মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, “আপনার কর্মীদের শুধু মসজিদে যেতে বলেছেন কেন?     তাদেরকে মসজিদে, মাহফিলে ‘ওয়াজ’ও করতে বলুন।  ‘ওয়াজটা’- জামাতী-কওমীওয়ালারা, ওদের ইজারা নেয়া      সম্পত্তি মনে করার সুযোগ পাবে কেন?  আপনার দলের অনেক নেতাকর্মী, এমপি রয়েছেন- যারা  মইত্যা রাজাকার ও মুফতে কমিনীর চেয়ে অনেক ভাল  আমলদার ও ইসলামী বক্তা।  তারা খাঁটি ইসলামী আক্বীদা ও আমলে বিশ্বাসী।  তাদেরকে সংসদের ভেতরে এবং বাইরে তথা মাহফিলে ‘ওয়াজ’ করতে উদ্বুদ্ধ করুন, প্রেরণা দিন।  ‘ওয়াজ’ করাকে যে জামাতী-কওমীওয়ালারা নিজেদের    ইজারাকৃত সম্পত্তি মনে করে-দিন বদলের ধারাবাহিকতায় সে   ধারণা বদলে দিন।”

সংখ্যা: ১৮৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

 ‘দাড়ি-টুপিওয়ালা লোক মানেই যে রাজাকার নয়’- সে ভুল ভাঙতে লেগেছে আওয়ামী লীগের অনেক বছর। তার জন্য খেসারতও দিতে হয়েছে বটে।

ইসলামের বিরুদ্ধে বলে যে এদেশে রাজনীতি করা যাবে না সে শিক্ষাও আওয়ামী লীগের ভালই হয়েছে। বরং মসজিদে গিয়ে ধর্মপ্রাণ বোঝালে যে তারা বোঝে তার ফলও আওয়ামী লীগ ৯৬ তে প্রথম প্রত্যক্ষ করেছে।

জানা যায়, সে সময় বর্তমান দিন বদলের সরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন ৫ ওয়াক্ত নামায মসজিদে পড়তে। পারলে প্রথম কাতারে থাকতে।

জননেত্রী শেখ হাসিনার সে নির্দেশ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে যে কী অভূতপূর্ব সাড়া জাগিয়েছে তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ মিলেছে নবম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে এবং বর্তমান দ্বিতীয় অধিবেশনেও।

মাগরিবের আযান হলে বিএনপি’র সাংসদ ছাড়াও সংসদ ভবনের বিশাল মসজিদ আওয়ামী লীগের এমপি দ্বারা ভরপুর হয়ে যায়।

প্রথাগত চিন্তাধারায় তো অনেক সাধারণই, অনেক এমপি দেখে ভিমড়ী খান, উনি কি আওয়ামী লীগের এমপি? নাকি জামাতের? অনেকে আবার ভেবে বসেন, এত বড় মাওলানা সাহেব সংসদে কেন এসেছেন? আসলে তাই, আওয়ামী লীগের অনেক এমপিরাই তথাকথিত মাওলানাদের চেয়ে ভাল যোগ্যতা রাখেন। ভাল ওয়াজও তারা করতে পারেন।

জননেত্রী শেখ হাসিনার উচিত তার দলের নেতাকর্মী, এমপিদের এ দিকটি বিকশিত করতে উৎসাহিত করা।

***********

‘মাদক’ বর্তমান সমাজের ভয়াবহ ব্যাধি। ইসলামে মাদক হারাম। একটা মাদকাসক্ত ছেলে গোটা পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়।

ইদানিং ছেলেদের পাশাপাশি মেয়ে মাদকাসক্তদের সংখ্যাও শঙ্কিতহারে বাড়ছে।

এক্ষেত্রে ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে আওয়ামী এমপি, নেতাকর্মীরা ওয়াজ করতে পারেন। সংসদে ইসলামের আলোকে মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারেন। প্রমাণ করতে পারেন, আওয়ামী এমপিরাও ইসলামের লোক। ইসলাম জামাতীদের হাতে ইজারার বিষয় নয়।

বিএনপি রাজনৈতিক স্বার্থে ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম’ সংযোজন করেছে।

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ইসলামের জন্য ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম’-এর পূর্বে ‘আউযুবিল্লাহি মিনাশ্ শাইত্বনির রযিম’ লাগাতে পারেন।

