সময়টা মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার। উনার কারামত মুবারক যেমন ব্যাপক তেমনি সূক্ষ্ম এবং প্রাণবন্ত ও প্রয়োজনীয়। ঐশী কর্তৃক বাবা-মার হত্যাকাণ্ডে বেপর্দা বেহায়া স্রোতে দুকূল ছাপানো সমাজ নড়ে চড়ে বসেছে। অপরদিকে রিপোর্ট হয়েছে এশিয়ায় প্রতি চারজনে একজন সম্ভ্রমহরণকারী। ভারতেই এ সংখ্যা বেশি। অপরিদকে ভারতে প্রতি ২০ মিনিটে একজন নারীর সম্ভ্রমহরণ হয়। ভারতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ঘাটতি নেই। কিন্তু তারপরেও ভারতে এখন সম্ভ্রমহরণ বন্ধে নারীদের বেপর্দা হওয়াকেই প্রমাণ কারণ বলে চিিহ্নত করা হচ্ছে। যা মূলত পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার কথা এবং মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনারই মুবারক কারামত।
নারীদের জন্য নকশী ব্লাউজ, জিন্স নিষিদ্ধ
ভারতের কর্নাটকের সরকার এবার নারীদের জন্য কর্মক্ষেত্রে নকশী করা বিভিন্ন ডিজাইনের ব্লাউজ এবং জিন্স ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। ‘প্ররোচিত পোশাক’ বিষয়ক এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে শরীরের অংশ দৃশ্যমান জিন্স, বিভিন্ন ডিজাইনের নকশী বা সুতার কাজ করা ও ঝালর দেয়া ব্লাউজ কর্মক্ষেত্রে নারীদের জন্য নিষিদ্ধ। আর পুরুষরা কর্মক্ষেত্রে জিন্স এবং টি-শার্ট পরে আসতে পারবে না।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে কর্মক্ষেত্রে নারীদের জন্য নির্ধারিত পোশাক হচ্ছে শাড়ি বা স্যালোয়ার-কামিজ এবং পুরুষদের জন্য শার্ট প্যান্ট বা কোর্তা-পাজামা। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তরুণ সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীরা যে ধরনের পোশাক পরে অফিসে আসেন তাতে প্রবীণদের মধ্যে অনেকেই বেশ বিব্রত বোধ করেন। তবে সিনিয়ররা এ ব্যাপারে কোন আপত্তি করতে পারেন না। কারণ কর্মক্ষেত্রে পরিধেয় পোশাকের ব্যাপারে কোন লিখিত বিধান নেই। তাই রাজ্যের ছয় লাখের বেশি সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীর জন্য এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ভারতে এ ধরনের নিষিদ্ধবাণী এই প্রথম নয়। এর আগেও সংবাদ শিরোনাম ও খবর হয়েছে।” (সূত্র বাংলাদেশ প্রতিদিন- ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ঈসায়ী)
কর্মস্থলে ‘জিন্স’ নিষিদ্ধ করেছে হরিয়ানা সরকার
“কর্মস্থলে কোনভাবেই জিন্স পরা চলবে না’ মর্মে সরকারি ফরমান জারি করেছে ভারতের হরিয়ানা সরকার। সরকারের নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তরের এই ফরমান ঘিরে রাজ্যজুড়ে সরকারি-বেসরকারি মহলে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সরকারি অফিসে পোশাক বিধি ঠিক কি হওয়া উচিত তা নিয়ে সরকার ও মন্ত্রীদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছেন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা এবং কেরানিরাও।
এপ্রিলের দিকে জিন্সসহ পশ্চিমী ধাঁচের খোলামেলা পোশাক পরে আসায় কয়েকজন পুরুষ ও মহিলা কর্মীদের আচার ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন ওঠে চন্ডীগড়ে নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তরে। এরপরই ১৮ এপ্রিল দপ্তরের ডিরেক্টর রেনু ফুলিয়া সার্কুলার জারি করে, রাজ্যজুড়ে নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তরের সব অফিসেই কোনভাবেই জিন্স, টি-শার্ট ও পশ্চিমী ধাঁচের খোলামেলা পোশাক পরা চলবে না। নির্দিষ্টভাবে বলে দেয়া হয়েছে মহিলা কর্মীরা পরবেন শাড়ি বা চুড়িদার (দোপাট্টা বা ওড়না সমেত)। পুরুষ কর্মীরা পরবেন ফরম্যাল ড্রেস বা শার্ট, প্যান্ট। ধূতি, পাঞ্জাবিও চলতে পারে। কিন্তু কোনমতেই জিন্স নয়। শুধু তাই নয়, নির্দেশ অমান্য করলে শোকজ থেকে সাসপেন্ড সবই করা হবে বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে।” (সূত্র যায় যায় দিন- ২৭ মে ২০১২ ঈসায়ী)
ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে কলেজে মেয়েদের জিন্স প্যান্ট পরা নিষিদ্ধ করা হলো। উদ্দেশ্য নারী টিজিং কমানো!
