কাট্টা গুমরাহ রেজাখানী ফিরক্বার মৌলুভীরা বলে থাকে, সারা বিশ্বের আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের একমাত্র মুখপত্র, বাতিলের আতঙ্ক, হক্বের অতন্দ্র প্রহরী মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ উনার মধ্যে নাকি তথাকথিত সুন্নীদেরকে এবং তাদের নাকিছ ধান্ধাবাজ ইমামদেরকে গালিগালাজ করা হয়, তাদের নামকে বিকৃত করা হয়; যা শরীয়তসম্মত নয় বরং অশালীন। আমরা তাদেরকে বলি, তাদের কথা সঠিক হতো, যদি তারা আদৌ সুন্নী মুসলমান হতো, তাদের কথিত ইমামগণ যদি হক্কানী আল্লাহওয়ালা হতো। অথচ বর্ণিত শর্তের ধারেকাছেও তারা নেই বরং ইলম আমল কাজ কারবারে তাদের বেঈমানী ও মুনাফিকিই হরহামেশা জাহির হয়। এ কারণে তাদেরকে কাট্টা কাফির আবু জাহিলের ন্যায় সম্বোধন করা হয়। এর মাধ্যমে মূলত হক্কানী-রব্বানী উলামায়ে কিরাম একটি খাছ সুন্নত উনাকে জিন্দা রাখেন মাত্র। সুবহানাল্লাহ!
তারা বলে, তাদের কথিত ইমাম রেজা খানের নাম আহমদকে বিকৃত করে আহম্মক বলা হয়। এটা কাট্টা মিথ্যা কথা। কারণ আহমদ অতি পবিত্র সম্মানিত নাম মুবারক। এ পবিত্র নাম মুবারক বিকৃত করার দুঃসাহস একমাত্র লানতপ্রাপ্তরাই দেখাতে পারে। গুমরাহ ইমাম রেজাখানকে মূলত আহম্মক নামে ডাকার কারণ হলো, সে সম্মানিত পবিত্র আহমদ নাম ব্যবহার করার দাবি করে অথচ সম্মানিত পবিত্র আহমদ নাম মুবারক উনার অর্থ সর্বোচ্চ পবিত্র প্রশংসাকারী। কিন্তু গুমরাহ ইমাম রেজা খানী পাঠানী তার সারাজীবন সমসাময়িক হক্কানী-রব্বানী আল্লাহওয়ালা উনাদের প্রশংসা তো দূরের কথা উল্টো উনাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক কুৎসা রটনা করে কাটিয়েছে এবং অপবাদের কলঙ্কময় সিলসিলা জারি করেছে। চরম আহম্মকের মতোই তার বদ আমল জারি রয়েছে বলেই তাকে পবিত্র সম্মানিত আহমদ নাম মুবারকে সম্বোধন না করে উপযুক্ত আহম্মক নামে ডাকা হয়। যেমনটি গোলাম আহমদ কাদিয়ানীকে গোলাম আহম্মক কাদিয়ানী বলেই ডাকা হয়। অর্থাৎ কস্মিনকালেও পবিত্র সম্মানিত আহমদ নাম মুবারক উনার যিনি মালিক নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার গোলাম বা গোলামের গোলাম হবারও বিন্দুমাত্র যোগ্যতাই কাদিয়ানীর মধ্যে নেই। বরং সে যে কাট্টা কুফরী শিরকী করে নিজেকে প্রকাশ করার দুঃসাহস দেখিয়েছে তাতে সে যে লানতপ্রাপ্ত আহম্মকদেরই কাট্টা গোলাম হবার যোগ্যতা রাখে সেটাই প্রমাণ করেছে। যাদের জন্য নির্ধারিত স্থান হলো ভয়ঙ্কর কঠিন জুব্বল হুযুন জাহান্নাম। নাউযুবিল্লাহ!
গুমরাহ বাতিল রেজা খানী পাঠানীর গুমরাহ অনুসারীদের সাফ সাফ বলি- এখনও সময় আছে তওবা করার। এখনও সময় আছে নিজেদেরকে শুধরানোর। এখনও সময় আছে বেপর্দা-বেশরা থেকে ফিরে আসার। এখনও সময় আছে হারাম ছবি তোলা ভিডিও করা থেকে বিরত রাখার। এখনও সময় আছে কুফরী তন্ত্রমন্ত্র থেকে মুখ ফিরিয়ে ‘খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওয়াহ’ উনার জন্য কোশেশ করার। এখনও সময় আছে বিদয়াতী ব্যবসায়ী পীর নামক কলঙ্কদের সংস্রব বদ সোহবত ত্যাগ করার। এখনও সময় আছে হারাম সহশিক্ষার নামে যুবতী মেয়েদের লালসা ত্যাগ করার। এখনও সময় আছে বেদ্বীনি বদদ্বীনি সিরত ছুরত পাল্টিয়ে সুন্নাহ আমলে সুশোভিত হবার। এখনও সময় আছে হক্কানী-রব্বানী ওলামায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের শানে মিথ্যা অপবাদ বন্ধ করার। এখনও সময় আছে যামানার সুমহান ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আযম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র শানে কুৎসা রটনা বন্ধ করে খালিছ তওবা ইস্তেগফার করতঃ ঈমান-আমলকে নবায়ন করার। সর্বোপরি এখনও সময় আছে নিজেদের ইহ-পরকালীন মুক্তি নিশ্চিত করার। নতুবা যে কোন মুহূর্তে খোদায়ী আযাব-গযবে মরে গেলে কবরে গুর্জু খাওয়া ব্যতীত কোন গত্যন্তর থাকবে না।
-মুফতী আবু বকর মুহম্মদ জাহিদুল ইসলাম।
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৩৪
চাঁদ দেখা এবং নতুন চন্দ্রতারিখ শুরু নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা- ১
কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-১৮
কট্টর কমুনিস্ট মাওসেতুং এর নতুন ভাবশিষ্য ফুলতলীর লংমার্চ এবং তার শরয়ী পর্যালোচনা ও প্রসঙ্গ কথা