাতহীনভাবেই আত্মসমর্পণ করে। ওদিকে নিষ্ঠুর উসমান আল মুদাইকি নিজ সাঙ্গ পাঙ্গসহ ইয়েমেনের পর্বতরাশির কাছে পালিয়ে যায়। এদিকে হযরত শরীফ গালিব আফিন্দি রহমতুল্লাহি আলাইহি দেখতে পেলেন যাদেরকে মক্কা শরীফ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল সেই পলাতক ওহাবীরা নিরীহ গ্রামবাসী এবং উপজাতীয়দের উপর লুটতরাজ শুরু করেছে। গুরুতর পরিস্থিতি দেখে তিনি বণী সাকিফ গোত্রের কাছে জরুরী বার্তা পাঠালেন যে, “তোমরা তায়েফে যাও এবং ওহাবীদেরকে ধাওয়া করো এবং এই দস্যু ওহাবীদের থেকে যা পাও তাই জব্দ করো।” প্রতিশোধ গ্রহণ করার জন্য বণী সাকিফ গোত্র তায়েফে অবস্থানকারী লুটেরাদের উপর হামলা চালালো এবং এভাবেই তায়েফকে ওহাবীদের হাত থেকে হিফাযত করা হলো।

উসমান আল মুদাইকি ইয়েমেনের পর্বতমালায় অবস্থানকারী মূর্খ বর্বর গ্রামবাসীদেরকে একত্রিত করলো। একাজে সে তার পদস্থিত ওহাবীদেরকেও জড়ো করলো। উদ্দেশ্য পাল্টা মক্কা শরীফ-এ হামলা চালানো। নাঊযুবিল্লাহ!

মক্কাবাসী পবিত্র মক্কা শরীফ-এ তিন মাস প্রচ- কষ্ট জুলুম নির্যাতনের সম্মুখীন হলেন। হযরত শরীফ গালিব আফিন্দি রহমতুল্লাহি আলাইহি হানাদারদের শত্রুব্যুহ ভেদ করার চেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হলো। যদিও তিনি ১০ বার প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন। খাদ্যদ্রব্যের মওজুদ শূন্যের কোটায় গিয়ে দাঁড়াল। পাউরুটির দাম লাফিয়ে দাঁড়াল পাঁচ রিয়ালে এবং মাখনের দাম দাঁড়াল প্রতি ওকে (২.৮ ই.বি) ৬ রিয়ালে। কিন্তু পরবর্তিতে কেনার জন্য কিছুই পাওয়া যাচ্ছিল না।

মুসলিমরা ক্ষুধার যন্ত্রণায় এক পর্যায়ে বিড়াল কুকুর পর্যন্ত ভক্ষণ করতে বাধ্য হলেন, সেটাও পরবর্তিতে পাওয়া অসম্ভব হয়ে গেল। তখন তারা বাধ্য হলেন ঘাস, লতা-পাতা পর্যন্ত আহার করতে। যখন খাবার জন্য আর কিছুই পাওয়া যাচ্ছিল না তখন মক্কা শরীফ-এর অধিবাসীরা সউদ এর কাছে আত্মসমর্পণ করলেন এই শর্তে যে, সে কোন প্রকার নির্যাতন এবং গণহত্যা চালাতে পারবে না। এই বিষয়ে হযরত শরীফ গালিব আফিন্দি কোন ভুল করেননি। কিন্তু তাঁকে এধরনের পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না যদি তিনি পূর্বেই সহযোগিতাকারী মুহিব্বীন উপজাতীয়দের কাছে জরুরি সহায়তার জন্য বলে রাখতেন। প্রকৃতপক্ষে মক্কাবাসী বারবার হযরত শরীফ গালিব আফিন্দি রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর কাছে মিনতি করেছিলেন যে, আমরা হজ্জের সময় পর্যন্ত প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারবো যদি আমাদের মুহিব্বীন উপজাতীয়রা আমাদের সাথে যোগ দেয় এবং হজ্জের সময় মিশরীয় ও দামেস্কের হাজী ছাহেবানরা এলে, তাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় আমরা হানাদারদের পর্যুদস্ত করতে সক্ষম হবো।” (চলবে)

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।