যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫৯

সংখ্যা: ১৮৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

মূলতঃ যুগে যুগে মিথ্যাবাদী আর মুনাফিকরাই হক্বের বিরোধিতা করেছে, হক্বের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছে। তাই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ-এ মুনাফিকদেরকে ‘কায্যাব’ বা মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন- পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “আল্লাহ পাক সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, নিশ্চয়ই মুনাফিকরাই মিথ্যাবাদী।” (সূরা মুনাফিকুন-১)

উক্ত আয়াত শরীফ দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, যারা মুনাফিক তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। আবার যারা মিথ্যাবাদী তারাই মুনাফিক। কেননা হাদীছ শরীফ-এ মুনাফিকের যে আলামত বা লক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে তন্মধ্যে একটি হলো মিথ্যা কথা বলা।

মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর যারা বিরোধিতাকারী তারা উক্ত আয়াত শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এরই পূর্ণ মিছদাক। অর্থাৎ তারা একই সাথে মুনাফিক ও কাট্টা মিথ্যাবাদী, তাই তারা মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্যে স্মরণীকা- বার্ষিকী, পত্র-পত্রিকা ও বক্তৃতার মাধ্যমে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়। যেমন, যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সুলূলের বংশধর ও দাজ্জালে কায্যাব, খারিজীপন্থী ওহাবীদের আরেকটি মিথ্যা অপপ্রচার হচ্ছে,

(১৮)

‘বাংলা ভাষায় কুরআন শরীফ’

সম্পর্কিত মিথ্যাচারিতা

কায্যাবুদ্দীন তার উক্ত মন্তব্যে সর্বশেষ যা লিখেছে তা হলো, “রূপক অর্থে আল বাইয়্যিনাত পত্রিকাকে কুরআন আখ্যায়িত করা কুরআন-এর সাথে জঘন্য ধরনের উপহাস। কেননা …… আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায় উলামায়ে কিরাম সম্পর্কে এমন সব গালি-গালাজ লিখা হয় যা কোন ভদ্রতা ও শালীনতার আওতায় পড়ে না। উক্ত পত্রিকায় শাইখুল হাদীছ, মাসিক মদীনার সম্পাদক, চরমোনাইয়ের পীর …… হাটহাজারীর মোহতামিম প্রমুখ দেশবরেণ্য সর্বজন শ্রদ্ধেয় নায়িবে রসূলগণকে যেসব কুৎসিত গালি দেয়া হয়েছে। তার কয়েকটি নিম্নরূপ: উম্মতে মুহম্মদী থেকে খারিজ, মাওসেতুং ও গান্ধির ভাবশিষ্য, শয়তানের পোষ্যপুত্র, মুশরিক, মুনাফিক, ধোঁকাবাজ, ভ-, জাহিল, গোমরাহ, কায্যাব, কমীনী, যিনাখোর, নফসের পূজারী, মালউন ইত্যাদি।”

“মিথ্যাচারিতার খ-নমূলক জবাব”

কায্যাবুদ্দীন আল বাইয়্যিনাত-এর প্রতি দ্বিতীয় যে অপবাদ বা তোহমত দিয়েছে তা হলো “আল বাইয়্যিনাত-এ উলামায়ে কিরাম বা নায়িবে নবীগণকে গালি-গালাজ করা হয়।” (নাঊযুবিল্লাহ)

কায্যাবুদ্দীনের উক্ত বক্তব্যের জবাবে প্রথমত: বলতে হয় যে, আল বাইয়্যিনাত শরীফ-এ বর্ণিত, যে বিশেষণগুলো কায্যাবুদ্দীন গালি-গালাজ বলে প্রচার করছে সেগুলো গালি-গালাজ নয় তা পূর্ব বর্ণিত দলীলভিত্তিক আলোচনা দ্বারা সুস্পষ্টভাবেই প্রমাণিত হয়েছে। কারণ সেগুলো যদি গালি-গালাজ হয় তবে কায্যাবুদ্দীনের মতে সাব্যস্ত হয় যে, কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এ গালি-গালাজ রয়েছে। উক্ত বিশেষণগুলো কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এ থাকায় কেউ যদি বলে যে, কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এ গালি-গালাজ রয়েছে তবে সে কাফির হয়ে যাবে।

দ্বিতীয়ত: বলতে হয় যে, “আল বাইয়্যিনাত শরীফ-এ উলামায়ে কিরাম বা নায়িবে নবীদের গালি-গালাজ করা হয়।” (নাঊযুবিল্লাহ)। কায্যাবুদ্দীনের একথাও ডাহা মিথ্যা।

কারণ কায্যাবুদ্দীন যাদেরকে উলামায়ে কিরাম বা নায়েবে নবী বলে দাবী করছে, তারা কস্মিনকালেও হক্কানী আলিম বা নায়িবে নবী নয়। কায্যাবুদ্দীন যেহেতু আশাদ্দুদ্ দরজার জাহিল, তাই সে জানেনা যে কে হক্কানী আলিম, কে নায়িবে নবী। কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এর দৃষ্টিতে হক্কানী আলিম বা নায়িবে নবীর সঠিক পরিচয় বা সংজ্ঞা তুলে ধরলেই সুস্পষ্ট ও অকাট্যভাবে প্রমাণিত হবে যে, কায্যাবুদ্দীনের দাবী সম্পূর্ণই মিথ্যা। অর্থাৎ তার উল্লিখিত ব্যক্তিরা আসলে হক্কানী আলিম বা সত্যিকার নায়িবে নবী নয়।  তাই নিম্নে কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এর দৃষ্টিতে হক্কানী আলিম বা সত্যিকার নায়িবে নবী-এর পরিচয় তুলে ধরা হলো-

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

আলিম কাকে বলে?