**********

আজকে চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির মাঝেই শ্লীল-অশ্লীলতার বিষয় নিয়ে মারামারি হয়। অশ্লীলতার চরম পর্যায় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। যে ক্ষেত্রে খোদ চলচ্চিত্র প্রযোজক, শিল্পীদের মাঝেই অশ্লীলতা নিয়ে মারামারি হয় সেক্ষেত্রে বিষয়টি কতদূর নেমেছে তা ভাবার বিষয়।

বিষয়টি এখন সিনেমা দেখানেওয়ালা সাধারণ মধ্যবিত্তকেই ক্ষুব্ধ করছেনা খোদ সিনেমা সংশ্লিষ্টরাও ক্ষোভ প্রকাশ করছে।

অর্থাৎ এসবের বিরুদ্ধে এখন কথা বলা দরকার, পদক্ষেপ নেয়া দরকার। যে সব কথা সিনেমা মহলেই জোরদারভাবে উচ্চারিত হচ্ছে।

সেক্ষেত্রে এসবের বিরুদ্ধে বলার সুযোগ শুধু জামাতী-কওমীওয়ালাদের হাতেই ছেড়ে দেয়া হবে কেন?

অথবা আওয়ামী ওলামা লীগ নামীয়দের হাতেই ছেড়ে দেয়া হবে কেন?

এটা যদি সার্বিকভাবে আওয়ামী দলীয় এমপিরা করেন অথবা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কেউ কেউ করেন,  তবে তাতে দোষ কোথায়?

বরং এটা করাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতিফলন হবে।

বঙ্গবন্ধু কী রেসকোর্সের ঘোড়দৌড় বন্ধ করেননি?

তাহলে কেন আজ সব আওয়ামী এমপিরা এ ধারণায় বুদ হয়ে আছেন যে,

যত সব অনৈসলামী

যত সব অশ্লীলতা

যত সব বেপর্দা-বেহায়া

যত সব অপসংস্কৃতি

এগুলোর বিরুদ্ধে কথা বলার- একচ্ছত্র অধিকার কি কেবল জামাতী-কওমীদের?

আজকে দেশে আদিবাসীদের আদি সংস্কৃতি রক্ষায় সরকার নিবেদিত মনোভাব ও দৃঢ় প্রত্যয় প্রকাশ করেছে।

যদি তাই হয়ে থাকে, তবে দেশের প্রায় পনের কোটি মুসলমান নাগরিকের ধর্ম তথা ইসলামী সংস্কৃতির ঐতিহ্য ধরে রাখার ক্ষেত্রে তাদের ভোটে নির্বাচিত এমপিরা নিবেদিত হচ্ছেন না কেন?

আজকে দেশে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো তাদের পণ্যদ্রব্য বিক্রির জন্য এদেশবাসীর মানসিকতাকে ইউরোপ, আমেরিকাবাসীর মানসিকতায় পর্যবসিত করার অবাধ সুযোগ পাচ্ছে।

আজকে কেন? তারা এদেশে তাদের সংস্কৃতি বিপণন করার মাধ্যমে এদেশের মুসলমানদের থেকে ইসলামী অনুভূতি তুলে দেবার অবারিত সুযোগ পাচ্ছে?

ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর মহাসড়কে প্রায় কোয়ার্টার মাইল ব্যাপী বিশালাকৃতির বিলবোর্ডে বিজ্ঞাপন লাগানো হয়েছে,

বন্ধু, আড্ডা, গান, এখানেই হারিয়ে যাও’

এ বিজ্ঞাপনের প্রণোদনা কী?

বন্ধু, আড্ডা, গান নিয়ে হারিয়ে যেতে হলে কী দরকার?

অগাধ টাকা।

কিন্তু সে টাকা কতজনের আছে?

এ বিজ্ঞাপনের প্রলোভনে পড়ে অনেকেই কী তাহলে অবৈধ টাকার আয়ের জন্য প্ররোচিত ও প্রলুব্ধ হবে না?

কিন্তু তারপরেও বা কতজন তা পারবে?

বাকিরা কি তাহলে বৈষম্যের শিকার হবে না।

মূলতঃ সামাজিক ভারসাম্যতা নষ্ট হয় এভাবেই।

দুর্নীতি আর বৈষম্য তথা চরিত্র হননের পথ বিস্তৃত হয় এভাবেই।

আর, একটা ছেলে আমাদের মত গরীব দেশে, উৎপাদনশীলতা বাদ দিয়ে,

 বন্ধু, আড্ডা গান ইত্যাদিতে সর্বক্ষণ হারিয়ে যাওয়ার এ রকম সরাসরি শ্লোগান দিতে পারে কোন কোম্পানি? এটা কি জবাবদিহিতার মধ্যে পড়ে না?

