মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবে আ’যম, আওলাদে রসূল, মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নেক দুয়া কামনায়- মুহম্মদিয়া দারুশ্ শিফা ফার্মেসী এখানে দেশী-বিদেশী সকল প্রকার ওষুধ সুলভ মূল্যে পাওয়া যায় ২১, শান্তিনগর, ঢাকা-১২১৭ ফোন: ৯৩৬২২৮২, মোবাইল: ০১৮১৯-৯৮৮২০৫ প্রসঙ্গঃ কাফিরদের মুসলমান বিদ্বেষ এবং মুসলমানদের উদাসীনতা

সংখ্যা: ১৭৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

চমকপ্রদ শ্লোগান, “ছোট হয়ে আসছে পৃথিবী।” ইংরেজীতে “গ্লোবাল ভিলেজ”। বাংলায় “বিশ্বপল্লী”। এসব আপ্ত কথার প্রচারণা একটাই- এখন বিশ্বায়নের যুগ। এই বিশ্বায়নের যুগে সবার মন-মানসিকতা, প্রয়োজন, চাহিদা, সংস্কৃতি, বিশ্বাস সবই ক্রমশঃ এক হয়ে উঠছে। ভেদাভেদ থাকছে না।

মূলতঃ এ বিষয়টি ইহুদী-খ্রিস্টানরা কেবলমাত্র মুসলানদের উপরই চাপিয়ে দিয়ে মুসলমানিত্ব নষ্ট করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তা মুসলমান আদৌ টের পাচ্ছে না। ইহুদী-খ্রিস্টানরা যে তাদের ধর্মরক্ষায় ঠিকই গভীর তৎপর তা মুসলমান উপলব্ধি করতে পারছে না। খ্রিস্টানরা মিশনারী এবং ইহুদীরা হাজারো কর্মকা-ের মাধ্যমে তৎপর তা মুসলমান কিছুই অনুভব করতে পারছে না।

গত পহেলা মে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও ইন্টারনেটে একটি খবর প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, প্রায় ৩০টি সরকারি সংস্থার ১২০ জনেরও বেশি কর্মকর্তা ইলিনয়েস অঙ্গরাজ্যের ইরভিংয়ে এক সন্ত্রাসবিরোধী অনুশীলনে অংশগ্রহণ করেছেন। এখানে মুসলিম সম্প্রদায়কে টার্গেট করা হয় এবং অনুশীল করার উদ্দেশ্যে একটি নকল মসজিদ তৈরি করা হয়। অনুশীলনকারীদের মধ্যে ছিলো স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, অগ্নিনির্বাপক বাহিনী ও অ্যাম্বুলেন্স। এই অনুশীলনে ইলিয়ন ল’ এনফোর্সমেন্ট অ্যালার্ম সিস্টেমস (আইএলইএএস)-এর কর্মকর্তারা ভারী সামরিক যান নিয়ে মসজিদে দ্রুত ঢুকে পড়ে। সেখানে একজনকে জিম্মি করে বিস্ফোরক ডিভাইসের সাথে আটকানো হয় এবং মসজিদে সন্দেহজনকভাবে নার্ভ গ্যাস ছাড়া হয়। নকল মসজিদকে মনে করা হয় ভারী অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত, সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের আখড়া। এই বিল্ডিংয়ের ভেতরে ও বাইরে বিস্ফোরক রাখা ছিলো।

উল্লেখ্য, কাফিররা মুসলমান ও মসজিদকে কি ভাবে ও কতটুকু অবমূল্যায়ণ করতে চায় এ ঘটনায় খোলামেলাভাবে তা প্রমাণ পেয়েছে।

এই ঘটনা ইসলাম ও মুসলমানদের সম্বন্ধে সাধারণ কাফিরদের মনে নতুন করে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। ২০০৮ সালের মার্চ মাসের গ্যালাপ জরিপ মতে, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আমেরিকানের ধারণাই মুসলমানদের সম্পর্কে অত্যন্ত খারাপ। ফলাফলে দেখা যায়, ২৩ শতাংশের ধারণা মুসলমানদের সম্পর্কে তীব্র আক্রমনাত্মক আর ৪৮ শতাংশের ধারণা তীব্র আক্রমনাত্মক না হলেও তীব্র বিদ্বেষমূলক। ২০০৬ সালের কেয়ার এবং ওয়াশিংটন পোস্ট-এর দুটি জরিপে দেখা যায়, আমেরিকার অর্ধেকেরও বেশি জনগণের ইসলাম সম্পর্কে ধারণা খুবই খারাপ এবং তাদের প্রতি চারজনের একজনেরই ইসলাম বিরোধী ধারণা চরম। মূলতঃ আমেরিকা, ইউরোপ সব জায়গাই মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তার নামে ভীতি ও ঘৃণা ছড়ানো হয়। ‘নকল’ মসজিদে সন্ত্রাস দমন অনুশীলনের মাধ্যমে সে বিষয়টি স্পষ্টরূপে প্রমাণিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, মার্কিনীদের মুসলমান বিদ্বেষ সম্পর্কে বিস্মিত হতে হয়। কী করে তাদের পক্ষে সম্ভব পৃথিবীতে সোয়া দুইশ’ কোটি মুসলমান জীবিত থাকতে,

