وَاللهُ يَـخْتَصُّ بِرَحْـمَتِهٖ مَنْ يَّشَآءُ
অর্থ: “যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি যাঁকে ইচ্ছা স্বীয় রহমত মুবারক দ্বারা খাছ করে নেন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১০৫)
এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিছদাক্ব হচ্ছেন, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আস সাফফাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত সুলত্বানুন নাছীর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আস সাফফাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত সুলত্বানুন নাছীর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আখাছ্ছুল খাছভাবে মনোনীত করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
তিনি শুধু যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ! নিম্নোক্ত মহাসম্মানিত ওয়াক্বেয়াহ মুবারকসমূহ উনার সেই মহাসম্মানিত শ্রেষ্ঠত্ব মুবারক উনার বহি:প্রকাশ মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
(১)
এরকম সংযোগ আর কারোই হয়নি:
মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আস সাফফাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত সুলত্বানুন নাছীর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১লা যিলক্বদ শরীফ লাইলাতুল আহাদ শরীফ (রোববার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “একটা ঘটনা মুবারক। তোমরা যতটুকু বুঝো। বিশেষ একটা ঘটনা মুবারক। এই যে আমরা বলি, নিসবত কুরবতের বিষয়টা। এটা একটা পর্যায়ে যেয়ে সরাসরি সংযোগ হয়। যেমন- আজকে কী বার? সাব্ত (শনিবার) গেলো, খ¦মিসের দিন (বৃহস্পতিবার দিন)। আমি দেখতেছি যাত্রাবাড়ী পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে। আমি এক জায়গায় গিয়েছি। উনিও আছেন ওখানে। একটা বড় ও উচু মাঠ। মাঠের উপর আমি আছি। উনি আসতেছেন। উনি মানুষকে কিছু ফল বিতরণ করতেছেন। উনি আমাকেও দিয়েছেন, খেলাম। উপরে কেউ নেই, আমি একাই ছিলাম। পরে উনি আসছেন। উনার সাথে আরো দুই-একজন আসছে। একটা জায়গা। ওখানে নামাজ পড়ার জন্য ঠিক করা হয়েছে। জামা‘য়াতে নামায হবে। উনি দাঁড়িয়েছেন, আমি একটু দূরে আছি। আমি আদবের জন্য কাছে যাইনি। আদবের খিলাফ হয় কি না? উনি আমাকে কাছে যাওয়ার জন্য ডাকলেন। উনার পাশে যারা ছিলো, তাদের সরিয়ে দিলেন। বললেন, পাশে দাঁড়ানোর জন্য। আচ্ছা; দাঁড়ালাম। উনি ইমাম, তাই আমাকে একটু পিছনে দাঁড়াতে হবে। উনি বললেন, না। বরাবর দাঁড়াতে হবে। আচ্ছা। সূরা-ক্বিরাত পাঠ করা শুরু হলো। উনি বললেন যে, আমাকে পাঠ করার জন্য, আমি পাঠ করতে থাকলাম। করতে করতে আস্তে আস্তে দেখা গেলো- উনি আস্তে আস্তে আমার মধ্যে ফানা হয়ে মিশে গেলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) উনি বললেন যে, দেখেন; আপনার তো আসলে সরাসরি সংযোগ আগেই হয়ে গেছে। সিলসিলাগত সংযোগ আর প্রয়োজন নেই। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আমি আপনার প্রতি ফানা বাক্বা হয়ে গেলে, এখন আপনার সরাসরি সংযোগ হয়ে যাবে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) উনি এসে আমার মধ্যে পুরো মিশে গেলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) পরে দেখি আমি একা।
উনি বললেন যে, সরাসরি সংযোগ তো আগেই হয়েছে। তবে এখন হাক্বীক্বত। এটা তাসাউফের উছূল রয়ে গেছে, যখন পুরা সংযোগ হয়, তখন সিলসিলার সংযোগটা আর দরকার হয় না। ঐ নিয়ামতটা আপনাকে দিয়ে দেওয়া হলো। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)
যাই হোক, সরাসরি সংযোগ হয়ে গেছে। আগে থেকেই ছিলো, এখন বাস্তবে এটা করা হলো। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)
পরে দেখি উনি নেই। আমি একা রয়েছি। আর বাকী লোকগুলো উনি সরিয়ে দিয়েছেন। এটা সরাসরি সংযোগ। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)
তাহলে সরাসরি সংযোগ। আমার বলার বিষয় হচ্ছে, উদ্দেশ্য হচ্ছে, এই যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কার্যক্রমগুলো, উনি খুশি হলেই তো হয়ে যায়। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) উনি খুশি না হলে কিভাবে হবে এটা? কেউ তো এটা করতে পারবে না।
সরাসরি সংযোগ হয়। কিন্তু এরকম সংযোগ আর কারোই হয়নি। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)