”যৌন হয়রানি বৃদ্ধি রোধের চেষ্টায় ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের ৪টি কলেজের কর্তৃপক্ষ শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রীদের জিন্স এবং অন্যান্য পাশ্চাত্য রুচির পোশাক পরিধানের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর শুরু হয়েছে গত ১০ জুন বুধবার থেকে।
নিষেধাজ্ঞার স¦পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে উত্তর প্রদেশের কানপুর শহরের দয়ানন্দ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বলক্ষ্মৌ (ভারত) থেকে ইসলাম অনলাইন : যৌন হয়রানি বৃদ্ধি রোধের চেষ্টায় ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের ৪টি কলেজের কর্তৃপক্ষ শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রীদের জিন্স এবং অন্যান্য পাশ্চাত্য রুচির পোশাক পরিধানের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর শুরু হয়েছে গত ১০ জুন বুধবার থেকে।
নিষেধাজ্ঞার স¦পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে উত্তর প্রদেশের কানপুর শহরের দয়ানন্দ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মিতা জামাল বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলে, নারীদের বিরুদ্ধ অপরাধ বন্ধ করার এটাই একমাত্র পথ। কানপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত আরো তিনটি কলেজও ক্যাম্পাসে জিন্সের পোশাক নিষিদ্ধ করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, ইদানীং মেয়েদের উপর নারী-টিজিং নামে পরিচিত যৌন হয়রানি ভারতে মারাত্মকভাবে বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দেখা গেছে, যেসব মেয়ে আটসাঁট জিন্স টাইট ব্লাউজ এবং মিনিস্কাট পরে তারাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে যৌন হয়রানির শিকার হয়।
অধ্যক্ষ মিতা জামাল জানায়, কলেজ ছুটির সময় বখাটে ছেলের দল গেটে ভিড় জমায়। তারা প্রায় সময় মেয়েদের সাথে আপত্তিকর অশোভন ও অশালীন আচরণ করে। তবে তাদের ওই বাজে আচরণের শিকার হয় ওইসব মেয়ে যারা জিন্স ও শরীরের সাথে লেপ্টে থাকা টাইট পোশাক পরিধান করে। এ ধরনের ঘটনা এখন নিয়মিত ঘটে চলেছে। কলেজ গেটের বাইরেই এ ধরনের নারী টিজিংয়ের একের পর এক অভিযোগ আসতে থাকার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। এরপর আমরা ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের জিন্স পরার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সাম্প্রতিক সময়ে নারী টিজিং ঠেকাতে উত্তর প্রদেশের বহু সংখ্যক কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের জিন্স, শর্ট টাইট ব্লাউজ এবং মিনিস্কার্ট পরিধান নিশ্চিহ্ন করেছে।” (সূত্র: সামহোয়্যার ইন ব্লগ ১২ জুন ২০০৯ ঈসায়ী)
******
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা পর্দাকে নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য ফরয করে দিয়েছেন। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে পর্দা করার ব্যাপারে কঠোর আদেশ-নির্দেশ মুবারক করা হয়েছে। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি ঈমানদার নারীগণকে বলুন তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের ইজ্জত ও আবরু হিফাজত করে। তারা যেন তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। তারা যেন এমনভাবে পদচারণা না করে যাতে তাদের চুপানো সৌন্দর্য প্রকাশ হয়ে পড়ে। হে মু’মিনগণ! তোমরা সকলেই মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।” (পবিত্র সূরা নূর শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩১)
