ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-২৮

সংখ্যা: ২০৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

শয়তান যে মানুষকে নেক ছূরতে ধোঁকা দেয়, এ বিষয়টি ভালোভাবে অনুধাবন করেছিলো শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রিস্টানরা। মুসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী খ্রিস্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে- ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা; যার মূলে থাকে খ্রিস্টীয় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ। জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ সৃষ্টির মূলে থাকে একজন ব্রিটিশ গুপ্তচর- হ্যামপার। সে মিসর, ইরাক, ইরান, হেজাজ ও তুরস্কে তার গোয়েন্দা তৎপরতা চালায় মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার জন্য। ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদের উপর তুর্কি ভাষায় রচিত হযরত মুহম্মদ আইয়ূব সাবরী পাশা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর æমিরাত আল হারামাইন” কিতাবের ইংরেজি অনুবাদ থেকে বাংলায় ধারাবাহিকভাবে ভাষান্তর করা হচ্ছে ইনশাআল্লাহ।

(ধারাবাহিক)

এটাই কিন্তু সমস্ত  মূল্যবান সম্পত্তি নয় যা পবিত্র খাজিনায়ে নববিয়্যাহ থেকে লুটপাট করা হয়েছিল। এখানে আরো থাকার কথা তাই নয় কি? মুহম্মদ আলী পাশা প্রশ্ন করলেন। আপনি সঠিকই বলেছেন হে আমার মহান আমীর। কিন্তু আমার পিতার রতœভান্ডার থেকে আমি এগুলোই পেয়েছি। আমার পিতাই একক ভাবে শুধু মাত্র  হুযুরাতুস্ সা’আদাতে লুটপাট কারী ব্যক্তি নয়। আরবের আরো অন্যান্য গণ্যমান্য

ব্যাক্তিবর্গ বিশেষ করে মক্কা শরীফের তৎকালীন আমীর শরীফ গালিব আল এফেন্দী, উনারাও লুট-পাটে অংশগ্রহন করেছিলেন।

-হ্যাঁ ঠিক আমরা শরীফ গালীব আল আফেন্দী রহমতুল্লাহি আলাইহি  উনার সাথেও অনেক কিছুই পেয়েছি। (আইয়্যুব সাবরি পাশা এ প্রসঙ্গে ফুটনোটের টেক্সটে লিখেন-মূলত হযরত শরীফ গালিব আফেন্দী মূলত  পবিত্র খাজিনাত এর অনেক কিছুই তখন হিফাজত করে রেখেছিলেন ওয়াহাবী লুটেরাদের হাত থেকে। মুহম্মদ আলী পাশা তিনি বলেছিলেন হ্যাঁ ঠিক, কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন যে শরীফ গালীব এফেন্দী তিনি হিফাজত ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যেই খাজিনাত স্পর্শও করেন নি। এবং মুহম্মদ আলী পাশা তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে কেন এত কম সম্পদ বাস্কেটটিতে ছিলো।) ইত্যাদি কথোপকথন এর পর আব্দুল্লাহ ইবনে সাউদ এবং তার চেলাদের ইস্তাম্বুলে প্রেরণ করা হয়। এই দুধর্ষ রক্তপিপাসু জালিম দস্যুদল যারা হাজার হাজার মুসলিম রক্তে প্লাবিত করেছিল পবিত্র মরু উপত্যকা, তাদেরকে তোপকাপি প্রাসাদের সামনে ফাসিতে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছিলো।

ইবরাহীম পাশা দ্বারিয়াহ কিল্লাহকে গুড়িয়ে দেন এবং ১২৩৫ হিজরী শরীফের মুহররমুল হারাম  শরীফে মিশরে প্রত্যাবর্তন করেন এবং ইবনে ওয়াহ্হাব নজদীর এক পুত্রকে মিশরে এনে আমৃত্যু কারাগারে রেখে দেওয়া হয়েছিল।

আব্দুল্লাহ ইবনে সাউদের পরে তারকি ইবনে আব্দুল্লাহ ১২৪০ হিজরী সনে ওয়াহাবীদের প্রধান হয়। তারকির বাবা আব্দুল্লাহ ছিলো সাউদ ইবন আব্দুল আযীয এর চাচা। ১২৪৯ হিজরীতে মাশ্ শারী ইবনে সাউদ তারকিকে হত্যা করে সে নিজেই স্বয়ং স্বরাজ গ্রহন করে। এবং তারকি পুত্র ফয়সাল মাশ শারীকে হত্যা করে পুনরায় কতৃত্ব গ্রহন করে ১২৫৪ সালে। যদিও বা সে চেষ্টা করেছিলো মুহম্মদ আলী পাশার সৈনিকদের প্রতিহত করার জন্য, কিন্তু সে ব্রিগ্রেডিয়ার খুরশীদ পাশা কর্তৃক গ্রেফতার হয়েছিলো। (চলবে)

-আল্লামা আবুল বাশার মুহম্মদ রুহুল হাসান

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাযযাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১০৩

মুবারক হো- হাদিউল উমাম, বাবুল ইলম, কুতুবুল আলম, জামিউল আলক্বাব, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ ছানী হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক বিলাদত শরীফ

হিন্দুরা অন্তর থেকে মুসলমানদেরকে ঘৃণা করে ও অস্পৃশ্য মনে করে। আবুল মনসুর আহমদ, বঙ্গবন্ধুর আত্মকথা, মীর মোশাররফসহ অনেক সাহিত্যিকের লেখনীতেই এর প্রমাণ রয়েছে। বিশেষত রবীন্দ্র বঙ্কিম শরৎসহ হিন্দু সাহিত্যিকদের রচনায় এর প্রমাণ বিস্তর। কিন্তু বর্তমানে তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা ও হিন্দু তোষণকারী প্রশাসন পারলে হিন্দুদের মাথায় তুলে রাখে। হিন্দুরা যে মুসলমানদের শত্রু জ্ঞান করে- সে কথা অস্বীকার করে। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মুশরিক-হিন্দুদের বড় শত্রু বলা হয়েছে। অতএব, ওদের থেকে সাবধান।

ভারতকে কানেকটিভিটির নামে ট্রানজিট দেয়ার বৈধতা বর্তমান সরকারের নেই। ভারতকে কোনোমতেই ট্রানজিট দেয়া যাবে না। দিলে ৯৭ ভাগ ঈমানদার জনগোষ্ঠী বরদাশত করবে না।

আন্তর্জাতিক পানি ব্যবহারের বিধিবিধান লঙ্ঘন করে ভারত নির্মাণ করছে টিপাইমুখ বাঁধ। বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের জোর প্রতিবাদ দরকার।