পৃথিবীতে পঞ্চাশটির মত মুসলিম দেশ থাকতে, পৃথিবীর অর্ধেকেরও বেশি সম্পদ মুসলমানদের হাতে থাকতে-

সেই মুসলমান ও তাদের মসজিদ নিয়ে এরূপ অবমাননাকর খেলা খেলতে?

আর মুসলমান এতটাই অথর্ব হয়ে পড়েছে যে, এতকিছুর পরও তাদের কোন প্রতিক্রিয়া নেই। বরং মুসলমানদের মধ্যে এমনকিছু তথাকথিত বুদ্ধিজীবি রয়েছে যারা ইহুদী, মুশরিক, খ্রিস্টানদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করাকে সাম্প্রদায়িকতা মনে করে। মানবতা বিরোধী, ভদ্রতা বিরোধী, সভ্যতা বিরোধী মনে করে।

অথচ এই তথাকথিত ভদ্রলোকদের ভদ্রতাবোধ তখন কোথায় লুকিয়ে থাকে যখন মার্কিনী জনগণ প্রকাশ্যে ঘোষণা দেয় যে, ‘আমেরিকার মত দেশের প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য কোন মুসলমানের প্রয়োজন নেই’।

যখন কেবলমাত্র ‘হোসেন’ নাম যুক্ত থাকার কারণে বরাক ওবামার মনোনয়ন হারার উপক্রম হয়।

অর্থাৎ মুসলমান গন্ধটাও আমেরিকার জনগণের কাছে অসহ্য মনে হয়।

যখন আমেরিকান খ্রিস্টানদের রায় পেতে ওবামাকে বার বার বলতে হয় যে, ‘মুসলমান ধর্মের ধারে-কাছে সে নেই।’

এবং সে ইসরাইলের একনিষ্ঠ ভক্ত। ইরান ও আফগানিস্তানে সে যথাসম্ভব আক্রমনের পক্ষপাতি।

মূলতঃ ইহুদী, মুশরিক, খ্রিস্টানদের এই মনোভাব আল্লাহ পাক কুরআন শরীফ-এ স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন। আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইহুদী-খ্রিস্টানদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা একজন আরেক জনের বন্ধু। যে তাদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করবে সে তাদেরই দলভুক্ত হবে।”

সূরা বাক্বারা’র ১০৯ নম্বর আয়াত শরীফ-এ আল্লাহ পাক আরো বলেন, “ইহুদী-নাছারা তথা আহলে কিতাবদের মধ্যে অনেকেই প্রতিহিংসাবশতঃ চায় যে, মুসলমান হওয়ার পর তোমাদেরকে কোন রকমে কাফির বানিয়ে দিতে।”

আর হাদীছ শরীফ-এ আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “সমস্ত কাফিরেরা মিলে এক ধর্ম।” অর্থাৎ কোন কোন বিষয়ে তাদের নিজেদের মধ্যে মতভেদ থাকলেও ইসলাম ও মুসলমানের ক্ষতিসাধনে তারা সবাই এক জোট।

 ইহুদী-খ্রিস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ, মজুসী ও মুশরিক তারা সবাই মিলে সর্বদাই চেষ্টা করে থাকে কি করে মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা যায় এবং তাদের ঈমান আমল নষ্ট করে কাফিরে পরিণত করা যায়। কাজেই মুসলমানদের উচিত কাফিরদের এই মনোভাব সম্পর্কে সচেতন থেকে নিজেদের দ্বীন ইসলামকে সমুন্নত করতে নিবেদিত থাকা। মহান আল্লাহ পাক সবাইকে কবুল করুন। (আমীন)

-মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।