কিন্তু বহুজাতিক কোম্পানিগুলো তাই অবাধে করে যাচ্ছে।

এমনকি কোন কোন পণ্যের বিজ্ঞাপনে বিলবোর্ডের অনেক সুন্দরীর ছবি দিয়ে নিচে লিখছে, ‘কাকে ছেড়ে কাকে ধরি’। (নাঊযুবিল্লাহ)

এতসব অশ্লীল বিজ্ঞাপনে দেশ ছেয়ে গেলেও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কোন উদ্বেগ, অনুভূতি নেই।

**********

অথচ সিনেমায় যাতে কোন অশ্লীল দৃশ্য দেখানো না হয় তার জন্য স্বাধীনতা উত্তরই গঠিত হয়েছিলো সেন্সর বোর্ড।

সেই সেন্সর বোর্ড তখন সিনেমার যেসব দৃশ্য সেন্সর করতো তার চেয়ে ঢের অশ্লীল বিজ্ঞাপন এখন নামিদামি তথাকথিত অভিজাত পত্রিকায় প্রতিদিনই বিশাল করে ছাপা হচ্ছে।

প্রায় বিবস্ত্র এসব নারীর ছবি ছাপানোর পরও কোনই প্রতিক্রিয়া নেই কারো।

মন্ত্রী, এমপি, সচিবরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নির্বিকার চিত্তে রয়েছেন।

 যেন ঐসব বিষয়ে কথা বলা, দেশের মানুষের চরিত্র হনন এবং অশ্লীলতা তথা অনৈসলামের বিরুদ্ধে কথা বলা-

সব ঐ  জামাতী-কওমীদের ব্যাপার।

মূলতঃ এসব ভেবেই তারা তাদেরকে ইসলামের নামে তাদের ধর্মব্যবসাকে এত সুসংহত করার অবাধ সুযোগ দিয়েছেন।

এই সেদিন পত্রিকায় খবর বের হলো, মাত্র ১৮০০ টাকার এমপি-থ্রি’র জন্য কিশোর বন্ধুরা খুন করেছে তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে।

অর্থাৎ দেশের বিরাজমান অনৈসলামী সংস্কৃতি যে দিন দিন নতুন নতুন সন্ত্রাসী, খাঁটি অপরাধী তৈরি করছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

এক্ষেত্রে আকাশ সংস্কৃতির নামে অবাধ হিন্দি চ্যানেল এবং অন্যান্য বিদেশি চ্যানেলগুলো যে আমাদের কোমলমতি শিশুদের মন-মগজ নষ্ট করে দিচ্ছে সে দিকটিতে মন্ত্রী-এমপিরা কোন নজর দিচ্ছেন না।

চিরাচরিত অভ্যাসগত ভেবে আছেন এসব দিক দেখবে ঐ জামাতী-কওমীওয়ালারা।

কেন, জামাতী-কওমীরাই কী একমাত্র ধর্মের অবিভাবক।

**********

আজকে দিন বদলের সরকারের জনপ্রতিনিধিদের

মনে রাখতে হবে, মনে করতে হবে,

আমলে নিতে হবে যে,

তারা শুধু এদেশের জনপ্রতিনিধিই নন-

তারা এদেশের জনপ্রতিনিধিদের ধর্মেরও প্রতিনিধি।

তারা যদি জনগণের খাদ্য, শিক্ষা, রাস্তাঘাট, হাসপাতাল ইত্যাদির প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন

ধর্ম তাহলে মানুষের জনজীবনের শেষ আশ্রয়-

অথবা মুসলমানের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ- ইসলামের প্রতিনিধিত্ব তারা করবেন না কেন?

কেন বহুজাতিক কোম্পানিগুলো তাদের পণ্য বিপণনের জন্য এদেশে বিজাতীয় সংস্কৃতি ও বিপণন করবে।

মুসলমানকে ইসলামী মূল্যবোধ পরিত্যাগ করার জন্য প্ররোচিত করবে।

ভোগবাদী জীবনে প্রলুব্ধ করবে।

নীতিহীন মানসিকতায় উদ্বুদ্ধ করে অবশেষে দেশকে ব্যর্থ ও অকার্যকর রাষ্ট্র করার গভীর ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করার দুরভিসন্ধি আঁটবে।

**********

প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, এদেশের সিনেমা সেন্সর বোর্ডের মূল কাজ হলো, নায়িকাদের পোশাক, তাদের শরীর কতটুকু কভার করে তা মনিটরিং করা।

হাঁটুর উপর কাপড় উঠলো কী না?

