মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে কোনো স্থানেই সরাসরি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক দ্বারা সম্বোধন মুবারক করেননি। যা উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বুলন্দী শান মুবারক উনারই বহিঃপ্রকাশ মুবারক

সংখ্যা: ২৮৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

وَرَفَـعْنَا لَكَ ذِكْـرَكَ

অর্থ: “আর (আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আমি আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র যিকির মুবারক, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আলোচনা মুবারক, শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক বুলন্দ থেকে বুলন্দতর করেছি।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আলাম নাশ্রহ্ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৪)

মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযুর্গী-সম্মান, মুবারক বুলন্দ থেকে বুলন্দতর করেছেন। সুবহানাল্লাহ!  এখন কতটুকু বুলন্দ করেছেন সেটা মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারাই সবচেয়ে ভালো জানেন। তবে এক কথায় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযুর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ!

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অসংখ্য-অগণিত মহাসম্মানিত বুলন্দী শান মুবারক উনার মধ্যে একখানা বুলন্দী শান মুবারক হচ্ছেন- যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে কোনো স্থানেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সরাসরি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক দ্বারা সম্বোধন মুবারক করেননি। সুবহানাল্লাহ! নিম্নে এবিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

لَا تَـجْعَلُوْا دُعَاءَ الرَّسُوْلِ بَـيْـنَكُمْ كَدُعَاءِ بَعْضِكُمْ بَعْضًا

অর্থ: “তোমরা পরস্পর পরস্পরকে যেভাবে সম্বোধন করে থাকো, সেভাবে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করো না।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা নূর শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৬৩)

উল্লেখিত সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি বান্দা-বান্দী, উম্মত, কায়িনাতবাসী সবাইকে নিষেধ করে দিয়েছেন যে, তারা একে অপরকে যেভাবে সম্বোধন করে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যেন সেভাবে সম্বোধন মুবারক না করে। অর্থাৎ উনাকে অত্যন্ত মুহব্বতে, আদবের সাথে সম্মান মুবারক বজায় রেখে সম্বোধন মুবারক করতে হবে। শুধু এতটুকুই নয়; মহান আল্লাহ পাক তিনি স্বয়ং নিজেই শিখিয়ে দিয়েছেন কিভাবে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করতে হবে।

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে মাত্র ৫ স্থানে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সরাসরি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক এসেছেন। আর সেটাও শুধুমাত্র উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রিসালাত মুবারক উনার বর্ণনা মুবারক এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পরিচয় মুবারক দেয়ার জন্য। ৪ স্থানে ‘সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক এসেছেন। (১) সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ উনার ১৪৪ নং সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে (২) সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ উনার ৪০ নং সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে  (৩) সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ফাতহ্ শরীফ  উনার ২৯ নং সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে এবং (৪) সম্মানিত ও পবিত্র সূরা মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ২ নং সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে। এই মোট ৪ বার। আর ১ স্থানে অর্থাৎ সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ছফ শরীফ উনার ৬ নং সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ‘সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত আহমদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক এসেছেন। সুবহানাল্লাহ! এই সর্বমোট ৫ বার সরাসরি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক এসেছেন উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রিসালাত মুবারক উনার বর্ণনা মুবারক এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পরিচয় মুবারক দেয়ার জন্য। সুবহানাল্লাহ!

এছাড়া যত স্থানেই মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করেছেন, প্রত্যেক স্থানেই অত্যন্ত মুহব্বতে, তা’যীম-তাকরীম এবং সম্মানের সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লক্বব মুবারক দ্বারাই সম্বোধন মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! যেমন:

(১) মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত ও পবিত্র সূরা মায়িদাহ্ শরীফ উনার ৪১ নং সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লক্বব মুবারক দ্বারা উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অত্যন্ত মুহব্বতে, তা’যীম-তাকরীম এবং সম্মানের সাথে সম্বোধন মুবারক করেন,

يَااَيُّـهَا الرَّسُوْلُ لَا يـَحْـزُنْكَ الَّذِيْنَ يُسَارِعُوْنَ فِـى الْكُفْرِ

অর্থ: “আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি তাদের জন্য দুঃখ করবেন না, যারা দ্রুত গতিতে কুফরিতে নিমজ্জিত হয়।”

(২) মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত ও পবিত্র সূরা মায়িদাহ্ শরীফ উনার ৬৭ নং সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লক্বব মুবারক দ্বারা উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অত্যন্ত মুহব্বতে, তা’যীম-তাকরীম এবং সম্মানের সাথে সম্বোধন মুবারক করেন,

يَااَيُّـهَا الرَّسُوْلُ بَـلِّغْ مَا اُنْزِلَ اِلَيْكَ مِنْ رَّبِّكَ

অর্থ: “আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনার রব তা‘য়ালা মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে আপনার প্রতি যা নাযিল হয়েছে, আপনি তা মানুষের নিকট পৌছে দিন।”

