মন্তব্য প্রতিবেদন: কওমী মাদ্রাসাগুলো জঙ্গিবাদের প্রজননতন্ত্র- আইনমন্ত্রীর এ বক্তব্যের প্রতিবাদ যেসব কওমী নেতারা করেছে তাদের অনেকেই জঙ্গিবাদের হোতা॥ কওমীওয়ালারা শুধু দেশীয় জঙ্গিবাদের জনক নয়; তারা আন্তর্জাতিক জঙ্গিবাদের যেমনি আমদানিকারক তেমনি রফতানিকারক॥ পাশাপাশি কওমীওয়ালারা শুধু জঙ্গিই নয়; ইসলামের দৃষ্টিতে তারা রাজাকার এবং যুদ্ধাপরাধী তথা ধর্মব্যবসায়ী

সংখ্যা: ১৮৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ শুধু মন্ত্রীই নন; একজন স্বনামধন্য ব্যারিস্টারও বটে। তিনি বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের পাশাপাশি ধর্মীয় অঙ্গনেরও এক বিশেষ বোদ্ধা ব্যক্তিও বটে।

উচ্চ আদালতে প্রজ্ঞাপূর্ণ, যুক্তিনির্ভর ও দলীলভিত্তিক উপস্থাপনার জন্য তিনি প্রখ্যাত এবং বিখ্যাত।

তার অনেক খ্যাতির পিছনে এটাও একটা অন্যতম সংযুক্তি যে, যে মামলা গ্রহণযোগ্য নয় অথবা যে মামলার ফলাফল পজিটিভ হবে না সে মামলা তিনি গ্রহণ করেন না।  তার ভাষায় তিনি কোর্টের কাছে খেলো প্রমাণিত হতে চান না।

সুতরাং এরকম একজন বিজ্ঞ ব্যক্তি গোটা জাতির কাছে নিজেকে ‘খেলো’ প্রমাণিত হতে দিবেন তা অন্তত তার ক্ষেত্রে আশা করা যায় না।

কিন্তু জামাত-জোট ঘরানার পত্র-পত্রিকাগুলো গতকাল যেভাবে তার নামে মিথ্যা সমালোচনা করেছে তাতে তারা বিজ্ঞ আইনমন্ত্রীকে একজন ‘খেলো’ ব্যক্তি হিসেবে প্রতিপন্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

কওমী মাদ্রাসাগুলো জঙ্গিবাদের প্রজননতন্ত্র- একথা বলার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সব কওমীওয়ালারা গতকাল ওদের ঘরানার কয়েকটি পত্রিকায় বক্তব্য, মন্তব্য, বিবৃতির পুরানো অনুশীলন করেছে।

কিন্তু তাতে করে কওমীওয়ালারা  যে আসলেই জঙ্গিবাদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত অথবা জঙ্গিবাদের কারিগর তাই প্রতিভাত ও প্রতিপন্ন হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, গত ৩১শে মার্চ/২০০৯ তারিখে যুদ্ধাপরাধী, জামাতী, রাজাকার মুখপত্র ‘দৈনিক নয়া দিগন্তে’ প্রথম পৃষ্ঠায়, প্রথম কলামে হেডিং হয়েছে, “কওমী মাদ্রাসাগুলোতে জঙ্গি ট্রেনিং দেয়া হয় -ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী।”

খবরে বলা হয়, “ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাজিউদ্দিন রাজু বলেছেন, আমরা জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরির মাঝে বাস করছি। ক্ষমতায় যাওয়ার তিন মাসও অতিবাহিত হয়নি। অথচ সরকার উৎখাতের জন্য ষড়যন্ত্র চলছে। বিডিআর হত্যাকা-ের ঘটনাও সরকারের বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র। তিনি আরো বলেন, কওমী মাদ্রাসাগুলোতে জঙ্গি ট্রেনিং দেয়া হয়। তাদের ব্যাপারে জনগণকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।”

উল্লেখ্য, দেখা যাচ্ছে- আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদের মন্তব্যের আগে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী একই মন্তব্য করেছেন।

কিন্তু কই ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে তো কওমীওয়ালারা কোনো প্রতিবাদ জানালো না! তার একটি অর্থ হলো- আসলেই কওমীওয়ালারা অজ্ঞ, অন্ধ, বেখবর, বেইলস, আনপড়াহ। যা কিনা জঙ্গিদের মূল পরিচয়।

কওমীওয়ালাদের মুখপত্র জামাত-জোট ঘরানার কোনো পত্রিকায় কোনো প্রতিবাদ আসলো না।

অথচ তিনদিন পরে একই মন্তব্য আইনমন্ত্রী করায় কওমীওয়ালারা টুকটাক একটু রা-টা করতে চাইলো।

তার মানে- কওমীওয়ালারা নিজেরাও জানে, তাদের  বড় বড় নেতা এবং বড় বড় মাদ্রাসাগুলো আসলেই জঙ্গিবাদের সূতিকাগার। সেটাকেই বিজ্ঞ আইনমন্ত্রী বলেছেন প্রজননতন্ত্র।