এখন যতো করবে, ততো ফায়দা পাবে। এখন সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ হোক, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ হোক আর এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নাত মুবারক প্রচার-প্রসার করা হোক। এখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে খুশি করতে পারলেই তো কাজটা হয়ে যাবে। উনি যে মালিক; আসলে মালিক তো উনিই। আসল মালিক তো উনিই আসলে। মহান আল্লাহ পাক মালিক আছেন; ঠিকই আছেন। এখন মালিকানা তো উনার কাছে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)
ঐটাই মীম দিয়ে যে মালিক বুঝানো হয়েছে, কিসের মখলুক্বাতের পর্দা? বলো, মীম দিয়ে মালিক। মালিক, মুরাদ, মাহবূব সব। এখন কাজগুলো করলে, কাজে বরকত হয়। ঐ উদ্দেশ্যে আমি এটা বললাম যে, বরকতটা কতোটুকু? (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) উনার সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো যতো পালন করা যাবে, ততো বরকত পাওয়া যাবে। নিসবতটা ততো সরাসরি হবে। বুঝতে পেরেছো কথাটা? সেটাই আমি বলি- নেয়ামতের অভাব নেই। কিন্তু মানুষ ধারণ করতে পারে না। যতোটুকু নিসবত করা যায়, ততো ফায়দা বেশি।
উনি আমার কাছে সব বলে, উনি পুরা গায়েব হয়ে গেলেন। আবার আমার ভিতরে উনি মিশে গেলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)
এখন উনার কথা ছিলো, সিলসিলাগত শাজরা শরীফ অনুযায়ী যে ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ প্রয়োজন ছিলো, এটা আর প্রয়োজন নেই। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আগেই সরাসরি ছিলো। এটা আরো সরাসরি হয়ে গেলো। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)
কিতাবে লিখে যে, সরাসরি সংযোগ হয়, হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এরকম ঘটনা নেই। পুরা ফানা হয়ে বাকা হয়ে সংযোগ হওয়া, এটা পাওয়া যায় না।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)
(২)
মুবারক খিদমতে হযরত বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লহি আলাইহি এবং হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি:
১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার জুমাদাল ঊলা শরীফ মাসের কথা। মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আস সাফফাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত সুলত্বানুন নাছীর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত আপন ভাই আমাদের মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুনা হযরত চাচা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি একখানা স্বপ্ন মুবারক দেখেন। তিনি বলেন, আমি স্বপ্নে দেখতেছি- সম্মানিত ক্বাদেরীয়া ত্বরীক্বাহ উনার সম্মানিত ইমাম হযরত বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ-এ এসেছেন। তখন আমি দরবার শরীফ-এ প্রবেশ করলাম। তারপর জিজ্ঞাসা করলাম যে, হযরত বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কোথায়? বলা হলো যে, উনি ভিতরে কাজ করতেছেন। সাইয়্যিদুনা হযরত চাচা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, তখন আমি আশ্চর্য হয়ে একজনকে জিজ্ঞাসা করলাম- হযরত বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ভিতরে কাজ করতেছেন! তাহলে মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত সুলত্বানুন নাছীর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাক্বামটা কী? সে কি জবাব দিলো সেটা স্পষ্টভাবে বুঝা যায়নি। তারপর আমার ঘুম ভেঙ্গে গেলো।
সাইয়্যিদুনা হযরত চাচা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এর কয়েক দিন পর আমি মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত সুলত্বানুন নাীছর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ যেয়ে উক্ত স্বপ্ন মুবারকখানা বললাম। মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত সুলত্বানুন নাছীর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বপ্ন মুবারকখানা শুনে বললেন, ‘আপনি সঠিকই দেখেছেন। ঠিকই আছে।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)
সাইয়্যিদুনা হযরত চাচা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, তখন আমি মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত সুলত্বানুন নাছীর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট জানার জন্য আরজী পেশ করলাম, আর কারা কারা আসেন? জবাবে মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত সুলত্বানুন নাছীর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, ‘আরো অনেকেই আসেন। পরে বলা হবে।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)
মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, আস সাফফাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত সুলত্বানুন নাছীর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১০ই শাওওয়াল শরীফ লাইলাতুল আহাদ শরীফ (রোববার রাতে) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “গত ইয়াওমুল জুমু‘আহ শরীফ। জুমু‘আহর আগে হঠাৎ আমি দেখলাম- হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের পর সবচেয়ে বড় ওলীআল্লাহ হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনি আসছেন। কী ব্যাপার? কিছু খেদমত করতে আসছেন। হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনি বললেন যে, হযরত বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনি যে খেদমত করতে আসেন এখানে, আমিও কিছু খেদমত করতে এসেছি। (সুবহানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)
হযরত বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনি খেদমত করতে আসেন, আমিও এসেছি। এখন খেদমত বলতে যা বুঝায়। আমি বলেছি ঠিক আছে, খেদমত করুন।” (সুবহানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)
মূলত, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, আস সাফফাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত সুলত্বানুন নাছীর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক উনি এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি অর্থাৎ উনারা দু’জন ছাড়া সবার মহাসম্মানিত শায়েখ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। কাজেই, সকলেই উনার খাদিম। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)
এ প্রসঙ্গে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত সুলত্বানুন নাছীর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৫শে শাওওয়াল শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল ‘আযীম শরীফ বা সোমবার রাতে) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা জানো আমাকে? মহান আল্লাহ পাক উনি এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি অর্থাৎ উনারা দু’জন ছাড়া আমি সবার শায়েখ। এটা মনে রাখবে, এটা মনে রাখবে।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)
(৩)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনার পক্ষ থেকে সম্মানিত দাওয়াত মুবারক এবং মেহমানদারী মুবারক করানো:
মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, আস সাফফাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত সুলত্বানুন নাছীর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৬ই ছফর শরীফ লাইলাতুছ ছুলাছা শরীফ (মঙ্গলবার রাতে) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “গতকাল (৫ই ছফর শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল ‘আযীম শরীফ বা সোমবার রাত) একখানা ঘটনা মুবারক ঘটেছেন। ঘটনা মুবারকখানা হলেন, ৫ই ছফর শরীফ উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। এখন আগে কি হয়েছে জানি না, তবে মনে হলো যেনো উনি আমাকে উনার অনুষ্ঠানে সবসময় দাওয়াত দেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) কালকে তিনি আমাকে দাওয়াত মুবারক দিয়েছেন। আমি উনার ওখানে গেলাম। উনি আমাকে ‘হাইস্’ খাওয়ালেন আর একটা ঝাল ঝাল কি যেন খাওয়ালেন। মনে হলো- উনি যেনো সবসময় আমাকে দাওয়াত দেন। খাওয়া-দাওয়া শেষ হওয়ার পর উনি আমাকে বললেন যে, আমাদের আলোচনা মুবারক যখন করা হয়, তখন আমাদের আলোচনা মুবারক এবং আমাদের সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের আলোচনা মুবারকও যেন করা হয়। অন্য আলোচনা যেন না করা হয়।
দুই জনের অর্থাৎ প্রথম আর শেষে যেই দুইজন আলোচনা করেছে, তাদেরটা ঠিকই ছিলো। আর মাঝখানে যে আলোচনা করেছে, সে কিছু আনুষাঙ্গিক আলোচনা করেছে। সে প্রসঙ্গে উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনি বলেছেন যে, আমাদের আলোচনা করার মধ্যে অন্য আলোচনা যেন না আসে। এটা উনি আমাকে বললেন। আমি শুনলাম। বললাম, ঠিক আছে। বুঝতে পারলে? উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে দাওয়াত মুবারক দিয়েছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)
আরজী: কোথায় দাওয়াত দেয়া হয়েছে?