(৩) মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহ্যাব শরীফ উনার ৪৫ নং সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লক্বব মুবারক দ্বারা উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অত্যন্ত মুহব্বতে, তা’যীম-তাকরীম এবং সম্মানের সাথে সম্বোধন মুবারক করেন,

يَااَيُّـهَا النَّـبِـىُّ اِنَّا اَرْسَلْنٰكَ شَاهِدًا وَّمُبَشِّرًا وَّنَذِيْـرًا

অর্থ: “আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নবী এবং রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনাকে হাযির-নাযির, সাক্ষ্যদাতা হিসেবে, সুসংবাদদাতা হিসেবে এবং ভীতি প্রদর্শনকারী হিসেবে প্রেরণ করেছি।” সুবহানাল্লাহ!

(৪-৭) এছাড়াও মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত ও পবিত্র সূরা মুয্যাম্মিল শরীফ উনার শুরুতে- يَااَيُّـهَا الْمُزَّمِّلُ, সম্মানিত ও পবিত্র সূরা মুদ্দাছ্ছির শরীফ উনার শুরুতে- يَااَيُّـهَا الْمُدَّثِّرُ, সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ইয়াসীন শরীফ উনার শুরুতে- يسٰ এবং সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ত্ব-হা শরীফ উনার শুরুতে- طـهٰ এবং আরো অনেক স্থানেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লক্বব মুবারক দ্বারা উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অত্যন্ত মুহাব্বতে, তা’যীম-তাকরীম এবং সম্মানের সাথে সম্বোধন মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে এভাবেই সুন্দর সুন্দর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লক্বব মুবারক দ্বারা উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অত্যন্ত মুহাব্বতে, তা’যীম-তাকরীম এবং সম্মানের সাথে সম্বোধন মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

অপরদিকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে অন্যান্য হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মহান আল্লাহ পাক তিনি সরাসরি উনাদের সম্মানিত ইসিম বা নাম মুবারক দ্বারা সম্বোধন মুবারক করেছেন। যেমন:

(১) মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত আবুল বাশার ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করেন,

يَا اٰدَمُ اَنْبِئْـهُمْ بِاَسْـمَائِهِمْ

অর্থ: “হে হযরত আদম আলাইহিস সালাম! আপনি হযরত ফিরিশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে এসকল বিষয়ের নামসমূহ বলে দিন।” (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা বাক্বারাহ্ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৩)

(২) মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করেন,

يَانُـوْحُ اِنَّهٗ لَـيْسَ مِنْ اَهْلِكَ

অর্থ: “হে হযরত নূহ আলাইহিস সালাম! নিশ্চয়ই সে (কেনান) আপনার আহাল বা পরিবারের অন্তর্ভুক্ত নয়।” (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা হূদ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৪৬)

(৩) মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করেন,

وَنَادَيْـنَاهُ اَنْ يّٰـاِۤبْـرٰهِيْمُ قَدْ صَدَّقْتَ الرُّؤْيَا اِنَّا كَذٰلِكَ نَـجْزِى الْمُحْسِنِيْـنَ

অর্থ: “আর মহান আল্লাহ পাক তিনি (হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম) উনাকে ডেকে বললেন, হে হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম! আপনি স্বপ্ন মুবারক উনাকে সত্যে পরিণত করেছেন। নিশ্চয়ই আমি এভাবেই মুহসিন ব্যক্তিত্ব মুবারক উনাদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ছফফাত শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১০৪, ১০৫)

(৪) মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে সম্বোধন করেন,

يَامُوْسٰى اِنِّـى اصْطَفَيْـتُكَ عَلَى النَّاسِ بِرِسٰلٰـتِـىْ وَبِكَلَامِىْ فَخُذْ مَاۤ اٰتَـيْـتُكَ وَكُنْ مِّنَ الشٰكِرِيْنَ

অর্থ: “হে হযরত মূসা আলাইহিস সালাম! আমি আপনাকে সম্মানিত রিসালত মুবারক হাদিয়া করার মাধ্যমে এবং আমার সাথে কথা মুবারক বলার মাধ্যমে মানুষের উপর আপনাকে প্রাধান্য দিয়েছি। সুতরাং আমি আপনাকে যা কিছু হাদিয়া মুবারক করলাম, তা গ্রহণ করুন এবং শুকরিয়া আদায় করুন।” (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আ’রাফ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১৪৪)

(৪) মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত দাঊদ আলাইহিস সালাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করেন,

يَادَاوٗدُ اِنَّا جَعَلْنٰكَ خَلِيْـفَةً فِـى الْاَرْضِ

অর্থ: “হে হযরত দাঊদ আলাইহিস সালাম! আমি আপনাকে খলীফা অর্থাৎ প্রতিনিধি হিসেবে যমীনে প্রেরণ করেছি।” (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ছোয়াদ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ২৬)

(৫) মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত যাকারিয়্যা আলাইহিস সালাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করেন,

