ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-২৩

সংখ্যা: ২০১তম সংখ্যা | বিভাগ:

[ শয়তান যে মানুষকে নেক ছূরতে ধোঁকা দেয়, এ বিষয়টি ভালোভাবে অনুধাবন করেছিলো শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রিস্টানরা। মুসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী খ্রিস্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে- ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা; যার মূলে থাকে খ্রিস্টীয় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ। জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ সৃষ্টির মূলে থাকে একজন ব্রিটিশ গুপ্তচর- হ্যামপার। সে মিসর, ইরাক, ইরান, হেজাজ ও তুরস্কে তার গোয়েন্দা তৎপরতা চালায় মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার জন্য। ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদের উপর তুর্কি ভাষায় রচিত হযরত মুহম্মদ আইয়ূব সাবরী পাশা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর “মিরাত আল হারামাইন” কিতাবের ইংরেজি অনুবাদ থেকে বাংলায় ধারাবাহিকভাবে ভাষান্তর করা হচ্ছে ইনশাআল্লাহ।]

(ধারাবাহিক)
সউদ রাগে পাগল হয়ে যায়। অদ্ভুত এক অন্ধ প্রতিহিংসায় মুসলমানদের উপর চড়াও হয়। কিন্তু আল্লাহ পাক স্বয়ং আখিরী নবী হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম উনার দয়া,  ইহসান  করম-এর  বদৌলতে পবিত্র মদীনা শরীফকে রক্তের স্রোত থেকে হিফাযত করেন। মুসলমানদেরকে  চরমভাবে  মানহানি করে এবং শালীনতার খিলাফ বাক্য প্রয়োগ করে, যালিম দস্যু সউদ তার লুটেরা বাহিনীকে দুর্গে গিয়ে  অবস্থান নিতে বলে। সে তার অনুগত হাসান চাউস  নামের এক রাস্কেলকে মদীনা  শরীফ-এর গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দেয় এবং দারিয়াতে  প্রত্যাবর্তন করে। মক্কা শরীফ-এ হজ্জ পালন করার  নামে গিয়ে সে আবার মদীনা শরীফ-এ ফিরে  আসে।
সউদ তার ডেরা থেকে বেরিয়ে আসল যখন দামেস্কের কাফেলা ২ থেকে ৩ দিনের পথ মদিনা শরীফ থেকে অতিক্রম করল।
তার নাপাক গালিজিত অন্তরে বিন্দুমাত্র কাঁপুনি ছাড়াই সে তার দস্যুদলদের নির্দেশ দিল  সর্বপ্রকার মূল্যবান উপহারাদি লুন্ঠন করার জন্য। নাঊযুবিল্লাহ! ঐতিহাসিকভাবে দুষ্প্রাপ্র, স্বর্ণমণ্ডিত শিল্পবস্তু এবং মূল্যবান রত্ন এবং পাথরসমূহ। নাঊযুবিল্লাহ!
এবং একই সঙ্গে রওযা শরীফ-এ সংরক্ষিত কুরআন শরীফ  এবং মূল্যবান কিতাবাদি যা নুরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মসজিদ মুবারক-এ সংরক্ষিত সম্পদসমূহ, যা প্রেরিত হয়েছিলো উলামায়ে হক্কানী রব্বানী, মুসলিম সুলতান গভর্নর কমান্ডারদের, তথা সমগ্র মুসলিম বিশ্বের তরফ থেকে  হাজার বছর ধরে।
সউদের বিরুদ্ধে জ্বলে উঠা মুসলিম হৃদয়সমূহের  আগুন তো  নিভেইনি বরং আরো দাউ দাউ করে জ্বলে উঠে তার ঘৃণিত  ইবলিসিয়াত তথা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম এবং শুহাদায়ে কারবালাগণ-উনাদের পবিত্র মাযার শরীফসমূহ ধ্বংসের হীনতম  অপচেষ্টায়।
তথাপি এই ঘৃণিত মরদুদ নূরে মুজাসসাম  হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র রওযা শরীফ ধ্বংস করার উদ্যোগ নেয়। মুসলমানগণ দস্যু সাউদের  সামনে কান্নায় ভেঙে পড়ে এবং অনুনয় বিনয় করতে থাকে এত বড়  গোস্তাখি না করার জন্য। কিন্তু এই জালিম  মরদুদ সাবাকাত  আস  সাদাকে ধ্বংস করে। নাঊযুবিল্লাহ! সৌভাগ্যক্রমে পবিত্র দেয়াল মুবারক-এ সে স্পর্শ করতে পারেনি।
সে নির্দেশ দেয় পবিত্র মদীনা শরীফ-এর  দেয়ালকে পুনর্নিমাণ করার  জন্য। সে মদীনা  শরীফস্থিত  অধিবাসী উনাদেরকে  পুনরায় মসজিদুন নববী  শরীফ-এ  একত্রিত করে। সে পবিত্র মসজিদ  শরীফ-এর  গেট মুবারক  বন্ধ করে দেয়  এবং তার নাপাক যবান দিয়ে নিম্নলিখিত  কুৎসিত  বয়ান  উগড়ে দেয়।
“অভিনন্দন! তোমাদেরকে একত্রিত করেছি  আমি  নিছক কিছু উপদেশ দেয়ার জন্য এবং আমার নির্দেশগুলো অক্ষরে অক্ষরে মেনে নেয়ার জন্য। হে  মদীনা শরীফস্থিত অধিবাসী! তোমাদের ধর্ম এখন পূর্ণতা লাভ করেছে। তোমরা এখন মুসলমান হয়েছ। নাঊযুবিল্লাহ!  মহান আল্লাহ পাক উনাকে তোমরা  সন্তুষ্ট করেছো। পূর্বপুরুষ এর ভ্রান্ত ধর্মের আর প্রশংসা করোনা। আল্লাহ পাক উনার কাছেও প্রার্থনা করো না পূর্বপুরুষদের ক্ষমা করে দেয়ার জন্য। তারা সকলেই মুশরিক অবস্থায় ইন্তিকাল করেছেন। নাঊযুবিল্লাহি মিন্ যালিক। আমি ব্যাখা করে বলেছি তোমাদের ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের কাছে প্রদত্ত পুস্তকসমূহে। তোমাদের নিজেদের অবস্থান জানিয়ে দেয়া খুবই প্রয়োজন। তোমাদের শিশু, স্ত্রী এবং রক্ত আমার সৈন্যদের জন্য মুবাহ হবে যদি তোমরা আমার (ওহাবী মতবাদের) ধর্মবেত্তাদের নির্দেশের অবাধ্য হও। তারা তখন সকলেই তোমাদেরকে শৃঙ্খলিত  করবে  এবং আমৃত্যু নির্যাতন করবে।
ওহাবী ধর্মমতে নূরে মুজাসসাম  হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র রওযা শরীফ-এর সামনে ছলাতু সালাম পেশ করার নিমিত্তে শ্রদ্ধার সাথে দাঁড়ানোটাই নিষিদ্ধ। নাঊযুবিল্লাহ! যেটা তোমাদের পূর্বপুরুষগণ করতো। নাঊযুবিল্লাহ!
তোমরা রওযা শরীফ-এর সামনে  দাঁড়াতে পারবে না। বরং সামনে  দিয়ে হেঁটে চলে যাবে এবং বলবে (পবিত্র নাম মুবারক উচ্চারণ করে) শান্তি  বর্ষিত হোক। নাঊযুবিল্লাহ!
আমাদের ইমাম ইবনে ওহাব নজদীর ইজতিহাদ  অনুসারে এইটুকু  সম্মান করলেই চলবে। (নাঊযুবিল্লাহি  মিন যালিক)

