যামানার মহান ইমাম আলাইহিস সালাম উনার বিরোধিতাকারীদের একের পর এক ধ্বংস দেখে রেযাখানীদের খালিছ তওবা করে নেয়াটা জরুরী ছিল সুন্নী নামের কলঙ্ক, আহমদীয়া সুন্নীয়া দাবিকারী কাদিয়ানীদের ভাবশিষ্য চট্টগ্রামের রেযাখানী ফিরক্বার প্রলাপবাক্যের মূলোৎপাটন-২

সংখ্যা: ২১৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

প্রিয় পাঠক! আমরা আশ্চর্য হয়ে যাই যখন দেখি, সুন্নী নামের কলঙ্ক, আহমদীয়া সুন্নীয়া দাবিকারী কাদিয়ানীদের ভাবশিষ্য চট্টগ্রামের রেজাখানী ফিরক্বার গুমরাহ মৌলুভী জালাল গং আমাদেরকে আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম তথা আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের শানে আদব বজায় রাখার বিকৃত সবক দেবার চেষ্টা করে!  নাউযুবিল্লাহ!

সে বাতিলের আতঙ্ক, হক্বের অতন্দ্র প্রহরী, সারা বিশ্বের আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের একমাত্র দলীল ভিত্তিক তাজদীদী মুখপত্র মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ-এর লেখনীকে অসমন্বিত ও কুরুচিপূর্ণ বলার ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। সে গুমরাহ লানতী সিলসিলার ধাপ্পাবাজ পীর নামের কলঙ্ক তৈয়ব মিয়া এবং তদীয় কলঙ্কিত পুত্র তাহের মিয়াকে আওলাদে রসূল বলে চালিয়ে দিয়ে তাদের নাপাকী বিদয়াতী হারাম কুফরী অপকর্মসমূহকে ঢাকতে চেয়েছে। সে লিখেছে- “আওলাদে রসূল দোষ-ত্রুটি, পাপ-পঙ্কিলতা, অন্যায় অপরাধ যাবতীয় অশ্লীলতা ও কলুষতা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত।” (সূত্র : রেজাখানী মুখপত্র, রজব/১৯৩৩ হিজরী)

মৌলুভী   জালালের এমন ব্যাখ্যা মোটেও শুদ্ধ হয়নি। বরং যে আওলাদে রসূল সর্বপ্রকার দোষ-ত্রুটি, পাপ-পঙ্কিলতা, অন্যায় অপরাধ যাবতীয় অশ্লীলতা ও কলুষতা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত থাকবেন, থাকার চেষ্টা কোশেশ করবেন তিনিই উম্মাহর নিকট অধিক সম্মানিত ফযীলতপ্রাপ্ত এবং অনুসরণীয়-অনুকরণীয় হবেন। সুবহানাল্লাহ! আর যে ব্যাক্তি নিজেকে আওলাদে রসূল দাবি করার পরও দোষ-ত্রুটি, পাপ-পঙ্কিলতা, অন্যায় অপরাধ যাবতীয় অশ্লীলতা ও কলুষতার মধ্যেই নিজেকে ভাসিয়ে দিবে এবং নিজের গুমরাহ অনুসারীদেরকেও ভাসিয়ে দিবে এবং এমন অপতৎপরতায় দায়িমীভাবে লিপ্ত থাকবে সে কস্মিনকালেও আওলাদে রসূল হিসেবে পরিচয় দিতে পারবে না। বরং সে আওলাদে রসূলের তবকা হতে কাবিল আর কেনানের মতো বহিষ্কৃত বিচ্যুত হয়ে যাবে। এমন ব্যাক্তিদেরকে যারা আওলাদে রসূল পরিচয় দিয়ে মুসলিম সমাজে ব্যবসাÑবাণিজ্য করতে চাইবে, ফায়দা লুটে মানুষের ঈমান আমল নষ্ট করে যাবে তারা মারাত্মক কঠিন গুনাহগার হিসেবে চিহ্নিত হবে। বলার অপেক্ষা রাখেনা, চট্টগ্রামের রেজাখানী ফিরক্বার গুমরাহ জাহিল মৌলুভী জালাল সেই বদ আমল; যা কঠিন গুনাহ ও লা’নতের কারণ সে কাজটিই করেছে। আমরা তার নিকট জানতে চাই- ইসলামী শরীয়তের কোন জায়গায় রয়েছে, আওলাদে রসূল নামধারী কোন ব্যাক্তি শরীয়ত বিরোধী, সুন্নাহ বিরোধী কাজ করার পরও তাকে অনুসরণ-অনুকরণ করতে হবে? এ বিষয়ে একাধিক সহীহ হাদীছ শরীফ-এ উল্লেখ রয়েছে- যেমন, হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রদিয়াল্লাহ তায়ালা আনহু তিনি বর্ননা করেন, আমি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বিদায় হজ্জের দিন আরাফার ময়দানে কাসওয়া নামক উটে আরোহিত অবস্থায় ইরশাদ করতে শুনেছি- “হে মানব সমাজ! আমি তোমাদের মাঝে দুটি বিষয় রেখে যাচ্ছি। যেগুলোকে তোমরা আঁকড়ে ধরলে তোমরা কখনই গুমরাহ বা পথভ্রষ্ট হবে না। সেটা হলো- কিতাবুল্লাহ বা কুরআন শরীফ এবং আমার আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম।” সুবহানাল্লাহ!

রেজাখানী গুমরাহ মৌলুভী জালালের জন্য শত সহস্র আফসুস! সে পবিত্র হাদীছ শরীফ-এর সঠিক নির্দেশনা বুঝতে পারলো না। মূলত একজন সত্যিকার আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যিনি একই সাথে উম্মাহর জন্য হাদী হবেন তিনি কখনই পবিত্র কিতাবুল্লাহ বা কুরআন শরীফ বিরোধী কোন আমল আখলাক করতে পারেন না। পবিত্র কুরআন শরীফ যেমন তার আদি রূপ চরিত্র থেকে বিন্দুমাত্রও বদলাতে পারেনা। তদ্রƒপ অনুসরণীয়-অনুকরণীয় হাদী আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারাও কুরআন শরীফ, সুন্নাহ শরীফ-এর খিলাফ বিন্দুমাত্র কোন হুকুম পালন, আহকাম পালন করতে পারেন না, নিজেরাও আদৌ করেন না। পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ-এর সাথে উনারা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। প্রকৃতপক্ষে এমন শানের আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের দামান মুবারক আঁকড়ে ধরার জন্যই উক্ত হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে। বর্তমানে সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর জন্য খুশির সংবাদ এটাই যে, হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত অনুসরণীয়-অনুকরণীয় আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের পরিপূর্ণ ক্বায়িম-মাক্বাম, সূর্যের ন্যায় সমুজ্জ্বল রাহবার তথা হাদী হলেন- যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, জব্বারিউল আউয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, গাউছুল আ’যম, দাস্তগীর ঢাকা রাজারবাগ শরীফ-এর মুহতারাম মামদূহ সাইয়্যিদুনা মুর্শিদ কিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!

-মূফতী আবু বকর মুহম্মদ জাহিদুল ইসলাম।

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।