এক রাজা। উজির-নাজির, কোটাল-প্রজা সবাই তার আছে। ভিনরাজ্যের দর্শনার্থী ব্যবসায়ীরাও তার দরবারে আসা-যাওয়া করে। একবার কিছু ঘোড়া ব্যবসায়ী আসলো। রাজা তাদেরকে অদ্ভুত শক্তিশালী ঘোড়া দেয়ার কথা বললেন। তারা রাজী হলো কিন্তু বহুগুণ অর্থ দাবী করলো। রাজা নির্বিবাদে তা দিয়ে দিলেন।
কিছুদিন পরে রাজা উজিরকে নির্দেশ দিলেন, রাজ্যের বোকাদের একটা তালিকা বানাতে। উজির তৈরি করে রাজাকে দিলেন। রাজা দেখতে পেলেন প্রথমেই রাজার নাম লেখা আছে। কারণ, জিজ্ঞেস করলে উজির বললেন, চেনা নেই, জানা নেই, ঠিকানা নেই- এরকম ব্যবসায়ী নামধারীদের ঘোড়া কিনার জন্য লক্ষ-কোটি টাকা দেয়া বোকামী বৈ অন্য কিছু নয়। অর্থহীন, ফলহীন এবং ভিত্তিহীন কাজের পিছনে অঢেল অর্থ ব্যয় করার সুবাদে রাজাই বোকাদের শীর্ষ পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।
রাজ-রাজাদের বোকামীর কাহিনী এরকম বহু আছে। সে সময়ে প্রাচীর দ্বারা আবেষ্টিত থাকত। একবার এরকম এক রাজদরবার থেকে রাজার বাজপক্ষী খাঁচা ছেড়ে উড়ে যায়। সাথে সাথে রাজা আদেশ দেন, নগরীর মূল ফটকসহ সবগুলো ফটক বন্ধ করে দিতে। কিন্তু দেয়াল আর ফটক বন্ধ করে যে বাজপাখির অন্তর্ধান বন্ধ করা যাবে না, বাজপাখি ফটক পেরিয়ে যায় না বরং বাজপাখি উপরে দিয়ে যায়, আকাশে উড়ে যায়- এ বোধের উদয় সে রাজার মনে আদৌ উদয় হয়নি। তাই সে রাজাও ইতিহাসে আরেক বোকা রাজা খ্যাত হয়ে আছে।
ইতিহাসের এই বোকা রাজাগুলোর বোকামির নজীর বার বার আবর্তিত হয়। যা নতুন রাজারা বুঝতে পারে না। তারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়না। তুঘলকী কা- বলে একটি প্রবাদ বাংলা ভাষায় প্রচলিত হয়েছে। প্রবাদের ইতিহাসে ফিরোজ শাহ তুঘলক নামে এই বাদশাহ তার বাদশাহীর সুযোগ নিয়ে একের পর এক অর্থহীন, ভিত্তিহীন, নিস্ফল কাজ করে বসতেন। অবস্থা এমন দাঁড়ালো, অবশেষে তার কা-গুলোই তুঘলকী কা- বলে অর্থহীন ও ভিত্তিহীন কা-ের প্রতীক প্রত্যয় হয়ে রইল।
‘ত’ অদ্যাক্ষরের তুঘলকী কা-ের সাথে ‘ত’ অদ্যাক্ষরের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সমান মিল থাকলেও বরং ভালো বলা যেতো। অথবা অপরিচিত ঘোড়াওয়ালাকে অঢেল টাকা দেয়ার মত ভিত্তিহীন, নিস্ফল কাজের মত বোকামির তুলনা হলেও চলত। নিদেনপক্ষে বাজপাখি উড়ে যাওয়া বন্ধ করার জন্য ফটক বন্ধ করে দেয়ার মত বোকামির পর্যায়ে থাকলেও সান্তনা খুঁজে পাওয়া যেত। কিন্তু সব বোকা রাজাদের বোকামি আর তুঘলকী কাণ্ডের সীমা পরিসীমা ছাড়িয়ে গেছে বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার। রোম যখন পুড়ছিলো, নীরো তখন বাশী বাজাচ্ছিলো অবস্থারও নীচ পর্যায়ে নিকৃষ্ট উদাহরণ তৈরি করছে তারা।
দেশ আজ দ্রব্যমূল্যের আগুনে দাউ দাউ করে জ্বলছে। দেশের চার কোটি মানুষ নতুন করে দরিদ্র হচ্ছে। মধ্যবিত্তরা সর্বশান্ত হচ্ছে। জ্বালানী তেল, ভোজ্যতেল সবকিছুরই দাম বাড়ায় মূলতঃ দেশে এখন মহা দুর্ভিক্ষাবস্থা। দেশে বেকারের সংখ্যা বেড়ে ৬ কোটি হয়েছে। ৫০ ভাগ মানুষ দারিদ্রসীমার নীচে বাস করছে। সামনে বন্যার পদধ্বনী; কিন্তু এহেন অবস্থায় ‘এসো বাংলাদেশ গড়ি’ নামক রোড শো’, গানবাজনা আর উদ্বাহু নৃত্যের তালে তালে চলছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের খেল তামাশা।
গত ৩০ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাহাদুরের চার মন্ত্রণালয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), নির্বাচন কমিশন (ইসি), স্বরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ রেগুলেটর কমিশনের আয়োজনে বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে রোড শোর উদ্বোধন করেন কৃষি উপদেষ্টা সিএস করিম।
কথিত রোড শো’তে ব্যবহার করা হচ্ছে ১১টি যানবাহন। এ গাড়িবহর অতিক্রম করবে ৫৫টি জেলা। পথে ২৫টি জেলা শহরে গাড়িবহর থামবে এবং সেখানে মেলার আয়োজন করা হবে। ‘এসো বাংলাদেশ গড়ি’ শ্লোগানে পাড়ি দেয়া হবে ৪ হাজার কিলোমিটার পথ। তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ হয়ে ঢাকায় এসে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ রোড শো। এ কারাভান বিভিন্ন জেলায় ঘুরে কৃষকদের উৎসাহিত করবে। পাশাপাশি পর্যটন শিল্প উন্নয়নেও এটি ভূমিকা রাখবে। সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব সৃষ্টি, দুর্নীতি প্রতিরোধ, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত দেশ গড়া, খাদ্য সমস্যার সমাধান, পর্যটন শিল্পের বিকাশ ও কর্মসংস্থান বিষয়ে সফলতা বাড়াতে এ রোড শো’র আয়োজন করা হয়েছে। ৫০ দিনে এ গাড়ি বহর দেশের ৫৫টি জেলা অতিক্রম করবে। এর মধ্যে ২৫টি জেলা শহরে গাড়ি থামবে এবং সেখানে মেলা’র আয়োজন করা হবে। মেলায় রোড শোর পাঁচটি বিষয়ের উপর তথ্য নিয়ে পাঁচটি গাড়ি সাজানো থাকবে। গাড়িতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ভিডিও চিত্র প্রদর্শনের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের সহায়তায় বিভিন্ন শহরে স্কুল-কলেজে বিতর্ক ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর দেড় বছর অতিক্রান্ত প্রায়। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শুরু।
উল্লেখ্য, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথমে হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি ও পাচারের কথা বলেছিলো। কিন্তু মাত্র দেড় বছরের ব্যবধানে সেই হাজার হাজার কোটি টাকার বয়ান হদিছ তারা তুলে ধরতে পারলো না। যেমন গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর দায়ের করা গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার এজাহারে সরকারের এক হাজার কোটি টাকা ক্ষতি সাধনের অভিযোগ করা হয়েছিলো। কিন্তু গত ১৩ মে অভিযোগপত্রে ক্ষতির পরিমাণ ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১২ টাকার হিসাব দেয়া হয়েছে। মাত্র সাড়ে ৯ মাসের মাথায় দুর্নীতি দমন কমিশনের অভিযোগের বেলুন থেকে ৯৮৫ কোটি ৪৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৮৮ টাকা ফোঁস করে বের হয়ে গেলো কেমন করে?