শরীরের ভাজ বোঝা যায় কী না?

পোশাক পাতলা কী না? ইত্যাদি দেখা।

বলাবাহুল্য, সিনেমা হলে তিন ঘণ্টার জন্য কয়েকজন নায়িকা বা সহ নায়িকার প্রদর্শনী হয়। সেটাকেই মনিটরিং করার জন্য এত আয়োজন।

তার বিপরীতে আজকে গোটা দেশব্যাপী তথাকথিত ফ্যাশন হাউজগুলো বিভিন্ন ফ্যাশনের নামে একদিকে বিবস্ত্র ফ্যাশন শো করছে, তথাকথিত র‌্যাম্প মডেল করছে।

অপরদিকে ভদ্রবেশি এসব ছূরতে সাধারণ নাগরিকদের গায়েও প্রায় বিবস্ত্র সংক্ষিপ্ত এবং পুরোই পাতলা পোশাক চাপিয়ে দিয়ে পুরো দেশটাকেই মূলতঃ নগ্নতার রাজ্য বানিয়ে ফেলছে।

এসব বিষয়ে এখনও ‘ওয়াজ’ হয়।

কিন্তু সেই ‘ওয়াজ’ করার ভার কেবল জামাতী আর কওমীওয়ালাদের হাতে থাকবে কেন?

আমাদের সংবিধানের ২৩নং অনুচ্ছেদে বর্ণিত হয়েছে, “রাষ্ট্র জনগণের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকার রক্ষণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।”

বলাবাহুল্য, এক্ষেত্রে আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী একটি সাক্ষাৎ উদাহরণ।

তাকে কেউ ঘোমটা ছাড়া দেখেনি।

তিনি পাতলা পোশাক পরেননি।

তিনি অধুনা ফ্যাশন হাউজগুলোর বানানো প্রায় বিবস্ত্র পোশাক পরেননা।

অর্থাৎ তিনি আমাদের বাংলাদেশের মুসলমানদের ইসলামিক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অনেকটাই ধরে রেখেছেন।

তাকে যখন কারাগারে অথবা কোর্টে নেয়া হয়েছে তখন জনগণ প্রত্যক্ষ করেছেন, আলাদা কাপড় শরীরে জড়িয়ে অনেকটাই পর্দানশীল মহিলার ভূমিকায়।

কাজেই সে পর্দার বিরুদ্ধে আমাদের মুসলিম জাতীয় সংস্কৃতি ও ইসলামিক ঐতিহ্যের বিরোধী-

যেসব কাজ হচ্ছে,

পণ্য বিপণন হচ্ছে,

পোশাক বিক্রি হচ্ছে,

সে সবের বিরুদ্ধে এখন জননেত্রী শেখ হাসিনার ভক্ত নেতাকর্মীদেরই তথা মন্ত্রী-এমপিদেরই এগিয়ে আসতে হবে।

বর্তমান দিন বদলের প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা ইতঃপূর্বে তার নেতা-কর্মীদের-

মসজিদে যেতে বলেছিলেন,

নামায-রোযা করতে বলেছিলেন,

ধর্মপ্রাণদের মাঝে মিশে যেতে বলেছিলেন,

কিন্তু বর্তমান নির্বাচন প্রধানমন্ত্রীকে আরো অনেক অগ্রগামী করেছে। আরো অনেক বড় দায়িত্ব অর্পণ করেছে।

সেক্ষেত্রে ‘কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন পাশ হবে না’- এ প্রতিশ্রুতির সরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে

‘কুরআন-সুন্নাহ’ অনুযায়ী সাধারণ মানুষ যাতে আমল করে

সে আমলের ওয়াজ করার দায়িত্বও এবার তারই নেতাকর্মী, এমপি, মন্ত্রীদেরকে নেয়ার জন্য বলতে হবে।

উদ্বুদ্ধ করতে হবে, নির্দেশ দিতে হবে

উৎসাহিত করতে হবে

তবে ওয়াজ করার নামে ধর্মব্যবসায়ীরা তাদের ধর্মব্যবসার সুযোগ হারিয়ে ফেলবে তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।

তারা মুসলমানদের কাছে ধিকৃত ও লাঞ্ছিত হয়ে পড়বে।

মহান আল্লাহ পাক সে তৌফিক দান করুন, কবুল করুন। (আমীন)

-মুহম্মদ আলম মৃধা

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।