يَازَكَرِيَّا اِنَّا نُـبَشِّرُكَ بِغُلٰمٍ اسْـمُهٗ يَـحْيٰـى

অর্থ: “হে হযরত যাকারিয়্যা আলাইহিস সালাম! আমি আপনাকে একজন সম্মানিত ছেলে আওলাদ আলাইহিস সালাম উনার সুসংবাদ মুবারক দিচ্ছি, উনার সম্মানিত নাম মুবারক হবেন হযরত ইয়াহইয়া আলাইহিস সালাম।” (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা মারইয়াম শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৭)

(৬) মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত ইয়াহ্ইয়া আলাইহিস সালাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করেন,

يٰـيَـحْيـٰى خُذِ الْكِتٰبَ بِقُوَّةٍ

অর্থ: “হে হযরত ইয়াহইয়া আলাইহিস সালাম! আপনি দৃঢ়তার সাথে এই পবিত্র কিতাব মুবারক ধারণ করুন।” (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা মারইয়াম শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১২)

(৭) মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করেন,

يٰـعِيْسٰى اِنّـِىْ مُتَـوَفِّيْكَ وَرَافِعُكَ اِلَـىَّ وَمُطَهِّرُكَ مِنَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا

অর্থ: “হে হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম! আমি আপনার পবিত্র হায়াত মুবারক পূর্ণ করবো এবং আপনাকে আমার নিকট তুলে নিবো এবং আপনাকে কাফিরদের থেকে পবিত্র করে দিবো।” (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৫)

অত্যন্ত চিন্তা এবং ফিকিরের বিষয়, মহান আল্লাহ পাক তিনি অন্যান্য সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সরাসরি উনাদের সম্মানিত নাম মুবারক দ্বারাই সম্বোধন মুবারক করেছেন। কিন্তু উনার যিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে একবারও সরাসরি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক দ্বারা সম্বোধন মুবারক করেন নি। সুবহানাল্লাহ!

উপরোক্ত বর্ণনাসমূহ দ্বারা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট হয়ে যায় যে, মহান আল্লাহ তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযুর্গী-সম্মান মুবারক কতটুকু বুলন্দ থেকে বুলন্দতর করেছেন। সুবহানাল্লাহ! মূলত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযুর্গী-সম্মান মুবারক হাদিয়া মুবারক করেই মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টি মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

কাজেই প্রত্যেক মুসলমান জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের জন্য ফরয হচ্ছেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লক্বব মুবারক দ্বারা অত্যন্ত মুহাব্বতে, তা’যীম-তাকরীম এবং সম্মান ও আদবের সাথে সম্বোধন মুবারক করা।

মহান আল্লাহ পাক তিনি মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার মুবারক উছিলায় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লক্বব মুবারক দ্বারা অত্যন্ত মুহাব্বতে, তা’যীম-তাকরীম এবং সম্মান ও আদবের সাথে সম্বোধন মুবারক করার তাওফীক্ব আমাদেরকে এবং কায়িনাতবাসী সবাইকে দান করুন। আমীন!

-মুহম্মদ ইমামুল হুদা।

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যমের মুবারক সংযোজন:- ইসলাম- বিধর্মীদের ধর্ম পালনে কোন বাধা দেয় না। কারণ, প্রত্যেকেই তার নিজ ধর্ম পালনে স্বাধীন। ইসলাম- মুসলমানদের জন্যও বিধর্মীদের কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাওয়ার অনুমোদন করে না। পাশাপাশি মুসলমানদেরকে বিধর্মীদের অনুষ্ঠানে যেতে বিধর্মী কর্তৃক উৎসাহিত করাটাও শরীয়তসম্মত নয়। কেননা, মুসলমানরা বিধর্মীদেরকে ইসলাম পালনে বাধ্য করে না।

সাইয়্যিদুল আম্বিয়া, ইমামুল আতক্বিয়া, হাদিউল আওলিয়া, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিলাদত শরীফ উপলক্ষে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, ঈদে আ’যম, ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন প্রসঙ্গে

মিছবাহুদ্ দুজা, মিফতাহুদ্ দারা, খইরুল ওয়ারা, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পবিত্রতম দেহ মুবারক, ঘাম মুবারক ও থুথু মুবারক-এর সৌরভের কাছে যত রকমের খুশবু আছে সবই ম্লান হয়ে যায়

আকমালুল মাওজূদাত, আজমালুল মাখলূক্বাত, আল্মুওয়াইইয়াদু বিওয়াদ্বিহিল বাইয়্যিনাত, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বৈশিষ্ট্য থেকেই সমস্ত আম্বিয়া আলাইহিমুস্ সালাম ও আওলিয়ায়ে কিরামগণ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয়েছেন

আখলাকুহূ হামীদাহ, আফয়ালুহূ জামীলাহ, আলত্বাফুহূ কারীমাহ, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সদাচরণ হযরত উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্নাগণের সাথে