মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নিকট খোলা চিঠি দেশটা কী মুসলমানের, না ঐ নিকৃষ্ট সংস্কৃতিবাদীদের? দেশে কী ১৫ কোটি মুসলমান প্রাধান্য পাবে, না মাত্র লাখেরও কম সংস্কৃতিকর্মী প্রতিষ্ঠা পাবে? সংস্কৃতিকর্মীর প্রচারণা দ্বারা কি রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের এদেশে ‘ইসলাম’ ও ‘মুসলমান’ তুলে দেয়া হবে?  মিটিয়ে ফেলা হবে? মুছে ফেলা হবে? বিধর্মীদের সাথে একাকার করে দেয়া হবে? তাহলে ‘মরলে শহীদ বাঁচলে গাজী’ চিরন্তন সে ঐতিহ্য কোথায় যাবে?

সংখ্যা: ১৮৩তম স | বিভাগ:

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা!

আজ একটা প্রশ্ন খুব জোরদার হয়েছে। এর জবাবটাও স্পষ্ট করা এখন অনিবার্য হয়ে উঠেছে।

কথিত  সংস্কৃতিকর্মীরা তথাকথিত সাংস্কৃতিক যুদ্ধের ডাক দিয়েছেন। তথাকথিত শিল্পী, শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক নেতারা এর ঘোষক, সেনাপতি ও সৈনিক।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা!

তারা বলেছে, বড় শক্তি হচ্ছে আমাদের অসাম্প্রদায়িক সাংস্কৃতিক চেতনা।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা!

কথিত সংস্কৃতিবাদীদের আসাম্প্রদায়িক সংস্কৃতিক চেতনার অর্থ একটাই সে, মুসলমান আর মুসলমান থাকতে পারবেনা, থাকবেনা। হিন্দু-বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, আউল বাউলদের সাথে মিশে একাকার হয়ে যাবে।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা!

আপনি অবগত আছেন, বাংলাদেশ সংবিধানের শুরুতেই লিখিত হয়েছে ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম’।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা!

আপনি অবগত আছেন, বাংলাদেশ সংবিধানের ২(ক) ধারায় লিখিত হয়েছে, “প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম”।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা!

যে দেশের সংবিধানের শুরুতে ‘বিসমিল্লার্হি রহমানির রহীম’ বা কুরআন শরীফ-এর আয়াত শরীফ দিয়ে শুরু হয়,

যে দেশের সংবিধানে মুসলমানদের ধর্ম ইসলামই  রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে স্বীকৃত হয়-

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা!

সেদেশে ইসলাম, মুসলমান এক অনিবার্য শব্দ অপ্রতিরোধ্য ও শক্তি বলে প্রতিভাত হয়, প্রতিপন্ন হয়।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা!

বিশেষ করে গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের এভূখ-ে

শতকরা ৯৫ ভাগ মুসলমানের অস্তিত্ব

এদেশে ইসলাম ও মুসলমানের অস্তিত্ব

তাদের ঈমান, তাদের আক্বীদা

তাদের ধর্ম

তাদের ধর্মীয় অধিকার

তাদের ধর্ম অবমাননার প্রতিরোধে

তাদের ধর্মের উপর ষড়যন্ত্র প্রতিহত করণ

ইত্যাদি বড়ই সংবেদনশীল স্পর্শকাতর ও চরম মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।

যা আপনাকে, আপনার সরকারকে তথা গোটা দেশকে নিমিষেই অচল করে দিতে পারে।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা!

শতকরা ৯৫ ভাগ মুসলমান অধিবাসীর ধর্ম ইসলামটা আপনার সরকারের আমলের মত রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ বলে জারি হয়নি।

অথবা

আপনাদের স্থগিত করা সংসদের বিল আকারেও পাশ হয়নি।

অথবা

১৯৭২-এ যে ৩৪ জন লোক মিলে সংবিধান রচনা করেছিলো সে প্রক্রিয়ায়ও ইসলাম আসেনি।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা!

এদেশের মুসলমান ইসলাম পেয়েছে আল্লাহ পাক ও তাঁর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উপর ঈমান এনে। কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ বিশ্বাস করে।

সুতরাং মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা!

ইসলাম-এর উপর আঘাতস্বরূপ কোনো অধ্যাদেশ, কোন আইন, কোন সংবিধান দেশবাসী মুসলমান মেনে নিতে পারে না। কোনো মুসলমান বরদাশত করতে পারে না।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা!

মুসলমান হিসেবে আপনিও বুঝেন। আপনার উপদেষ্টাও বুঝেন, আপনার প্রশাসন, বিচার বিভাগ স্বীকার করতে বাধ্য যে-

আজকে যে কথিত সংস্কৃতি, আজকে যে প্রচলিত সংস্কৃতি তা মূলতঃ ইসলাম বিরুদ্ধ। কোন মুসলমান ধর্মীয় আলোকে তা বিশ্বাস করতে পারে না। সমর্থন করতে পারে না। কারণ, আজকে সংস্কৃতির নামে যে নাচগান, যে কর্মকা- চলে তার সবই যেমন একদিকে বেপর্দা, বেহায়াযুক্ত তেমনি তা কুরআন-সুন্নাহ শরীফ-এ নিষিদ্ধ ঘোষিত।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা!

