ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-২

সংখ্যা: ১৭৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

আল্লামা আবুল বাশার মুহম্মদ রুহুল হাসান

[শয়তান যে মানুষকে নেক সুরতে ধোঁকা দেয়, এ বিষয়টি ভালভাবে অনুধাবন করেছিল শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রিস্টানরা। মুসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী খ্রিস্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা যার মূলে থাকে খ্রিস্টীয় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ। জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ সৃষ্টির মূলে থাকে একজন ব্রিটিশ গুপ্তচর হেমপার। মিসর, ইরাক, ইরান, হেজাজ ও তুরস্কে তার গোয়েন্দা তৎপরতা চালায় মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার জন্য। ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদের উপর তুর্কি ভাষায় রচিত মুহম্মদ আইয়ূব সাবরি পাশার “মিরাত আল হারামাইন” কিতাবের ইংরেজী অনুবাদ থেকে ধারাবাহিকভাবে অনুবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ।]

ওহাবী নজদীর পিতা ’আবদ আল-ওয়াহাব ছিলেন মদীনা শরীফ-এর একজন আল্লাহ ভীরু হক্কানী আলিম। ওহাবী নজদীর সহোদর সুলাইমান ইবনে ’আবদ আল-ওহাব এবং তার ওস্তাদগণ, মদীনা শরীফে তার ছাত্রাবস্থায় কথাবার্তা, আচরণ ও ধ্যান-ধারণা, যা সে প্রশ্নাকারে তাদের নিকট উত্থাপন করত; তা থেকে আশঙ্কা করেছিল যে, ভবিষ্যতে সে পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে এবং ইসলামকে মূল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। তারা তার ধ্যান-ধারণা সংশোধন করার জন্যে সৎ উপদেশ দিতেন এবং মুসলমানদেরকে তার  ছোহবত এড়িয়ে চলতে বলতেন। কিন্তু অনতিবিলম্বেই তাদের সে শঙ্কা বাস্তবে রূপ নিল (কিন্তু তারা বিপদের সম্মুখীন হলো যেই মূল বিষয়টি নিয়ে তাদের শঙ্কা হচ্ছিল।) এবং সে তার ভ্রান্ত মতবাদকে “ওহাবীবাদ” নাম দিয়ে খোলামেলাভাবে প্রচার করা শুরু করল।

কম সমঝ ও কম মেধা সম্পন্ন মানুষদেরকে বিপথগামী করার জন্য সে বিভিন্ন রকমের তথাকথিত কর্মসূচী সংস্কার এবং কথিত ইসলামী পুস্তকাবলী রচনা করে এগিয়ে আসে, যেগুলো ছিল আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত-এর আক্বীদাভূক্ত আলিমদের মত ও পথের খিলাফ। সে প্রকৃত মুসলমান দল “আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত-”এর আক্বীদাভূক্ত মানুষদের ‘অবিশ্বাসী ‘ বলে  আখ্যায়িত করার মত ধৃষ্টতা দেখায়।  সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিংবা অন্যান্য নবী আলাইহিমুস্ সালাম অথবা আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের ওসীলায় আল্লাহ্ তায়ালার নিকট থেকে কোন কিছু তলব করাকে অথবা মাযার শরীফ জিয়ারতকে সে শিরক বলে গন্য করত।

“ব্রিটিশ গুপ্তচরের কাছে নজ্দি শিখেছিল, যে কবরের নিকট গিয়ে মৃত ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে সে মুশরিক। এমন মুসলমানগণকে সে কারাবন্দি করতো। যারা বলত যে, এই এই ওষুধে সুস্থতা লাভ করা যায়, অথবা নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ওসীলায় আমি যা চেয়েছিলাম তা পেয়েছি- তাদেরকে ওহাবী নজদি কাফির বলতো।

ওহাবী নজদী তার মতের সপক্ষে যেসব দলীল পেশ করতো সেগুলো মিথ্যা আর অপবাদ ছাড়া কিছুই না। যে সকল মূর্খ লোক মিথ্যা থেকে সত্যকে আলাদা করতে পারতো না সে সকল অজ্ঞ, সূযোগ সন্ধানী, কাজ-কর্মহীন, জালিম প্রকৃতির লোকগুলো তার মতকে সমর্থন দিতে থাকে এবং হক্ব পথের অনুসারী সকল মুসলমানদের কাফির হিসেবে আখ্যায়িত করতে থাকে। (চলবে)

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।