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হে মহিলারা! তোমরা তোমাদের ঘরের মধ্যে পর্দার সাথে অবস্থান করবে। আইয়্যামে জাহিলিয়াতের মতো সৌন্দর্য প্রদর্শন করে ঘরের বাইরে বের হয়ো না। অর্থাৎ বেপর্দা হয়ো না।” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৩)
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মেয়েরা পর্দার অধীনে থাকবে। কেননা তারা যখন কোথাও বের হয়, তখন শয়তান উঁকিঝুঁকি দিতে থাকে কিভাবে তাদের দ্বারা পাপ কাজ সংঘটিত করা যায়।” (পবিত্র তিরমিযী শরীফ, পবিত্র মিশকাত শরীফ)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “হযরত বুরাইদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, হে হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম! দৃষ্টিকে অনুসরণ করবেন না। প্রথম দৃষ্টি (যা অনিচ্ছা সত্ত্বে পতিত হয় তা) ক্ষমা করা হবে; কিন্তু পরবর্তী দৃষ্টি ক্ষমা করা হবে না।” অর্থাৎ প্রতি দৃষ্টিতে একটি কবীরা গুনাহ লেখা হয়ে থাকে।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি মুরসাল সূত্রে বর্ণনা করেন, আমার নিকট এই হাদীছ শরীফ পৌঁছেছে, “যে দেখে এবং দেখায় উভয়ের প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত।”
মহান আল্লাহ পাক উনার কালাম পাক উনাদেরকে এবং আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাদীছ শরীফ উনার মাধ্যমে সরাসরি পর্দাকে ফরয করে দিয়েছেন। পর্দা পালন করলে অধিকাংশ কবীরা গুনাহ থেকে হিফাযত থাকা যায়। মুসলমানদের পাশাপাশি এখন বিধর্মীরাও পর্দা করার গুরুত্ব উপলদ্ধি করছে। সে রকম কিছু ঘটনা নিচে তুলে ধরা হলো :
ভারতের পন্ডিচেরি সরকার পর্দা প্রথার দিকে ঝুঁকে পড়ছে। এ লক্ষ্যে প্রশাসন মেয়ে শিক্ষার্থীদের স্কুল ড্রেসের ডিজাইন নতুন করে করার প্রস্তাব করেছে। এ ডিজাইনের আওতায় ওভারকোর্ট ব্যবহার করা প্রত্যেক মেয়ে শিক্ষার্থীর জন্য বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সরকার স্কুলে মোবাইল ফোন ব্যবহারও নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেছে, বৈঠকে মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য ওভারকোটের ব্যবহার, তাদের জন্য বিশেষ বাস সার্ভিস চালু এবং স্কুলে মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তারা বলে, আমাদের সরকার নারী বিশেষ করে স্কুলের নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধ পরিকর।
বিদ্যালয়ে মেয়েদের পোশাক হিসেবে স্কার্ট নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে ভারতের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির রাজ্য বিধানসভার একজন সদস্য। তার কথায়, পুরুষের ‘লোলুপ দৃষ্টি’ থেকে মেয়েদের রক্ষা করতে সে এ দাবি জানিয়েছে। ‘দ্য হিন্দু’র এক খবরে বলা হয়, রাজস্থান থেকে নির্বাচিত আলওয়ার (নগর) বিধায়ক বানওয়ারি লাল সিংহল ওই দাবি তুলে রাজ্যের মুখ্য সচিব সি কে ম্যাথিউয়ের কাছে একটি চিঠি লিখেছে। এতে সে দাবি করে, স্কার্টের পরিবর্তে প্যান্ট (ট্রাউজার) কিংবা স্যালোয়ার-কামিজের ব্যবস্থা করা উচিত। সিংহল বলে, ‘পুরুষের লোলুপ দৃষ্টি থেকে স্কুলছাত্রীদের রক্ষা করা এবং শীত ও গরমকালে তাদের আরামের ব্যবস্থা করাই এ দাবির লক্ষ্য।’ সে বলে, ‘এটি তালেবান ভাবধারার কোন চিন্তা কিংবা মেয়েদের স¦াধীনতা ও অধিকারের উপর চাপিয়ে দেয়ার মতো কিছু নয়। তাদের নিরাপত্তার খাতিরেই এটি করা উচিত।’