ক্বিয়ামত পর্যন্ত কেউ প্রমাণ করতে পারবে না, ‘আজকের নাচগান সংস্কৃতি’ ইসলাম বিরুদ্ধ নয়, মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতির সাথে সাংঘর্ষিক নয়।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা!

তথাকথিত সম্মিলিত সংস্কৃতিক জোট গত ০৮/১১/২০০৮ তারিখে দেশে “সংস্কৃতিক যুদ্ধের ডাক দিয়েছে”। এর দ্বারা মূলতঃ তারা দেশবাসী মুসলমানের ইসলামী আমল বন্ধ করে দিয়ে সবাইকে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় অনৈসলামী আমল তথা নাচগান ইত্যাদি সংস্কৃতিক কর্মকা-ের মধ্যে হরদম মশগুল করে দিতে চেয়েছে। তাদের মুসলমানিত্ব ও ইসলামী অনুভূতি নষ্ট করে দিতে চেয়েছে।

পাশাপাশি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা!

তারা অসাম্প্রদায়িক চেতনার দ্বারা হিন্দুত্ব, খ্রিস্টীয়, বৌদ্ধত্ব, বাউলতত্ব ইত্যাদি দর্শন ও আমলের সাথে মুসলমানদের একাকার হয়ে মিশে যাওয়ার জোর ডাক দিয়েছে, ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তাতে করে ইসলামী মূল্যবোধ অনুযায়ী কোন মুসলমান আর মুসলমান থাকবে না। দেশে ইসলাম থাকবে না।

অথচ মানীয় প্রধান উপদেষ্টা!

আপনি অবগত আছেন যে, এদেশ, এদেশের সংবিধান, এদেশের বাস্তবতা, এদেশের শতকরা ৯৫ ভ্গা মুসলমান অধিবাসী- এতদ্বপ্রেক্ষিতে ইসলাম এবং মুসলমান অনিবার্য অস্তিত্ব, অপ্রতিরোধ্য শক্তি, অলঙ্ঘনীয় বাস্তবতা।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা!

অথচ তথাকথিত সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট তথাকথিত সংস্কৃতি যুদ্ধ ঘোষণা  করে সে বাস্তবতাকে অস্বীকার করতে চায়। মুসলমানদের মুসলমানিত্ব নষ্ট করে দিতে চায়। ইসলাম উঠিয়ে দিতে চায়। সঙ্গতকারণেই

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা!

আপনাকে, আপনার সরকারকে আজকে নিশ্চিত করতে হবে, দেশে কারা থাকবে?

ঐ বেজন্মা, সংখ্যালঘুর ও সংখ্যালঘু তথাকথিত সংস্কৃতিকর্মী, না দেশের ৯৫ ভাগ অধিবাসী প্রায় পনের কোটি মুসলমান?

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা!

আপনাকে, আপনার সরকারকে আজ স্পষ্ট করে বলতে হবে যে, দেশে কী ইসলাম থাকবে? না, ঐ তথাকথিত অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিস্তার লাভ করবে?

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা!

আপনাকে স্পষ্ট উচ্চারণ করতে হবে, দেশে কী তথাকথিত অসাম্প্রদায়িক সংস্কৃতিই অস্তিত্ব লাভ করবে আর বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম-এর অস্তিত্ব মিটিয়ে দেয়া হবে? (নাউযুবিল্লাহ)

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা!

এতসব কথা বলার আসলে অবকাশ নেই। প্রয়োজন নেই। কারণ, আপনাকে বা আপনার সরকারকে, আপনাদের সংবিধানকে, আপনার সংসদকে জিজ্ঞাসা করে, অনুমতি নিয়ে তাদের কাছে জেনে এদেশের মুসলমানরা ঈমান আনেনি। ইসলাম গ্রহণ করেনি। মুসলমান হয়নি।

দেশবাসী ঈমান এনেছে, ইসলাম গ্রহণ করেছে, মুসলমান হয়েছে- ‘আল্লাহ পাক-এর রহমতে, আল্লাহ পাক-এর নির্দেশে’।

কাজেই মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা!

আল্লাহ পাক-এর মুহব্বত, আল্লাহ পাক-এর নির্দেশ দেশবাসী পনের কোটি মুসলমানের কাছে সবচেয়ে বড়। নিজের স্ত্রী-পুত্র, পরিবার-পরিজন এমনকি নিজের প্রাণও সেখানে তুচ্ছ। কাজেই দেশবাসী মুসলমান জানে, কী করে নিজের জীবন দিয়ে হলেও ঈমান রক্ষা করতে হয়। ইসলামের মর্যাদা বুলন্দ করতে হয়।

ইসলামের প্রতি আঘাতকারী, মুসলমানদের অস্তিত্ব বিসর্জনের ষড়যন্ত্রকারীদের বিষদাত গুড়িয়ে দিতে হয়। তাতে জীবন দিলে মুসলমান মহা আনন্দিত হয়।

কারণ, মুসলমান ঐ জাতি যাদের কাছে হায়াতের চেয়ে মৃত্যুই প্রিয়। ‘যারা মরলে শহীদ বাঁচলে গাজী’ বলেই জন্ম নেয়।

সুতরাং সত্যিকার মুসলমানকে কে হার মানায়?

 

ইতি,

দেশের পনের কোটি ঈমানদার মুসলমানদের পক্ষে-

– গোলামে মুজাদ্দিদ মুহম্মদ আরিফুর রহমান

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।