 

আলিম ঐ ব্যক্তিই যাঁর অন্তরে তাক্বওয়া বা খোদাভীতি রয়েছে। অর্থাৎ যিনি আল্লাহ পাক-এর ভয়ে হারাম, নাজায়িয কাজ থেকে বিরত থাকেন। কেননা মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কালাম পাকে ইরশাদ করেন,

انما يحشى الله من عباده العلماء.

অর্থাৎ-“নিশ্চয়ই বান্দাদের মধ্য হতে শুধুমাত্র আলিমগণই আল্লাহ পাককে ভয় করেন।” (সূরা ফাতির-২৮)

এ আয়াত শরীফ-এর তাফসীর জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল করা হয়েছিল হাম্বলী মায্হাবের প্রতিষ্ঠাতা ও ইমাম, ইমামুল আইম্মা, ইমামুছ্ ছিদ্দীক্বীন, শায়খুল মুহাদ্দিছীন হযরত আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহিকে। তিনি এ আয়াত শরীফ-এর ব্যাখ্যায় বলেন, “যাঁর ভিতর যত বেশি খোদাভীতি রয়েছে তিনি তত বড় আলিম।” উক্ত আয়াত শরীফের ব্যাখ্যায় বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ “তাফসীরে খোলাছায়” উল্লেখ আছে যে,

“العلماء” سےاصطلاحی علم یعنی کتابین پرہ لینے والے مراد نہیں. بلکہ کبریائے ذات وعظمت صفات کونور ایمان شمع عرفان سے دیکھنے والے اسلئے کہ اصحاب رسول صلی اللہ علیہ وسلم وارباب ولایت وقبول سبکے سب علماء کتابی نہ تھی گو اونکا علم نافع اعلی درجہ کاتھا

অর্থঃ- উক্ত আয়াত শরীফ-এ العلماء  শব্দ দ্বারা কিতাবসমূহ পাঠকারী তথা (দাওরা বা টাইটেল পাশকারীদেরকে) বুঝানো হয়নি। বরং কুরআন শরীফ-এ বর্ণিত “আলিম” তাঁরাই, যারা মহান আল্লাহ পাক-এর মহিমাময় জাত ও অসীম গৌরবময় ছিফাতসমূহকে ঈমান ও মারিফতের নূরের আলোকে অবলোকন করেছেন।

  কেননা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রিয়তম ছাহাবী আজমাঈন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ ও (পরবর্তী) বিলায়েত প্রাপ্ত ও মকবুল ওলীআল্লাহগণ কিতাবী তথা দাওরা বা টাইটেল পাশ আলিম ছিলেন না। তথাপিও উনারা সর্বোচ্চ স্তরের উপকারী ইল্মের অধিকারী ছিলেন। অর্থাৎ তারাই কুরআন শরীফ-এ বর্ণিত প্রকৃত আলিম ছিলেন।

উল্লিখিত আয়াত শরীফের ব্যাখ্যায় বিখ্যাত আলিম, ইমামুল মুফাস্সিরীন হযরত ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার প্রসিদ্ধ “তাফসীরে ইবনে কাছীরে” উল্লেখ করেন,

عن ابن مسعود رضى الله تعالى عنه انه قال ليس العلم عن كثرة الحديث ولكن العلم عن كثرة الخشية وقال احمد بن صالح المصرى عن ابن وهاب عن مالك ان العلم ليس لكثرة الرواية وانما العلم نوريجعله الله تعالى فى القلب.

অথঃ “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, যে ব্যক্তি অধিক হাদীছ শরীফ জানে সে ব্যক্তি আলিম নয় বরং যার মধ্যে আল্লাহভীতি অধিক সে ব্যক্তিই আলিম। আর আহ্মদ বিন ছালেহ মিছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, অধিক রেওয়ায়েত শিক্ষা করলেই আলিম হওয়া যায়না। মূলতঃ ইল্ম হচ্ছে নূর বা জ্যোতি স্বরূপ। আল্লাহ পাক তা মানুষের অন্তকরণে দান করেন।”

উক্ত “তাফসীরে ইবনে কাছীরে” উল্লিখিত আয়াত শরীফের ব্যাখ্যায় আরো উল্লেখ আছে যে,

قال سفيان الثورى….. العلماء ثلاثة عالم بالله وعالم بامر الله وعالم بالله ليس بعالم بامر الله ليس بعالم بالله. فالعالم بالله وبامر الله الذى يخشى الله تعالى ويعلم الحدود والفرائض.

অর্থঃ “হযরত ইমাম সুফিয়ান ছাওরী রহমত্ল্লুাহি আলাইহি বলেন, আলিমগণ তিনভাগে বিভক্ত। (১) আলিম বিল্লাহ অর্থাৎ যারা শুধু আল্লাহ পাককেই জানেন। কিন্তু তাঁর হুকুম-আহ্কাম সম্পর্কে অজ্ঞ। (২) আলিম বিআমরিল্লাহ্। অর্থাৎ যাদের আল্লাহভীতি নেই। (৩) আলিম বিল্লাহ্ ওয়া বিআমরিল্লাহ্। অর্থাৎ যাঁরা আল্লাহ পাক ও তাঁর শরীয়তের হুকুম-আহ্কাম ও ফারায়িজ সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞাত এবং আল্লাহ পাককে ভয় করেন। (তাঁরাই হাক্বীক্বী বা প্রকৃত আলিম।)

– মুফতী মুহম্মদ ইবনে ইছহাক, বাসাবো, ঢাকা।

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।