আফ্রিকার দেশ সোয়াজিল্যান্ডে মিনিস্কার্ট পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটির পুলিশ নারীদের উপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। পুলিশের এক ঘোষণায় বলা হয়েছে- এ ধরনের স্কার্ট সম্ভ্রমহরণের মতো জঘন্য অপরাধকে উস্কে দেয়। সে কারণে কেউ এখন থেকে মিনি স্কার্ট পরলে তাকে নৈতিকতা লঙ্ঘনের দায়ে আটক করা হবে। একই দায় ভোগ করতে হবে খাটো আকারের টপস পরলে, এমনকি শর্ট জিন্স পরলেও আটক করা হবে। মিনিস্কার্ট পরার দায়ে কাউকে আটক করা হলে তাকে ছয় মাসের কারাদ- ভোগ করতে হবে বলে নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যে মিনি স্কার্ট পরে স্কুলে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। স্কার্টের বদলে স্কুলে আসতে হবে প্যান্ট পরে। স্কার্ট নিষিদ্ধের কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, মেয়েরা হাঁটু বের করে স্কার্ট পরলে অন্যের আক্রমণের শিকার হতে পারে। তা ছাড়া এতে ‘স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা’র ঝুঁকি আছে। আর এটাকে ‘গুরুতর রক্ষাকবচ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সম্প্রতি কেন্টের হর্ন বে হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে স্কুল পড়ুয়া মেয়েদের মা-বাবাকে সতর্ক করে দিয়ে এক চিঠি পাঠিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, স্কুলের শিক্ষার্থীদের স্কার্ট না পরে প্যান্ট পরে আসতে হবে।
রাশিয়ায় পার্লামেন্ট সদস্যদের জন্য শিগগিরই নতুন আচরণ ও পোশাকবিধি জারি হচ্ছে। নতুন বিধি অনুযায়ী নারী এমপি ও তাদের সহকারীরা ‘মিনি স্কার্ট’ পরতে পারবে না। নতুন বিধিতে ‘কর্মক্ষেত্রে শোভন ও আনুষ্ঠানিক পোশাক, সংযমী আচরণ, ঐতিহ্য ও পরিচ্ছন্নতার’ প্রতি মনোযোগী হওয়ার কথা বলা হয়েছে। ফলে নারী এমপি ও তাদের সহকারীরা ‘মিনি স্কার্ট’ ও বড় গলার টপস পরতে পারবে না।
ভারতের ভূপাল সরকারি কলেজে মহিলা শিক্ষকদের জন্য ক্যাম্পাসে জিন্স, স্কার্ট ও টি-শার্ট পরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পোশাক পরিধানের নতুন শর্ত অনুযায়ী কলেজের মহিলা শিক্ষকদের শাড়ি পরে আসতে হবে। কলেজের অধ্যক্ষ ড. শোভনা বাজপাই মারু ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলে, বালিকাদের পোশাক কোড চালু করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
শ্রীলঙ্কা সরকার দেশটিতে প্রকাশ্যে সর্বসাধারণের সামনে মিনিস্কার্ট পরে চলাচলের বিষয়টি নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করছে। বিভিন্ন মহলের অভিযোগের ভিত্তিতে দেশটির রক্ষণশীল সরকার একটি নির্দিষ্ট পোষাক পরার নির্দেশ দিতে পারে বলে দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছে। শ্রীলঙ্কার সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় মিনিস্কার্ট নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে জনগণের আবেদন বিবেচনা করে তা বাস্তবায়নে সুপারিশমালা প্রস্তুতের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে।
-মুহম্মদ ওয়ালীউল্লাহ
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০