যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাযযাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১২৩

সংখ্যা: ২৫২তম সংখ্যা | বিভাগ:

মূলত যুগে যুগে মিথ্যাবাদী আর মুনাফিকরাই হক্বের বিরোধিতা করেছে, হক্বের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছে। তাই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মুনাফিকদেরকে ‘কাযযাব’ বা মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন- পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “মহান আল্লাহ পাক তিনি সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, নিশ্চয়ই মুনাফিকরাই মিথ্যাবাদী।” (পবিত্র সূরা মুনাফিকুন শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১)

উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, যারা মুনাফিক তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। আবার যারা মিথ্যাবাদী তারাই মুনাফিক। কেননা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে মুনাফিকের যে আলামত বা লক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে, তন্মধ্যে একটি হলো- মিথ্যা কথা বলা।

মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার বিরোধিতাকারীরা উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদেরই পূর্ণ মিছদাক। অর্থাৎ তারা একই সাথে মুনাফিক ও কাট্টা মিথ্যাবাদী। তাই তারা মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্যে স্মরণিকা-বার্ষিকী, পত্র-পত্রিকা ও বক্তৃতার মাধ্যমে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়। তাদের সেসব মিথ্যাচারিতার দাঁত ভাঙ্গা জবাব নিম্নে প্রদত্ত হলো-

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

৭. প্রসঙ্গ: “রওযা শরীফ যিয়ারত”

মুনাফিক গোষ্ঠী পবিত্র হজ্জ সম্পর্কে যেরূপ মিথ্যা বানোয়াট বক্তব্য দিয়েছে। তাদের ‘রওযা শরীফ’ সম্পর্কিত বক্তবটিও অনুরূপ ডাহা মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর। মুনাফিক গোষ্ঠীকে ক্বিয়ামত পর্যন্ত সময় দেয়া হলো- যদি তারা এর মধ্যে প্রমাণ করতে পারে যে, “রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি ‘পবিত্র রওযা শরীফ যিয়ারত’ করতে নিষেধ করেছেন অথবা পবিত্র রওযা শরীফ যিয়ারত করার চেয়ে নিজের যিয়ারতকে বেশি ফায়দাজনক বলেছেন” তবে তাদেরকে একশ কোটি টাকা পুরুস্কার দেয়া হবে। ইনশাআল্লাহ!

মুনাফিক গোষ্ঠীর উক্ত বক্তব্য যে, মিথ্যা ও সাজানো তার প্রমাণ মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ ও পবিত্র ওয়াজ শরীফ উনার অসংখ্য ক্যাসেট। মাসিক আল বাইয়্যিনাত উনার অসংখ্য সংখ্যায় উল্লেখ আছে- “নিয়ত করে পবিত্র রওযা শরীফ উনার যিয়ারত করা সুন্নত।”

আর অসংখ্য ওয়াজ শরীফ উনার মধ্যে তিনি বলেছেন, “যে পবিত্র হজ্জ করলো অথচ পবিত্র রওযা শরীফ যিয়ারত করলো না সে চরম বেয়াদব।”

হ্যাঁ, পবিত্র হজ্জের জন্যে ছবি তোলা যেরূপ সম্মানিত শরীয়তে হারাম তদ্রূপ পবিত্র রওযা শরীফ যিয়ারতের উদ্দেশ্যে ছবি তোলাও হারাম অর্থাৎ ছবি তুলে পবিত্র রওযা শরীফ যিয়ারত করা যাবে না। এটা রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নিষেধাজ্ঞা নয় বরং মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারাই ছবি তুলতে নিষেধ করেছেন। মুনাফিক গোষ্ঠী কি পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার দলীলের দ্বারা প্রমাণ করতে পারবে যে, পবিত্র রওযা শরীফ যিয়ারতের জন্য ছবি তোলা জায়িয! যদি মুরাদ থাকে তবে যেন দলীল দিয়ে প্রমাণ করে।

-আল্লামা মুহম্মদ ইবনে ইসহাক, ঢাকা

‘পবিত্র দ্বীন ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার’ অর্থ হচ্ছে- ‘পবিত্র দ্বীন ইসলাম ও অনৈসলামী শিক্ষা’। যার ফলাফল ‘শূন্য ধর্মীয় শিক্ষা’। বিতর্কিত ও বামঘেঁষা মন্ত্রী এটা করলেও ‘পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না’- এ প্রতিশ্রুতির সরকার কী করে তা গ্রহণ করতে পারলো?

বেপর্দা-বেহায়াপনায় আক্রান্ত কলুষিত সমাজের নতুন আতঙ্ক ‘সেলফি’। সেলফি উম্মাদনায় সমাজে ব্যাপকভাবে বেড়েছে হত্যা, আত্মহত্যা, সম্ভ্রমহরণ, সড়ক দুর্ঘটনাসহ নানা অপরাধ। বিভিন্ন দেশে সেলফি’র উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও বাংলাদেশে কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সরকারের উচিত অপসংস্কৃতি এবং আত্মহত্যার মতো অপরাধ বন্ধ করতে অবিলম্বে সেলফি নিষিদ্ধ করা।

প্রতারণার ফাঁদে নাগরিক জীবন। সরকারের নজরদারী নেই। রকমফের প্রতারণা বন্ধে সম্মানিত ইসলামী আদর্শ বিস্তারের বিকল্প নেই

পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলছে অবাধ খ্রিস্টান ধর্মান্তরিতকরণ। বিষয়টি অদূর ভবিষ্যতে গভীর শঙ্কার। রহস্যজনক কারণে নীরব সরকার

পরিসংখ্যান ব্যুরো’র গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধিতে কারিগরি দক্ষতা, মানসম্পন্ন জনবল এবং প্রশিক্ষণের যেমন প্রয়োজন; তেমনি যথাযথ গণ্ডিভুক্ত বিষয়ের জরিপের পাশাপাশি ইসলামী মূল্যবোধসমৃদ্ধ বিষয় অন্তর্ভুক্ত করারও বিকল্প নেই