এমনকি সত্যিকার অর্থে যেসব কওমী নেতারা আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ করেছে তাদের মাঝে রয়েছে উঁচু দরের জঙ্গি নেতা; নিখাঁদ গোয়েন্দা রিপোর্টেই তা অতি সহজেই প্রমাণিত হবে।

তবে একটি কথা এখানে প্রযোজ্য যে, কওমীওয়ালারা শুধু জঙ্গিই নয়, তারা রাজাকারও বটে।

১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে যেমন নেই কওমীওয়ালাদের কোনো অংশগ্রহণ

 তেমনি আজকের জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ তথা ধর্মব্যবসার বিরুদ্ধেও নেই কওমীওয়ালাদের বলিষ্ঠ তথা সম্মিলিত আওয়াজ ও পদচারণা।

কওমীওয়ালাদের কাছে এখনও স্বপ্নের হিরো লাদেন, মোল্লা ওমর ইত্যাদি।

উল্লেখ্য, বিজ্ঞ আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে মুফতে আমিনী।

কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ এত আত্মভোলা নয়। তাদের আজো মনে আছে যে, এই মুফতে আমিনী গগনবিদারী সেøাগান দিয়েছিলো ‘আমরা সবাই তালেবান, বাংলা হবে আফগান।’

তাহলে এই তালেবান কারা?

তালেবানরা কী জঙ্গি নয়?

আর আফগানিস্তানে তালেবান হতে লক্ষ লক্ষ কওমী ছাত্ররা কী যায়নি?

শুধু আফগানিস্তান নয় কওমীওয়ালারা গিয়েছে পাকিস্তানে।

কয়েকদিন আগে ‘দৈনিক প্রথম আলো’ পত্রিকার রিপোর্ট, “কওমীওয়ালারা প্রথমে পাকিস্তান যায়। পরে সেখানে জঙ্গি তৎপরতার জন্য তাদেরকে  গুয়ান্তানামো’বে কারাগার পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়।”

 তাহলে দেখা যাচ্ছে, কওমীওয়ালারা শুধু দেশীয় জঙ্গিই নয়, তারা ইন্টারন্যাশনাল জঙ্গিও সাপ্লাই দিচ্ছে।

অপরদিকে এই কওমীওয়ালারা যে জামাতেরই অপরপিঠ; সেটা জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, রাজাকার ও ধর্মব্যবসায়ী বিরোধী ‘মাসিক আল বাইয়্যিনাত’ ও ‘দৈনিক আল ইহসান’ তথা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত-এর তৎপরতার কারণে অনেকেই বুঝতে শিখেছেন।

প্রসঙ্গতঃ বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, যতগুলো কওমী নেতা অথবা জামাতী নেতা “কওমী মাদ্রাসাগুলো জঙ্গিদের প্রজননকেন্দ্র”- এ মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেতাদের সবারই অবিসংবাদিত নেতা, গুরু, উস্তাদ হচ্ছে বায়তুল মোকাররমের মৃত খতীব উবাইদুল হক। কিন্তু এ জাতি স্মরণ রেখেছে যে, এ উবাই মানিক মিয়া এভিনিউয়ের সমাবেশে বলেছিলো, “কিছু সংখ্যক গাদ্দারের কারণে পাকিস্তান ভেঙ্গে দু’টুকরা হয়েছিলো।” (নাঊযুবিল্লাহ)

অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু থেকে শুরু করে সব মুক্তিযোদ্ধা,সব দেশ প্রেমিক মানুষ  স্বাধীনতার পক্ষে গোটা জনশক্তি

সব ঐ কওমীওয়ালাদের মতে গাদ্দার! (নাঊযুবিল্লাহ)

প্রসঙ্গতঃ তাই বলতে হয় যে, আসলে মাননীয় বিজ্ঞমন্ত্রী শুধু অর্ধেক বলেছেন। তিনি বলেছেন যে, ‘কওমী মাদ্রাসাগুলো জঙ্গিবাদের প্রজননতন্ত্র’।

কিন্তু তার আরো যোগ করা উচিত ছিলো  যে, “তারা শুধু জঙ্গিই নয় বরং জামাতের মত তারাও রাজাকার, তারাও যুদ্ধাপরাধী।” তারা এখনও বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী নয়।

তারা জঙ্গিবাদের জনকই শুধু নয়; বরং তারা জঙ্গিবাদের রফতানিকারকও বটে। তারা এদেশকে আফগানিস্তান

এদেশবাসীকে তালেবান বানাতে চায়। (নাঊযুবিল্লাহ)

{সঙ্গতকারণেই এ লেখা ধারাবাহিকভাবে বিস্তারিত দলীল-আদিল্লাহসহকারে আরো চলবে ইনশাআল্লাহ}

মুহম্মদ মাহবুব আলম

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।