উদাহরণ আরো আছে। ক্ষমতায় আসার পরপরই প্রচার করা হলো, পাঁচ বছরে একমাত্র বিদ্যুৎ খাত থেকে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। শুধু প্রচার নয়, এ টাকা দেশে ফিরিয়ে আনারও ঘোষণা দেয়া হলো। কিন্তু গত ১৬ মাসে বিদ্যুৎ খাতের ২০ হাজার কোটি টাকার ২০ কোটি টাকাও ফিরিয়ে এনেছে বলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবী করতে পারবে না।
বলাবাহুল্য, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এসব ব্যর্থতা ঢাকার জন্যই এখন তারা রাষ্ট্রীয় খরচে কোটি কোটি টাকা খরচ করে ‘এসো বাংলাদেশ গড়ি’ কথিত রোড শো’র মত খেল-তামাশা শুরু করছে। আর দাবী করছে যে, এর দ্বারা দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়া হবে।
অথচ এই রোড শো’র নামে তারা করছে যাবতীয় হারাম কাজ। প্রতিটি জেলায় কথিত রোড শো’র বহর গেলেই জেলার মেয়েরা নেচে-গেয়ে প্রকাশ্য বেলেল্লাপনা করে। এছাড়া আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আরো সব বেপর্দা-বেহায়াপনা ও হারাম কাজের মহড়া।
বলার অপেক্ষা রাখে না যে, এসব হারাম কাজের মহড়া দিয়ে কোনদিনই দুর্নীতি দূর হবে না। বরং ঐসব নাচ-গান আর বেলেল্লাপনা কামানুভূতিকে তীব্র করবে। আর উদগ্র বাসনায় শুধু সাধারণ দুর্নীতিই নয় বরং এসিড সন্ত্রাসের মত দুর্নীতিও বিস্তার করবে। ঐসব বেপর্দা, বেহায়াপনার উৎসবের আমেজ ভোগলিপ্সাকে সতেজ করবে। আর এসব কিছুই পরিমাণে প্রবৃত্তিকে করবে আরো শানিত। ফলতঃ দুর্নীতি হবে আরো বিস্তৃত।
কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “হারাম থেকে হারামেরই জন্ম হয়।” কাজেই রোড শো’র নামে যেসব হারাম কাজ হচ্ছে তার থেকে কখনও দুর্নীতিমুক্ত আরাম আশা করা যায় না। কুরআন শরীফ-এ আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “আমার ও তোমাদের মধ্যে সত্য প্রতিষ্ঠাকারী হিসেবে আল্লাহ পাকই যথেষ্ট। তিনি তো স্বীয় বান্দাদের বিষয়ে খবর রাখেন ও দেখেন। আল্লাহ পাক যাকে পথ প্রদর্শন করেন সেই সঠিক পথ প্রাপ্ত এবং যাকে পথভ্রষ্ট করেন তাদের জন্য আপনি আল্লাহ পাক ছাড়া কোনো সাহায্যকারী পাবেন না।” (সূরা বণী ইসরাইল ৯৬-৯৭)
এ আয়াত শরীফ দ্বারা প্রতিভাত হয় যে, বান্দাকে সৎ করতে পারেন, পথভ্রষ্টতা তথা দুর্নীতি থেকে মুক্ত করতে পারেন আল্লাহ পাক। সেক্ষেত্রে দুর্নীতি থেকে মুক্তমন তৈরি করতে হলে আল্লাহ পাক-এর দিকে ঝুঁকতে হবে। নামায-কালাম পড়তে হবে। নামাযে পঠিত সূরা ফাতিহায় আল্লাহ পাক আরজ করতে শিক্ষা দিয়েছেন, “সত্য ও সততার পথে পরিচালিত করুন আল্লাহ পাক। তাদের পথে পরিচালিত করবেন না যারা গুমরাহ ও বিভ্রান্ত তথা দুর্নীতিগ্রস্ত।”
হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “কোন ব্যক্তি যদি সত্যিকার অর্থে পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ে তাহলে সে দুর্নীতগ্রস্ত হতে পারে না।” তার উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তির বাড়ির পাশে যদি একটি পুকুর থাকে আর সে ব্যক্তি ঐ পুকুরে পাঁচবার গোসল করে তাহলে যেমন তার শরীরে ময়লা থাকতে পারে না তেমনি যে ব্যক্তি সত্যিকারভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করে তার দ্বারাও কোনো দুর্নীতি হতে পারে না।
হাদীছ শরীফ-এ এই সত্যিকার নামাযের বর্ণনা দিয়ে বলা হয়েছে, “মু’মিনের মিরাজ হয় নামাযের মাধ্যমে।” অর্থাৎ মু’মিন নামাযের মধ্যে আল্লাহ পাককে দেখতে পান।
