মর্যাদার অধিকারী কে?

সংখ্যা: ০১ম সংখ্যা | বিভাগ:

মর্যাদার অধিকারী কে?

মুহম্মদ রেজাউল করিম বুলবুল


alihsan

যে যতবেশী তাকওয়াধারী সেই ততোবেশী মর্যাদা বা সন্মানের অধিকারী। বংশ-গোত্র, ভাষা-জাতি, ধন-সম্পদ, রং-রূপ, সিরাত-সূরত প্রভৃতি কারণে মানুষ শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী হতে পারে না, শ্রেষ্ঠত্বের বা মর্যাদার সঠিক মাপকাঠি হলো খোদাভীতি। কারণ, মহান আল্লাহ পাক উনাকে যে যতবেশী ভয় করবে তার চারিত্রিক সৌন্দর্যও ততো অধিক হবে।

যেহেতু মানুষ ইচ্ছা করে কোন বংশ, জাতি, সুরত বা বর্ণ নিয়ে জন্ম গ্রহন করতে পারে না। মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে যে ভাবে যে জনপদে সৃষ্টি করতে চান তিনি তাকে সে ভাবে সে জনপদেই সৃষ্টি করেন। সেহেতু সম্পদ, গোত্র, বর্ণ, বংশ কখনই মর্যাদার অধিকারী হতে পারে না। মর্যাদার একমাত্র ভিত্তি হলো চারিত্রিক সৌন্দর্য ও সৎকর্ম। আর এ গুণটি ততোবেশী অর্জন করা সম্ভব যতোবেশী মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশিত মতে এবং হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রদর্শিত পথে জীবনকে পরিচালিত করা যাবে।

মূলতঃ মানুষ একই পিতা-মাতার সন্তান হয়েও শুধুমাত্র বর্ণ-ভাষা বা জনপদের পার্থক্যের কারণে মর্যাদার পার্থক্য হতে পারে না। তাই মহান আল্লাহ পাক সূরা আল হুজুরাতে ইরশাদ করেন। “হে মানব জাতি! আমি তোমাদের এক পুরুষ ও এক নারী থেকে পয়দা করেছি এবং যাতে একে অন্যকে জানতে পার, তার জন্য তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে পরিণত করেছি। বস্তুতঃ তোমাদের মধ্যে সেই মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট সবচেয়ে বেশী সন্মানিত, যে তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী আল্লাহ ভীরু।”

আর সে জন্যই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একদিন হযরত আবুযর গিফারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে বললেন, “একমাত্র তাকওয়া ছাড়া কোন সাদা ও কোন কালো ব্যক্তির উপর তোমার শ্রেষ্ঠত্ব নেই।” তাই আমরা দেখতে পাই হাবসি ক্রীতদাস হযরত বিলাল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে অনেক আরবীভাষী উচ্চ বংশের ব্যক্তির চেয়েও অধিক মর্যাদা প্রদান করা হয়েছিল।

এবং মক্কা শরীফ বিজয়ের পর নবী করিম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ঘোষণা করলেন। “মহান আল্লাহ পাক উনার প্রশংসা, যিনি তোমাদের থেকে জাহেলিয়াতের দোষ এবং অহংকার দূর করে দিয়েছেন। হে মানবজাতি! তামাম মানুষ দু’ভাগে বিভক্ত। প্রথম নেক। যে মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট মর্যাদার অধিকারী। দ্বিতীয় কাফির ও দূর্ভাগ্যবান। যে মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট খুবই ঘৃনিত ও হেয়।”

সুতরাং বলার আর অবকাশ থাকে না যে, পরহিযগার ব্যক্তিই হ’ল প্রকৃত মর্যাদার অধিকারী।

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আব্বাজান আফদ্বলুন নাস বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুল বাশার সাইয়্যিদুনা হযরত যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার এবং সম্মানিতা আম্মাজান সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আফদ্বালুন নাস আফদ্বলুন নিসা, মালিকাতুল জান্নাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সালাম উনাদের সম্মানিত যবান মুবারক-এ পাঠকৃত দু’খানা ‘সম্মানিত না’ত শরীফ’ উনাদের বঙ্গানুবাদ

সাইয়্যিদে ঈদে আযম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, মহাপবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন উপলক্ষে মাহফিল করা, সাধ্যমত খরচ করা ফরযে আইন এবং সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম নেক আমল

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে যুগে যুগে বিরুদ্ধাচরণ এবং তার নির্মম পরিণতি

সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন নুরুম্ মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত পিতা-মাতা আলাইহিমাস সালাম উনারা জান্নাতী হওয়ার বিষয়ে কাফির ও উলামায়ে ‘সূ’দের বক্তব্যের জাওয়াব

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি “মানবীয় দূর্বলতামুক্ত ছিলেননা, তাই তিনি মানবিক দূর্বলতার বশিভূত হয়ে গুনাহ করেছেন” নাউযুবিল্লাহ, নাঊযুবিল্লাহ, নাঊযুবিল্লাহ! বদ মাযহাব, বদ আক্বীদা ও বাতিল ফিরক্বার লোকদের এ বক্তব্য কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত