যামানার মহান ইমাম সাইয়্যিদুনা আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম উনার বিরোধীতাকারীদের একের পর এক ধ্বংস দেখে রেজাখানীদের খালিছ তওবা করে নেয়াটা জরুরী ছিলো সুন্নী নামের কলঙ্ক, আহমদীয়া সুন্নীয়া দাবিকারী কাদিয়ানীদের ভাবশিষ্য চট্টগ্রামের রেযাখানী ফিরক্বার প্রলাপবাক্যের মূলোৎপাটন-৫

সংখ্যা: ২২১তম সংখ্যা | বিভাগ:

যামানার মহান ইমাম সাইয়্যিদুনা আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম উনার বিরোধীতাকারী কাট্টা মালাঊন ইবলিস শয়তানের দোসর গুমরাহ আহম্মক রেজা পাঠানীর অনুসারী চট্টগ্রামের রেজাখানী সম্প্রদায়ের গুমরাহী আর ধর্মব্যবসার গোমর ফাঁসে এবার মাঠে নেমেছে তাদেরই কিছু শিষ্য সাগরিদ। অতি সম্প্রতি একটি চটি রেসালা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে রেজাখানী গং আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এলোমেলো প্রলাপ বকতে থাকে। “আনজুমান তথা গাউছিয়া কমিটির কাছে সুন্নী জনতার কতিপয় প্রশ্ন” শিরোনামে এটি প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা বিস্তারিত আলোচনায় যাবার আগে এখান হতে উৎসাহী সুন্নী পাঠক সমাজের জন্য কিছু বিষয় তুলে ধরবো। যেমন, আহমদীয়া সুন্নীয়া দাবিকারী কাদিয়ানীদের ভাবশিষ্য কর্তৃক পরিচালিত গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ এর পরিচিতি নিয়ে একটি বই প্রকাশ করা হয়। এই বইটির ২০তম পৃষ্ঠায় একটি কল্পিত উক্তি নকল করে লিখা হয়েছে, আহম্মক রেজা পাঠানীর অন্যতম ভাবশিষ্য তাদের ছিরিকোটি হুজুর নাকি বলে গিয়েছে- “তৈয়ব ও তাহের কাম সাম্বালেগা আউর সাবির শাহ বাঙ্গালকা পীর হোগা”। এমনকি সাবির শাহর জন্মের পরই নাকি তাদের ছিরিকোটি হুজুর চিঠি দিয়ে বলেছিলো- “সাবির শাহ পাকিস্তান কা লিডার হোগা আউর বাঙ্গাল কা পীর হোগা” নাউযুবিল্লাহ! রেসালা প্রকাশকারী জনতার বক্তব্য হলো, চট্টগ্রামে ছিরিকোটি হুজুরের অনেক শাগরিদ এখনো জীবিত আছে। তাদের কেউ কখনো এমন বক্তব্য তাদের ছিরোকোটি হুজুরের মুখ থেকে নাকি আদৌ শুনেনি। তাহলে বর্তমান গাউসিয়া কমিটির হর্তাকর্তারা এসব কথা কোথা হতে আমদানী করলো তা ভাবতে অবাক লাগে। জানিনা আগামী দিনে তাদের স্বার্থের অনুকুলে আরো কত ভবিষ্যতবানী আমদানী করবে!! নাউযুবিল্লাহ!

প্রিয় পাঠক! যে রেজাখানী গুমরাহ সমপ্রদায় যুগের দোহাই দিয়ে, নিজেদের হারাম নাজায়িয কাজকে হালাল করার জন্য প্রতিনিয়ত নুরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাকেই বিকৃত করার অপচেষ্টা  করে, হারাম ছবি তোলাকে জায়িয বলে, হারাম বেপর্দাকে হালাল বলে, হারাম টিভি দেখাকে হালাল বলে, হারাম তন্ত্রমন্ত্রকে হালাল বলে, বিদাতী পোষাককে সুন্নত বলে, হক্বকে নাহক্ব বলে তারাতো অতি স্বাভাবিকভাবেই তাদের নাহক্ব ভ- দুনিয়াদার ধর্মব্যবসায়ী পীর নামক কলঙ্কদেরকে নিয়ে কতরকম যে কল্পিত বাণী আর কারামত প্রচার করবে তার কোন ঠিক নেই। নাউযুবল্লাহ!

আসল কথা হলো, এই গুমরাহ রেজাখানী ফিরকার তাহের নামক পীর যেকোন সময় তার ধর্মব্যবসার জিন্দেগী গুটিয়ে জাহান্নামের পথে যাত্রা করতে পারে। তাই তার স্থলাভিষিক্ত একজন এখন থেকেই মওজুদ করতে হবে। যাতে সুন্নী নাম বিক্রি করে, গাউসিয়া গাউসিয়া চিৎকার করে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা রমরমা ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখতে পারে। এর জন্য উপযক্তু তরতাজা জওয়ান চেলা হলো কথিত সাবির শাহ। যে কিনা পাকিস্তানে করবে হারাম তন্ত্রমন্ত্রের ইলেকশন, ভোটাভুটি, পাকিস্তানে সে হবে এক জননেতা, এমপি মন্ত্রি আর বার আউলিয়ার পূন্যভূমি চট্টগ্রামে সে বছরে এক দুবার এসে বনে যাবে আস্ত এক পীরানে পীর!!! নাউযুবিল্লাহ! তাদের তৈয়ব নামক পীর বহুবার এদেশে এসে আহমদিয়া সুন্নীয়া আলীয়া মাদ্রাসার জন্য চাঁদা কালেকশন করতে গিয়ে মাদ্রাসায় পড়া আর পড়ানোর এত বেশী ফযীলত বর্ণনা করে বয়ান করেছে যার দলীল অনেকের কাছেই রক্ষিত আছে। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য! এরপরও তাদের  এই কথিত কল্পিত বাঙ্গাল নামক পীর সাবির শাহকে পড়ালেখা করানো হয়েছে দুনিয়াবি স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটিতেই। তাকে তার ধর্মব্যবসায়ী বাপ-দাদা হক্কানী রব্বানী আলিম বানানোর জন্য কোন মাদ্রাসায় পাঠায়নি। তাকে গুমরাহ জাহিল মওদুদী স্টাইলে পোশাক পড়তে শিখিয়েছে। তাকে মওদুদী স্টাইলে দাড়ি মোছ রাখতে শিখিয়েছে। আর এখন তাকেই বার আউলিয়ার পূন্যভূমি চট্টগ্রামে ধর্মব্যবসার জন্য আমদানী করা হচ্ছে। তাকে দেখে বীর চট্টলার আপামর সুন্নী জনতা মৌলূভী জালাল গংকে বলছে- হে পা চাটা দালাল, মৌং জালাল! এটা তোমার কোন আদব? তোমার পীর সাবিরের চেয়ে তোমার দাড়ি মোছ লম্বা কেন? পীর সাবিরের চেয়ে তোমার কোর্তা লম্বা কেন? ইত্যাদী নানাবিধ প্রশ্ন। আসলে এ সম্পর্কে মৃত আহম্মক রেজা পাঠানীর নব্য শরীয়ত কি বলে তা জানালে বিষয়টি আরো পরিস্কার হতো বৈকি!

–মূফতী আবু বকর মুহম্মদ জাহিদুল ইসলাম।

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।