উল্লেখ্য, নামাযের মধ্যে মিরাজ হাছিলের এই যোগ্যতা কেবলমাত্র রূহানিয়ত, ইলমে তাছাউফ, ইলমে মারিফাত, ইলমে বাতিন হাছিলের মাধ্যমেই সম্ভব। আর তার জন্য অবশ্যম্ভাবীরূপে দরকার হক্কানী-রব্বানী ওলীআল্লাহ তথা মুজাদ্দিদে আ’যমের ছোহবত। অর্থাৎ কিনা বর্তমান যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যমের নেক ছোহবত ও ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ হাছিলেই এ জরাগ্রস্ত জাতির দুর্নীতি নামক মহামারী থেকে মুক্তি সম্ভব।
কাজেই সে পথে না গিয়ে ‘এসো বাংলাদেশ গড়ি’ নামক রোড শো’র মত হাজার হারাম কাজ আর অপব্যায়ের দ্বারা দুর্নীতি দূর করার বাসনা এ লেখার শুরুতে বর্ণিত ঘোড়াওয়ালা রাজা অথবা বাজপাখিওয়ালা রাজার বোকামির চাইতেও ঢের বেশি বোকামি হবে। অপরিচিত লোকদের অজস্র টাকা দিয়ে বিদায় দিয়ে ভালো ঘোড়া পাওয়ার আশা যেমন বোকামী আর উপরের পথ খোলা রেখে নগরীর ফটক বন্ধ রেখে বাজপাখিকে আটকানোর চেষ্টা যেমন বোকামী- ইসলামের দৃষ্টিতে তার চেয়েও বেশি বোকামি মুজাদ্দিদে আ’যম-এর ছোহবতে না গিয়ে রোড শো’র নামে নাচগানের মধ্য দিয়ে দুর্নীতি দূর করার ন্যাকামি।
কিন্তু ইতিহাসে বর্ণিত তুঘলকী কা-েরও অধম পর্যায়ে গিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুশ’ কোটি টাকা ব্যয়ে সে ফালতামীটাই করে গেল। অথচ এসবের ব্যর্থতা তার হাতের নাগালেই রয়েছে। পত্রিকান্তরে প্রকাশ- দুর্নীতি, অসদাচরণ, চাকরির শৃঙ্খলাভঙ্গ এবং উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ১৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। ইতিমধ্যে আরো দু’জন কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন ও আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে পৃথকভাবে মামলা করা হয়েছে। ২ জন উপ-পরিচালকসহ ৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। আরো ১৬ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দুদকের মহাপরিচালক কর্ণেল হানিফ ইকবাল প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা বলেন। দুদক মহাপরিচালক জানান, দুদকের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি অনুসন্ধানের জন্য একটি আভ্যন্তরীণ দুর্নীতি দমন কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, দুর্নীতি দমনের জন্য যে দুর্নীতি দমন কমিশন বা দুদক করা হলো সেই দুদকের দুর্নীতি দমনের জন্য গঠিত হলো আভ্যন্তরীণ দুর্নীতি দমন কমিটি।
কিন্তু কথা হলো, কয়েকদিন পর যে এই আভ্যন্তরীণ দুর্নীতি দমন কমিটিই আবার দুর্নীতিতে আক্রান্ত হবে না তার নিশ্চয়তা কোথায়?
বলাবাহুল্য, দু’দিন আগে আর পরে তাদের মাঝেও দুর্নীতি ঢুকবে। তখন সেটাকে দমন করার জন্য কী আবার আভ্যন্তরীণের আভ্যন্তরীণ দুর্নীতি দমন কমিটি হবে? তবে এর শেষ কোথায় এবং শেষ পরিণতি কি?
বলাবাহুল্য, এক সময়ে শুন্য। আর সত্যিকার অর্থে সবসময়ই যদি পূর্ণ করতে হয় তাহলে সবারই প্রবৃত্তি সংশোধন, ক্বলব ইসলাহ, খালিছ নামায-কালাম আদায় তথা মুজাদ্দিদে আ’যমের ছোহবতের বিকল্প নেই।
মহান আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে কবুল করুন ও পূর্ণ হেদায়েত নছীব তথা দুর্নীতিমুক্ত করুন। (আমীন)
-মুহম্মদ আলম মৃধা।
প্রসঙ্গঃ আমেরিকায় ইহুদী প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণ- ২
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৩৪
চাঁদ দেখা এবং নতুন চন্দ্রতারিখ শুরু নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা- ১