জওয়াব মুবারক: উনার বাড়িতে। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার বাড়িতে, যেখানে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ। যেখানে উনারা থাকতেন, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ-এ।
আরজী: আর কেউ ছিলেন?
জওয়াব মুবারক: আর কেউ ছিলেন না। উনাকেই আমি দেখেছি, আর কাউকে দেখিনি। মনে হলো যেন উনি সবসময়ই উনার অনুষ্ঠান মুবারক-এ আমাকে সম্মানিত দাওয়াত মুবারক দেন। এই বারও দাওয়াত মুবারক দিয়েছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)
আরজী: তাহলে উনারা খুব ভালোভাবেই বিষয়গুলি খেয়াল করেন।
জওয়াব মুবারক: নিশ্চয়ই। তা না হলে উনি এটা বললেন কেন্?
আরজী: সবই শুনেন।
জওয়াব মুবারক: না শুনার তো কিছু নেই। হাযির-নাযির হলে তো শুনা যায়ই। হাযির-নাযিরের ব্যাপার আছে, আবার অনেকগুলি বিষয় আছে মহান আল্লাহ পাক উনি কুদরতীভাবে শুনিয়ে দেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) অনেক রকম আছে।
আরজী: রাতে, না দিনে?
জওয়াব মুবারক: রাতে।
আরজি: ছোহবত মুবারক উনার পরে?
জওয়াব মুবারক: না, না, না। প্রথম জনের আলোচনা শেষ হয়ে, ২য় জন যখন আলোচনা শুরু করলো, তার একটু পরে। অর্থাৎ রাত সোয়া ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে।
আরজী: ৮-১০ বছর আগে। প্রতিযোগীতা শরীফ মাহফিল শেষ হওয়ার পর যখন ওয়াজ শরীফ মাহফিল শুরু হলেন, সেই ওয়াজ শরীফ মাহফিল উনার ১ম দিন- মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছিলেন যে, ‘আজকে আমি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক-এ তাশরীফ মুবারক নিয়ে যখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মিম্বার শরীফ-এ বসলাম, তখন দেখলাম- স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি ঘুরে ঘুরে দেখতেছেন, কে কে মাহফিল মুবারক-এ উপস্থিত হয়েছেন।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)
জওয়াব মুবারক: দেখেনই তো। এটা অস্বাভাবিক কিছুই না, স্বাভাবিক। সবসময়ই দেখেন। উনি তো সব জায়গায় হাযির নাযির। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) এটা তো স্বাভাবিক।
মুহাব্বতটা কি এভাবেই পাওয়া যায়? উনারা কি এমনে দাওয়াত দেন? মোফতে দাওয়াত দেন? না। হ্যাঁ; তবে সব কথা বলা যাবে না। যতোটুকু বলা যায়, এতোটুকু বলি শুধু। কোথায় আসমান- কোথায় যমীন! উনি তো আসমানে, বরং আরো উপরে। উনি দাওয়াত দিয়ে নিয়ে যাবেন কেন? উনার কি কোনো প্রয়োজন পড়েছে দাওয়াত দেয়ার? না; বরং মুহব্বত ও নিছবত মুবারক উনার কারণে দাওয়াত দেন।
তাহলে যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে রহমতুল্লিল আলামীন, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আস সাফফাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কত বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)
এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে হাক্বীক্বী ছহীহ সমঝ, বিশুদ্ধ আক্বীদাহ ও হুসনে যন মুবারক দান করুন। আমীন!