-আল্লামা আবুল বাশার মুহম্মদ রুহুল হাসান

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাযযাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১২৩

‘পবিত্র দ্বীন ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার’ অর্থ হচ্ছে- ‘পবিত্র দ্বীন ইসলাম ও অনৈসলামী শিক্ষা’। যার ফলাফল ‘শূন্য ধর্মীয় শিক্ষা’। বিতর্কিত ও বামঘেঁষা মন্ত্রী এটা করলেও ‘পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না’- এ প্রতিশ্রুতির সরকার কী করে তা গ্রহণ করতে পারলো?

বেপর্দা-বেহায়াপনায় আক্রান্ত কলুষিত সমাজের নতুন আতঙ্ক ‘সেলফি’। সেলফি উম্মাদনায় সমাজে ব্যাপকভাবে বেড়েছে হত্যা, আত্মহত্যা, সম্ভ্রমহরণ, সড়ক দুর্ঘটনাসহ নানা অপরাধ। বিভিন্ন দেশে সেলফি’র উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও বাংলাদেশে কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সরকারের উচিত অপসংস্কৃতি এবং আত্মহত্যার মতো অপরাধ বন্ধ করতে অবিলম্বে সেলফি নিষিদ্ধ করা।

প্রতারণার ফাঁদে নাগরিক জীবন। সরকারের নজরদারী নেই। রকমফের প্রতারণা বন্ধে সম্মানিত ইসলামী আদর্শ বিস্তারের বিকল্প নেই

পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলছে অবাধ খ্রিস্টান ধর্মান্তরিতকরণ। বিষয়টি অদূর ভবিষ্যতে গভীর শঙ্কার। রহস্যজনক কারণে নীরব সরকার