-মুহম্মদ আব্দুল্লাহ।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্য্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনে খুশি হয়ে বললেন, ‘আমি অনেক খুশি হয়েছি। আরো বেশি করলে, আরো বেশি খুশি হবো।’
পৃথিবীর ইতিহাসে মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, আস সাফফাহ্, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই একমাত্র সেই সুমহান মহাসম্মানিত ব্যক্তিত্ব মুবারক, যিনি অনন্তকালের জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক জারী করেছেন এবং লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা খরচ করে বেমেছালভাবে পালন করে যাচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ! উনার এই বেমেছালভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনে খুশি হয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বলেছেন, ‘আমি অনেক খুশি হয়েছি। আরো বেশি করলে, আরো বেশি খুশি হবো।’ সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
এ প্রসঙ্গে মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, আস সাফফাহ্, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৩ই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ (১৩ই রবীউল আউওয়াল শরীফ) লাইলাতুল খমীস শরীফ (বৃহস্পতিবার রাতে) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি খুশী হয়েছেন, নাকি নাখুশী হয়েছেন, কোনো দলীল আছে? দলীল তো নেই। তাহলে বুঝবে কিভাবে? হ্যাঁ? কি বুঝতে পেরেছো কেউ? উনি খুশী হয়েছেন, নাকি নাখুশী হয়েছেন, কোন্টা? বলো তো দেখি।
আমি তো (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ) সারা দিন অপেক্ষায় ছিলাম, দেখি উনি কি বলেন। উনি তো কিছু বলেন না। যখন ছলাতুল মাগরিব উনার পবিত্র আযান মুবারক হলো, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বললেন- ‘আমি খুশী হয়েছি।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) যখন দিন শেষ হয়ে গেলো, আযান হলো, তখন আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম, উনি বলেছেন- ‘হ্যাঁ; খুশী হয়েছি।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আমি বললাম- ‘আমি কি এটা বলে দিবো?’ উনি বললেন- ‘হ্যাঁ; বলে দেন।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বললেন- ‘আরো করলে, আরো বেশী খুশী হবো।’
উনি সারা দিন কিছু বলেননি। আমি দেখলাম সারা দিন। আমি তো চিন্তিত ছিলাম। যখন ছলাতুল মাগরিব উনার পবিত্র আযান মুবারক হয়ে গেলো, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বললেন যে, ‘হ্যাঁ; আমি খুশী হয়েছি।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আমি বললাম- ‘জানিয়ে দেই।’ বললেন- ‘হ্যাঁ; জানিয়ে দেন।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) উনি বললেন- ‘আরো বেশী করলে, আরো বেশী খুশী হবো।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) তাহলে আরো বেশী করো সামনে। আমরা আরো বেশী করবো। এখন ৯০ দিনের প্রস্তুতি নিতে হবে। ১ লক্ষ ১২ হাজার প্যাকেটের প্রস্তুতি নিতে হবে। আর ১১২ পদের খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৪ই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ (১৪ই রবীউল আউওয়াল শরীফ) লাইলাতুল জুমু‘আহ্ শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “সেদিন দেখলাম মাগরিবের আযানের সময় উনি খুশী হয়েছেন। ঐ দিনই (১৩ই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম লাইলাতুল খমীস শরীফ তথা বৃহস্পতিবার) ভোর রাত্রে দেখলাম, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি অনেক খুশী। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) ভোর রাত্রে উনি বললেন যে, ‘আমি অনেক খুশী হয়েছি।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) সন্ধ্যার চেয়ে অনেক বেশী হাসি-খুশী, হাস্যোজ্জ্বল। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) উনি বললেন, ‘আরো বেশী করলে, আরো বেশী খুশি হবো।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) এখন যতো করা যায়। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) নূরুত্ তাক্বরীর, নূরুশ শাহাদাত, দুইটা তো। নূরুত্ তাক্বরীর মানে তাবাস্সুম (মুচকি হাসি)। এটা সন্ধ্যার সময়। আর ভোর রাত্রে এর চেয়ে বেশী, অনেক, অনেক বেশী হাসি-খুশি মুবারক। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) যতো করা যায়, ততো বেশী খুশি হবেন। সময়সীমা তো দেড়গুণ বাড়ানো হচ্ছে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আর তাবারুক ডবলের কাছাকাছি।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)
মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, আস সাফফাহ্, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৪ই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ ইয়াওমুল জুমু‘আহ্ শরীফ জুমু‘আর আলোচনা মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ অতিবাহিত হলো, বললে মানুষতো সব বুঝবে না। আমি পুরোটা সময় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ওখানে ছিলাম। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) উনি একটু খুশি হন, খুশি মুবারক প্রকাশ করেন। ছলাতুল মাগরিব উনার পবিত্র আযান হয়ে গেলো। তখন তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুত তাক্বরীর মুবারক (তাবাস্সুম বা মুচকি) হাসি মুবারক দিয়ে বললেন যে, ‘আমি খুশি হয়েছি।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) রাত্র গভীর হলো। ভোর রাত্রে তিনি অনেক খুশি মুবারক প্রকাশ করলেন। উনি বললেন, ‘আরো করলে, আমি আরো খুশি হবো।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আমি বলেছিলাম, ‘আমি কি এটা বলে দিবো?’ উনি বললেন, ‘হ্যাঁ, বলে দিন।’ উনি সবাইকে জানিয়ে দেওয়ার জন্য বলেছেন, আমি জানিয়ে দিলাম।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)
মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, আস সাফফাহ্, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৫ই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ লাইলাতুস সাব্ত শরীফ (শনিবার) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত সন্তুষ্টি মুবারক ছাড়া আর কিছু আছে? কিছু নেই। আমি তো সেটাই বললাম যে, আমি সারা দিন ফিকির করলাম যে, কি বলেন। ঠিক পবিত্র ছলাতুল মাগরিব উনার পবিত্র আযান মুবারক হলো, তিনি খুশি প্রকাশ করলেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আমি বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি যে খুশি হয়েছেন এটা কি আমি বলে দিবো? উনি বললেন, ‘হ্যাঁ।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আবার ঠিক ভোর রাতে দেখলাম, উনি অনেক বেশি খুশি। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) উনি বললেন, ‘আমার জন্য আরো করলে, আমি আরো বেশি খুশি।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) যে, আরো বেশি করলে আরো বেশি খুশি হবেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)
তাহলে আরো করতে হবে। সেটাই বললাম, আমরা দেড় গুণ করতেছি। দেড় গুণের প্রস্তুতি গ্রহণ করো। সবাই কোশেশ করো। এখন তোমরা শত শত, হাজার হাজার গাড়ীর ব্যবস্থা করো।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)
মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, আস সাফফাহ্, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এই ঘোষণা মুবারক দিয়েছেন যে, তিনি এক সময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে সারা ঢাকা শহর, সারা দেশ, সারা পৃথিবী; এমনকি সম্মানিত জান্নাত মুবারকসহ সারা কায়িনাত সাজাবেন এবং এ দেশবাসী ও পৃথিবীর সমস্ত জিন-ইনসান এবং তামাম কায়িনাতবাসী সবাইকে মেহমানদারী করে খাওয়াবেন; এমনকি সমস্ত জান্নাতবাসী উনাদেরকেও খাওয়াবেন। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেছেন যে, “পৃথিবীতে ৬০০ কোটি মানুষ রয়েছে। যেদিন আমরা শুধু কোটি কোটি কন্ঠে পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিল মুবারক উপলক্ষে ১২০০ কোটি তাবারুকের প্যাকেট করবো, সেইদিন থেকে হাক্বীক্বীভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা শুরু হবে।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)
তাই সকলের জন্য ফরযে আইন হচ্ছেন হাক্বীক্বী রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের লক্ষ্যে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা দিয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনে শরীক থাকা।
মহান আল্লাহ পাক তিনি মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, আস সাফফাহ্, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে আমাদের সবাইকে সেই তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন ইবনে ছিদ্দীক্ব।